দ্বিতীয় দফা ফ্লোর প্রাইস আরোপের প্রায় পাঁচ মাস পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যেসব কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর উঠিয়ে দিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিমা খাতের কোম্পানি।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর পরের অবস্থানে বস্ত্র, তার পরে খাদ্য এবং আর্থিক খাতের অবস্থান।
পুঁজিবাজারের লেনদেন তলানিতে নামার পর বুধবার এই ১৬৯ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করে বিএসইসি জানায়, এগুলোর শেয়ারদর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারলেও এক দিনে কমতে পারবে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ। এর ফলে যেগুলোর শেয়ারদর ১০ টাকার নিচে, সেগুলোর দাম আসলে কমতে পারবে না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সবচেয়ে কম, এমন কোম্পানি তারা বেছে নিয়েছেন। তাদের সম্মিলিত বাজার মূলধন পুঁজিবাজারের বাজার মূলধনের ৫ শতাংশের মতো।
অব্যাহত দরপতনের মুখে গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেয়া হয়। করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের মার্চেও দরপতন ঠেকাতে একই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
সে সময় ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারে প্রাণ ফেরাতে পারলেও এবারের চিত্রটি ভিন্ন। অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে লাফ দিলেও তিন শরও বেশি কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোরে পড়ে ছিল। এক পর্যায়ে লেনদেন নেমে আসে করোনাকালের সমান।
এই অবস্থায় প্রথম ধাপে অর্ধেকের বেশি কোম্পানির ফ্লোর তোলা হলো। ২০২১ সালেও এভাবে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তোলা হয়েছিল।
বিমা খাত
ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিমা খাতে আছে সবচেয়ে বেশি ৩৭টি।
এর মধ্যে সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানির সংখ্যা ৩১টি। এগুলো হলো: ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, নিটোল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
জীবন বিমা খাতের কোম্পানি আছে আরও ছয়টি। এগুলো হলো: প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নতুন তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। মোট ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩৬টিরই ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে।
এর মধ্যে আবার বেশি আইসিবি পরিচালিত ফান্ড আছে ১৩টি। এগুলো হলো: প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড স্কিম ওয়ান, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেজ জুবিলি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত ফান্ড আছে নয়টি। এগুলো হলো: এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ফান্ড আছে চারটি। এগুলো হলো: ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড- ওয়ান।
অন্যান্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির ফান্ড আছে ১০টি। এগুলো হলো: এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়া ফান্ড; সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড; ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্ডস ফান্ড; এশিয়ান টাইগার সন্ধ্যানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড; রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
বস্ত্র খাত
এই খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে ২৬টির।
কোম্পানিগুলো হলো: দুলামিয়া কটন, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, তুংহাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, আনলিমা ইয়ার্ন, জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং মিলস, নুরানী ডায়িং, তাল্লু স্পিনিং, এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং, দেশ গার্মেন্টস, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেল্টা স্পিনার্স, জাহিন স্পিনিং, স্টাইলক্রাফট, ঢাকা ডায়িং, প্রাইম টেক্সটাইল, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, ইভিন্স টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, হামিদ ফেব্রিক্স, রহিম টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস ও সায়হাম টেক্সটাইল।
প্রকৌশল খাত
এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে ১৬টির।
এগুলো হলো: আজিজ পাইপস, বিডি অটোকারস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, বিডি ওয়েল্ডিং, ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোড, ইয়াকিন পলিমার, কেঅ্যান্ড কিউ, আরএফএল, আরএসআরএম, নাভানা সিএনজি, অলিম্পিক অ্যাকসেসোরিজ, রেনউইক যগেশ্বর, বিডিথাই অ্যালুমিনিয়ম, ডোমিনেজ স্টিল ও মুন্নু অ্যাগ্রো।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত
এই খাতের ২১ কোম্পানির মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে ১০টির।
কোম্পানিগুলো হলো: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, শ্যামপুর সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার মিলস, ফাইন ফুডস, বঙ্গজ, বিচ হ্যাচারি, এপেক্স ফুডস, এমারেল্ড অয়েল ও প্রাণ।
আর্থিক খাত
এই খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা মোট ২৩টি। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে ১০টির।
কোম্পানিগুলো হলো: ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও মাইডাস ফাইন্যান্সিং।
বিবিধ খাত
এই খাতে ১৪টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠেছে ৯টির।
কোম্পানিগুলো হলো: সাভার রিফ্রাকটরিজ, জিকিউ বলপেন, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ওসমানিয়া গ্লাস, খান ব্রাদার্স পিপিওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, অ্যারামিট লিমিটেড ও এস কে ট্রিমস।
ওষুধ ও রসায়ন খাত
এই খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৪টি। এর মধ্যে ফ্লোর উঠে গেল পাঁচটি কোম্পানির। এগুলো হলো: ইমাম বাটন, লিব্রা ইনফিউশনস, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস।
তথ্য প্রযুক্তি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস থাকছে না চারটির। কোম্পানিগুলো হলো: ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ইনটেক, অগ্নি সিস্টেমস ও বিডিকম অনলাইন।
পাট খাত
এই খাতে তালিকাভু্ক্ত কোম্পানি তিনটি। এর কোনোটিরই ফ্লোর প্রাইস থাকছে না। কোম্পানিগুলো হলো জুট স্পিনার্স, নার্দান জুট ও সোনালী আঁশ।
চামড়া খাত
এই খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ছয়টি। ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে তিনটির। কোম্পানিগুলো হলো সমতা লেদার, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও এপেক্স ট্যানারি।
কাগজ ও প্রকাশনা
এই খাতের কোম্পানির সংখ্যা মোট ছয়টি। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠে গেল তিনটির। কোম্পানিগুলো হলো: খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, হাক্কানি পাল্প ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
সিমেন্ট খাত
এই খাতে তালিকাভুক্ত মোট সাতটি কোম্পানি। এর মধ্যে ফ্লোর থাকছে না দুটির। এগুলো হলো: অ্যারামিট সিমেন্ট ও মেঘনা সিমেন্ট মিলস।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত
এই খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস থাকছে না দুটির। কোম্পানিগুলো হলো: ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ও জিবিবি পাওয়ার।
আরও তিন খাতের একটি করে
এছাড়া সেবা ও আবাসন খাতের বাংলাদেশ সার্ভিসেস, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সমরিতা হসপিটাল এবং সিরামিক খাতের স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের ফ্লোর প্রাইস উঠে গেছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য