মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত পড়ার গুজব ছড়িয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্যাম্পাস সংলগ্ন গেরুয়ার একদল স্থানীয় লোক। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকের এ হামলার এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। এরপর র্যাব-পুলিশ গেরুয়া গ্রামে প্রবেশ করলে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
‘ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে’ এ হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। আছেন শিক্ষক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং গ্রামটির বাসিন্দারাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলছেন, গুজব রটিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গ্রামবাসী হামলা চালিয়েছে। পুলিশ আসতে দেরি না করলে ঘটনা এতো গভীর হতো না।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকায় গেরুয়াসহ আশপাশের গ্রামে ঘর ভাড়া করে থাকেন অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গেরুয়া গ্রামে তাদের একটি ভাড়া বাসায় হামলা শুরু হয়। এ সময় অন্যান্য ভাড়া বাসায় থাকা শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, চার দিন আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে এ হামলা চালানো হয়েছে। গেরুয়া গ্রামের স্থানীয় মসজিদে ঘোষণা দিয়ে বলা হয় ‘গ্রামে ডাকাত পড়েছে, গ্রামের মা বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে।’ এর কিছু সময় পরই লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে গ্রামবাসী। তারা শিক্ষার্থীদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।
রাত ১০টার দিকে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থী দুই পক্ষ দুই পাশে অবস্থান নিয়ে আছে। তাদের মধ্যে থেমে থেমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে। গেরুয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোনো শিক্ষার্থী অবরুদ্ধ নেই।’
তবে গেরুয়া গ্রামে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শামসুল আলম সীমান্ত নামে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থী আমরাই জাহাঙ্গীরনগর নামের ফেসবুক গ্রুপে রাত ১১টার দিকে এক পোস্টে বলেন, ‘গেরুয়া মাদ্রাসা মসজিদের পাশের বাসা এখানে আটকা পড়ে আছি। আমার রুমে অলরেডি স্থানীয় লোকজন একবার অ্যাটাক দিয়েছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছি। বাইরে অনেক লোক। কী করব বুঝতেছি না।’
কাছাকাছি সময়ে একই গ্রুপে সানিমুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী এক পোস্টে বলেন, ‘গেরুয়ায় বাহির থেকে গুণ্ডা ভাড়া করে আনা হইছে। ক্যাম্পাসের স্টুডেন্টদের ওপর গুলিবর্ষণ হচ্ছে। খুবই ভয়ংকর অবস্থা। জাবি প্রশাসন কই।’
কার্তিক আরিয়ান নামের আরেক শিক্ষার্থী এক পোস্টে বলেন, ‘গেরুয়াতে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লোডশেডিং। ভাই সবাই সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরহাদ ইবনে আওয়াল নামে এক শিক্ষার্থী তার পাস্টে বলেন, ‘প্রশাসন কতটা কেয়ারলেস হলে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার ৬ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশের সাহায্যে আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে পারে না! জাস্ট ইমাজিন যারা গেরুয়ায় বিভিন্ন মেসে আছে তারা কতটা অসহায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রাতটা পার করবে। আর যদি গেরুয়ার সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে ওদের হামলা করে তখন সেটার কী জবাব দিবেন উনারা?’
হামলার খবর জানিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশরাফুল আলম নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে পেজে লেখেন, ‘গেরুয়ায় ছাত্র-এলাকাবাসীর প্রচণ্ড মারামারি হচ্ছে। আমরা খুব হেল্পলেস আছি। আমাদের বাঁচান।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান রাত ১০টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রামবাসীর হামলার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। গ্রামবাসীর হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রক্টর বলেছিলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থী গেরুয়া গ্রামে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।’
রাত সাড়ে ১০টার দিকে এসএম রাশিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়।
রাত সাড়ে ১১টায় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান জামান বলেন, ‘পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।’
রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার হওয়া রাশিদুল ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। নিউজবাংলাকে তিনি তার অবরুদ্ধ অবস্থার কথা জানিয়েছেন।
রাশিদুল বলেন, ‘বিকাল থেকেই রুমে ছিলাম। ফেসবুকে জানতে পারি ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এই সমস্যাটা লাগে। পরবর্তীতে আমাদের ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে জানতে পারি, শিক্ষার্থীদের মেসে গিয়ে গিয়ে প্রত্যেকের দরজায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করতে যাচ্ছে এবং অনেককে আক্রমণ করেছে। আমি যে মেসে থাকি সেই মেসেরও পেছন দিয়ে কিছু লোক গিয়েছিল।
‘তারা বলছিল, সবকিছু ভেঙে ফেলব, সবাইরে মেরে ফেলব। তখন নিজেকে বাইরে থেকে আরেকজনের মাধ্যমে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলাম আমার রুমটাকে। লাইট বন্ধ করে রেখেছিলাম, যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে আমি রুমে আছি। এমনকি সেই রুমে কেউ আছে। সেই সন্ধ্যা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলাম। পরবর্তীতে এক সিনিয়র আমাকে সেফ জায়গায় আনেন।’
তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসী মাইকের মাধ্যমে একটি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। তারা বলে যে, ডাকাত পড়েছে। আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে বের হন এবং আমাদের মা-বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে হবে। মসজিদকে ব্যবহার করে অথবা মসজিদের মাইককে ব্যবহার করে গুজবের যে রীতি বাংলাদেশে আছে সেই রীতি আজকে আবারও ব্যবহার করা হলো।’
সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখন স্পটেই দাঁড়িয়ে আছি। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে এখনো বসার সুযোগ হয়নি। গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ডাকাত-চাঁদাবাজ বলে আশপাশের তিন-চার গ্রামের লোকজন নিয়ে আমার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে।
‘আমার অনেক শিক্ষার্থী আহত। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের যাতে সাপোর্ট দিতে পারি; গ্রামবাসী যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করতে না পারে। সে জন্য সন্ধ্যা থেকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা সাধ্যমত আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে কাজ করছি।’
এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশকে আমরা যথা সময়ে জানিয়েছি। আরও দ্রুত যদি পুলিশ আসত হয়ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটা এত বেশি গভীর হতো না।
‘এখন পরিস্থিতি যদি আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, আমরা যদি ম্যানেজ করতে পারি তারপর প্রশাসনের সঙ্গে বসব। তারপর প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
মামলার বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিবেন জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি এখানে সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। আমাদের শিক্ষার্থীদের যেহেতু ক্ষতি হয়েছে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তাদের বিষয়টি দেখতে।’
‘ঘটনার শুরু যেভাবে’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হলের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গেরুয়াতে সম্প্রতি একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়। সেখানে স্থানীয় ও ক্যাম্পাসের ছেলেদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল। আমি নিজেও একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছি। আমার হলের আর এক জন ছেলের দলের সঙ্গে গত সোমবার পাশের এলাকা জামসিং এর খেলা ছিল।
‘খেলা চলার সময়ে জামসিং থেকে আসা ছেলেরা মারামারি শুরু করে। তখন আমাদের হলের ৪৪তম আবর্তনের এলেক্স, পিয়াস ও শহীদ রফিক জব্বার হলের ৪৫তম আবর্তনের জুবায়েরসহ খেলার আয়োজক যারা ছিল তারা ওই মারামারি মেটাতে যায়। তখন জামসিংয়ের ছেলেরা আমাদের ছেলেদের মারতে থাকে। তবে সেই মুহূর্তে কাউকে আমরা আটক করতে পারিনি।’
কায়েস আরও বলেন, ‘এর মধ্যে কয়েক দফা এই বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মিটমাট করার কথা বলা হয়। জামসিংয়ের স্থানীয় কাউন্সিলরও আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা মিটমাট করার কোনো চেষ্টা না করে উল্টো আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
‘এরপরও আজ বিকেল ৪টার দিকে গেরুয়া বসবাসরত কয়েকজন শিক্ষার্থী আয়োজক কমিটির সদস্যদের খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে আয়োজক কমিটির নজরুল নামে একজনকে পাওয়া গেলে তার কাছে মিটমাট না হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর নজরুল গেরুয়া সংলগ্ন মাদ্রাসা মসজিদ থেকে মাইকিং করতে বলে।’
কায়েস বলেন, ‘ওখানে ওরা অনেকে ছিল। শুরুতে আমাদের ছেলেদের ধাওয়া দিয়ে এলেক্স, পিয়াস ও জুবায়েরকে মারা হয়। জুবায়েরের মাথা ফেটে গেছে। এরপর ওরা কোনোভাবে গেরুয়ায় ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিলে সেখানে গ্রামবাসী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। প্রায় এক ঘণ্টা আহত অবস্থায় থাকার পর আমাদের ছেলেদের উদ্ধার করে মেডিক্যালে পাঠানো হয়।’
এখন থেকে একজন গ্রাহক সর্বাধিক ১০টি মোবাইল ফোন সিম ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শনিবার বিটিআরসির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই নিবন্ধন করা যাবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অনুশীলন এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ নিবন্ধনযোগ্য সিম সংখ্যা ১৫ থেকে দশে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, সর্বোচ্চ ১০টি ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন হয় সঠিক দিকনির্দেশনা ও দক্ষ সহযোগিতার। ঠিক এখানেই NiT Academy Global তার অনন্য ভূমিকা রাখছে। রাজশাহী ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য। তারা শুধুমাত্র ভিসা প্রসেসিং বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর পুরো উচ্চশিক্ষা যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।
NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের প্রথমে উপযুক্ত কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে সহায়তা করে, যা তাদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপর শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত থেকে শুরু করে আবেদনপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার বিষয়েও তারা সহায়তা করে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা, সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় কনসালটেন্সি সরবরাহ করা হয়। যারা আর্থিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন, তাদের জন্য রয়েছে বৃত্তি সংক্রান্ত পরামর্শ ও সহায়তা।
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, জাপান, চীন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশেষ করে দুবাই)।
NiT Academy Global শুধু একাডেমিক সাপোর্টেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা প্রাক-ভ্রমণ সহায়তা, এয়ার টিকেট বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ ও হোস্টেল/বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকে। এক কথায়, বিদেশে যাওয়ার শুরু থেকে সেখানকার স্থায়ীভাবে থিতু হওয়ার পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তারা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির সেবা গ্রহণ করে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্থান পেয়েছেন। কেউ যুক্তরাজ্যে, কেউ কানাডায়, কেউবা আবার জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। তাদের সাফল্যই NiT Academy Global-এর কার্যক্রমের সফলতা প্রমাণ করে।
যোগাযোগ:
ফোন: +8801612751894
ইমেইল: [email protected]
ঠিকানা: হাউস-১২২, প্রতিতির রান্নাঘর বিল্ডিং, গণকপাড়া, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি বাতিল করেছে এবং বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থান হারাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)। হার্ভার্ড এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও প্রতিশোধমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) প্রত্যয়ন বাতিলের নির্দেশ দেন।
ডিএইচএসের বিবৃতিতে বলা হয়, হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আগেই চাওয়া কিছু তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোয়েম বলেন, ‘এই প্রশাসন হার্ভার্ডকে জবাবদিহির আওতায় আনছে- যেহেতু তারা সহিংসতা ও ইহুদিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা তারা অধিক টিউশন ফি নিয়ে বহু বিলিয়ন ডলারের তহবিল ফুলিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করে।’
হার্ভার্ড পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ অবৈধ। আমরা হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা এসব মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরো জাতিকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করেন।’ হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ডবিরোধী অভিযানের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ম্যাসাচুসেটসের এই আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বামপন্থি’ বা ‘মার্কসবাদী’ আদর্শ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন। গত মাসে হার্ভার্ড একটি ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ স্থগিতাদেশের মুখে পড়ে, কারণ তারা হোয়াইট হাউসের দেওয়া একগুচ্ছ শর্ত প্রত্যাখ্যান করে।
এসব শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কাঠামো, নিয়োগ নীতি ও ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বৈচিত্র্য সংক্রান্ত দপ্তরগুলো বন্ধ করা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্ক্রিনিংয়ে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। হার্ভার্ড পরে এই বরাদ্দ স্থগিতাদেশ ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) যৌথভাবে গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওএ) স্বাক্ষর করেছে। বিশেষ করে পিএইচডি ( ডক্টর অব ফিলোসোফি), এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসোফি) ও এম এস (মাস্টার অব সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে এ চুক্তি সহায়ক হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠান দুইটি।
মঙ্গলবার (২০ মে, ২০২৫) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আন্তরিক পরিবেশে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহবুব উল হক মজুমদার, ফ্যাকাল্টি অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আকতার হোসেন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর মাসুম ইকবাল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর বিলাল হোসেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক লিজা শারমীন, স্নাতকোত্তর অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে একাডেমিক কার্যক্রমে একযোগে কাজ করবে, যার মধ্যে রয়েছে ল্যাব সুবিধা, অনলাইন ডাটা বেস, তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা এবং ভৌত অবকাঠামোর ব্যবহার; যা ভর্তি ও সমাবর্তনের সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে। সমঝোতা স্মারকে উচ্চমানের গবেষণা পরিচালনা, যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রবন্ধ প্রকাশ, যৌথ গবেষণা সম্মেলন আয়োজন এবং পেটেন্টসহ মেধাস্বত্ব উন্নয়নের দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক বিনিময় কর্মসূচিও গবেষণা শিক্ষার্তীদের যৌথ তত্ত্বাবধানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই উদ্যোগের জন্য প্রশংসা প্রকাশ করেন এবং বলেন- "এ ধরনের সহযোগিতা ফলপ্রসূ গবেষণার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের এইচ -ইনডেক্স সম্পন্ন জার্নালে প্রকাশনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।"
তাছাড়া ডিআইইউ-এর উপ-উপাচার্য এই চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও গবেষণাগত কার্যক্রমের মানোন্নয়নের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’তে নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কো-অপারেশন সেন্টারের (সিআইএসি) পরিচালক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিন শর্তে তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়ে বুধবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর ভিসি পদে নিয়োগের মেয়াদ হবে তার যোগদানের তারিখ হতে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যে কোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন; তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
জানতে চাইলে গতকাল শনিবার (১৭ মে) অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী এই প্রতিনিধিকে জানান, ‘ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপনটি হাতে পেয়েছি আমি। সংশ্লিষ্ট দুই বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ভিসি হিসেবেক যোগদান করবো।‘
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (বিএসপিইউএ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত জীবনে এর আগে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং ডিন এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধীনে এমবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোল প্লাতজে ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অনুষদের একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি সিডনির অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপের একজন রিসার্চ ফেলো। তাছাড়া তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি এমএআরএ-এর অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং প্রফেসর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের নিয়োগ বোর্ডের এক্সটারনাল মেম্বার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব অ্যাকাউন্টিং, ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্সের এডিটর হিসেবেও অবদান রেখেছেন। হিসাববিজ্ঞানে দক্ষতার পাশাপাশি ড. সোবহানী মানবসম্পদ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
ড. সোবহানীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মেজরসহ বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে। তিনি বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়া থেকে এইচআর অ্যাকাউন্টিং ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. ফরিদ আহমেদ সোবহানী দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সম্মানিত জার্নাল এবং ম্যাগাজিনে প্রায় ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে একাডেমিকভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, যার মধ্যে অ্যাকাউন্টিং, কর্পোরেট
ডিসক্লোজার, এইচআর এবং নেতৃত্বের মতো ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
তবে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, তারা এবার দাবি আদায়ের সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজের ভেতরে ১ নম্বর ফটকের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরিন আক্তার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
উল্লেখ্য, এই কলেজগুলো একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পরে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
তবে অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে সময়-সময় আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিগত আট বছরে সমস্যাগুলো বড় আকারে রূপ নেয়। শুরু হয় নানা আন্দোলন।
সবশেষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথকীকরণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সভা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। অর্থাৎ, উল্লেখিত সেশন থেকেই সাত কলেজ নিয়ে নতুন করে গঠিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ ১৬ জুনের মধ্যে জারি ও নবগঠিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। পূর্ববর্তী তিন দফাসহ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছেন জবির শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন বলেন, ‘আমরা জবির দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের উপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা ও অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোন ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন চলবে, কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।’
গতকাল(বুধবার) থেকে জবির শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান করছেন। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরে যাননি। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।
নতুন দাবিসহ চার দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
এর আগে (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে এই তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সে সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গরম পানিও ছোড়া হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। পরে তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে গতকাল রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সেখানে বিফ্রিং করতে যান। তবে তার ব্রিফিংয়ে অসন্তুষ্ট হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বোতল ছুঁড়ে মারেন একজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরে বিফ্রিং বন্ধ করে চলে যান উপদেষ্টা।
এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকড়াইল মসজিদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জবির শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য