× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

করোনা: শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত খোদ শিক্ষামন্ত্রী

করোনা-শিক্ষা-নিয়ে-শঙ্কিত-খোদ-শিক্ষামন্ত্রী
করোনাকালে শিক্ষা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বৈঠক
‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বৃদ্ধি পেতে পারে।... শিশুরা সাইকোলজিক্যাল সমস্যায়ও ভুগছে।’

করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা খাত নানা ঝুঁকিতে আছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, স্কুলে ঝরে পড়ার হার বাড়তে পারে।

করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত রাত মত বিনিময় করেছেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন বলে বুধবার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ক্লাস চলছে অনলাইনে, টেলিভিশনে। কিন্তু বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে আনুমানিক প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পুরোপুরি শিক্ষার বাইরে রয়ে গেছে।

তবে মন্ত্রীর দাবি, এই সংখ্যাটা ১০ শতাংশ। তবে এটাও বিশাল সংখ্যা জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা কোনো একজন শিক্ষার্থীকে পেছনে রেখে আগাতে চাই না।’

আবার করোনা আয় কমিয়ে দিয়েছে বহু পরিবারের। নিম্ন মধ্যবিত্ত বহু পরিবার নিম্ন আয়ের তালিকায় চলে গেছে। আর নিম্ন আয়ের বহু পরিবারের শিক্ষার ব্যয় বহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এই অবস্থায় শিশুদেরকে স্কুলে পাঠানোর বদলে পরিবারগুলো তাদেরকে আয়বর্ধক কাজে লাগাতে পারে বলে শঙ্কিত শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বৃদ্ধি পেতে পারে।’

করোনা: শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত খোদ শিক্ষামন্ত্রী
রাজধানীর বন্ধ থাকা কদমতলী এলাকার রেঁনেসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থী

করোনার কারণে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যায়নি। আগামী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস শেষ করাও চ্যালেঞ্জ। ব্যবহারিক ক্লাস অনলাইনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

করোনার কারণে শিক্ষায় বৈষম্য বেড়েছে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। ধনী পরিবারগুলো অনলাইনে ক্লাস করলেও গরিব পরিবারগুলো শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়ে গেছে।

আবার পরীক্ষা না নিয়ে অ্যাসাইনমেন্টে মূল্যায়নেরর যে পদ্ধতি নেয়া হয়েছে, সেটাও নতুন বৈষম্য তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, শিশুদের একটি বড় অংশই অ্যাসাইনমেন্টের বাইরে রয়ে যেতে পারে।

অ্যাসাইনমেন্টে মূল্যায়নের উদ্দেশ্য শিশুদের দুর্বলতা নির্ধারণ করে পরবর্তী বছরে পাঠ্যক্রম সাজানো। কিন্তু ‘দুর্বল’ শিশুরা এই প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে আগামী বছরের পাঠ্যক্রমেও পুরো বিষয়টি আসবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এর বাইরে শিশুদের মানসিক সমস্যার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন শিক্ষা মন্ত্রী। বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের শিশুরা সাইকলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে।’

করোনায় শিক্ষাখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তা করেছে জানিয়ে মন্ত্রী সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাসের কথা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে কিন্ডারগার্টেন, শিশুরা ভর্তি হবে কোথায়

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এর নেতৃত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টোমো হোযুমি।

কারিগরিও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক।

করোনা: শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত খোদ শিক্ষামন্ত্রী

রাজধানীর ডেমরা এলাকায় নিম্ন আয়ের একটি পরিবারে লেখাপড়া করছে শিশুরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম

সভায় মিয়া সেপ্পো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চান।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা সরকার ভাবছে না।

কারণ হিসেবে দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স (সামাজিক দূরত্ব) মেইনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।

‘পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিশুদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে করোবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।’

যদি ও শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম, কিন্তু তারা নীরব বাহক হতে পারে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘তাই সরকার এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Teachers of private institutes are also getting transfer opportunities

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও পাচ্ছেন বদলির সুযোগ

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও পাচ্ছেন বদলির সুযোগ ফাইল ছবি।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেছে।’

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকই বদলির সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা খুব শিগগির এমন সুখবর পাবেন।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে সর্বজনীন বদলি নিয়ে কাজ করছি। আজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব শিক্ষককেই বদলি করা সম্ভব।’

শূন্যপদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারিতে দেরির কারণ প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব হয়নি। প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে বদলির আওতায় আনা খুব সহজ ব্যাপার নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেছে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Human chain in DU demanding withdrawal of Teknaf OC
অস্ত্র মামলায় শিশু কারাগারে

টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন

টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে ডুসাট সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, টেকনাফ থানা পুলিশ ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি টেকনাফ থানার ওসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

বাবাকে না পেয়ে ১৪ বছরের এক শিশুকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীরা শনিবার ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ উখিয়া-টেকনাফ (ডুসাট)’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে ডুসাটের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘টেকনাফ থানা পুলিশ ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, শিশুটির বাবাকে না পেয়ে তাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

‘আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফ প্রশাসনের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ‌এবং পাহাড়, বন, নদী, খাল ও সরকারি খাস জমি দখলকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

‘টেকনাফে নাফ নদে জেলেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সর্বোপরি টেকনাফ-উখিয়ার শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে, শিক্ষার মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

সংগঠনের আরেক সদস্য ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমরা আর শেখ হাসিনার ওসি প্রদীপের যুগে ফিরে যেতে চাই না। আমরা উখিয়া ও টেকনাফের মানুষের নিরাপত্তা চাই।’

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দশটি দাবি উত্থাপন করেন। সেগুলো হলো:

১. সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিকে অস্ত্র দিয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করতে হবে এবং তদন্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দিতে হবে।

২. টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তদন্তের স্বার্থে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. উখিয়া ও টেকনাফে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।

৪. সন্ত্রাস, মাদক, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি নির্মূলে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে এবং একজন অফিসার এক বছরের বেশি যেন দায়িত্বে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. উখিয়া ও টেকনাফে আগে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. উখিয়া ও টেকনাফের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

৮. প্রশাসনের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৯. রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান করতে হবে।

১০. কাউন্সিলর একরামসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ড তদন্তের উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ ওঠে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। আদালত ওই শিশুর জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাউসিফুল করিম রাফি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (২) রেজাউল করিমের ছেলে এবং হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় তার বাবাকেও আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
আওয়ামী লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
ঢাবি ছাত্রদল থেকে ৬ নেতাকে অব্যাহতি
ঢাবিতে হাসিনা কাদের ইনু মেননের প্রতীকী ফাঁসি
ঢাবিতে হামলা: শেখ হাসিনাসহ ৩৯১ জনের নামে মামলা

মন্তব্য

শিক্ষা
Students lock the office to demand the resignation of Bobby Vice Chancellor

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
জুলাই-বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ না করা এবং বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ তুলে বুধবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন। এজন্য তারা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেন।

আল্টিমেটামে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্য কার্যালয়ের লোকজনকে বের করে দিয়ে দুটি কলাপসিবল গেট তালবদ্ধ করে রাখেন।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপাচার্যের নামফলক তুলে দিয়ে কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে দেন শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

জুলাই-বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ না করা এবং বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ তুলে বুধবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন। এজন্য তারা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামেন এবং উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেন।

এদিকে উপাচার্য মঙ্গলবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখলেও সাংবাদিকদেরকে তিনি এড়িয়ে চলছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. মোকাব্বেল শেখ বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের পদত্যাগের আল্টিমেটাম ছিলো। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। আজকে আমরা তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। দাবি আদায়ে এরপর ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব সংগঠনের সমন্বয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, ‘আল্টিমেটামে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। তিনি দ্রুত পদত্যাগ না করলে এরপর আমরা উপাচার্যের বাংলো ঘেরাও করব।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ববি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরিফ বলেন, ‘এই উপচার্য আওয়ামী দোসরদের পুর্নবাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবশেষ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার বিরোধিতা সত্ত্বেও বিতর্কিত ব্যক্তিকে ট্রেজারার হিসেবে যোগদানে সহযোগিতা করেছে উপাচার্য।

‘এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজই সময়মতো করেন না। তিনি তার নিজের গতিতে চলেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা সময়মতো পরীক্ষার রেজাল্ট পাচ্ছেন না, মেডিক‍্যালে গেলে ‌ওষুধ মিলছে না। সার্বিক বিষয় মিলে আমরা উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন করছি। আজ আমরা সব শিক্ষার্থী মিলে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছে। বিষয়টি আমরা অবগত আছি।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Batch System Admission Last meeting without decision

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ বৈঠক

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ফাইল ছবি
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে তুলনামূলক বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়। আবার নতুন প্রতিষ্ঠিত এবং তুলনামূলক কম শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি থাকবে কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

উপাচার্যদের পক্ষ থেকে দুই ধরনের মতামত আসায় শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দুই পক্ষের মধ্যকার বৈঠক শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে তুলনামূলক বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়। আবার নতুন প্রতিষ্ঠিত এবং তুলনামূলক কম শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেয়।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযাগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা খান জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পাওয়া বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, বৈঠকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে অংশ নেয়া উত্তরাঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্যরা বিভক্ত। ফলে সিদ্ধান্ত হয়নি।

‘বিষয়টি প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ও ছাত্র উপদেষ্টাদের কাছেও যেতে পারে। তা ছাড়া ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতামতও নেয়া হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ৪ নভেম্বর থেকে, পরীক্ষা শুরু ৪ জানুয়ারি
নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জবি
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২০ অক্টোবর
কৃষি গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর

মন্তব্য

শিক্ষা
Instructing job students to exercise restraint

জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা

জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা
প্রক্টর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক দিনে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন:
শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের
পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

মন্তব্য

শিক্ষা
Kabi Nazrul and Suhrawardy College announced to be closed

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত এই দুই কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজে দুদিন এবং কবি নজরুল কলেজে একদিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত কবি নজরুল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজে দুদিন এবং কবি নজরুল কলেজে একদিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোমবার সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় সোমবার বিকেলে কলেজ বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার অধ্যক্ষের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কলেজের সব শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

তবে বন্ধের নোটিশ উপেক্ষা করেই সোমবার সকাল থেকে কলেজ গেটে অবস্থান নিয়ে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুলসহ সাত কলেজের হাজারও শিক্ষার্থী ডেমরায় অবস্থিত মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষার সময়সূচি থেকে আগামী ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। স্থগিতকৃত পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগির ঘোষণা করা হবে। পূর্বঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে।

আরও পড়ুন:
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে রক্তপাত হতো: আসিফ মাহমুদ
তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বহু আহত, হাসপাতালে ৬৩
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকা ‘রণক্ষেত্র’
ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ৩৫ কলেজের ছাত্রদের ঘেরাও ভাঙচুর
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৩৭ জন ঢামেকে

মন্তব্য

শিক্ষা
63 injured in three college student clashes in hospital

তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বহু আহত, হাসপাতালে ৬৩

তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বহু আহত, হাসপাতালে ৬৩ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (উপরে) ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং ৩০ জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং ৩০ জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

পুরান ঢাকায় অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়।

এক পর্যায়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুপক্ষে অনেকে আহত হন।

আহতদের মধ্যে ৩৩ জন দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢামেকে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- হাসিনুর রহমান, রাজিব, অনুপম দাস শাহেদুল, নোমান, শাহিদুল হুমায়ুন, ইসলাম, ফারুক, রানা, আরাফাত, সুমন, মারুফ, রুমান, মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, মিনহাজ হোসেন নাফি, গুলিবিদ্ধ আব্দুর রহমান তুহিন, মোহাম্মদ রোহান।

চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের মধ্যে ১৭ জন টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা বিনা টিকিটে গণ হারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৩ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৩০ জন। তারা সবাই কবি নজরুল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

তাদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তারা হলেন- নাইম, সিয়াম, মোল্লা সোহাগ, রাজিম, শরিফুল, জাহিদ, মোস্তফা, রাতুল, শফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, সজিব বেপারী, ফয়সাল, সাগর, ইমন ও সিয়াম।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে আহত প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী এসেছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। তাদের সেখানে ভর্তি হতে হবে। এখানে জরুরি বিভাগে ভর্তি আহতদের পর্যবেক্ষণে রেখে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকা ‘রণক্ষেত্র’
সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ৩৫ কলেজের ছাত্রদের ঘেরাও ভাঙচুর
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৩৭ জন ঢামেকে

মন্তব্য

p
উপরে