× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফলোআপ
পুলিশ প্রত্যাহার পিটুনির নির্দেশদাতা ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই
google_news print-icon

পুলিশ প্রত্যাহার, পিটুনির ‘নির্দেশদাতা’ ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই

পুলিশ-প্রত্যাহার-পিটুনির-নির্দেশদাতা-ইউএনওর-বিরুদ্ধে-ব্যবস্থা-নেই
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও রুনা লায়লা।
গণমাধ্যমে প্রথমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে, ইউএনওকে ‘আপা’ সম্বোধন করায় পুলিশ ব্যবসায়ীকে পিটিয়েছে। ইউএনও এই সংবাদের প্রতিবাদ করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যম সেটি ছাপিয়েছে। তবে সেই ব্যবসায়ীকে মারধরের বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না। সিংগাইর সার্কেলের এএসপি নিশ্চিত করেছেন যে, ইউএনওর নির্দেশেই এই পিটুনি দেয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাটডাউনের মধ্যে দোকান খোলা রাখায় এক স্বর্ণকারকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে নাম আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মোল্লা পুলিশ সদস্যকে প্রত্যহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলছেন না।

নিউজবাংলাকে ওসি বলেন, ‘ঘটনার পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে যেহেতু ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে। এই অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।’

ওই পুলিশ সদস্যের নাম রফিক বলে প্রকাশ পেয়েছে। তবে তার পুরো নাম জানা যায়নি।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের জাগীর বাজারে। মারধরের শিকার হন তপন চন্দ্র দাশ। তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানাও করেন ইউএনও রুনা লায়লা।

প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আসে যে, ব্যবসায়ী তপন চন্দ্র দাশ ইউএনওকে ‘আপা’ সম্বোধন করায় তাকে পিটুনি দেয় পুলিশ।

ইউএনও এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একটি জাতীয় গণমাধ্যমে তার প্রতিবাদলিপি ছাপার পর নিজের ফেসবুক পেজে সেই প্রতিবাদলিপি পোস্টও করেছেন। তবে সেই ব্যবসায়ীকে মারধরের বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না।

আবার ইউএনওর নানা অভিযানের ছবি উপজেলা পরিষদের ফেসবুক পেজে নিয়মিত পোস্ট করা হলেও বৃহস্পতিবারের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়নি।

পুলিশ প্রত্যাহার, পিটুনির ‘নির্দেশদাতা’ ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই
ইউএনও রুনা লায়লা তার প্রতিবাদলিপিতে ‘আপা’ ডাকা প্রসঙ্গ তুললেও ব্যবসায়ীকে পিটুনির নির্দেশের বিষয়ে কিছু বলছেন না

পিটুনি দেয়া পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হলেও নির্দেশদাতা ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই কেন- এমন প্রশ্নের জবাব জানতে জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলি।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামানকে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

ঘটনা যা ঘটেছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে শাটডাউনের মধ্যে সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের জাগীর বাজারে দোকান খুলেছিলেন স্বর্ণকার তপন চন্দ্র দাশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই বাজারে অভিযান চালান ইউএনও রুনা লায়লা।

অভিযানে তপন চন্দ্র দাশকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করার পর তা পরিশোধ করেন।

ইউএনও বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলা রেখে দোকানের শাটার নামিয়ে মালিকসহ ৮-১০ জন লোক বসা ছিল। দোকান খোলা ও লোকসমাগম করার অপরাধে তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’

পুলিশ প্রত্যাহার, পিটুনির ‘নির্দেশদাতা’ ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে মারধরের শিকার সিংগাইরের জাগীর বাজারের স্বর্ণকার তপন চন্দ্র দাশ

পিটুনির শিকার ব্যবসায়ী তপন চন্দ্র দাশ বলেন, ‘ক্রেতাদের পূর্বের কিছু মালের অর্ডার থাকায় সেগুলো ডেলিভারি দিতেই দোকান খুলেছিলাম। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে হাজির হয়। আমি জরিমানার টাকাও পরিশোধ করি। পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে ইউএনওকে আপা বলে ক্ষমা চাই। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লাঠি দিয়ে তিন-চারটি বাড়ি মারে এক পুলিশ।’

গণমাধ্যমে আসে যে, অভিযান চলাকালে ইউএনওকে ‘আপা’ সম্বোধন করেন স্বর্ণকার তপন। আর এরপর তাকে মারধর করে সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী।

ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সরকারি চাকুরেদের মধ্যে ‘স্যার’ শব্দ শোনার বাসনা পেয়ে বসেছে। বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ‘স্যার’ না বলার কারণে মানুষকে অপমানিত হতে হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মানিকগঞ্জের এই ঘটনাটি সামনে আসার পরও ‍তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

তবে ইউএনও প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, তাকে আপা ডাকা নিয়ে পুলিশ কর্তৃক ব্যবসায়ীকে মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ব্যবসায়ীকে জরিমানা করার পাশাপাশি সরকারি কাজে অসহযোগিতার জন্য তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

মারধর হয়েছে বলছেন ডিসি, ইউএনও নিজে, তবে দায় দিলেন পুলিশকে

সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণা অনুযায়ী কাউকে নির্যাতনমূলক কোনো সাজা দেয়া যাবে না। বাংলাদেশ এই ঘোষণায় অনুস্বাক্ষর করেছে আর কাউকে আঘাত করা বাংলাদেশেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

স্পষ্টত সেদিন সেখানে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে এবং এর দায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও রুনা লায়লার।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন ‘অতি উৎসাহী’ পুলিশ সদস্যকে। নিউজবাংলাকে তিনি শুক্রবার বলেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল লাঠি দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দেয়। কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে কাউকে বাড়ি দেয়, সেটা তো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দোষ না। কারণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তো তাকে মারতে বলে নাই।’

ইউএনও বলেছেন, ‘আমি তো কাউকে মারতে বলিনি।’ কিন্তু মারল কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি তখন দূরে। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেছে।’

কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা কেন নেননি আর সেই পুলিশের বিরুদ্ধে কেন রিপোর্ট করেননি- এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, ‘এটা ওই রকমের কোনো ঘটনা না, সে জন্য পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি।’

তবে পুলিশের ভাষ্যে মিলেছে অন্য তথ্য।

সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম না। তবে আমার পুলিশ সদস্য রফিকের কথা রেকর্ড করেছি। সে বলেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশেই মেরেছে।’

আরও পড়ুন:
ইউএনওর দোষ নেই: ডিসি, পিটুনি তার নির্দেশেই: পুলিশ
উপজেলার বাজেট ব্যয়ে ৮ নির্দেশনা
ইউএনওর নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি
ভাতা তুলতে প্রবীণ পেলেন মোবাইল ফোন
‘ভুল’ স্বীকার করলেন সেই ইউএনও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

ফলোআপ
A moving bus caught fire from an overturned motorcycle in Banani

বনানীতে চাপা দেয়া মোটরসাইকেল থেকে চলন্ত বাসে আগুন

বনানীতে চাপা দেয়া মোটরসাইকেল থেকে চলন্ত বাসে আগুন শনিবার বনানীর মাঝ সড়কে চলন্ত বাসে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার বিকেলে জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

রাজধানীর বনানীতে মাঝ সড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপনে কাজ করে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেলে জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করা জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের বাসটি বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলটিকে টেনে-হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতেও আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

ফলোআপ
Chuadanga is burning at a temperature of 426 degrees Celsius

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা প্রখর রোদে মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতি তীব্র তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করছে জেলার তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খাওয়াতে পারছে না জেলাবাসী। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের ইজিবাইক চালক হারেজ আলী বলেন, ‘কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার উপর চলি এসিচে। আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে বাইরি বের হয়িচি। মাজে মাজে রাস্তার পাশের দুকান থেকি শরবত খেয়ি ঠান্ডা হচ্চি।’

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম; নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

মন্তব্য

ফলোআপ
Passenger bus ditches to avoid collision with easy bikes

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

মাদারীপুরে ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সেটিকে পাশ দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস খাড়ে পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্যে জীবন রক্ষা পেয়েছে বাসের অন্তত ৬৫ যাত্রীর। তবে এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর জেলার ঘটকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে বাস ও আহতদের উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাওলাদার পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘটকচর এলাকায় আসলে একটি ইজিবাইক রাস্তার মাঝে চলে আসে। দুর্ঘটনা এড়াতে ইজিবাইকটিকে পাশ দিতে বাসচালক দ্রুত মোড় নেয়ায় বাসটি রাস্তার পাশের খাদে চলে যায়। তবে খাদটি বেশি গভীর না হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে বাসের যাত্রীরা। তবে আঘাত পেয়ে বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের হাত-পায়ে একাধিক স্থানে কেটে গেছে। এ ঘটনায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলাম। ঘটকচর স্ট্যান্ডের কিছুটা দূরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ একটা ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেলাম। পরে দেখি বাসটি খাদে পড়ে গেছে। আমার নাকে কিছুটা আঘাত পেয়েছি। অন্য যাত্রীদেরও বেশ আঘাত লেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

এ ব্যাপারে মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মারুফ রহমান বলেন, ‘বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অন্তত ৬৫ জন যাত্রী। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইজিবাইকটি আটক করা যায়নি।’

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

মন্তব্য

ফলোআপ
A 48 hour transport strike has been called in Greater Chittagong from Sunday
চুয়েট শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদ

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু বলেন, ‘চার দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু শনিবার বলেন, ‘কয়েক দিনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে আমাদের তিনটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গাড়ি পোড়ানো ও সড়কে নৈরাজ্যের প্রতিবাদসহ চার দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল (রোববার) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সোমবার বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাসে আগুন দেয়া হয়।

বুধবার ওই বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন। যদিও জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সে সঙ্গে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মন্তব্য

ফলোআপ
Mango pulp is falling in flames

দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি

দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে নওগাঁয়। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়ার পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আশড়ন্ড গ্রামের আম চাষি রবিউল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছে না সুফল।

শুধু রবিউল নয়, নওগাঁর সব আম বাগানগুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা।

আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আম চাষিরা জানান, টানা দুই সপ্তাহ ধরে গরম ও তাপপ্রবাহে কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। তাই চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

এমন অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাড়তি যত্ন নিলে গুটি পড়া রোধ অনেকটাই সম্ভব।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর নওগাঁয় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার আশানুরূপভাবে আমের দেখা নেই। আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে রোদের তীব্রতায়।

চাষিরা জানান, খরা দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকলে গুটিও ঝরতে থাকবে।

বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহে পুড়ছে নওগাঁ। শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ উঠে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় জেলার বদলগাছী স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

আম চাষি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘১২ বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে আমার। এবার সব গাছে মুকুল কম এসেছিল। যেটুকু ছিল, তা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে তীব্র গরমে অধিকাংশ গাছের গুটি ঝরে গেছে। অনেক গাছ গুটিশূন্য হয়ে আছে। এতে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারণা করছি।’

পোরশা উপজেলার আম চাষি মোজাম্মেল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গাছে গুটি কম থাকায় হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। গত বছর প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার অনেক কম পাব। অধিকাংশ গুটি ঝরে গেছে। ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছি।’

নিয়ামতপুর উপজেলার আম চাষি বিজন ঘোষ বলেন, ‘এবার ১৫ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গুটি পড়া রোধে পানি, ওষুধ দেয়ার পরও তীব্র গরম আর রোদের কারণে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখি ঝড় হলে আম নষ্ট হতে পারে মারাত্মকভাবে।’

সাপাহার উপজেলার স্থানীয় বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, ‘এ এলাকা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকা। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ, কোনো বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

‘যে সব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সে সব বাগানগুলোতে সেচ দেয়া হচ্ছে। আর যে সব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই, সে সব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে।’

এমন অবস্থায় তিনি সরকারের কাছে বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তার দাবি জানান।

এ বিষয়ে নিয়ে কথা হলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে, তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে।

‘আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়ার পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত
আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ
কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির

মন্তব্য

ফলোআপ
A mother and two children died due to a broken electric wire

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল মা দুই সন্তানের

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল মা দুই সন্তানের বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারানো নারী ও তার দুই শিশু সন্তান। ছবি: নিউজবাংলা
পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশু সন্তানসহ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

প্রাণ হারানো তিনজন হলো উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ঢালমারা গ্রামের রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সনিয়া বেগম (২৫), তার ৯ বছর বয়সী ছেলে সালমান ও ১২ বছরের মেয়ে রেজবীনা।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মা ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পানির মধ্যে পড়ে রয়েছে। পাশে লেবু গাছ রয়েছে।

‘প্রথমে শিশু ছেলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। তাকে রক্ষা করতে মা ও বোন গিয়ে তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।’

ইউএনও জানান, ঘটনাস্থলে তিনিসহ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম রয়েছেন। তারা ঘটনার তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বের অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিয়ামতি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল হাওলাদারের স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, বাড়ির পাশে বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ডোবায় পড়ে ছিল। দুই ভাই-বোন লেবু ছিঁড়ে খেলছিল। ওই সময় লেবু ডোবায় পড়ে যায়। ওই লেবু আনতে ছেলে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তখন মেয়ের চিৎকারে মা এসে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তখন মাকে ধরে মেয়েও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

তার কীভাবে ছিঁড়ে পড়ে ছিল, তা কেউ জানাতে পারেনি জানিয়ে মমতাজ বেগম বলেন, ‘বিদ্যুতের লোকদের বলা হয়েছিল বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া তার যেকোনো সময় ছিঁড়ে পড়তে পারে, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।’

পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে বিষয়টি বলতে পারব না।’

আরও পড়ুন:
সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
এসির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
ববি ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই: ইনান
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছয়জনের মৃত্যু: পবিসের তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
ঈদের আগে-পরে ১৯ দিনের ছুটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে

মন্তব্য

ফলোআপ
2 killed in Mymensingh autorickshaw hit by bus

ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা। ছবি: নিউজবাংলা
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলার তারাকান্দা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর এলাকা পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।’

ময়মনসিংহ সদরে বাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

উপজেলার আলালপুর এলাকা শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদরের আলালপুর এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলার তারাকান্দা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর এলাকা পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।’

তিনি জানান, এ সময় আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি মাঈন উদ্দিন।

আরও পড়ুন:
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত

মন্তব্য

p
উপরে