× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফলোআপ
জাবি শিক্ষার্থী গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ছাত্রলীগ
google_news print-icon

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’

জাবি-শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর-সংঘাতের-নেপথ্যে-ছাত্রলীগ
জাবি ছাত্রলীগ নেতা অ্যালেক্স (বাঁয়ে) ও অভিষেক। ছবি: নিউজবাংলা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের গেরুয়া গ্রামে টানা দুই দিন অনুসন্ধান চালিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের আশপাশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে ইন্ধন দিয়েছে। ঘটনার দিন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজকদের এক জনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গেরুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীদের সংঘাতের পর এখনও উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। সেই রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। অভিযোগ উঠেছে, গ্রামের মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করা হয়।

শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মুখোমুখি অবস্থানের কারণ হিসেবে সামনে এসেছে কয়েক দিন আগে আয়োজিত একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বলা হচ্ছে, ওই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বিরোধের শুরু, যা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সহিংসতায়।

তবে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের আশপাশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশের আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে ইন্ধন দিয়েছে। ঘটনার দিন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজকদের এক জনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের গেরুয়া গ্রামে টানা দুই দিন অনুসন্ধান চালিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, সংঘর্ষের দুই দিন আগে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বিরোধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে জানানো হয়েছিল। পুলিশও জানত বিষয়টি। দুই পক্ষের সমঝোতার জন্য কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়।

ঘটনা নিয়ে যা বলছেন গ্রামবাসী

গেরুয়া বাজারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক এলাকায় এখনও রয়েছে পুলিশের কড়া পাহারা, থমথমে পুরো এলাকা।

গ্রামবাসী জানান, কিছুদিন আগে স্থানীয় বাতিঘর ক্লাব আয়োজন করে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেখানে আশপাশের গ্রামের তরুণেরা আলাদা আলাদা টিম করে অংশ নেন। গেরুয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন, ওই টুর্নামেন্টে গেরুয়া গ্রামের জাবি শিক্ষার্থীদেরও দুটি টিম ছিল।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
গেরুয়া বাজারের সব দোকান এখনও বন্ধ, রয়েছে পুলিশের পাহারা

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা অ্যালেক্সের (পিয়াস ইজারাদার) দলের প্রতিপক্ষ ছিল পাশের জামসিং গ্রামের একটি দল। ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী অ্যালেক্স বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

ক্রিকেট খেলার সময় স্লেজিং করাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় দুই টিমের খেলোয়াড়দের। একপর্যায়ে জামসিং দলের খেলোয়াড়দের হাতে মার খান অ্যালেক্স ও আরেক ছাত্র।

এ ঘটনার পর অ্যালেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জাবি ছাত্রলীগের (মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি) সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক মণ্ডলের (৪১তম আবর্তন) নেতৃত্বে অন্তত ৪০ জন ছাত্রকে নিয়ে ফিরে আসেন গেরুয়া গ্রামে। টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটি জামসিং গ্রামের তরুণদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, এমন অভিযোগ তুলে বাতিঘর ক্লাবে ভাঙচুর চালান তারা। এছাড়া পুরো বাজারের সব দোকান বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
ক্রিকেট খেলায় বিরোধের জেরে ভাঙচুর করা হয় গেরুয়ার বাতিঘর ক্লাব

ওই সময়ের বাজার এলাকার একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে দেখা যায় ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটের দিকে বেশ কিছু যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে ব্যবসায়ীদের কিছু বলার পর তারা সবাই দোকানের শাটার নামিয়ে দিচ্ছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আট দিন পর গত শুক্রবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির এক সদস্য নজরুল ইসলাম কাজুকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। গেরুয়া বাজারের যে বাসায় ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক ও অ্যালেক্সরা থাকেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় কাজুকে।

এরপর কাজুকে উদ্ধার করতে ওই বাসা ঘিরে ফেলেন গ্রামের বেশ কয়েকজন। অভিষেক ও আরও কয়েকজন এ সময় কৌশলে পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসীর বেধড়ক পিটুনির শিকার হন অ্যালেক্স, জুবায়েরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১২ জন ছাত্র। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের চারটিসহ মোট পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময়েই এলাকার চারটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় ‘গ্রামে ডাকাত ঢুকেছে’। শুরু হয় গ্রামবাসী-ছাত্রদের সংঘর্ষ।

যাকে ‘তুলে আনা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত বড় সংঘর্ষ, ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির সেই সদস্য ও স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কাজুর সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

কাজু বলেন, ‘১১ তারিখের ঝামেলার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে দোষারোপ করেন। তারা বলেন আমার জন্য নাকি সেদিন জামসিংয়ের ছেলেরা পালিয়ে যেতে পেরেছেন। তারা (ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী) আমাদের ক্লাবের সদস্যদের চাপ দিতে থাকেন তাদের ধরে এনে দেবার জন্য। তারা মেরে প্রতিশোধ নেবেন।’

কাজু বলেন, ‘আমরা তো সেদিন মারামারি ঠেকাতে গিয়েছিলাম, সেখানে আমাদের কী দোষ? রাতে আমাদের বাসায় এসে মারার হুমকি দেয়। বিষয়টা এলাকার মুরব্বিদের জানালে তাদের পরামর্শে আমরা ক্লাবের ছয় জন সদস্য কয়েক দিন গ্রামের বাইরে ছিলাম। তখন তারা আমাদের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে। এরপর ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও অন্য মুরব্বিরা ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে বসে মীমাংসার চেষ্ট করেন, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।’

নজরুল ইসলাম কাজু অভিযোগ করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) তার বন্ধু মারুফকে ডেকে নিয়ে যান অ্যালেক্স। এরপর মারুফকে প্রস্তাব দেয়া হয়, দুই লাখ টাকা দিলে ঝামেলা মিটমাট করা হবে।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
এই মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে বিরোধের শুরু

বিরোধ মীমাংসায় যুক্ত হন অনেকে

ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে কাজু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারুফের কাছ থেকে শোনার পর টাকা চাওয়ার বিষয়টা আমরা মনিরুল ইসলাম (ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) ও স্থানীয় মেম্বার হাসান সরদারকে জানাই। তারা আমাদের সংসদ সদস্য ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের কাছে নিয়ে যান। টাকা চাওয়াসহ পুরো বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদকেও বিষয়টি অবহিত করা হয় বলে দাবি করেন কাজু।

এর পরের ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চারটি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগের আট জন আমার বাসায় এসে বলে আমার সাথে কথা আছে, তাদের সাথে যেতে হবে। তাদের মধ্যে রমিম, মুরাদ, রিফাত, শুভ আমার পূর্ব পরিচিত। আমি আমার মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের সাথে যাই। তারা আমাকে অভিষেকের রুমে দিয়ে আসে।’

কাজু বলেন, ‘সেখানে অ্যালেক্স আর অভিষেক ছিল। অভিষেক একটি পিস্তল আর চাপাতি দেখিয়ে আমাকে বলে দুই লাখ টাকা দে, নইলে জানে মেরে ফেলব। এই বলেই আমাকে চড় থাপ্পর মারতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরেই গ্রামবাসী তাদের ঘিরে ফেলে মারধর করে।’

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলা নজরুল ইসলাম কাজু

কাজুর বন্ধু মারুফের সঙ্গেও কথা বলেছে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অ্যালেক্স আমাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করতে বলে। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ রফিক-জব্বার হলের সামনে তার সাথে দেখা করি। সে আমাকে প্রস্তাব দেয় ৫০ হাজার টাকা দিলে শুধু আমার বিষয়টা মিউচ্যুয়াল করবে। তবে কমিটির সবার সাথে মিউচ্যুয়াল করতে হলে ওই দিন বিকেল ৫টার মধ্যে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। তারপর আমি এসে গ্রামের সবাইকে বিষয়টা জানাই।’

চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা জানতে ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, গেরুয়ার স্থানীয় মেম্বর হাসান সরদার ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

মনিরুল ও হাসান স্বীকার করেন, জাবি ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদা দাবির বিষয়টি মারুফ ও কাজু তাদের জানিয়েছিলেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের পরামর্শে তারা থানায় গেলেও লিখিত কোনো অভিযোগ না করে চার জনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা (মারুফ ও কাজু) ১৭ তারিখ এসে ক্রিকেট খেলা নিয়ে ঝামেলা আর জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রদের হুমকির বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তবে তখন চাঁদার বিষয়টি বলেননি। ১৯ তারিখ সন্ধ্যার আগে একজন ফোন করে আমাকে জানান তাকে আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে, সেই নিয়ে গণ্ডগোল চলছে।’

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
গেরুয়ার এই বাসায় অ্যালেক্স-অভিষেকদের অবরুদ্ধ করে গ্রামবাসী

প্রতিমন্ত্রীর দাবি, আগে কিছুই জানতেন না

গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন পক্ষ গেরুয়ার বিরোধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে আগেই জানানোর দাবি করলেও প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সংঘর্ষের পর বিষয়টি তিনি প্রথম জেনেছেন।

রোববার নিউজবাংলাকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে আমি গ্রামের প্রতিনিধিদের কাছে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাই। তারা আমাকে জানান, ক্রিকেট খেলা নিয়ে ছাত্র আর গ্রামাবাসীর মধ্যে গণ্ডগোল বেধেছে। ছাত্ররা গ্রামের এক ছেলেকে তুলে এনে মেরেছে, তাই তারা পাল্টা হামলা করে ওই ছেলেকে উদ্ধার করে। এর আগে আমি কিছুই জানতাম না। কোনো অভিযোগ নিয়ে গ্রামবাসী বা তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমার কাছে আসেনি।’

প্রতিমন্ত্রী আগে থেকে বিষয়টি জানার তথ্য অস্বীকার করায় রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও গেরুয়ার মেম্বর হাসান সরদারের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করে নিউজবাংলা।

এ সময় মনিরুল বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমি যাইনি, তবে হাসান মেম্বর ও গ্রামের লোকেরা গিয়েছিলেন।’

প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নাকচ করেছেন জানানোর পর মনিরুল বলেন, ‘মন্ত্রী সাহেব যদি বলে থাকেন যে কেউ যায় নাই, তাহলে সেইটাই সঠিক। আপনারা সেটাই লিখে দেন, তবে আমি যতদূর জানি তারা (গ্রামবাসী) মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে গত বুধবার দেখা করেছেন।’

অন্যদিকে মেম্বর হাসান সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন মনিরও আমাদের সাথে গিয়েছিল। সে এখন অস্বীকার করে কীভাবে! আমরা তো তার মাধ্যমেই মন্ত্রী সাহেবের সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করলাম।’

হাসান বলেন, ‘আমরা বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রীর সাভারের বাসায় যাই। তখন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও চার-পাঁচ জনসহ মনির আসে। এরপর বিকেল ৩টায় মন্ত্রীর সাথে আমাদের কথা হয়। আমরা তাকে সব খুলে বলে এলাম। মন্ত্রী সাহেব কেন অস্বীকার করছেন জানি না।’

বিরোধের বিষয়ে জানত বিশ্ববিদ্যালয়ও

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে গণ্ডগোলের পরপরই আমি ঘটনাটা শুনেছিলাম। তখন আমি সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, সে যেন মিজানুর রহমান মিজানকে (বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি) সাথে নিয়ে বিষয়টা সমাধান করে দেয়। পরে অবশ্য কোনো আপডেট পাইনি।

২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেন প্রক্টর।

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের ফোন পাওয়ার পর আমি কয়েকবার অভিষেক-অ্যালেক্সদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবি ছিল, খেলার সময় জামসিং গ্রামের যে ছেলেরা মেরেছিল তাদের সামনে এনে দিতে হবে। ওই ছেলেদের আনতে পারি নাই, তাই সমাধানও হয় নাই।’

অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা কয়েকবার অভিষেকদের কাছে অনুরোধ করেছি বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য, কিন্তু তারা বলেছিল, বিষয়টা তারা পার্সোনালি নিয়েছে।’

একই ধরনের তথ্য দিয়ে গেরুয়ার মেম্বার হাসান সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি অ্যালেক্সকে ফোন দিয়ে মীমাংসা করতে বলায় সে আমাকে বলেছিল, আপনারা মুরব্বিরা এটা থেকে দূরে থাকেন। এটা আমরা বুঝব।’

অ্যালেক্স-অভিষেক যা বলছেন

মারুফের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা অ্যালেক্স। তবে তার দাবি, মারুফ তার এক বন্ধুর বন্ধু হওয়ায় মারুফের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দিতে ডাকা হয়েছিল।

অ্যালেক্স নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বারবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে বসতে পারছিলাম না। সমঝোতার জন্য কোনো ধরনের টাকার কথা হয়নি।’

১১ ফেব্রুয়ারি গেরুয়ায় ক্লাব ঘরে ভাঙচুর ও বাজারের দোকান বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যালেক্স বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ছেলেরা মার খেয়েছে, সেই উত্তেজনা থেকে ভাঙচুর হয়েছে। সেই একই উত্তেজনা থেকে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হলেও আধ ঘণ্টা পর সেগুলো আমরা খুলে দেই।

কাজুকে তুলে এনে অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যালেক্স বলেন, ‘তাকে তো তুলে আনা হয়নি, সে ক্যাম্পাসের হলে ইন্টারনেট ব্যবসা করে। তার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক। আমাদের সাথে মীমাংসার জন্য তার পরিচিত ক্যাম্পাসের ছাত্ররাই আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল। পরে আমরাই বরং অবাক হয়েছি কাজুকে আনার সাথে সাথেই অন্তত ৫০ জন লোক এসে আমাদের মারা শুরু করল। তুলে এনে জিম্মি করা হলে আমরা তাকে নিয়ে তাদের গ্রামে কেন রাখব, আমরা তো তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতাম।’

একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক। তিনি বলেন, ‘এমন কিছুই ঘটেনি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ করতেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

জাবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘাতের নেপথ্যে ‘ছাত্রলীগ’
গেরুয়ায় অ্যালেক্স-অভিষেকদের অবরুদ্ধ করার সময়ে ভাঙচুর করা মোটর সাইকেল

কাজুকে উদ্ধারের সময় গ্রামবাসী সহিংস কেন

গ্রামের একাধিক বাসিন্দা নিউজবাংলাকে বলেছেন, তারা আন্দাজ করতে পারছিলেন ছাত্রলীগের ছেলেরা খেলার সময় মার খাওয়ার প্রতিশোধ নেবে। এর আগে ২০০৭ সালে বিরোধের জেরে কাশেম নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ছাত্ররা। বেদম পিটানোর পর তিনি মারা যান। সেই মামলার এখনও বিচার হয়নি।

কাজুরও একই পরিণতি হতে পারে, এমন শঙ্কা ছিল গ্রামবাসীর।

এছাড়া, কথায় কথায় বাজার বন্ধ করে দেয়া, গ্রামের যেকোনো বিষয়ে ক্ষমতা দেখানো, স্থানীয়দের মারধর করাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের একটি অংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, তার তিনতলা বাড়ি নির্মাণের সময় গত বছর ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ নেতারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

কারা চাঁদা নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো ভবন মালিকই এদের নাম জানাতে চান না। আপনারা পারলে খুঁজে নেন।’

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সম্পর্ক কেমন

ক্যাম্পাস ঘেঁষা গেরুয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী থাকছেন। গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতেই ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাবেক শিক্ষার্থীও আছেন এই গ্রামে।

সংঘর্ষের পরেও গেরুয়া গ্রামে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, গ্রামবাসীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আন্তরিক।

গ্রাম ছাড়েননি এমন একাধিক ছাত্র নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনার সময় তারা নিরাপত্তার জন্য নিজ থেকেই ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন। এমনকি কোনো কোনো বাড়ির মালিক সে সময় ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রেখেছেন।

গ্রামবাসীও বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কোনো ঝামেলা নেই। ছাত্রদের খুব সামান্য একটি অংশ প্রভাব বিস্তার করতে গ্রামে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করছে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ক্যাম্পাস ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা নিউজবাংলাকে জানান, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাবি ছাত্রলীগ ও ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে সব সময় স্নায়ুযুদ্ধ চলে। ক্যাম্পাস ঘেঁষা ও জাবি ছাত্রলীগের কারণে গেরুয়ার মতো গ্রামে জেলা ছাত্রলীগ প্রভাব রাখতে পারছে না।

ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে উসকে দিতে চেষ্টা করেন জেলা ছাত্রলীগ নেতারা, অন্যদিকে জেলার অনুসারীদের দমিয়ে রাখতে বাড়তি তৎপরতা দেখায় ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন: মসজিদে ঘোষণা দিয়ে জাবি ছাত্রদের ওপর হামলা

আরও পড়ুন:
ওভাবে কথাটি বলিনি: জাবি প্রক্টর
মসজিদে ঘোষণা দিয়ে হামলা, গেরুয়া ছাড়া জাবি ছাত্ররা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফলোআপ
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

ফলোআপ
The chief adviser greeted Khaleda Zias birthday

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।

বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।

এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।

মন্তব্য

ফলোআপ
22 employees rewarded for playing a special role in tobacco free rail services

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

ফলোআপ
The Meeting of the Advisory Council held

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।

মন্তব্য

ফলোআপ
About 5 of the countrys dispute Ali Imam Majumder

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি: আলী ইমাম মজুমদার

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি: আলী ইমাম মজুমদার

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি। এটা কিন্তু খুব কমই প্রতিকার নিতে পারছি আমরা। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ফেনীতে অনুষ্ঠিত অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি ফেনী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

ফেনী জেলা প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো: পারভেজ হাসান বিপিএএ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নুরুল আমিন খান, ফেনী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরিন কান্তা, ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বৃহত্তর নোয়াখালীর ভূমি বিষয়ক সার্চ অফিসার সরোয়ার উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক প্রমূখ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার ভূমি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মন্তব্য

ফলোআপ
Bangladesh is not yet fully ready for the passage of developing countries to developing countries Fisheries and Livestock Advisor

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে, কিন্তু এই পদক্ষেপটি আমরা গত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত জিডিপি, ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। বাস্তবিক অর্থে,স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

উপদেষ্টা আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত "বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন"- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরিসংখ্যান বহন করলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা গ্রহণের সময় আসবে, এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে তা অনুযায়ী নিয়ম মেনে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে শুল্ক ও জিএসপি সুবিধার প্রভাব কোথায় বৃদ্ধি পাবে এবং কোথায় হ্রাস পাবে, তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় গবাদিপশুর বাজারে প্রভাব পড়বে এবং লাখ লাখ খামারি, বিশেষ করে গরীব মহিলারা যারা গরু লালন-পালন করে উদ্যোক্তা হিসেবে অবদান রাখছেন, তাদের ক্ষতি হবে।

উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে মাংস আমদানি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। কারণ, আমদানি করা মাংসের মাধ্যমে জুনোটিক রোগ প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, সাগরের সি উইড ও কুচিয়া রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি হ্রাস করতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় আরো বক্তৃতা করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার সানিয়া রিড স্মিথ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ মাসুদ, অ্যাডভোকেট তাসলিমা জাহান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের কো-অর্ডিনেটর বারাকাত উল্লাহ মারুফ।

মন্তব্য

ফলোআপ
Deal from Acting via Digital Information Secretary

ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় থেকে অপতথ্যের মোকাবিলা করুন : তথ্য সচিব

ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় থেকে অপতথ্যের মোকাবিলা করুন : তথ্য সচিব

তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও সক্রিয় হয়ে অপতথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নীতি, উন্নয়ন কর্মসূচি ও সাফল্যের প্রচারে তথ্য অধিদপ্তর প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই দায়িত্ব নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে।

বুধবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘তথ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম অধিকতর দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে’ আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর।

তথ্য সচিব বলেন, সরকার যেসব জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে, সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সরকারের বার্তা জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেন, তারাই প্রথম চালিকাশক্তি। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা সময়ের দাবী।

বর্তমানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপতথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, অপতথ্যের বিরুদ্ধে আপনাদেরই দক্ষ শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ, সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত প্রচার করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, শিক্ষিত ও দক্ষ। অপতথ্য ছড়ানো গোষ্ঠী ছোট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা অশিক্ষিত বা সরকারের কাজ সম্পর্কে অবগত নয়। সে তুলনায় আপনারা অনেক বেশি যোগ্য।

তথ্য সচিব বলেন, নিউজ ও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে শুধু পরিসংখ্যান নয়, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। এজন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট, ছোট ভিডিও, লাইভ কভারেজ এবং সময়োপযোগী গল্প বলার কৌশল প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।

তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মাহবুবা ফারজানা বলেন, আপনারা ইয়াং স্টার। আপনারা অবশ্যই পারবেন। প্রচার-প্রচারণার মান উন্নয়ন করুন। লেখার মান, বলার মান উন্নত করুন। প্রতিটি সংবাদ যেন সরকারের সাফল্যের জীবন্ত চিত্র হয়।

তথ্য সচিব আরও বলেন, সংবাদ শুধু নয়, তথ্য হচ্ছে বিশ্বাসের ভিত্তি। সত্যনিষ্ঠ খবর প্রচার করতে হবে। তথ্যের মাধ্যমে আস্থা গড়ে তুলেই বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই।

মন্তব্য

p
উপরে