× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Why is Dhaka University at the bottom of the world list?
google_news print-icon

বিশ্ব তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তলানিতে কেন?

বিশ্ব-তালিকায়-ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়-তলানিতে-কেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও কার্জন হল। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
যেসব সূচকের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিং করা হয়, সেগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তলানিতে। শিক্ষাবিদদের মতে, গবেষণা ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার গবেষণার মান নিচের দিকে। এ ছাড়া শিক্ষক অনুপাতে শিক্ষার্থী অনেক বেশি।

শতবর্ষ পুরোনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখনও এটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিদ্যাপীঠ। অথচ বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অত্যন্ত করুণ। কোনোটিতে একেবারে তলানিতে; কোনো তালিকায় স্থানই নেই।

বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রতি বছর র‌্যাংকিং প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরা হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াকোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) র‌্যাংকিংকে। গত পাঁচ বছরের মতো এবারও এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান একেবারে পেছনের সারিতে; ৮০১ থেকে হাজারের ঘরে।

র‌্যাংকিংয়ের শুরু যেভাবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের ধারণাটি ২০০৩ সালে প্রথম প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের সিআইবি নেতা রিচার্ড ল্যাম্বার্ট। তিনি ‘দ্য ল্যাম্বার্ট রিভিউ অফ বিজনেস ইউনিভার্সিটি কোলাবোরেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ ধারণাটি প্রথম উপস্থাপন করেন। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং প্রকাশ শুরু করে। এগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই), কিউএস এবং চীন থেকে প্রকাশিত অ্যাকাডেমিক র‌্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ অন্যতম।

২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টিএইচই এবং কিউএস একত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং প্রকাশ করে, তবে ২০১০ সাল থেকে কিউএস এবং টিএইচই আলাদাভাবে র‌্যাংকিং প্রকাশ করছে।

সর্বশেষ প্রতিবেদনে যা আছে

কিউএস গত ৮ জুন সর্বশেষ র‌্যাংকিং প্রকাশ করে। ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ১৪ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সেই তালিকায় বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান নেই বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এই র‍্যাংকিংয়ে সেরা পাঁচ শর নিচে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করেনি কিউএস।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮০১ থেকে হাজারের ঘরে ফেলা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে র‍্যাংকিংয়ের সেরা ১ হাজারের শেষ ২০০তে অবস্থান করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে কিউএসের ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের র‍্যাংকিংয়েও ঢাবির অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে হাজারের মধ্যে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ঢাবি (৭০১-৭৫০তম) এই র‍্যাংকিংয়ে স্থান পায়।

যেভাবে র‌্যাংকিং করা হয়

কিউএস বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং নির্ণয়ে ছয়টি সূচকের মাধ্যমে সামগ্রিক মান নিরূপণ করে থাকে। এসব সূচক হলো শিক্ষক/গবেষকদের খ্যাতি বা অ্যাকাডেমিক খ্যাতি, নিয়োগকর্তা/নিয়োগের খ্যাতি বা চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা উদ্ধৃতি সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত।

ঢাবি তলানিতে কেন

যেসব সূচকের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিং করা হয় সেগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তলানিতে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তাদের মতে, গবেষণা ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার গবেষণার মান নিচের দিকে। এ ছাড়া শিক্ষক অনুপাতে শিক্ষার্থী অনেক বেশি। এ কারণেই র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দশা।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘র‌্যাংকিংয়ে যেসব বিষয় দেখা হয়, যেমন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি, শিক্ষকের মান, গবেষণায় বরাদ্দ, ছাত্ররা কেমন পরিবেশে থাকে, ইত্যাদি বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কোথায়? যে অবস্থানে আমরা আছি তা-ই তো মিরাকল।’

র‌্যাংকিংয়ে যাওয়ার জন্য যে মানদণ্ডগুলো পূরণ করা দরকার, তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।

গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছিয়ে থাকার কারণ উল্লেখ করে এ অধ্যাপক বলেন, ‘বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, তবে এটাও ঠিক, শুধু বাজেট বাড়ালেই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না। কারণ গবেষণা করার মতো শিক্ষক আগে নিয়োগ দিতে হবে। এটাই তো এখানে হচ্ছে না।

‘একজন শিক্ষক যদি তিন-চার জায়গায় পার্ট টাইম ক্লাস নেন, তাহলে গবেষণা করবেন কীভাবে? অন্য সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজ, কিন্তু মানসম্মত গবেষণা চাইলেই সম্ভব না।’

একই ধরনের মত দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম ওহিদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘র‌্যাংকিংয়ের জন্য যে সূচকগুলো আছে, তার মধ্যে একটা হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত। আমাদের শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত বেশি। আমাদের অনেক বিভাগে ১৫০ থেকে ২০০ জন শিক্ষার্থী আছে। এখানে তো লেখাপড়া সম্ভব না। শিক্ষার্থী থাকবে ৫০ জন। এটি স্ট্যান্ডার্ড, কিন্তু আমরা সেটি করতে পারছি না বা করি না।’

গবেষণা কম হওয়াও র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাওয়ার কারণ বলে মনে করেন ওহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কম হচ্ছে, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ ছাড়া ডিজিটাল ইনডেক্স থাকা, প্রকাশনাগুলোকে ডিজিটালাইজড করার দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। অর্থাৎ আমরা যে কাজগুলো করছি, সেগুলোকে সিস্টেমে আনা যেন সেগুলো সবাই দেখতে পারে আর সাইটেশন করতে পারে।’

জার্নালের মান এবং ডিগ্রির মান বৃদ্ধি করা উচিত বলেও মনে করেন এ অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ডিগ্রির মান নির্ণয়ের জন্য একটা নীতিমালা প্রয়োজন। কিশোরগঞ্জ বা মানিকগঞ্জের সংস্কৃতির ইতিহাস নিয়ে যদি পিএইচডি হয়, তাহলে এর থেকে আপনি কী পাবেন? প্রবন্ধ লেখা আর পিএইচডি ডিগ্রি থিসিস পেপার তো এক না। এগুলোই আমাদের বড় সমস্যা। এ জন্যই আমরা বারবার র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ছি।’

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি বলা হয় প্রমোশনের জন্য ১৮টা ডিগ্রি লাগবে, তাহলে একজন বছরে ১৬টা করবে। যে নোবেল পুরস্কার পায়, সে তো একটার ওপর গবেষণা করে নোবেল পায়। আমাদের ডিগ্রিগুলো এখন ‘ডিগ্রি ফর প্রমোশন’ হয়ে গেছে। ডিগ্রি ফর প্রমোশন যদি আমরা দিই, তাহলে সেই মানের গবেষণা হবে না। এগুলোর দিকে নজর দেয়া দরকার।”

মানসম্মত গবেষণা না হওয়ার পেছনে ব্যবস্থাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি পেতে কোনো কোনো পদে পাঁচটি গবেষণা থাকতে হয়, কিন্তু ভালো জার্নালে মানসম্মত নিবন্ধ প্রকাশ করতে সময় প্রয়োজন। তাই এ ক্ষেত্রে শিক্ষকরা অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে। এসব ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। না হলে কখনোই আপনি মানসম্মত গবেষণা পাবেন না।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মনে করেন, বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে যেসব ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, তা থেকে অনেক পিছিয়ে আছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

তিনি বলেন, ‘মোট ছয়টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিং করা হয়। এই সূচকগুলোতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, অ্যাকাডেমিক খ্যাতি, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাতে এগুলোয় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত গবেষণা হচ্ছে না বলে মনে করেন নজরুল। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মানসম্মত গবেষণা হচ্ছে না। এর জন্য বাজেট, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ, নিজের আগ্রহের মতো বিষয়গুলো জড়িত।’

কর্তৃপক্ষ যা বলছে

র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এত নিচে কেন জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কারা কী র‌্যাংকিং করল, এগুলো এখন একেবারেই দেখি না। কারণ র‌্যাংকিংয়ের জন্য কতগুলো মৌলিক প্যারামিটার আছে, সেই প্যারামিটারগুলো অ্যাড্রেস করার আগে র‌্যাংকিং বিষয়টা ভাবা উচিত নয়। এগুলোর উন্নয়ন না ঘটিয়ে র‌্যাংকিংয়ের বিষয়ে আমরা অ্যাটেনশন দেব না।’

আরও পড়ুন:
ঢাবি শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হলছাড়া করার অভিযোগ
‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয়া নিয়ে ঢাবি সিনেটে হট্টগোল
ঢাবির ৯২২ কোটি টাকার বাজেট পাস
মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে ‘নাত’ পাঠ
ঢাবিতে নারী হেনস্তার বিচার চায় ছাত্র ইউনিয়ন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
A 48 hour transport strike has been called in Greater Chittagong from Sunday
চুয়েট শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদ

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু বলেন, ‘চার দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু শনিবার বলেন, ‘কয়েক দিনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে আমাদের তিনটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গাড়ি পোড়ানো ও সড়কে নৈরাজ্যের প্রতিবাদসহ চার দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল (রোববার) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সোমবার বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাসে আগুন দেয়া হয়।

বুধবার ওই বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন। যদিও জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সে সঙ্গে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মন্তব্য

শিক্ষা
A 48 hour transport strike has been called in Greater Chittagong from Sunday
চুয়েট শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদ

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু বলেন, ‘চার দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু শনিবার বলেন, ‘কয়েক দিনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে আমাদের তিনটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গাড়ি পোড়ানো ও সড়কে নৈরাজ্যের প্রতিবাদসহ চার দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল (রোববার) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সোমবার বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাসে আগুন দেয়া হয়।

বুধবার ওই বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন। যদিও জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সে সঙ্গে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মন্তব্য

শিক্ষা
In government primary classes from Sunday to 1130

সরকারি প্রাথমিকে রোববার থেকে ক্লাস সাড়ে ১১টা পর্যন্ত

সরকারি প্রাথমিকে রোববার থেকে ক্লাস সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন শনিবার নির্দেশনার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

নির্দেশনাগুলো

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

১. রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চালাবে।

৪. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

৫. দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ: সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বন্ধ অ্যাসেম্বলি
হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ঈদের সকালে হরিয়ানায় স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত, ‘মদ্যপ ছিলেন’ চালক
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে

মন্তব্য

শিক্ষা
Students do not have to leave the hall until May 9

চুয়েট বন্ধ ৯ মে পর্যন্ত, হল ছাড়তে হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের

চুয়েট বন্ধ ৯ মে পর্যন্ত, হল ছাড়তে হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের চুয়েটের ফটক। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর চলমান আন্দোলন স্থগিত করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন স্থগিত করায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা পুনর্বিবেচনা করেছে চুয়েট প্রশাসন।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আগামী ৯ মে পর্যন্ত সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সিন্ডিকেট সদস্য ফিরোজ খাননুন ফরাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর চলমান আন্দোলন স্থগিত করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন স্থগিত করায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা পুনর্বিবেচনা করেছে চুয়েট প্রশাসন।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জেরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। তারপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল, তা পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন।

তারা আরও জানান, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার বিকেল ৪টায় সিন্ডিকেট সদস্যদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

শিক্ষা
100 discount on Canadian University of Bangladesh admission fee

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড়

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড় ভর্তি উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতি দিন ভর্তি উৎসবে ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ।

ভর্তি ফির ওপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ ভর্তি উৎসব।

এ উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।

ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।

অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া উচ্চতর পড়াশোনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসঅ্যাপ)।

অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন:
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
রাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু আজ
চবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু শনিবার, আসনপ্রতি প্রার্থী ৪৯
গুচ্ছে আবেদনের সময় বাড়ল

মন্তব্য

শিক্ষা
Chuet is closed indefinitely and students are instructed to vacate the hall
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের চুয়েট বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছবি: নিউজবাংলা
কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন।

এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিকেল পৌনে ৫টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। তারা হল ত্যাগ করবেন না।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বার বার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেয়নি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত ১০টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

শিক্ষা
Indefinitely closed exams in Jabi classes are online
তাপপ্রবাহ

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তীব্র দাবদাহে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাপমাত্রা না কমায় তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশের সব স্কুল-কলেজে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে অনলাইনে ক্লাস চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মন্তব্য

p
উপরে