× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফলোআপ
জাবি শিক্ষার্থী গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ছাত্রলীগ
google_news print-icon

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’

জাবি-শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর-সংঘাতের-নেপথ্যে-ছাত্রলীগ
জাবি ছাত্রলীগ নেতা অ্যালেক্স (বাঁয়ে) ও অভিষেক। ছবি: নিউজবাংলা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের গেরুয়া গ্রামে টানা দুই দিন অনুসন্ধান চালিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের আশপাশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে ইন্ধন দিয়েছে। ঘটনার দিন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজকদের এক জনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গেরুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীদের সংঘাতের পর এখনও উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। সেই রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। অভিযোগ উঠেছে, গ্রামের মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করা হয়।

শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মুখোমুখি অবস্থানের কারণ হিসেবে সামনে এসেছে কয়েক দিন আগে আয়োজিত একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বলা হচ্ছে, ওই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বিরোধের শুরু, যা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সহিংসতায়।

তবে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের আশপাশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে ইন্ধন দিয়েছে। ঘটনার দিন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজকদের এক জনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের গেরুয়া গ্রামে টানা দুই দিন অনুসন্ধান চালিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, সংঘর্ষের দুই দিন আগে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বিরোধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে জানানো হয়েছিল। পুলিশও জানত বিষয়টি। দুই পক্ষের সমঝোতার জন্য কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়।

ঘটনা নিয়ে যা বলছেন গ্রামবাসী

গেরুয়া বাজারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক এলাকায় এখনও রয়েছে পুলিশের কড়া পাহারা, থমথমে পুরো এলাকা।

গ্রামবাসী জানান, কিছুদিন আগে স্থানীয় বাতিঘর ক্লাব আয়োজন করে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেখানে আশপাশের গ্রামের তরুণেরা আলাদা আলাদা টিম করে অংশ নেন। গেরুয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন, ওই টুর্নামেন্টে গেরুয়া গ্রামের জাবি শিক্ষার্থীদেরও দুটি টিম ছিল।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
গেরুয়া বাজারের সব দোকান এখনও বন্ধ, রয়েছে পুলিশের পাহারা

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা অ্যালেক্সের (পিয়াস ইজারাদার) দলের প্রতিপক্ষ ছিল পাশের জামসিং গ্রামের একটি দল। ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী অ্যালেক্স বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

ক্রিকেট খেলার সময় স্লেজিং করাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় দুই টিমের খেলোয়াড়দের। একপর্যায়ে জামসিং দলের খেলোয়াড়দের হাতে মার খান অ্যালেক্স ও আরেক ছাত্র।

এ ঘটনার পর অ্যালেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জাবি ছাত্রলীগের (মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি) সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক মণ্ডলের (৪১তম আবর্তন) নেতৃত্বে অন্তত ৪০ জন ছাত্রকে নিয়ে ফিরে আসেন গেরুয়া গ্রামে। টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটি জামসিং গ্রামের তরুণদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, এমন অভিযোগ তুলে বাতিঘর ক্লাবে ভাঙচুর চালান তারা। এছাড়া পুরো বাজারের সব দোকান বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
ক্রিকেট খেলায় বিরোধের জেরে ভাঙচুর করা হয় গেরুয়ার বাতিঘর ক্লাব

ওই সময়ের বাজার এলাকার একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে দেখা যায় ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটের দিকে বেশ কিছু যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে ব্যবসায়ীদের কিছু বলার পর তারা সবাই দোকানের শাটার নামিয়ে দিচ্ছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আট দিন পর গত শুক্রবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির এক সদস্য নজরুল ইসলাম কাজুকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। গেরুয়া বাজারের যে বাসায় ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক ও অ্যালেক্সরা থাকেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় কাজুকে।

এরপর কাজুকে উদ্ধার করতে ওই বাসা ঘিরে ফেলেন গ্রামের বেশ কয়েকজন। অভিষেক ও আরও কয়েকজন এ সময় কৌশলে পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসীর বেধড়ক পিটুনির শিকার হন অ্যালেক্স, জুবায়েরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১২ জন ছাত্র। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের চারটিসহ মোট পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময়েই এলাকার চারটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় ‘গ্রামে ডাকাত ঢুকেছে’। শুরু হয় গ্রামবাসী-ছাত্রদের সংঘর্ষ।

যাকে ‘তুলে আনা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত বড় সংঘর্ষ, ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির সেই সদস্য ও স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কাজুর সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

কাজু বলেন, ‘১১ তারিখের ঝামেলার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে দোষারোপ করেন। তারা বলেন আমার জন্য নাকি সেদিন জামসিংয়ের ছেলেরা পালিয়ে যেতে পেরেছেন। তারা (ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী) আমাদের ক্লাবের সদস্যদের চাপ দিতে থাকেন তাদের ধরে এনে দেবার জন্য। তারা মেরে প্রতিশোধ নেবেন।’

কাজু বলেন, ‘আমরা তো সেদিন মারামারি ঠেকাতে গিয়েছিলাম, সেখানে আমাদের কী দোষ? রাতে আমাদের বাসায় এসে মারার হুমকি দেয়। বিষয়টা এলাকার মুরব্বিদের জানালে তাদের পরামর্শে আমরা ক্লাবের ছয় জন সদস্য কয়েক দিন গ্রামের বাইরে ছিলাম। তখন তারা আমাদের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে। এরপর ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও অন্য মুরব্বিরা ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে বসে মীমাংসার চেষ্ট করেন, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।’

নজরুল ইসলাম কাজু অভিযোগ করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) তার বন্ধু মারুফকে ডেকে নিয়ে যান অ্যালেক্স। এরপর মারুফকে প্রস্তাব দেয়া হয়, দুই লাখ টাকা দিলে ঝামেলা মিটমাট করা হবে।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
এই মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে বিরোধের শুরু

বিরোধ মীমাংসায় যুক্ত হন অনেকে

ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে কাজু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারুফের কাছ থেকে শোনার পর টাকা চাওয়ার বিষয়টা আমরা মনিরুল ইসলাম (ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) ও স্থানীয় মেম্বার হাসান সরদারকে জানাই। তারা আমাদের সংসদ সদস্য ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের কাছে নিয়ে যান। টাকা চাওয়াসহ পুরো বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদকেও বিষয়টি অবহিত করা হয় বলে দাবি করেন কাজু।

এর পরের ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চারটি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগের আট জন আমার বাসায় এসে বলে আমার সাথে কথা আছে, তাদের সাথে যেতে হবে। তাদের মধ্যে রমিম, মুরাদ, রিফাত, শুভ আমার পূর্ব পরিচিত। আমি আমার মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের সাথে যাই। তারা আমাকে অভিষেকের রুমে দিয়ে আসে।’

কাজু বলেন, ‘সেখানে অ্যালেক্স আর অভিষেক ছিল। অভিষেক একটি পিস্তল আর চাপাতি দেখিয়ে আমাকে বলে দুই লাখ টাকা দে, নইলে জানে মেরে ফেলব। এই বলেই আমাকে চড় থাপ্পর মারতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরেই গ্রামবাসী তাদের ঘিরে ফেলে মারধর করে।’

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলা নজরুল ইসলাম কাজু

কাজুর বন্ধু মারুফের সঙ্গেও কথা বলেছে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অ্যালেক্স আমাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করতে বলে। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ রফিক-জব্বার হলের সামনে তার সাথে দেখা করি। সে আমাকে প্রস্তাব দেয় ৫০ হাজার টাকা দিলে শুধু আমার বিষয়টা মিউচ্যুয়াল করবে। তবে কমিটির সবার সাথে মিউচ্যুয়াল করতে হলে ওই দিন বিকেল ৫টার মধ্যে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। তারপর আমি এসে গ্রামের সবাইকে বিষয়টা জানাই।’

চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা জানতে ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, গেরুয়ার স্থানীয় মেম্বর হাসান সরদার ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

মনিরুল ও হাসান স্বীকার করেন, জাবি ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদা দাবির বিষয়টি মারুফ ও কাজু তাদের জানিয়েছিলেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের পরামর্শে তারা থানায় গেলেও লিখিত কোনো অভিযোগ না করে চার জনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা (মারুফ ও কাজু) ১৭ তারিখ এসে ক্রিকেট খেলা নিয়ে ঝামেলা আর জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রদের হুমকির বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তবে তখন চাঁদার বিষয়টি বলেননি। ১৯ তারিখ সন্ধ্যার আগে একজন ফোন করে আমাকে জানান তাকে আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে, সেই নিয়ে গণ্ডগোল চলছে।’

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
গেরুয়ার এই বাসায় অ্যালেক্স-অভিষেকদের অবরুদ্ধ করে গ্রামবাসী

প্রতিমন্ত্রীর দাবি, আগে কিছুই জানতেন না

গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন পক্ষ গেরুয়ার বিরোধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে আগেই জানানোর দাবি করলেও প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সংঘর্ষের পর বিষয়টি তিনি প্রথম জেনেছেন।

রোববার নিউজবাংলাকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে আমি গ্রামের প্রতিনিধিদের কাছে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাই। তারা আমাকে জানান, ক্রিকেট খেলা নিয়ে ছাত্র আর গ্রামাবাসীর মধ্যে গণ্ডগোল বেধেছে। ছাত্ররা গ্রামের এক ছেলেকে তুলে এনে মেরেছে, তাই তারা পাল্টা হামলা করে ওই ছেলেকে উদ্ধার করে। এর আগে আমি কিছুই জানতাম না। কোনো অভিযোগ নিয়ে গ্রামবাসী বা তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমার কাছে আসেনি।’

প্রতিমন্ত্রী আগে থেকে বিষয়টি জানার তথ্য অস্বীকার করায় রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও গেরুয়ার মেম্বর হাসান সরদারের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করে নিউজবাংলা।

এ সময় মনিরুল বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমি যাইনি, তবে হাসান মেম্বর ও গ্রামের লোকেরা গিয়েছিলেন।’

প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নাকচ করেছেন জানানোর পর মনিরুল বলেন, ‘মন্ত্রী সাহেব যদি বলে থাকেন যে কেউ যায় নাই, তাহলে সেইটাই সঠিক। আপনারা সেটাই লিখে দেন, তবে আমি যতদূর জানি তারা (গ্রামবাসী) মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে গত বুধবার দেখা করেছেন।’

অন্যদিকে মেম্বর হাসান সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন মনিরও আমাদের সাথে গিয়েছিল। সে এখন অস্বীকার করে কীভাবে! আমরা তো তার মাধ্যমেই মন্ত্রী সাহেবের সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করলাম।’

হাসান বলেন, ‘আমরা বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রীর সাভারের বাসায় যাই। তখন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও চার-পাঁচ জনসহ মনির আসে। এরপর বিকেল ৩টায় মন্ত্রীর সাথে আমাদের কথা হয়। আমরা তাকে সব খুলে বলে এলাম। মন্ত্রী সাহেব কেন অস্বীকার করছেন জানি না।’

বিরোধের বিষয়ে জানত বিশ্ববিদ্যালয়ও

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে গণ্ডগোলের পরপরই আমি ঘটনাটা শুনেছিলাম। তখন আমি সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, সে যেন মিজানুর রহমান মিজানকে (বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি) সাথে নিয়ে বিষয়টা সমাধান করে দেয়। পরে অবশ্য কোনো আপডেট পাইনি।

২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেন প্রক্টর।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের ফোন পাওয়ার পর আমি কয়েকবার অভিষেক-অ্যালেক্সদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবি ছিল, খেলার সময় জামসিং গ্রামের যে ছেলেরা মেরেছিল তাদের সামনে এনে দিতে হবে। ওই ছেলেদের আনতে পারি নাই, তাই সমাধানও হয় নাই।’

অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা কয়েকবার অভিষেকদের কাছে অনুরোধ করেছি বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য, কিন্তু তারা বলেছিল, বিষয়টা তারা পার্সোনালি নিয়েছে।’

একই ধরনের তথ্য দিয়ে গেরুয়ার মেম্বার হাসান সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি অ্যালেক্সকে ফোন দিয়ে মীমাংসা করতে বলায় সে আমাকে বলেছিল, আপনারা মুরব্বিরা এটা থেকে দূরে থাকেন। এটা আমরা বুঝব।’

অ্যালেক্স-অভিষেক যা বলছেন

মারুফের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা অ্যালেক্স। তবে তার দাবি, মারুফ তার এক বন্ধুর বন্ধু হওয়ায় মারুফের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দিতে ডাকা হয়েছিল।

অ্যালেক্স নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বারবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে বসতে পারছিলাম না। সমঝোতার জন্য কোনো ধরনের টাকার কথা হয়নি।’

১১ ফেব্রুয়ারি গেরুয়ায় ক্লাব ঘরে ভাঙচুর ও বাজারের দোকান বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যালেক্স বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ছেলেরা মার খেয়েছে, সেই উত্তেজনা থেকে ভাঙচুর হয়েছে। সেই একই উত্তেজনা থেকে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হলেও আধ ঘণ্টা পর সেগুলো আমরা খুলে দেই।

কাজুকে তুলে এনে অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যালেক্স বলেন, ‘তাকে তো তুলে আনা হয়নি, সে ক্যাম্পাসের হলে ইন্টারনেট ব্যবসা করে। তার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক। আমাদের সাথে মীমাংসার জন্য তার পরিচিত ক্যাম্পাসের ছাত্ররাই আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল। পরে আমরাই বরং অবাক হয়েছি কাজুকে আনার সাথে সাথেই অন্তত ৫০ জন লোক এসে আমাদের মারা শুরু করল। তুলে এনে জিম্মি করা হলে আমরা তাকে নিয়ে তাদের গ্রামে কেন রাখব, আমরা তো তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতাম।’

একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক। তিনি বলেন, ‘এমন কিছুই ঘটেনি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ করতেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
গেরুয়ায় অ্যালেক্স-অভিষেকদের অবরুদ্ধ করার সময়ে ভাঙচুর করা মোটর সাইকেল

কাজুকে উদ্ধারের সময় গ্রামবাসী সহিংস কেন

গ্রামের একাধিক বাসিন্দা নিউজবাংলাকে বলেছেন, তারা আন্দাজ করতে পারছিলেন ছাত্রলীগের ছেলেরা খেলার সময় মার খাওয়ার প্রতিশোধ নেবে। এর আগে ২০০৭ সালে বিরোধের জেরে কাশেম নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ছাত্ররা। বেদম পিটানোর পর তিনি মারা যান। সেই মামলার এখনও বিচার হয়নি।

কাজুরও একই পরিণতি হতে পারে, এমন শঙ্কা ছিল গ্রামবাসীর।

এছাড়া, কথায় কথায় বাজার বন্ধ করে দেয়া, গ্রামের যেকোনো বিষয়ে ক্ষমতা দেখানো, স্থানীয়দের মারধর করাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের একটি অংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, তার তিনতলা বাড়ি নির্মাণের সময় গত বছর ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ নেতারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

কারা চাঁদা নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো ভবন মালিকই এদের নাম জানাতে চান না। আপনারা পারলে খুঁজে নেন।’

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সম্পর্ক কেমন

ক্যাম্পাস ঘেঁষা গেরুয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী থাকছেন। গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতেই ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাবেক শিক্ষার্থীও আছেন এই গ্রামে।

সংঘর্ষের পরেও গেরুয়া গ্রামে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, গ্রামবাসীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আন্তরিক।

গ্রাম ছাড়েননি এমন একাধিক ছাত্র নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনার সময় তারা নিরাপত্তার জন্য নিজ থেকেই ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন। এমনকি কোনো কোনো বাড়ির মালিক সে সময় ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রেখেছেন।

গ্রামবাসীও বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কোনো ঝামেলা নেই। ছাত্রদের খুব সামান্য একটি অংশ প্রভাব বিস্তার করতে গ্রামে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করছে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ক্যাম্পাস ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা নিউজবাংলাকে জানান, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাবি ছাত্রলীগ ও ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে সব সময় স্নায়ুযুদ্ধ চলে। ক্যাম্পাস ঘেঁষা ও জাবি ছাত্রলীগের কারণে গেরুয়ার মতো গ্রামে জেলা ছাত্রলীগ প্রভাব রাখতে পারছে না।

ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে উসকে দিতে চেষ্টা করেন জেলা ছাত্রলীগ নেতারা, অন্যদিকে জেলার অনুসারীদের দমিয়ে রাখতে বাড়তি তৎপরতা দেখায় ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন: মসজিদে ঘোষণা দিয়ে জাবি ছাত্রদের ওপর হামলা

আরও পড়ুন:
ওভাবে কথাটি বলিনি: জাবি প্রক্টর
মসজিদে ঘোষণা দিয়ে হামলা, গেরুয়া ছাড়া জাবি ছাত্ররা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফলোআপ
"National Board of Revenue publishes Authentic English Text of Income Tax Act 2023 in the form of official gazette notification"

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

মন্তব্য

ফলোআপ
With the introduction of cashless non stop electronic toll collection ETC at Padma Bridge toll payment has become fast and digital Bridge Secretary

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।


বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।


এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।

১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।


ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।


এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মন্তব্য

ফলোআপ
The local government department gave historical recognition by distributing a check of Tk

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

মন্তব্য

ফলোআপ
July Charter Milestone in Bangladeshs Political Shift EU

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার । ফাইল ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।

অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

ফলোআপ
Agriculture and Home Advisor has joined the World Food Forum

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব খাদ্য ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি উইং) ড. মো. মাহমুদুর রহমান।

উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফোরামে দেশের কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সদস্য দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবে। সফরকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা ইতালির ইন্টেরিয়র মিনিস্টার এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতালির রোমস্থ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ ফোরাম ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

ফলোআপ
The National Board of Revenue has extensively expanded the customs and VAT administration to increase tax nets

কর জাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

কর জাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করে মোট ১২ টি নতুন কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক গতকাল একটি সরকারি আদেশ জারী করা হয়েছে। কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগ দু’টির বিদ্যমান কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস এবং বিশেষায়িত ইউনিটসমূহে জনবল বৃদ্ধি এবং নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস এবং বিশেষায়িত ইউনিটসমূহে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩,২২৪ টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ৩,৫৯৭টি পদ নতুনভাবে সৃজন করা হয়েছে।

কর জাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি পরোক্ষ কর ব্যাবস্থাকে অধিকতর গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং মন্ত্রি পরিষদ বিভাগসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রশাসনিক অনুমোদন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক উক্ত আদেশ জারী করা হয়। উক্ত আদেশ অনুযায়ী ৩ পর্যায়ে ৫টি নতুন মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস এবং ৩ টি বিশেষায়িত দপ্তর সৃজন করা হলো।

নতুন ১২ টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন ছাড়াও উক্ত সরকারি আদেশের মাধ্যমে বিদ্যমান কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিটসমূহের সম্প্রসারণ, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাস্টমস কার্যক্রম এবং কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।

কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের ফলে পরোক্ষ কর আহরণ কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি পাবে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

মন্তব্য

ফলোআপ
Madrasa students have to come forward to fulfill the dream of the future Religious Advisor

আগামীর স্বপ্নপূরণে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

আগামীর স্বপ্নপূরণে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আগামীর স্বপ্নপূরণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রস্তুতি লাগবে।
তিনি বলেন, যোগ্য হয়েই সুযোগ্য স্থানে অধিষ্ঠিত হতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র সংসদের আয়োজনে ১ম এমডিসি জাতীয় স্কুল, কলেজ ও আন্তঃমাদ্রাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমাদেরকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা একটি স্থানে আসতে পেরেছি। এখানেই শেষ নয়, আরো বহুদূর যেতে হবে। এই পথ পাড়ি দিতে কোনো বাঁধা আসলে আমাদেরকে থেমে গেলে চলবে না। সকল বাঁধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, সকল ভেদাভেদ ও মতপার্থক্য ভুলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে সুযোগ এসেছে সেটাকে পরিপূর্ণ কাজে লাগাতে হবে। এ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আমাদেরকে বহুবছর সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তিনি সকলকে কালেমা তায়্যেবার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান।
পরে উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী দলের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, তিন মাসব্যাপী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ক্যাটাগরিতে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৫৪টি প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
স্কুল ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুগদা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রানারআপ হয়েছে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
কলেজ ও উন্মুক্ত ক্যাটাগরিতে নটর ডেম কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং মনিপুর স্কুল ও কলেজ রানারআপ হয়েছে।
মাদ্রাসা ক্যাটাগরিতে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা চ্যাম্পিয়ন এবং বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. শামসুল আলম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়া, আল ফাতাহ পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সাঈদ, ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি আবু সাদিক কায়েম, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুন্নবী মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

p
উপরে