× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
গার্ড অফ অনারে নিষেধের সুপারিশ ক্ষুব্ধ নারী ইউএনওরা
google_news print-icon

গার্ড অফ অনারে ‘নিষেধের’ সুপারিশ: ক্ষুব্ধ নারী ইউএনওরা

গার্ড-অফ-অনারে-নিষেধের-সুপারিশ-ক্ষুব্ধ-নারী-ইউএনওরা
সাভারে গার্ড অফ অনারে সাবেক ইউএনও শামীম আরা নিপা। ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার সময় নারী কর্মকর্তাদের বিকল্প খোঁজার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত নারী ইউএনওদের সঙ্গে। তারা বলছেন, এই সুপারিশের মাধ্যমে নারীকে হেয় করার পাশাপাশি তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তাকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়ার সময় সরকারের নারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তিতে ক্ষুব্ধ নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে ধর্মের বিষয়টিকে সামনে আনা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৯তম বৈঠক হয় রোববার। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তাকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়ার সময় নারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আপত্তি জানিয়ে বিকল্প খোঁজার সুপারিশ করে কমিটি।

সংসদীয় এই কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন শাজাহান খান। সদস্য হিসেবে বৈঠকে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ও মোছলেম উদ্দিন।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় প্রশাসন। গার্ড অফ অনার দিতে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধাও জানান ওই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর শাহজাহান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই প্রশ্ন আসছে ধর্মীয় অনুভূতি থেকে। কোনো কোনো জায়গা থেকে বলা হয়েছে, জানাজায় নারীরা অংশ নিতে পারেন না।’

‘গার্ড অফ অনার সাধারণত জানাজার সময় দেয়া হয়’ জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, ‘এ জন্য এই ইয়েটা (সুপারিশ) আসছে। যদি গার্ড অফ অনার জানাজার আগে দেয় বা পরে দেয়, তখন জানাজা থাকে না। সেইটা একটা জিনিস। আমরা দেখেছি, সব জায়গায় জানাজার সময় গার্ড অফ অনার দেয়। ওই জায়গায় ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি বিবেচনা করে এটা সুপারিশ করা হয়েছে।’

গার্ড অফ অনারে ‘নিষেধের’ সুপারিশ: ক্ষুব্ধ নারী ইউএনওরা

তিনি বলেন, ‘মহিলার বিকল্প একজন পুরুষকে দিয়ে গার্ড অফ অনার দেয়ার বিষয়টি এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে এটা পরীক্ষা করে দেখতে বলেছি।’

বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত নারী ইউএনওদের সঙ্গে। তারা বলছেন, এই সুপারিশের মাধ্যমে নারীকে হেয় করার পাশাপাশি তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর ইউএনও নাজমুন নাহার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমত আমি এই সুপারিশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গার্ড অফ অনার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এটার সঙ্গে ধর্মকে টেনে আনা অযৌক্তিক।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বলেছে। এই সুপারিশ সংবিধানবিরোধী। এখানে নারীকে ছোট করা হয়েছে। তার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ সুপারিশ এটি।

‘এ ধরনের সুপারিশ স্বাধীন বাংলাদেশে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, সংবিধান পরিপন্থি, নারীর মানবাধিকার পরিপন্থি ও নারীর ক্ষমতায়ন পরিপন্থি। এ ধরনের সুপারিশ একজন নারীর জন্য যেমন অবমাননাকর, ঠিক একইভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যেও অপমানজনক।’

ইউএনও নাজমুন নাহার দীর্ঘদিন মাঠ প্রশাসনে কাজ করছেন। প্রয়াত অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার গার্ড অফ অনারে তিনি উপস্থিত থেকেছেন।

তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে গার্ড অফ অনার দিতে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। মাঠের মানুষগুলো সহজ সরল। এদের (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি) চেয়ে মাঠপর্যায়ের মানুষগুলো ভালো বোঝে।’

ইউএনও নাজমুন নাহারের আশঙ্কা, এ ধরনের সুপারিশের পেছনে কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর উসকানি থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি শ্রেণি আছে, যারা নারীর ক্ষমতায়ন পছন্দ করে না। তারা নারীকে ঘরবন্দি করে রাখতে চায়। ওই শ্রেণির লোকজনের রোষানল থেকে বাঁচতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করতে পারে।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইউএনও চৈতী সর্ববিদ্যা পাল্টা প্রশ্ন তুলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্মকর্তা তো কর্মকর্তাই। এতে নারী-পুরুষের প্রশ্ন কেন আসবে?’

একই জেলার কবিরহাটের ইউএনও হিসেবে আছেন হাসিনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘ইউএনও একটি প্রশাসনিক পদ, ধর্মীয় নয়।’


গার্ড অফ অনারে ‘নিষেধের’ সুপারিশ: ক্ষুব্ধ নারী ইউএনওরা
জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলায় গার্ড অফ অনারে ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা

হাসিনা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানাতে জেন্ডার কোনো জটিল বিষয় নয়। এটাকে কেউ খাটো করলে তা নিতান্তই অগ্রহণযোগ্য। এটি (সংসদীয় কমিটির সুপারিশ) একান্তই কোনো মহলের ব্যক্তিগত মত। আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তাই নারী, সে ক্ষেত্রে বিষয়টাকে একপেশে করে দেখা উচিত নয়।’

আরও পড়ুন: ‘নারী কর্মকর্তা বাদের সুপারিশকারীদের ক্ষমা চাইতে হবে’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ইউএনও হেলেনা পারভিনের প্রশ্ন, একজন নারী কর্মকর্তা যদি সব কাজ করতে পারেন, তাহলে গার্ড অফ অনার দিতে বাধা কোথায়?

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিকোণের কথা যদি ওঠে, তাহলে অন্য ধর্মের পুরুষ অফিসাররাও তো গার্ড অফ অর্নার দিতে পারবেন না। কাজেই এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’

একই জেলোর শ্রীবরদী উপজেলার ইউএনও নিলুফা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নারীরা মুক্তিযুদ্ধে অনেক বড় অবদান রেখেছেন। তারা এখন গার্ড অফ অনার দিলে সমস্যা কোথায়? আমরা মাঠপর্যায়ে সব কাজই তো করছি। তাহলে গার্ড অফ অনার দিতে পারব না কেন? রাষ্ট্র আমাদের যে দায়িত্ব দেবে, সেটা আমরা অন্য সব পুরুষ অফিসারের মতোই পালন করতে পারব।’

সংসদীয় কমিটির সুপারিশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাটোরের লালপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শাম্মী আক্তার।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারিভাবে সব সময় নারী অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। গার্ড অফ অনারে নারীর অংশগ্রহণে আপত্তি তোলা সরকারি নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেখানে সব সময় নারী অধিকারের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়ার সুপারিশ বেমামান।’

গার্ড অফ অনারে ‘নিষেধের’ সুপারিশ: ক্ষুব্ধ নারী ইউএনওরা

নাটোরের বাগাতিপাড়ার ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানাতে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়। এটা তো জানাজার অংশ নয়। গার্ড অফ অনারের অর্থ হলো সামরিক উপায়ে সম্মান জানানো। এটা ধর্মীয় কোনো বিষয় না। তাই নারী কর্মকর্তার অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি তোলার কোনো কারণ দেখি না।’

জানাজা ও গার্ড অফ অনার এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন মানিকগঞ্জ সদরের ইউএনও জেসমিন সুলতানাও।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে গার্ড অফ অনার দিই। সেখানে কে নারী আর কে পুরুষ সেটা বিবেচ্য বিষয় না, বিষয়টি হলো মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কিন্তু কোনো নারী-পুরুষ পার্থক্য করা যাবে না, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী দেখা যাবে না ,এটাও বলা আছে। সুতরাং আমি মনে করি, এটা সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহান জাতীয় সংসদ এটা প্রণয়ন করছে। নতুন করে এ ধরনের কিছু জাতীয় সংসদে পাস হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। বর্তমান সরকার আমাদের নারী-পুরুষে ভেদাভেদ করবে না। কারণ আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করছি কি না, সেটা আলোচ্য বিষয়। আমাদের দেশে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রাম থেকে সিফায়াত উল্লাহ, মানিকগঞ্জ থেকে আজিজুল হাকিম, সাভার থেকে ইমতিয়াজ উল ইসলাম, নাটোর থেকে নাজমুল হাসান, নোয়াখালী থেকে মোহাম্মদ সোহেল, শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির ও জামালপুর থেকে সাইমুম সাব্বির শোভন।

আরও পড়ুন:
জানাজা আর গার্ড অফ অনার এক নয়
গার্ড অফ অনারে নারী চায় না সংসদীয় কমিটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The chief adviser greeted Khaleda Zias birthday

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।

বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।

এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
22 employees rewarded for playing a special role in tobacco free rail services

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The Meeting of the Advisory Council held

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
About 5 of the countrys dispute Ali Imam Majumder

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি: আলী ইমাম মজুমদার

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি: আলী ইমাম মজুমদার

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি। এটা কিন্তু খুব কমই প্রতিকার নিতে পারছি আমরা। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ফেনীতে অনুষ্ঠিত অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি ফেনী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

ফেনী জেলা প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো: পারভেজ হাসান বিপিএএ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নুরুল আমিন খান, ফেনী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরিন কান্তা, ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বৃহত্তর নোয়াখালীর ভূমি বিষয়ক সার্চ অফিসার সরোয়ার উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক প্রমূখ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার ভূমি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Bangladesh is not yet fully ready for the passage of developing countries to developing countries Fisheries and Livestock Advisor

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে, কিন্তু এই পদক্ষেপটি আমরা গত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত জিডিপি, ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। বাস্তবিক অর্থে,স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

উপদেষ্টা আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত "বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন"- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরিসংখ্যান বহন করলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা গ্রহণের সময় আসবে, এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে তা অনুযায়ী নিয়ম মেনে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে শুল্ক ও জিএসপি সুবিধার প্রভাব কোথায় বৃদ্ধি পাবে এবং কোথায় হ্রাস পাবে, তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় গবাদিপশুর বাজারে প্রভাব পড়বে এবং লাখ লাখ খামারি, বিশেষ করে গরীব মহিলারা যারা গরু লালন-পালন করে উদ্যোক্তা হিসেবে অবদান রাখছেন, তাদের ক্ষতি হবে।

উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে মাংস আমদানি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। কারণ, আমদানি করা মাংসের মাধ্যমে জুনোটিক রোগ প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, সাগরের সি উইড ও কুচিয়া রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি হ্রাস করতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় আরো বক্তৃতা করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার সানিয়া রিড স্মিথ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ মাসুদ, অ্যাডভোকেট তাসলিমা জাহান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের কো-অর্ডিনেটর বারাকাত উল্লাহ মারুফ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Deal from Acting via Digital Information Secretary

ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় থেকে অপতথ্যের মোকাবিলা করুন : তথ্য সচিব

ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় থেকে অপতথ্যের মোকাবিলা করুন : তথ্য সচিব

তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও সক্রিয় হয়ে অপতথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নীতি, উন্নয়ন কর্মসূচি ও সাফল্যের প্রচারে তথ্য অধিদপ্তর প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই দায়িত্ব নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে।

বুধবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘তথ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম অধিকতর দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে’ আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর।

তথ্য সচিব বলেন, সরকার যেসব জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে, সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সরকারের বার্তা জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেন, তারাই প্রথম চালিকাশক্তি। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা সময়ের দাবী।

বর্তমানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপতথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, অপতথ্যের বিরুদ্ধে আপনাদেরই দক্ষ শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ, সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত প্রচার করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, শিক্ষিত ও দক্ষ। অপতথ্য ছড়ানো গোষ্ঠী ছোট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা অশিক্ষিত বা সরকারের কাজ সম্পর্কে অবগত নয়। সে তুলনায় আপনারা অনেক বেশি যোগ্য।

তথ্য সচিব বলেন, নিউজ ও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে শুধু পরিসংখ্যান নয়, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। এজন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট, ছোট ভিডিও, লাইভ কভারেজ এবং সময়োপযোগী গল্প বলার কৌশল প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।

তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মাহবুবা ফারজানা বলেন, আপনারা ইয়াং স্টার। আপনারা অবশ্যই পারবেন। প্রচার-প্রচারণার মান উন্নয়ন করুন। লেখার মান, বলার মান উন্নত করুন। প্রতিটি সংবাদ যেন সরকারের সাফল্যের জীবন্ত চিত্র হয়।

তথ্য সচিব আরও বলেন, সংবাদ শুধু নয়, তথ্য হচ্ছে বিশ্বাসের ভিত্তি। সত্যনিষ্ঠ খবর প্রচার করতে হবে। তথ্যের মাধ্যমে আস্থা গড়ে তুলেই বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই।

মন্তব্য

p
উপরে