× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফলোআপ
সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
google_news print-icon

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি

সেই-ফরিদকে-টাকা-ফেরত-চুপিচুপি
ইউএনওর নির্দেশে সুদে টাকা ধার করে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য হওয়া ফরিদ আহমেদকে টাকা তুলে দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির নেতা। ছবি: নিউজবাংলা
গত বৃহস্পতিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান করোনায় বিপাকে পড়া ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ। আর তাকে ১০০ জনকে ত্রাণ দিতে বাধ্য করেন ইউএনও। এ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে ত্রাণের পেছনে খরচ হওয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। এই টাকা দেয়া হয়েছে পঞ্চায়েত কমিটির নেতার হাত দিয়ে। তার দাবি, তিনি টাকা দিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে। তবে জেলা প্রশাসক বলেছেন এটি সরকারি টাকা।

নারায়ণগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে ত্রাণ দিতে বাধ্য হওয়া ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদকে তার খরচের ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।

তবে প্রশাসনের কেউ নয়, ফরিদকে টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে অন্য একজনের মাধ্যমে। তিনি দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে টাকা দিযেছেন।

যদিও জেলা প্রশাসক নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, সরকারি তহবিলের টাকা গেছে ফরিদ আহমেদের কাছে।

প্রশ্ন উঠেছে, টাকা প্রশাসন দিয়ে কেন এই লুকোচুরি কেন করছে।

সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার ফরিদ আহমেদ গত বৃহস্পতিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান।

ফোন পেয়ে ত্রাণ নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম। পরে তারা ভবন দেখে ইউএনওকে জানান।

তারা গিয়ে দেখেন ফরিদ আহমেদ চার তলা ভবনে থাকেন। জানতে পারেন, তার একটি গেঞ্জি কারখানা আছে।

এই তথ্য তারা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরাকে। তিনি ঘটনাস্থলে এসে ফরিদকে বলেন, ১০০ মানুষকে ত্রাণ দিতে হবে। শনিবার বিকেলে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি নিজেও থাকবেন।

শনিবার ত্রাণ বিতরণের আয়োজনে গিয়ে নিউজবাংলা জানতে পারে ফরিদ আহমেদের জীবনের কঠিন কাহিনি। তিনি যে বাড়িটিতে থাকেন, তার পুরোটার মালিকানা তার নয়। তার যে গেঞ্জি কারখানা আছে, সেটি ২০২০ সালে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর বন্ধ হয়ে গেছে।

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
করোনায় বিপাকে পড়া ফরিদ আহমেদ খাদ্য সহায়তা চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করার পর তাকে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য করায় তোলপাড় হয়

বিপাকে পড়া মানুষটি অন্য একটি কারখানায় কাটিং এর কাজ করতেন। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে সেটিও আর করতে পারেন না।

এর মধ্যে ইউএনওর আদেশে তিনি পড়েন দুশ্চিন্তায়। তাকে একজন বলেছেন, আদেশ না মানলে তিন মাসের কারাদণ্ড হবে।

পরে স্ত্রীর অলঙ্কার বন্ধক রেখে টাকা যোগাড় করেন ফরিদ। তৈরি করেন ত্রাণের ১০০ প্যাকেট। শনিবার ইউএনও ঘটনাস্থলে এসে সেগুলো বিতরণ করেন।

এর মধ্যে নিউজবাংলায় প্রকাশ হয় ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর-শিরোনামে সংবাদ। শুরু হয় সমালোচনা।

রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিউজবাংলাকে জানান, টাকা ফেরত দেয়া হবে ফরিদ আহমেদকে।

এরপর দিনভর ফরিদের বাসার আশেপাশে অবস্থান করেন নিউজবাংলার প্রতিনিধি। সকাল থেকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার বাসায় এসেছেন। কথা বলে গেছেন।

গোপনে দেয়া হলো টাকা

বিকেলে ফরিদকে ঘর হতে বের হতে দেখা যায়।

কোথায় যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সামনে যাই।’

কিছুক্ষণ পর বোরকা পরে তার স্ত্রী হিরন বেগম বের হন। আধা ঘণ্টা পরে তারা ফেরেন। এর আগে সকাল থেকে বেশ কয়েকবার নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বললেও তখন আর কিছু বলতে চাননি। দরজাও বন্ধ করে দেন।

কিছুক্ষণ পর বাসায় ডাকেন ফরিদ আহমেদ। বলেন, ‘আমারে টাকা দিছে, ৬০ হাজার।’

কে দিয়েছে- এমন প্রশ্নে বলেন, সাহিনুর ভাই টাকা দিছে।

টাকা দেয়ার সময় কি সই নিয়েছে?

ফরিদ বললেন, ‘হ’। পরে বলেন, ‘বাবা এখন যাও। যা হওয়ার হইছে আমি টাকা পাইছি।’

তার স্ত্রী হিরন বেগম বলেন, ‘আমগো ডাইকা নিয়া সাহিনুর ভাই টাকা দিছে। আমাগো আর কোনো কথা নাই।’

টাকার আনার সময় আপনাদেরকে কিছু বলা হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভুল আমাদের।’

কী ভুল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবা যান তো।’

পঞ্চায়ের কমিটির নেতার দাবি, টাকা দিয়েছেন তিনি

যিনি টাকা দিয়েছেন তার পুরো নাম সাহিনুর আলম। তিনি দেওভোগ নাগবাড়ি পঞ্চায়েত কমিটির উপদেষ্টা।

সাহিনুর আলম বলেন, ‘ফরিদ আহমেদের বাড়িটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা সব ভাইবোন মিলে থাকে। তিনি দুই বার স্ট্রোক করছেন। এই এলাকায় একটি হোসিয়ারি দোকানে কাটিং মাস্টার। ইউএনও সাহেব যখন আসছে তখন উনি উনার তথ্যটা সঠিক ভাবে বলতে পারে নাই। পরে উনারে ১০০ প্যাকেট ত্রাণ দিতে বলা হয়। কিন্তু উনি অসহায়। তাই টাকার ব্যবস্থা করতে স্বর্ণ বন্ধক রাখছে। এ হইলো অবস্থা।’

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
ফরিদ আহমেদের হাতে টাকা তুলে দেন দেওভোগ নাগবাড়ি পঞ্চায়েত কমিটির উপদেষ্টা সাহিনুর আলম

আপনার হাত দিয়ে কেন টাকা দেয়া হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমারে প্রশাসন থেকে ফোন করছে। বলছে বলেন এটার যখন যা হয়ে গেছে গা, আপনি একটা ব্যবস্থা করেন। তাই আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ফরিদ আহমদ ও তার স্ত্রীর হাতে ৬০ হাজার টাকা দিছি।’

প্রশাসন থেকে টাকা দিতে বলা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, প্রশাসন থেকে বলে নাই। আমি আমার ব্যক্তিগত টাকা দিছি।’

ডিসি বললেন সরকারি তহবিলের টাকা

তবে সাহিনুরের বক্তব্যের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কথার মিল নেই।

জেলা প্রশাসন মোস্তাইন বিল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (আরিফা জহুরা) আমাকে জানিয়েছেন ফরিদ আহমদকে টাকা দেয়া হয়েছে।’

এই টাকা কে দিয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উনি (ইউএনও) আমাকে জানিয়ে অফিস ফান্ড থেকে টাকা দেয়া হয়েছে। বিস্তারিত ইউএনও বলতে পারবেন।’

তবে দিনভর ফোন ধরছেন না ইউএনও।

নিজেকে আড়াল করেছেন ইউএনও

ইউএনও আরিফা জহুরা সকাল থেকেই ফোন ধরছেন না। ১৯ বার কল করার পর তিনি না ধরায় সদর উপজেলা ভবনে তার কার্যালয়ে যান নিউজবাংলার প্রতিনিধি। কিন্তু তার কক্ষে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।

আরিফা বসেন ভবনের দোতলার একটি কক্ষে। নিচতলা দিয়ে ঢুকতে গেলেই বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মী। বলেন, ‘অনুমতি লাগবে ভেতরে যেতে।’

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
ফরিদ আহমেদকে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য করা ইউএনও আরিফা জহুরা ঘটনার পর দিন দেখা দেননি, ফোনও ধরেননি

এই অনুমতি দেবেন ইউএনও নিজে। কিন্তু তিনি ফোন ধরছেন না, এই বিষয়টি জানালে নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘ফোন ধরলে আইসেন।’

তবে এ ঘটনার আগে ইউএনও ফোন ধরেছিলেন, তার কক্ষে গিয়ে সাংবাদিকরা বক্তব্যও নিয়ে এসেছেন। এমনকি ফরিদের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে আসার পর শনিবার সন্ধ্যায়ও সাংবাদিকরা তার কক্ষে ঢুকেছেন অবাধে। তিনি কথা বলেছেন হাসিমুখেই।

যে প্রশ্ন নাগরিক কমিটির নেতার

নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল করের টাকায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন বলছে ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু আমাদের দাবি হলো ইউএনও ভুল করেছেন। এর মাশুল কেন সরকার দেবে?

‘কারণ, সরকারের টাকা জনগণের। যিনি ভুল করেছেন তিনিই টাকা দেবেন। একই সঙ্গে আমরা দাবি জানাই, ফরিদ আহমেদকে ত্রাণ সহায়তা করা হোক।’

এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাদের সাহায্য করা হয়েছে তারাও ওই এলাকার অসহায় মানুষই। তারা এমনিতেও সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। তাই সরকারি অনুদান টাকা থেকেই দেয়া হবে।’

তদন্ত কমিটি

ফরিদ আহমেদকে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামিম ব্যাপারীকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিকে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুস্তাইন বিল্লাহ।

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
সকাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা নানা সময় ফরিদ আহমেদের বাসায় এসে তার সঙ্গে কথা বলেছেন

তিনি বলেন, ‘তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে।’

ঘটনার শুরু যেভাবে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় বাসা ফরিদ আহমেদের।

বৃহস্পতিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান তিনি। খাবার নিয়ে আসেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম। পরে তারা ভবন দেখে ফোন দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা আসেন ঘটনাস্থলে। দেন শাস্তির ঘোষণা।

ইউএনও জানান, সরকার প্রতি প্যাকেটে যে পরিমাণ খাবার দেয় দুস্থদের, সেই পরিমাণ খাবারসহ ১০০ প্যাকেট করে বিতরণ করতে হবে।

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
ইউএনও আরিফা জহুরা বৃহস্পতিবার ফরিদের বাসায় গিয়ে তাকে ত্রাণ বিতরণের আদেশ দেন। কিন্তু তিনি তার জীবনের কাহিনি জানতে না পারার দাবি করেছেন

নির্দেশমতো শনিবার বিকেলে ফরিদ আহমেদ সেই খাবার বিতরণও করেন। আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও স্বয়ং।

ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরিদের জীবনের কাহিনি জেনেছে নিউজবাংলা। কিন্তু জানেননি ইউএনও।

ফরিদ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাগো বাড়ি আছে। কিন্তু এই বাড়ি ছয় ভাই ও এক বোনের। আমাগো সবার আংশিক ভাগ আছে। এর মধ্যে আমি নিচ তলায় থাকি। আমার ১৬ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলে আছে। মেয়ে মহিলা কলেজে পড়ে। তাদের নিয়া আমার সংসারে অনেক টানাটানি।’

৩৩৩ নম্বরে কেন ফোন

ইউএনও আরিফা জহুরা দাবি করেছেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে আসলেই খাবার পাওয়া যায় কি না, সেটি যাচাই করতেই ফোন করেছিলেন ফরিদ।

তবে ফরিদ বলেন উল্টো কথা।

তিনি বলেন, ‘প্রতি ঘণ্টা আমি এফএম রেডিও শুনি। সেখানে শুনছি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাবার আসে। এ জন্য ফোন করছি কিন্তু জানতাম না এটা নিম্ন আয়ের মানুষের। আমিও তো পেটের দায়ে অভাবে পইড়াই ফোন করছি।

সেই ফরিদকে টাকা ফেরত চুপিচুপি
ফরিদ আহমেদ ত্রাণ বিতরণের দিনই নিউজবাংলাকে খুলে বলেছেন তার বিপাকে পড়ার কাহিনি

‘আমার খাদ্য প্রয়োজন ছিল বলেই ফোন করছি। সেখান থেকে তারা বলছে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হইল। পরে তারা ফোন করে নাম, ঠিকানাসহ আমার ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞাসা করছে, আমি সব বলছি। এরপর তারা আইসা খাদ্য না দিয়া বরং আমারে ফাইন করে দিয়ে গেছে।’

জরিমানার আদেশের বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘কাশিপুর ইউনিয়নে পরিষদের (ইউপি) সদস্য আইয়ুব আলী আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, আপনি এই খাদ্য পাওয়ার উপযুক্ত নন। এই কথা বলে আমাকে নানাভাবে ধমকাতে থাকেন।

‘পরে আমি ভুলও স্বীকার করেছি। তার কিছুক্ষণ পর ইউএনও স্যার আসেন এবং আমাকে ডেকে নিয়ে নানা প্রশ্ন করার পর ১০০ মানুষকে খাদ্য সহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেন। ইউএনও স্যার চলে যাওয়ার পর ইউপি সদস্যসহ অনেক খাদ্য সহায়তা করা না হলে তিন মাসের সাজা হবে বলে জানানো হয়।’

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বিকেলে সাড়ে ৫ টার দিকে ৬০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয় ফরিদ আহমেদকে।

আরও পড়ুন:
ভুল ইউএনওর, দায় মেটাচ্ছে রাষ্ট্রীয় তহবিল
ত্রাণ বিতরণে সেই ব্যবসায়ীকে বাধ্য করার ঘটনা তদন্তে কমিটি
ইউএনওর ভুলে ত্রাণ: টাকা ফেরত পাচ্ছেন সেই ব্যবসায়ী
ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর
ত্রাণ চেয়ে পোশাক কারখানা মালিকের ফোন যে কারণে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফলোআপ
Monday to submit an investigation report against Sheikh Hasina

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

* জুলাই-আগস্টের গণহত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী সোমবার (১২ মে) তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ‘ফরমাল চার্জ’ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

মন্তব্য

ফলোআপ
A League adviser about banning A League and going abroad to the former president

আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য

আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় এলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে।’

শুক্রবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর। যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্নআদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া না।’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব এটা কিভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এনিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।’

তিনি বলেন, সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায় দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না।’ আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ।’

মন্তব্য

ফলোআপ
This country is not a person or party Tareq Rahman

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশ জনগণের। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট যেভাবে হাসিনা পালিয়ে গেছেন সেভাবেই পালিয়ে গেছেন আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কিছুই জানে না! তাহলে তারা জানেন কী? তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জণগণের।

ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

মন্তব্য

ফলোআপ
Selected new pope Robert Provost

নির্বাচিত নতুন পোপ, রবার্ট প্রভোস্ট

নির্বাচিত নতুন পোপ, রবার্ট প্রভোস্ট আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রভোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

রোমান ক্যাথলিক গির্জার নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রভোস্ট। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ভ্যাটিকানের কনক্লেভে কার্ডিনালদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন তিনি।

নিজের ক্যারিয়ারে পেরুতে ধর্মপ্রচার করে বেড়িয়েছেন রবার্ট প্রভোস্ট। এছাড়া ভ্যাটিকানের প্রভাবশালী বিশপস অফিসেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ক্যাথলিক গির্জার দুই হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মার্কিন নাগরিক পোপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

৬৯ বছর বয়সী এই পোপ নতুন নাম নিয়েছেন লিও চতুর্দশ।

এরআগে ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলের চিমন দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হওয়ায় সবাই জেনেছেন যে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন পোপকে স্বাগত জানাতে ভ্যাটিকান সিটিতে বিপুল মানুষের ভিড় জমেছে।

পোপ হওয়ার যোগ্য ১৩৩ কার্ডিনালকে নিয়ে গঠিত কলেজ অব কার্ডিনালস। কোনো ধরনের মনোযোগ নষ্ট হওয়া ছাড়াই যাতে প্রার্থনা ও ধ্যান করতে পারেন, পাশাপাশি পোপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সে কারণে ভ্যাটিকানের ভেতরে কার্ডিনালদের আলাদা করে রাখা হয়েছে।

নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। ভোট হওয়ার পর একটি বিশেষ স্টোভে ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কালো ধোঁয়া বের হওয়ার অর্থ হচ্ছে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আসেনি, অর্থা পোপ নির্বাচিত হননি। আর সাদা ধোঁয়া বের হলে বুঝতে হবে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।

পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রার্থী নেই। তবে বেশ কয়েকজন কার্ডিনাল আছেন, যারা পোপ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

আধুনিক সময়ে প্রথম দিনেই পোপ নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। তবে দ্বিতীয় দিনে নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকে বেশি। ২০১৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস এবং ২০০৫ সালে পোপ বেনেডিক্ট দ্বিতীয় দিনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্বাচনে এবার অংশ নিয়েছেন ৭০ দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এটি পোপ ফ্রান্সিসের অধীনে গির্জার বৈশ্বিক বিস্তারের ইঙ্গিত বহন করে।

মন্তব্য

ফলোআপ
Location Shahbag is demanding the ban on the Awami League

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে লোকে লোকারণ্য শাহবাগ

বিএনপির অপেক্ষায় সারজিস
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে লোকে লোকারণ্য শাহবাগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্লাটফর্মের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার পৌনে পাঁচটায় শুরু হওয়া এই অবরোধ এখনো চলছে। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে শাহবাগ এরিয়া। সবার মুখে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি।

এই অবরোধে যোগ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াত ইসলাম, ছাত্র শিবির, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, সদ্য আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্যসহ বিভিন্ন সংগঠন।

তবে এর মধ্যেও কিছুটা শূন্যতা অনুভব করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সেই শূন্যতা বিএনপির। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠন ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে।

তিনি লিখেন, বিএনপি আসলে জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়। আজকের এই শাহবাগ ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির মানদণ্ড।

এর আগে গতকাল রাত দশটায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তার সাথে সংহতি জানিয়ে সেখানে বিএনপি এবং বামপন্থী সংগঠন ছাড়া সেখানে প্রায় সব দল ও সংগঠন উপস্থিত হয়ে সংহতি জানায়।

এরপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে মিন্টু রোড়ের ফোয়ারার সামনে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হলে বেলা বারোটার দিকে যমুনার সামনে থেকে সবাই মঞ্চের সামনে চলে আসেন। জুমার নামাজের পর সেখানেই জমায়েত শুরু হয়। মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনেতিক দল বক্তব্য প্রদান করেন। সাড়ে চারটার দিকে সর্বশেষ বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন শেখ হাসিনা মোদির বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। দেশের হিস্যা জনগণের হাতে তুলে দিতে চাই আমরা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি ভাইরাস নিয়ে আমরা এক মিনিটও বেঁচে থাকতে চাই না। আমাদের একজনেরও যদি শেষ রক্তবিন্দু থাকে তারপরও আমরা এটির জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে যদি এক বছরও লাগে আমরা এই স্থান ছাড়বো না। বাংলাদেশ উইথ আউট আওয়ামী লীগ যেদিন হবে সেদিনই বাংলাদেশের সম্মৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা শুরু হবে।

এরপর তিনি শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কর্ণকুহরে আমাদের দাবি পৌঁছছে না। আমরা এখন শাহবাগ অবরোধ করবো। এরপর সেখানেই চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।

হাসনাতের এই ঘোষণার পর মিন্টু রোড়ের সামনে থেকে শাহবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা পৌনে পাঁচটায় শুরু হওয়া এই অবরোধ ছয়টায় এই প্রতিবেদন লেখা অবস্থায় চলছে। এতে আশেপাশের সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ ভিন্ন রাস্তায় এসব যানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য

ফলোআপ
Emergency Declaration of Airplane Bangladesh Airlines flight

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা ছবি: সংগৃহীত

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাকিস্তানের আকাশসীমা পরিহার করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় বিমানের টরেন্টো, রোম এবং লন্ডনগামী ফ্লাইট সমূহের সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর টরেন্টো, লন্ডন এবং রোম ফ্লাইট সমূহের ফ্লাইটের পরিবর্তিত সময়সূচি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট বিজি ৩০৫ বা ৩০৬ ঢাকা থেকে প্রস্থান ৩ টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ৩ টা (৪৫ মিনিট অগ্রগামী করা হয়েছে)। তবে টরেন্টো থেকে প্রস্থান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

ঢাকা লন্ডন ফ্লাইট বিজি ২০১ বা ২০২ ঢাকা থেকে প্রস্থান ৭ টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ৭ টা (৪০ মিনিট অগ্রগামী করা হয়েছে) এবং লন্ডন থেকে প্রস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুধু বৃহস্পতিবারের জন্য ঢাকা-লন্ডন, ঢাকা থেকে প্রস্থান ৮ টা ৫০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ টা ১০ মিনিটে (৪০ মিনিট অগ্রগামী করা হয়েছে)।

এদিকে ঢাকা-রোম ফ্লাইট বিজি ৩৫৫ বা ৩৫৬ ঢাকা থেকে প্রস্থান ১১ টা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ টা ৪৫ মিনিট এবং রোম থেকে প্রস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

যাত্রীদের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত সময় অনুসারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর চেক-ইন কাউন্টারে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। যাত্রীদের এই সাময়িক অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

মন্তব্য

ফলোআপ
The special magistracy capacity of the armed forces increased by two more months

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবি-তে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

সমগ্র বাংলাদেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর পর থেকে এই মেয়াদ দুই মাস করে বাড়াচ্ছে সরকার।

মন্তব্য

p
উপরে