× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
An even grimmer picture after half the company took the floor
google_news print-icon

অর্ধেক কোম্পানির ফ্লোর তোলার পর আরও করুণ চিত্র

অর্ধেক-কোম্পানির-ফ্লোর-তোলার-পর--আরও-করুণ-চিত্র-
যে ১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে ১০ টাকার নিচের শেয়ারের দরপতন সম্ভব নয়। আবার গত কয়েকদিনে যেসব কোম্পানির দর বেশি হারে কমছিল, সেগুলোর দর এদিন কমতে পেরেছে এক শতাংশের কম। এসব কোম্পানির বেশ কিছুর দর পুঁজিবাজারের মন্দার মধ্যেও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ফলে ফ্লোর প্রত্যাহারেও মূলত লাভবান হয়েছে এসব কোম্পানি।

১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন কমল আরও। বৃহস্পতিবার যে লেনদেন হয়েছে, তা গত দুই বছরেও দেখেনি বিনিয়োগকারীরা।

সারাদিনে লেনদেন হয়েছে ২২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার। চলতি বছরের তো বটেই, ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর এত কম লেনদেন কখনও দেখেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

সেদিন লেনদেন হয়েছিল ২২৫ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকা।

চলতি বছর সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল গত ৬ ডিসেম্বর। সেদিন হাতবদল হয় ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

অর্ধেকের কিছু বেশি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত আসার দিন লেনদেন ছিল ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১০৫ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৩১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

পাঁচ কর্মদিবস পর সূচকের পতন থামল। দিনের শুরুতে সূচক কমে গেলেও শেষ বেলায় বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে।

বেড়েছে মোট ৫২টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১০১টির। ফ্লোর প্রাইসে আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৫২টি কোম্পানির। ফ্লোর প্রাইসে গত কয়েক মাসে এটিই সবচেয়ে কম সংখ্যক কোম্পানি দেখা গেছে। এদিনও ৮১টি কোম্পানির একটি শেয়ারেরও লেনদেন হয়নি।

করোনার কারণে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়ার ঘোষণায় বাজারে যে আতঙ্ক ছিল, এখনকার পরিস্থিতি তার চেয়ে খারাপ। এই বিধিনিষেধে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন শঙ্কায় তার আগের দিন হাতবদল হয় হাতবদল হয় কেবল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তবে লেনদেন চলবে, এমন ঘোষণার পর পরদিন থেকে ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কার মধ্যে গত জুলাইয়ে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের মধ্যে ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়।

অর্ধেক কোম্পানির ফ্লোর তোলার পর  আরও করুণ চিত্র
১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়ে দরপতনের সীমা এক শতাংশ করে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ডিএসইর লেনদেনের চিত্র

করোনার সময় ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক হলেও এবারের চিত্রটি অন্য রকম। শুরুর দুই মাস বাজারে লেনদেন ও সূচক বাড়লেও তা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না। সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি কোম্পানির দর বাড়লেও বেশির ভাগ কোম্পানির লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কা, দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরও যখন কমতে থাকে, তখন লেনদেনও নামতে থাকে।

কিন্তু ফ্লোরের বাধায় লেনদেন যে কমে যাচ্ছে, সেটি স্পষ্ট। এই মুহূর্তে তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোরে অবস্থান করছে। বুধবার ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসার দিন একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি ১০২টি কোম্পানির। ২০৩টি কোম্পানির লেনদেন হলেও তা ছিল নামমাত্র। এই দুই শতাধিক কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন ছিল ছয় কোটি টাকার কিছু বেশি।

একপর্যায়ে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিএসইসির কাছে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার দাবি জানালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সুবিধা বহাল থাকবে। শেষমেশ সেই অবস্থান থেকে সরতে হলো তাদের।

তবে এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে ১০ টাকার নিচের শেয়ারের দরপতন সম্ভব নয়।

কোম্পানিগুলোর এদের সম্মিলিত মূলধন মোট বাজার মূলধনের ৫ শতাংশ মাত্র। ফলে এদের নূন্যতম দরপতনে সূচকে তেমন প্রভাব পড়ার কোনো কারণ ছিল না।

তবে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনে যেসব কোম্পানির দর বেশি হারে কমছিল, সেগুলোর দর এদিন কমতে পেরেছে এক শতাংশের কম। এসব কোম্পানির বেশ কিছুর দর পুঁজিবাজারের মন্দার মধ্যেও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ফলে ফ্লোর প্রত্যাহারেও মূলত লাভবান হয়েছে কোম্পানিগুলো।

বিশ্লেষক মত

দিয়েছি ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষ এখনও অবজার্ভ করছে। সার্কিট ব্রেকার শতাংশ কমার কারণে কী হয় সেটা দেখছে। নতুন সিদ্ধান্ত মার্কেট অ্যাবজর্ব করতে পারে কি-না, কী হয়, তা দেখতে চাচ্ছে।

‘যদি মার্কেট ডাউন ট্রেন্ডে চলে যায়, এবং বর্তমান দর থেকে ১০ বা ২০ শতাংশ কমে যায় তাহলে রিজনেবল প্রাইসে শেয়ার কেনার জন্য হয়তো বায়ার দাঁড়িয়ে যাবে।’

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘১ শতাংশ সার্কিট দিয়ে ১৬৯টির ফ্লোর তোলা হয়েছে। ইম্প্যাক্ট এত তাড়াতাড়ি আসা করা যায় না। আর যে ফ্লোর প্রাইসে শেয়ার কিনতে আগ্রহী না সে ১ শতাংশ কমে কি আগ্রহী হবে? হবে না।

‘বাজারকে কোনো কিছু দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা ঠিক না। স্বাভাবিকভাবে চলতে দিলে প্রত্যেকটা শেয়ার রিজনেবল প্রাইসে বাজার খুঁজে নেবে। শেয়ারের প্রকৃতি অনুযায়ী ১০, ২০, ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি কমে সেটা হতে পারে।’

বেশি বাড়ল যাদের দর

একটি মাত্র কোম্পানির দর দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। এটি হলো নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় কর্মদিবসে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেল। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সা। তবে এই দরে বিক্রেতা ছিল না বললেই চলে। হাতবদল হয়েছে কেবল ৫৪০টি শেয়ার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ফ্লোর প্রত্যাহার করে নেয়া কোম্পানি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। ৮.৯ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে দর দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা যেহেতু এক শতাংশ, তাই আসলে এটির দাম আর কমতে পারবে না।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬.৮৭ শতাংশ দর বেড়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের।

ফ্লোর তুলে দেয়া সোনালী আঁশের দর বেড়েছে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৫.৪৫ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৪৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৮ টাকা।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.১১ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৫২ টাকা ৮০ পযসা। বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা।

ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের দর ৫.০২ শতাংশ, সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.৭৯ শতাংশ, অষ্টম স্থানে থাকা সি পার্ট হোটেল ও রিসোর্টের দর ৪.৪৯ শতাংশ বেড়েছে।

নবম স্থানে ছিল ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া মুন্নু অ্যাগ্রোর দর। এটির বেড়েছে ৪.৩০ শতাংশ। আর দশম স্থানে ছিল ফ্লোর প্রত্যাহার করে নেয়া জুট স্পিনার্সের দর, যা বেড়েছে ৪.২৯ শতাংশ।

সর্বোচ্চ পতন যাদের

সবচেয়ে বেশি ৭.৪৯ শতাংশ দর হারিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের দর। আগের দিন দর ছিল ৫৭১ টাকা ১০ পয়সা। নামতে পারত ৫২৮ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত। কমেছে এতটাই।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪.৭৮ শতাংশ দর হারিয়েছে ফরচুন সুজ। আগের দিন দর ছিল ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩.৯০ শতাংশ দর হারিয়েছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। আগের দিন দর ছিল ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা।

এছাড়া কোহিনূর ক্যামিকেলসের দর ২.৩২ শতাংশ, এটলাসের দর ২.০৬ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের দর ১.৯০ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকদের দর ১.৬৫ শতাংশ, ফ্লোর প্রত্যাহার করা তিন কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের দর এক শতাশং, দেশ গার্মেন্টসের দর ০.৯৯ শতাংশ এবং ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দর কমেছে সমান হারে।

সূচকে প্রভাব বেশি যাদের

সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে বিকন ফার্মা। শেয়ারদর ২.০৪ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১.৮৩ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্ব্চোচ ১.৩৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে শেয়ারদর ৪.৪৯ শতাংশ বাড়া সি পার্ল হোটেল।

আর কোনো কোম্পানি সূচকে এক পয়েন্টও যোগ করতে পারেনি। এর মধ্যে এডিএন টেলিকম ০.৪৮ পয়েন্ট, অলিম্পিক ০.৪১ পয়েন্ট, ইন্ট্রাকো ০.৩৬ পয়েন্ট, বসুন্ধরা পেপার ০.৩৩ পয়েন্ট, ইউনিক হোটেল ০.২৪ পয়েন্ট, ইস্টার্ন কেবলস ০.২১ পয়েন্ট, বিডিথাই ফুড এবং বিজিআইসি বাড়িয়েছে ০.২০ পয়েন্ট করে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে সূচকে যোগ করেছেন ৫.৬১ পয়েন্ট।

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সূচক কমিয়েছে এমন ১০টি কোম্পনির কারণে সূচক পড়েছে মোট ৪ পয়েন্ট।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.১৯ পয়েন্ট সূচক ফেলেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। অন্য কোনো কোম্পানি এক পয়েন্ট কমাতে পারেনি। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফরচুর সুজ ০.৮৪ পয়েন্ট, কোহিনূর ক্যামিকেলস ০.৩৪ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংক ০.২৮ পয়েন্ট, ওয়ান ব্যাংক ০.২৭ পয়েন্ট, বেক্সিমেকো ফার্মা ০.২৪ পয়েন্ট, ইসলামী ব্যাংক ০.২২ পয়েন্ট, কপারটেক ০.১৩ পয়েন্ট, ওরিয়ন ফার্মা ০.১৩ পয়েন্ট ও মুন্নু সিরামিকস ০.১১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।

আরও পড়ুন:
ফ্লোরের ‘বাধা’ ভাঙার চেষ্টা শুরু?
বিএসইসি-আইএমএফ বৈঠকের এজেন্ডায় ‘ফ্লোর প্রাইস নেই’
আরও একগুচ্ছ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
৯ মাসে মুনাফা ১৪ কোটি, ৩ মাসে লোকসান ৩৬ কোটি
আয় বাড়লেও তালিকাভুক্তির পর এস্কয়ার নিটের সর্বনিম্ন লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Appointment of Observer on the Board of Directors in Progressive Life Insurance

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ
সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদকে এ পদের নিয়োগ দেয়া হয় বলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদকে এ পদের নিয়োগ দেয়া হয় বলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, প্রগ্রেসিভ লইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বীমাদাবি যথাসময়ে পরিশোধ না করায় প্রতিনিয়ত গ্রাহকরা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষে অভিযোগ দাখিল করেছে। বীমাদাবি সমসয়মতো পরিশোধ না করার জন্য গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে এবং বীমা শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সব বিষয় কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হওয়ায় কোম্পানির পরিচালনাগত স্বচ্ছতা উন্নয়নের মাধ্যমে বীমা গ্রাহকদের বীমাদাবি পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্য্ক। এ লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদকে পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হলো।

আরও পড়ুন:
৭ কার্যদিবসের মধ্যে জাহিনটেক্সের আয়করের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আনছে ২০০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড
মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়াল বিএসইসি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Order to provide income tax information to Zahintex within 7 working days

৭ কার্যদিবসের মধ্যে জাহিনটেক্সের আয়করের তথ্য দেয়ার নির্দেশ

৭ কার্যদিবসের মধ্যে জাহিনটেক্সের আয়করের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
আয়কর নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশনা এসেছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট কপি ও ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিটের তথ্য চেয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আয়কর নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশনা এসেছে।

এনবিআরে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল জানিয়েছে, এনবিআরের আয়কর বিভাগে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দাখিল করা ডকুমেন্টসে ডিএসইতে দেয়া তথ্যের সঙ্গে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

ইন্টেলিজেন্স সেল বলছে, এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ওই দুই অর্থবছরের ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট কপি ও ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিটের তথ্য চেয়েছে বিএসইসি। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

গত ১১ মে বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির জন্য প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা (প্রিমিয়াম ১৫ টাকা) করে ইস্যুর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।

ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে আসা এই কোম্পানিটি এখন শোচনীয় অবস্থায়। এতে আইপিও পূর্ব ৬ মাসের ৩.০৫ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা এখন চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে লোকসান শেয়ারপ্রতি ৩.০৮ টাকা।

আরও পড়ুন:
ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আনছে ২০০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড
মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়াল বিএসইসি
সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capitec Asset Management brings in Rs 200 crore mutual fund

ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আনছে ২০০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড

ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আনছে ২০০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড-এর স্পন্সর গ্রামীণ ব্যাংক, ফান্ডের ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তিপত্র বিনিময়। ছবি: সংগৃহীত
রোববার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফান্ডের উদ্যোক্তা গ্রামীণ ব্যাংক এবং ফান্ডের ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ২০০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আনবে। ফান্ডটির নাম- ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড।

এটি হবে একটি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড। ফান্ডটির উদ্যোক্তা দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। আলোচিত ফান্ডের ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি)।

রোববার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফান্ডের উদ্যোক্তা গ্রামীণ ব্যাংক এবং ফান্ডের ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

একই দিনে ফান্ডের স্পন্সর গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডও একটি চুক্তি সই করেছে।

ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চুক্তি সম্পাদন ও চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার সুমিত পাল, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম সাইফুল মজিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোসলেহ উদ্দীন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মানব সম্পদ ও সেবা ব্যবস্থাপনা) মো. ছাইদুজ্জামান ভূঞা, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) প্রদীপ কুমার সাহা, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ আহমেদুর রহমান এবং উপমহাব্যবস্থাপক মো. শরকিুল আনামসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড হবে ক্যাপিটেক অ্যাসেট পরিচালিত চতুর্থ মিউচুয়াল ফান্ড। প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে তিনটি বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করছে। তালিকাভুক্ত হলে আকারের দিক থেকে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড হবে দ্বিতীয় বৃহত্তম মিউচুয়াল ফান্ড।

জানা গেছে, বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড হবে একটি বর্ধিষ্ণু ফান্ড। এই ফান্ডের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ক্যাপিটাল গেইন ও নগদ লভ্যাংশের সমন্বিত আয়ের উপর ভিত্তি করে ঝুঁকি সামঞ্জস্যপূর্ণ আয় করা এবং পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারে অনুমোদিত উপকরণগুলোতে বিনিয়োগ করে ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ প্রদান করা।

আরও পড়ুন:
মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়াল বিএসইসি
সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transactions with the index decreased by 87 crores

সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে ৮৭ কোটি

সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে ৮৭ কোটি ফাইল ছবি
ডিএসইতে ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৮৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকার।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সঙ্গে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন প্রায় ৮৭ কোটি টাকা কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।

দিন শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৬১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ০৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৬৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, দর কমেছে ৬৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৫টির।

ডিএসইতে ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৮৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকার।

অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে।

সিএসইতে ১৯০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির এবং ৯৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন:
লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি নিয়ে অর্থবছর শুরু
লেনদেন ভারসাম্যে ১৮.৭০ বিলিয়নের রেকর্ড ঘাটতি
অর্থনীতির সব সূচকেই স্বস্তি দেখছে সরকার
বিলাস পণ্যের আমদানিতে লাগাম
জানুয়ারিতে কার্ডে লেনদেন ২৬ হাজার কোটি টাকার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BSEC increased margin lending facility

মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়াল বিএসইসি

মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়াল বিএসইসি
‘এ’ ক্যাটাগরির ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্র জানিয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা রয়েছে, সেসব শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) যদি ৫০ পর্যন্ত হয় তাহলেও মার্জিন ঋণ সুবিধা পাওয়ার বিধান রেখে সম্প্রতি নির্দেশনা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাস বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ওই নির্দেশনায় কিছুটা পরিবর্তন এনে বুধবার জারি করা নতুন নির্দেশনায় সংস্থাটি বলছে, ওইসব ভালো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা হলেও তারা মার্জিন ঋণ সুবিধা পাবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্র জানিয়েছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পিই রেশিও ৪০-এর বেশি থাকা শেয়ারকে মার্জিন ঋণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করবে না স্টক এক্সচেঞ্জ। একই সঙ্গে স্টক ব্রোকাররা তাদের গ্রাহকদের এ ধরনের শেয়ার কেনায় মার্জিন ঋণ দেবে না। তবে যেসব কোম্পানির শেয়ার টানা তিন বছর ধরে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছে এবং যাদের পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা, সেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও ৫০ পর্যন্ত মার্জিন ঋণের সুবিধা পাবে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত কমিশনের জারি করা আগের নির্দেশনাগুলোর কার্যকারিতা রদ করা হয়েছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ভালো ও মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। এসব শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই এবং বাজারে এগুলোর লেনদেন হয় না বললেই চলে। তাই এসব মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে পিই রেশিও ৫০ পর্যন্ত মার্জিন ঋণ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ৩০ কোটির ওপরে যেসব ‘এ’ ক্যাটাগরির ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির আছে, যারা ডিভিডেন্ড দেয়, সেসব কোম্পানিতে যারা মার্জিন লোন নিয়ে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের সুবিধার্থে পিই রেশিও ৪০ থেকে ৫০ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সিকিউরিটিজগুলোর ডিমান্ড কিছুটা বাড়বে বলে প্রত্যাশা।’

আরও পড়ুন:
সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের
পুঁজিবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Islami Banks net profit after tax increased

কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের

কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লোগো। ফাইল ছবি
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে এ মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮ শতাংশের বেশি।

ব্যাংকটির সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ প্রতিবেদনের আলোকে সবশেষ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে এ মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।

সবশেষ হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরে এটি ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২১ পয়সায়। আগের হিসাব বছরে এটি ছিল ৪০ টাকা ৮২ পয়সায়।

এদিকে এ বছরের ২২ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে ব্যাংকটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ মে।

সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’।

২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ ঋণমান নির্ধারণ করে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

১৯৮৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ৯৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৫৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার। এ ছাড়া ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১০ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। আর ওই দিন শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৩৩ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা ও ৩৬ টাকা।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৮ দশমিক ৫৬।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The highest transaction of the year in the capital market

পুঁজিবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

পুঁজিবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন ফাইল ছবি
চলতি বছরে ঢাকার পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় গত ১৮ জানুয়ারি। সেদিন ডিএসইতে ৯৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বুধবার  ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।

ঈদুল ফিতরের পরে দেশের পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনন্দিন লেনদেনের দিকে তাকালেই তা বোঝা যাচ্ছে। টানা নয় কার্যদিবস সূচক বাড়ার পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন ৯৬৭ কোটি ছাড়িয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন।

এর আগে চলতি বছরে ঢাকার পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় গত ১৮ জানুয়ারি। সেদিন ডিএসইতে ৯৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বুধবার ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।

বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। এদিন সূচক কমার তালিকায় নাম লেখায় ডিএসই৩০। এই সূচকটি ৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই ছিল ২১০টি, দাম বেড়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৯টি এবং দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় ৬২টি প্রতিষ্ঠান।

অপরদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা শেয়ার। আগের দিন বুধবার ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টি, কমেছে ৪৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৮টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।

আরও পড়ুন:
বোনাস লভ্যাংশ বিতরণে দুই ব্যাংককে অনুমোদন
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে
পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান
শেষ কর্মদিবসে সূচক ও লেনদেনে উত্থান

মন্তব্য

p
উপরে