× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Chabirs admission test on Tuesday the entire campus under cover of security
google_news print-icon

চবির ভর্তি পরীক্ষা মঙ্গলবার, নিরাপত্তার চাদরে পুরো ক্যাম্পাস

চবির-ভর্তি-পরীক্ষা-মঙ্গলবার-নিরাপত্তার-চাদরে-পুরো-ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। প্রায় আট শতাধিক আইনশৃঙ্খলা কর্মী ও গোয়েন্দা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত থাকবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুরো ক্যাম্পাসে জোরদার করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেবে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। সে হিসাবে এবারে আসনপ্রতি লড়বে ২৯ জন।

স্বাস্থ্যবিধির বিষয় মাথায় রেখে ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় এবার তিনটি ইউনিটের পরীক্ষা দুটি শিফটে (সকাল-বিকেল) অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রথম দিন ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৫৪ হাজার ১০৬ জন। এর মধ্যে সকালের শিফটে পরীক্ষা দেবেন ২৭ হাজার ৫৩ জন। বিকেলের শিফটের পরীক্ষাও একই সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও হাটহাজারী কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে ‘এ’ ইউনিটের সিট প্ল্যান প্রকাশ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব আইডিতে লগইন করে সিট প্ল্যান দেখতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পেজে।

এভাবে প্রতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ৪৮ ঘণ্টা আগে আসন বিন্যাসে জানিয়ে দেয়া হবে।

পরীক্ষার সময়সূচি-

সকালের শিফটে পরীক্ষার্থীরা ৯টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। ওএমআর ফরম বিতরণ করা হবে ১০টা ১৫ মিনিটে। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে বেলা ১১টায়। পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১২টায়।

অন্যদিকে দুপুরের শিফটে ভর্তিচ্ছুরা ২টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। ওএমআর ফরম বিতরণ করা হবে ২টা ৪৫ মিনিটে। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে বেলা সাড়ে ৩টায়। পরীক্ষা শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।

১৬ আগস্ট ‘এ’ ইউনিট, ১৯ আগস্ট ‘সি’ ইউনিট, ২০ আগস্ট ‘বি’ ইউনিট, ২২ আগস্ট ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২৪ আগস্ট সকালে উপ-ইউনিট ‘বি-১’ ও একই দিন বিকেলে ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কোন ইউনিটে কত

আইসিটি সেল থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৪ হাজার ১০৬ জন, ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৩৫ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী, ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১১ হাজার ৬০ জন, ‘ডি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৩৯ হাজার ৩৯২ জন, ‘বি১’ উপ-ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ হাজার ৫৭৯ জন, ‘ডি১’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ হাজার ৮১১ জন।

সে হিসাবে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ৪৫ জন, ‘বি’ ইউনিটে লড়বেন ২৯ জন, ‘সি’ ইউনিটে লড়বেন ২৫ জন, ‘ডি’ ইউনিটে ৩৪ জন, ‘বি১’ ইউনিটে ১৩ জন এবং ‘ডি১’ ইউনিটে ৬০ জন। এ ছাড়া মোট আবেদন অনুসারে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ২৯ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে- একজন পরিক্ষার্থীর সঙ্গে একাধিক অভিভাবক না আসেন। আশা করছি সুন্দরভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

ক্যাম্পাসে বাড়তি নিরাপত্তা

ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসে জোরদার করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পরীক্ষা চলাকালীন প্রায় আট শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বেষ্টনী দ্বারা আবৃত থাকবে পুরো ক্যাম্পাস । পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, ডিএসবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা ক্যাম্পাস থাকবে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায়। ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপরও রাখা হচ্ছে বিশেষ নজরদারি। ট্রাফিক কন্ট্রোলে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করবে ট্রাফিক পুলিশ। এ ছাড়া ভর্তি জালিয়াতি ঠেকাতে ডিজিএফআই, এনএসআই গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে থাকবে। সংঘর্ষ কিংবা র‍্যাগিংসহ অপ্রীতিকর যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। প্রায় আট শতাধিক আইনশৃঙ্খলা কর্মী ও গোয়েন্দা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত থাকবে।

‘ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটর করব। এ ছাড়া অপ্রত্যাশিত কোনো অপ্রীতিকর ঘটিনা এড়াতে আমাদের সহকারী প্রক্টরবৃন্দও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবেন। যেকোনো সমস্যায় আমাদের সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হবে, তাদের নম্বর নোটিশ বোর্ডে দেয়া আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রীদের অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য আমরা হলগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। খাবার দোকানে মূল্যতালিকা সাটানোর জন্য আমরা কথা বলেছি। পরীক্ষার দিনগুলোতে ৯ জোড়া শাটল চলবে। স্মরণ চত্বরে পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় হেল্পডেস্ক থাকবে। এ ছাড়া প্রবেশপত্রসংক্রান্ত সমস্যায় আইটি সেল থেকেও হেল্প নিতে পারবে।’

পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে ৮ নির্দেশনা

ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আটটি নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. মাস্ক ব্যতীত কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার হলে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করে থাকতে হবে।

২. পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে একের অধিক অভিভাবক চবি ক্যাম্পাসে আসতে পারবে না। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলকে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা নিজস্ব পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

৩. পরীক্ষা শেষে ধাপে ধাপে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ত্যাগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র প্রধান/পরিদর্শকদের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

৫. প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর ডাউনলাড করা দুই কপি প্রবেশপত্র, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অথবা A লেভেলের Statement of Entry-এর মূল কপি ভর্তি পরীক্ষার দিন অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।

৬. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে fx-100 বা এর নিচে সাধারণ মানের (মেমোরি অপশন/সিম ব্যতীত) ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। পরীক্ষার হলে প্রার্থীর মোবাইল ফোন, Calculator with Memory Option/সিম, Electronic Device সংবলিত ঘড়ি ও কলম বা যেকোনো ধরনের Device সঙ্গে রাখতে পারবে না।

৭. প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে কারও কাছে কোনো অভিযোগে দৃষ্টিগোচর হলে তা প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ সময়ের ন্যূনতম ১ ঘণ্টা আগে প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট কো-অর্ডিনেটরের কাছে লিখিত অভিযোগ করা যাবে।

৮. ভর্তি পরীক্ষায় কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনি ব্যবস্থা নেবে।

শাটল ট্রেনের সূচি

ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প‌্রশাসন। আগামী ১৬, ১৯, ২০, ২২ ও ২৪ আগস্ট এই বিশেষ শাটল সার্ভিস চলবে।

নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে যথাক্রমে সকাল ৬টা, সাড়ে ৬টা, ৮টা ১৫ মিনিট, ৮টা ৪৫ মিনিট, ১১টা ৪০ মিনিট, দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, ৪টা ও রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে যথাক্রমে সকাল ৭টা ৫ মিনিট, সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট, সকাল ৯টা ২০ মিনিট, সকাল ১০টা, দুপুর ১টা, বেলা দেড়টা, বিকেল ৫টা, বিকেল সাড়ে ৫টা ও রাত ৯টা ১০ মিনিটে নগরীর বটতলীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

তবে ২৪ আগস্ট শাটল নিয়মিত সময়সূচিতে চলবে।

সব ট্রেনই ঝাউতলা, ষোলশহর, ক্যান্টনমেন্ট, চৌধুরীহাট, ফতেয়াবাদ স্টেশনে কিছুক্ষণ থেমে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে যাবে। প্রতিটি ট্রেন বটতলী রেলস্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে আসতে আনুমানিক ১ ঘণ্টা সময় লাগবে।

আরও পড়ুন:
চবিতে বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষায় বসলেন ২ শিক্ষার্থী
চবি ছাত্রলীগে পদবঞ্চিতদের অবরোধ প্রত্যাহার
অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও অচল চবি, বাস-ট্রেন বন্ধ
চবিতে ৪ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
চবিতে শাটল ট্রেনের চালককে ‘অপহরণ’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Canadian University of Bangladesh is a magnificent 12 year

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে বর্ষবরণ

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে বর্ষবরণ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফত ও অন্য ব্যক্তিরা

নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা এবং বাঙালিয়ানার ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উদ্‌যাপন করল পহেলা বৈশাখ ১৪৩২। রাজধানীর প্রগতি সরণি, বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম এভিনিউতে অবস্থিত সিটি ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন এই প্রাণবন্ত উৎসবে। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল বৈশাখী রঙে রাঙানো আলোকসজ্জা, মুখরিত পরিবেশ এবং বৈশাখী পোশাকে সজ্জিত মানুষের উপস্থিতি।

আয়োজনের মধ্যে ছিল সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল, নৃত্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী সাংস্কৃতিক পটভূমির ওপর আলোচনা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফত, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক, উপ-উপাচার্য ড. জি ইউ আহসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ এস এম জি ফারুক এবং বিভাগীয় প্রধানরা।

পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে এবং এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়। সাংস্কৃতিক মনোরম পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Daksu Election Roadmap announced

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।

গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।

একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Admission Test The results of the three units of Jabb

ভর্তি পরীক্ষা: একই দিনে জবির চার ইউনিটের ফল প্রকাশ

ভর্তি পরীক্ষা: একই দিনে জবির চার ইউনিটের ফল প্রকাশ জবির প্রশাসনিক ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd অথবা https://jnuadmission.com অথবা www.admission.jnu.ac.bd -এ জানা যাবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস), ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এবং ‘ডি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাখা পরিবর্তন) ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবিবার দুপুরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd অথবা https://jnuadmission.com অথবা www.admission.jnu.ac.bd -এ জানা যাবে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (www.admission.jnu.ac.bd) লগইন করে বিষয় পছন্দ (Subject Choice) দিতে পারবেন।

‘‍‍এ‍‍’ ইউনিটের তিন শিফটে মোট আসন ৮৬০টি। সবগুলো আসন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য।

প্রথম শিফটে মোট আসন ২৮৪টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৭টি। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৯টি।

এ ইউনিটে ৮৬০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪৪ হাজার ২২৩ জন।

‘বি’ ইউনিটের তিনটি শিফটে আসন ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৬, বাণিজ্যে ৩৭, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪১টি।

দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৮, বাণিজ্যে ৩৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩৯টি।

তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিকে ১২৪, বাণিজ্যে ১০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৫টি।

‘সি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫২০টি।

প্রথম শিফটে মোট আসন ২৩০টি, যার মধ্যে শুধু বাণিজ্য বিভাগে ২৩০টি।

দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯০টি, যার মধ্যে বাণিজ্যে ২৩১, মানবিকে ১৬ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪৪টি।

‘ডি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫৯০টি।

প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯২, বাণিজ্যে ৩৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি।

দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯৬টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯৩, বাণিজ্যে ৩২ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৭১টি।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট, ২২ ফেব্রুয়ারি ‍‍‘এ‍‍’ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি ১৭ ডিসেম্বর
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ বৈঠক
জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা
শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর

মন্তব্য

শিক্ষা
Awami League procession

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউএনবি
রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।

ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।

যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় আওয়ামী লীগ নেতা
দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় আওয়ামী লীগের দোসররা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

মন্তব্য

শিক্ষা
JB students death in kidney complications

কিডনি জটিলতায় জবি ছাত্রের মৃত্যু

কিডনি জটিলতায় জবি ছাত্রের মৃত্যু নাইমুর রহমান সীমান্ত জবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। ছবি: ফেসবুক
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় তার।

কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নাইমুর রহমান সীমান্তের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় তার।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়।

‌‘গতকাল ওর একটা সাজার্রি করার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:
চাষাড়ায় বিস্ফোরণে প্রাণহানি বেড়ে চার
ইচ্ছা ছিল বিচারক হওয়ার, বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে
চলে গেলেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ছাত্রীনিবাসে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, ঢামেকে মৃত ঘোষণা

মন্তব্য

শিক্ষা
Angry students were named after the expulsion of 120 students
আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা

ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাবির কার্জন হল। ফাইল ছবি
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সবচেয়ে অমানবিক কাজ ছিল ঢাকা মেডিক্যালে হামলা। সেই হামলায় বেশির ভাগ হামলাকারী ছিল জগন্নাথ হলের। অথচ জগন্নাথ হল থেকে মাত্র দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিভু মন্ডল, রাজিব বিশ্বাসের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও বাদ পড়ে গেল!’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

এ তালিকায় চিহ্নিত অনেক হামলাকারীর নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।

বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই তালিকায় রয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ আরও অনেকে।

তালিকায় নাম নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবি জুবায়ের বলেন, ‘তানভীর হাসান সৈকত, ইউনুসসহ স্পষ্ট ফুটেজ থাকা অনেক সন্ত্রাসীর নামই লিস্টে নাই। কাদের ইশারায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনকে তা স্পষ্ট জানাতে হবে। অপূর্ণাঙ্গ এই লিস্ট আমরা মানি না।’

সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এইটা আমরা জানতে চাই। চোখের সামনে আমাদের যারা জসীম উদ্দীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর হামজা ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তের নাম নাই। আমার বোনদের যারা ভিসি চত্বরে পেটাল, তাদের নাম আসে নাই।’

তিনি লিখেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসাব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?’

স্মৃতি আফরোজ সুমি লিখেন, ‘বহিষ্কৃতদের তালিকা করার তদন্তের দায়িত্ব কি কোনো লীগারকে দেওয়া হ‌য়েছিলো? লিস্ট দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। না হলে স্পষ্ট ফুটেজ, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রতি হল থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম বাদ পড়ে কীভাবে?’

সুমাইয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সবচেয়ে অমানবিক কাজ ছিল ঢাকা মেডিক্যালে হামলা। সেই হামলায় বেশির ভাগ হামলাকারী ছিল জগন্নাথ হলের। অথচ জগন্নাথ হল থেকে মাত্র দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিভু মন্ডল, রাজিব বিশ্বাসের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও বাদ পড়ে গেল!’

এদিকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন এবি জুবায়ের।

১২৮ জনের তালিকায় দুইজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই ছিলেন না, এমন নামও এসেছে।

তাদের কীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এসবসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা
সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে হকারদের সড়ক অবরোধ, যুবদল নেতা বহিষ্কার
ইচ্ছা ছিল বিচারক হওয়ার, বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ছাত্রীনিবাসে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, ঢামেকে মৃত ঘোষণা

মন্তব্য

শিক্ষা
Declaration of one day holiday in Dabi on the death of Professor Arefin Siddique

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছবি: বাসস
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ১৬ মার্চ (রবিবার) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সকল প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।

‘উল্লেখ্য, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরের দিন ৭ মার্চ শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

‘ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।’

আরও পড়ুন:
ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
৭ কলেজের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ, ধৈর্য ধারণের আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের
ঢাবিতে নতুন করে হাসিনার ছবি এঁকে জুতা নিক্ষেপ
টিএসসিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে যা বললেন প্রক্টর
২০২৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন

মন্তব্য

p
উপরে