খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হির্ভূতভাবে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ক্যাম্পাসে যাচ্ছে এ ঘটনায় গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কমিটি।
কমিটি হওয়ার দীর্ঘ ৮ মাস পর সম্প্রতি ইউজিসির পক্ষ থেকে সেখানে যেতে চাওয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস ইউজিসির এই তদন্ত কমিটির চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউজিসির চিঠি হাতে পেয়েছি। তদন্তের জন্য তাদের সব রকমের সহায়তা করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) ওয়ালিউল হাসানাত নামের একজন অধ্যাপকের নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে ওই শিক্ষককের নিয়মবর্হিভূত নিয়োগের ব্যাপারটি জানিয়ে তা তদন্ত করার অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ জুন ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তবে ৮ মাস ধরে ওই তদন্ত কমিটির সদস্যদের কোনো অগ্রগতি ছিল না। অবশেষে সেই তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করছে।
সম্প্রতি ইউজিসির ইন্সপেকশন ও মনিটরিং শাখা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে বিষয়টি তদন্তে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কমিটি এ দিন বেলা ১২টায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র পর্যালোচনা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন।
পরিদর্শন শেষে কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভায় মিলিত হবেন। ওই দিন ও সময়ে দালিলিক প্রমাণাদিসহ অভিযোগপত্রে দেয়া বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ইউজিসি গঠিত ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রাক্তন অধ্যাপক ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। কমিটির বাকি দুজন সদস্য হচ্ছেন ইউজিসিরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান ও ইউজিসির ইন্সপেকশন ও মনিটরিং শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ওয়ালিউল হাসানাতের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু কাগজ হাতে এসেছে নিউজবাংলার।
ওই কাগজ বিশ্লেষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়ালিউল হাসনাত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য সব যোগ্যতা ও শর্তের সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক পদে কমপক্ষে চার বছরের বাস্তব শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ওয়ালিউল হাসানাতকে সরাসরি অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়ার সময় তা মানা হয়নি।
তার নিজ হাতে লেখা অধ্যাপক পদের আবেদনপত্রে দেখা যায়, সহযোগী অধ্যাপক পদে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তিন বছর ছয় মাস সাত দিন। তিনি ১০ মাস ১৪ দিন লিয়েনে (শর্তসাপেক্ষে ছুটি) ছিলেন। ওই কার্যকালকে অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখিয়ে তাকে অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি (যাচাই-বাছাই) করা হয়নি।
ওয়ালিউল হাসানাতের নিয়োগ প্রক্রিয়াও হয়েছে খুব দ্রুততার সঙ্গে। ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওই ডিসিপ্লিনের একটি মাত্র অধ্যাপক পদের বিপরীতে নিয়োগ বোর্ড হয়। ৩১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ১৮৯তম সভায় সেটি উপস্থাপন করে অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয়। পরদিন ১ জানুয়ারি তিনি ডিসিপ্লিনে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের পর সেটি রেজুলেশন করতে হয়। তারপর শিক্ষককে যোগদান করার জন্য চিঠি পাঠাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তার কিছুই করা হয়নি। রেজুলেশন করার আগেই ওয়ালিউল হাসানাত রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দিয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে দুদক থেকে চিঠি পাঠিয়ে ওয়ালিউল হাসানাতের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়। ওই কাগজগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে কিছু অনিয়মের তথ্য দেখা যায়।
‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগবিধি অনুযায়ী লিয়েনে থাকা সময়কে অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে তা দেখানো হয়েছিল। অন্যদিকে রেজুলেশন না করেই তাকে যোগদান করতে দেয়া হয়।’
অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক। ২০১০ সালে ২৮ নভেম্বর তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক মো. শাইফুদ্দিন শাহ।
২০১২ সালের অক্টোবরে তার মেয়াদ শেষ হলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ফায়েক উজ্জামান। ২০১৩ সালে ১০ জানুয়ারি তিনি পূর্ণ উপাচার্যের দায়িত্ব পান। সেখান থেকে পরপর দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যান তিনি। তার দিত্বীয় মেয়াদে রয়েছে অহরহ দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ।
আরও পড়ুন:এক সপ্তাহ পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন শনিবার নির্দেশনার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১. রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চালাবে।
৪. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
৫. দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আগামী ৯ মে পর্যন্ত সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সিন্ডিকেট সদস্য ফিরোজ খাননুন ফরাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর চলমান আন্দোলন স্থগিত করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন স্থগিত করায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা পুনর্বিবেচনা করেছে চুয়েট প্রশাসন।
গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জেরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। তারপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল, তা পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন।
তারা আরও জানান, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার বিকেল ৪টায় সিন্ডিকেট সদস্যদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:ভর্তি ফির ওপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ ভর্তি উৎসব।
এ উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।
স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।
ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।
অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া উচ্চতর পড়াশোনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসঅ্যাপ)।
অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন।
এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিকেল পৌনে ৫টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। তারা হল ত্যাগ করবেন না।
রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বার বার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেয়নি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত ১০টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন:দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তীব্র দাবদাহে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাপমাত্রা না কমায় তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশের সব স্কুল-কলেজে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে অনলাইনে ক্লাস চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
প্রশাসনিক ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে তালা লাগানো আছে।
দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।
এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’
শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি হলো- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদ দানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহে ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসকল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর উপাচার্যের কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে কর্মসূচি দেয় শিক্ষক সমিতি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের পারিবারকে হয়রানি ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, তার স্বামী ও সন্তানকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের প্রতিও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছেলে সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তার স্বামী। এ সময় মেইন গেট অতিক্রমকালে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তাদেরকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে চরমভাবে অপমান করেন। স্বামীর সামনে তাকেও অপমানজনক কথাবার্তা বলেন সালাম।
সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সম্মানার্থে আমি এতদিন ধৈর্য ধরে ছিলাম। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর একটা বিচার করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা বিষয়টি নিয়ে কোন সম্মানজনক সমাধানের ব্যবস্থা করে নাই। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য অপমান ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
তিনি বলেন, ওইদিন আমার স্বামী সন্তানকে নিয়ে তার মায়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মেইন গেটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে অকারণে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে জানালেও কোনো সম্মানজনক সমাধান পাইনি।
অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালাম বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের সাথে কথা বললে আসল সত্য সামনে আসবে। ইদের পর বহিরাগতদের চাপে মেইনগেটে অনেক ভিড় থাকে। ম্যামের স্বামী বাইক নিয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় বাইকের হর্ন বাজিয়ে মেইনর গেটে উপস্থিত দারোয়ানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেইনগেট খুলে দিতে বলেন। ছোট গেট দিয়েও তিনি বাইক নিয়ে যেতে পারতেন। তার স্বামীর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টা সঠিক তদন্ত করা হোক।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলা হচ্ছে। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। শিক্ষকের বিষয় যেহেতু সেনসিটিভ। অভিযোগটি শিগগিরই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তিনিই যা ব্যবস্থা নেয়ার নেবেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য