যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সৃজনশীল এই প্রশ্নপত্রের প্রথম উদ্দীপকে বলা হয়েছে, ‘রহমান সাহেবের বয়স ৫০ বছর। তিনি সবসময়ই তার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড নিয়ে টেনশনে থাকেন। একদিন হঠাৎ তার বুকের মাঝখানে কিছুটা বামদিকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং প্রচুর ঘামতে থাকেন। দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার তাকে ইসিজি করাতে বলেন এবং আপাতত বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখা থেকে বিরত থাকতে বলেন।‘
এই উদ্দীপকের আলোকে করা প্রশ্নগুলো হচ্ছে-
ক) স্ট্রোক কী?
খ) ধমনী ও শিরার মধ্যে ৪টি পার্থক্য লিখ।
গ) রহমান সাহেবের বুকে এমন ব্যথা হওয়ার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ) “প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম।"- রহমান সাহেবের সমস্যার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
এই উদ্দীপকে বুকে ব্যথার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে স্ট্রোককে ইঙ্গিত ও এটি পরীক্ষায় চিকিৎসকের ইসিজি করানোর কথা বলা হয়েছে। তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্ট্রোকের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক নেই এবং কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হলে সেটি ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ইসিজির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় না।
তারা বলছেন হৃদযন্ত্র বিকল বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি), ইকোকার্ডিওগ্রাম বা ইকোর মতো পরীক্ষা করা হয়। হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদযন্ত্রের আরও কিছু জটিলতায় রোগী বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে, তবে স্ট্রোকের কারণে বুকে ব্যথা অনুভবের সুযোগ নেই।
আমেরিকার অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিক্যাল সেন্টার মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। সাধারণত হৃৎপিণ্ডের (করোনারি) ধমনিতে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থ জমা হওয়ার কারণে হয় রক্তপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, বুকে চাপ দিয়ে বসা ব্যথা; ব্যথার পাশাপাশি অস্বস্তি যা কাঁধ, বাহু, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল, দাঁত বা কখনও কখনও পেটে ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে; ঠান্ডা ঘাম; ক্লান্তি অথবা বদহজম। হার্ট অ্যাটাক হলে হালকা মাথাব্যথা বা হঠাৎ মাথা ঘোরার অনুভূতিও তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া, বমি বমি ভাব ও নিশ্বাসের দুর্বলতা দেখা যেতে পারে বলেও জানাচ্ছে মায়ো ক্লিনিক।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাংস অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচ) তথ্য অনুযায়ী, হৃৎপিণ্ড আকস্মিকভাবে রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে সে অবস্থাকে বলা হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। হৃৎপিণ্ডের এই বিকল অবস্থায় মস্তিষ্ক এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালের বাইরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যান।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ হলো তিনি হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন, শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হতে পারে এবং বাতাসের জন্য তিনি তড়পাতে শুরু করেন; চিৎকার বা ঝাঁকুনিতে সাড়া দেন না এবং ধমনি নিশ্চল হয়ে যেতে পারে।
আর স্ট্রোক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, স্ট্রোককে কখনও কখনও ব্রেন অ্যাটাক হিসেবেও বলা হয়। এমন অবস্থায় মস্তিষ্কের কিছু অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় অথবা মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালী ছিঁড়ে যায়। স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা বা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে সিডিসি বলছে, মুখ, বাহু বা পা, বিশেষ করে শরীরের এক পাশ হঠাৎ অসাড় বা দুর্বল হয়ে যেতে পারে; হঠাৎ কথা বলতে সমস্যা হতে পারে; হঠাৎ এক বা দুই চোখেই দেখার সমস্যা তৈরি হতে পারে; হঠাৎ হাঁটতে সমস্যা, মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানোর মতো অনুভূতি তৈরি হতে পারে বা কোনো হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সম্পূর্ণ আলাদা রোগ, হৃদরোগের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক নেই এবং স্ট্রোকের কারণে হৃদযন্ত্রজনিত বুকে ব্যথা হওয়ারও কোনো কারণ নেই। স্ট্রোক শনাক্তের জন্য ইসিজি বা ইকোর পরামর্শও দেন না চিকিৎসকরা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক নাজিবুর রহমান খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আলাদা বিষয়।’
‘স্ট্রোক হচ্ছে ব্রেনে যদি কোনো সমস্যা হয়; যেমন ধরুন ব্রেনে ব্লাড সাপ্লাই কমে গেল, ব্রেনে ব্লিডিং হলো। এতে রোগীর একদিক প্যারালাইজড হয়ে যায় বা মুখ বাঁকা হয়ে যায়। অনেকে পুরো অজ্ঞান হয়ে যাবে। এটাকে স্ট্রোক বলা হয়।’
ডা. নাজিবুর রহমান বলেন, ‘অন্যদিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে হার্ট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাবে। ব্রেন স্ট্রোক হলে রোগী সঙ্গে সঙ্গে মারা যান না, তবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তার বুকে তাৎক্ষণিক ম্যাসাজ দিতে হয়। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে মনিটর বসিয়ে কারেন্ট শক দিয়ে হার্টের ফাংশনটা নরমালে আনা গেলে তিনি বাঁচবেন। হার্ট তিন থেকে চার সেকেন্ড বন্ধ থাকলে ব্রেনে ব্লাড সাপ্লাই যাবে না, তখন রোগী সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে।’
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সঙ্গে ব্রেনের সম্পর্ক আছে, তবে স্ট্রোকের সঙ্গে হৃদযন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মূলত হাইপ্রেসার, ডায়াবেটিস এসব কারণে ব্রেন স্ট্রোক হয়।’
তিনি বলেন, ‘ইজিসি, ইকো এগুলো সব হার্টের টেস্ট। এর সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক নেই। স্ট্রোকের জন্য করতে হবে সিটিস্ক্যান বা এমআরআই।’
আলোচিত প্রশ্নটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নটা সুন্দর হয়নি। রক্তনালী চিকন হয়ে গেলে অথবা ছিঁড়ে গেলে স্ট্রোক হতে পারে। ব্রেন স্ট্রোক হলে রোগী প্যারালাইজড হবে, মুখে খেতে পারবে না।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজিস্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হার্টের রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত ধূমপানে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
‘স্ট্রোক হয় ব্রেন অর্থাৎ মস্তিষ্কে। সাধারণত দুই ধরনের স্ট্রোক রয়েছে। একটি মস্তিষ্কের রক্ত জমাটবাঁধা এবং আরেকটি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক। দুই কারণেই মস্তিষ্কের কিছু অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।’
তবে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করছে প্রশ্নপত্রে কোনো ভুল নেই।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মরিয়ম বেগম সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রশ্ন দেখেছি। এটায় কোনো সমস্যা নেই। এটা বই রিলেটেড।’
স্ট্রোক হৃদযন্ত্র-সম্পর্কিত কোনো রোগ নয় জানানো হলেও তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা থেকেই তো স্ট্রোক হয়। এইগুলা ফোনে আলাপের মতো বিষয় নয়। আপনি স্কুলে এসে আমার ওই বিষয়ের শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।’
আরও পড়ুন:
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ১টায় শেষ হয় এই পরীক্ষা।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন। আর সবচেয়ে বড় কেন্দ্র রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভর্তি পরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।”
ড. আনোয়ার হোসেন জানান, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতি ছিল কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতি ছিল রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে।
এদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এক ঘণ্টার আর্কিটেকচার ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহজাহান জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং পাঁচটি উপকেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৫৭৯ জনের আসন বিন্যাস হলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী। উপকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৩৩৮ জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জন, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬১১ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৫ জন এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ২ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৮৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ, সরকারি বাংলা কলেজে ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৮৩ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ এর অধীনস্ত পাঁচটি উপকেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৮১৫ জনের আসন বিন্যাস করা হলেও পরীক্ষায় মোট অংশ নেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন। পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ১২৯ জন।
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে এবার মোট পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন। বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে এবার আবেদন করেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী। ‘বি’ ইউনিটে এই সংখ্যা ৯৪ হাজার ৬৩১ এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন। এবার চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামী ৩ মে মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের এবং ১০ মে বাণিজ্য বিভাগের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এবার ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার নিরীক্ষিত ও সংশোধিত ফল রোববার প্রকাশ হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন রোববার গভীর রাতে বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।’
গত ২৯ মার্চ তৃতীয় গ্রুপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
গত বছরের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ৬ মে পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। আর সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের দুই হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য দুই হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্ল গাইডস ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেয়া হবে।
অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।
কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে হবে ২০ টাকা।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয় ১৬ এপ্রিল। এই কার্যক্রম ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর করার সময়সূচি ছিল। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ জুন।
মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে।
পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথম দিন হবে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট এবং ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
গত বছর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে ৩০ জুন করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে আটটি শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা ১৭ আগস্ট শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিল।
২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
রোববার বিকেলে এনটিআরসিএ-এর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান সদস্য (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাসসের
এতে বলা হয়, স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। প্রত্যেক আবেদকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন।
এতে বলা হয়, প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। ই-এপ্লিকেশন পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরু হবে ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে। অন্যদিকে ই-এপ্লিকেশন জমা দেয়ার শেষ সময়সীমা ৯ মে রাত ১২ টা পর্যন্ত। তবে, রাত ১২টা থেকে শুধু আইডি প্রাপ্ত প্রার্থীরা পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ ১০ মে রাত ১২ টা পর্যন্ত এসএমএস এর মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।
আগামী জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করবে সরকার। সে জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন প্রতারিত না হয় কিংবা কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। আগামী জুনের মধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আজ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে লিখিত পরীক্ষা।
এ ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তার স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।
এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুবায়দা জাহান। তার স্কোর ১০২ দশমিক ৩৪।
আর বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ইসরাত জাহান ইকতা। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯৬।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।
এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন বি এ এফ শাহীন কলেজের মাহতাব সরকার জামি। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯২ দশমিক ৫০। আর মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের রিদোয়ানুল করিম রাইয়ান। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ১০১।
বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তার স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের নাফিসা তাবাসসুম। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯৮ দশমিক ৫। আর বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন। তিনি পেয়েছেন ৯৪ নম্বর।
এছাড়া চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য