ব্যাংক খাত নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ বেড়েই চলেছে। আর কয়েক বছর ধরে বাড়তে বাড়তে তা এখন পৌনে ৩ হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই হতে যাচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ব্যাংকগুলোর এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা শেষ হয়েছে। তবে বার্ষিক সাধারণ সভা করে লভ্যাংশ চূড়ান্ত করে সেটি বিতরণ শুরু হয়েছে কেবল।
তবে ঘোষিত লভ্যাংশ পরিবর্তনের ইতিহাস নেই বললেই চলে। ঘোষিত লভ্যাংশই যদি বিতরণ করা হয়, তাহলেও এবার ব্যাংকগুলো তার শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করবে মোট ২ হাজার ৬৯১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৭৮৮ টাকা।
এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক একাই প্রায় ২০০ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যেটি সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পৌনে ২০০ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে ব্যাংক এশিয়া।
কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ এতটাই ভালো আসছে যে এখন ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা রাখলে যে হারে সুদ পাওয়া যায়, বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ার কিনে রাখলে তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়। সঙ্গে আসে বোনাস শেয়ারও। নতুন শেয়ার যোগ হওয়ায় যাতে শেয়ারের ক্রয়মূল্য ক্রমেই কমে আসে আর এ কারণে পরের বছরগুলোতে একই হারে নগদ লভ্যাংশ পেতে থাকলে লভ্যাংশের ইল্ড বেশি আসে।
২০২০ সালে ব্যাংকগুলো প্রথমবারের মতো আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যাংক বোনাস শেয়ার ও কিছু ব্যাংক নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।
ওই বছর সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫১০ কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৪ টাকা বিতরণ করা হয়েছিল।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩টি ব্যাংক। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আটটি ব্যাংক কেবল নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, আগের বছর এই সংখ্যাটি ছিল সাত।
মোট ১৮টি ব্যাংক নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছরও ১৮টি ব্যাংক নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
এ বছর মোট পাঁচটি ব্যাংক কেবল বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে, যা আগের বছর সংখ্যাটি ছিল চার।
গত বছরের মতোই একটি ব্যাংক এবারও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর একটি ব্যাংক লভ্যাংশসংক্রান্ত সভার কথা জানালেও সভার সিদ্ধান্ত কী, সেটি বিজ্ঞপ্তি আকারে আসেনি।
এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে মোট তিনটি ব্যাংক। এর মধ্যে এই পরিমাণ নগদের সঙ্গে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দিয়েছে একটি ব্যাংক।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে দুটি ব্যাংক।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ নগদের পাশাপাশি সমপরিমাণ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে একটি ব্যাংক।
চতুর্থ সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ছয়টি ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে দুটি আবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। আর বাকিগুলোর মধ্যে তিনটি ব্যাংক বোনাসের পাশাপাশি দিয়েছে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার। একটি ব্যাংক কেবল এই পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
২০১০ সালের মহাধসের পর ব্যাংকের শেয়ারদর ব্যাপকহারে কমে যায়। সেগুলো আর ফিরে পাওয়া যায়নি। এক যুগ ধরে বোনাস শেয়ার যোগ হওয়ার পরেও অনেক বিনিয়োগকারী এখনও লোকসানে। অবশ্য বেশ কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে অবশ্য বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের কারণে লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে ২০১৬ সালের পর থেকে ব্যাংকের শেয়ার কিনে যারা ধরে রেখেছেন, তাদের মধ্যে বেশির ভাগ শেয়ারধারীই বেশ লাভবান হয়েছেন।
তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার নিয়ে অনীহা আছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবু আহমেদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ভালো ডিভিডেন্ড দেয়ার পরেও মানুষ ব্যাংকের শেয়ার কেনেন না। দেখা যায়, একটা ব্যাংক সাড়ে ২২ শতাংশের মতো লভ্যাংশ দিচ্ছে, অথচ বিনিয়োগ করছেন না মানুষ, শেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ ভয়ে বিনিয়োগ করতে আসেন না। জুজুর ভয়। আসলে এটা তো টেকনিক্যাল মার্কেট। জানতে হয় অনেক। ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির প্রয়োজন আছে। আমাদের বিনিয়োগকারীদের মাঝে তা কম, এমনকি যারা এই মার্কেটে আছেন তাদের মধ্যেই ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির অভাব আছে।
‘না জানার কারণে লাফালাফি করে। আজ এই শেয়ার তো কাল ওই শেয়ার। এভাবে লাফালাফি করে হাত-পা ভাঙে (লোকসান)। এরপর বাজার থেকে চলে যায়। যার কারণেই বাজারে লিক্যুইডিটি সংকট দেখা দেয়।
‘আরও একটা অংশ আছে যারা সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারী। তারা এই দিকে আসেন না। আবার এখানে যারা বিনিয়োগ করে ভালো লাভ করেন তারা ওইদিকে যান না। আমাদের বাজারে ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের সংখ্যা খুবই কম, কিন্তু যেগুলো আছে সেগুলোতেও বিনিয়োগে লিটারেসি প্রয়োজন। লিটারেসি না থাকার কারণে জুজুর ভয় কাজ করে।’
নগদে লভ্যাংশের প্রবণতা কয়েক বছর ধরে
২০১৯ সালের বাজেটে কর প্রস্তাবের পর। তখন বলা হয়, কোনো কোম্পানি নগদ লভ্যাংশের সমপরিমাণ বোনাস দিলে বোনাসের ওপর কর দিতে হবে না। আর শুধু বোনাস দিলে অথবা নগদ লভ্যাংশের চেয়ে বেশি বোনাস দিলে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
এই বিধানের পর ২০২০ সাল থেকেই ব্যাংকগুলো বোনাসের সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ দিতে থাকে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংকের হাতে নগদ টাকা রাখার সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোকে কেবল বোনাস শেয়ার দিতে বাড়তি করারোপের শর্ত থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তার পরও কোম্পানিগুলো বোনাসের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করে।
কেবল নগদ লভ্যাংশ যাদের
প্রাইম ব্যাংক শেয়ারপ্রতি বিতরণ করবে ১ টাকা ৭৫ পয়সা বা সাড়ে ১৭ শতাংশ। এই ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা ১১৩ কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৭টি। এই ব্যাংকটি বিতরণ করবে ১৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪ টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে ১৫ শতাংশ। এই ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬০টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে মোট ১৭৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ টাকা।
১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে বিতরণ করবে ইসলামী ব্যাংক। অর্থাৎ এই ব্যাংকটির বিনিয়োগকারীরা পাবেন শেয়ার সংখ্যার সমান ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ টাকা।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি দেড় টাকা করে বিতরণ করবে। এই ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা মোট ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৮৫টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংকও দেবে ইসলামী ব্যাংকের মতো শেয়ারপ্রতি ১ টাকা। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪ টাকা।
যমুনা ব্যাংকের লভ্যাংশের হারও প্রাইম ব্যাংকের সমান, শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা তুলনামূলক কম। এই সংখ্যাটি হলো ৭৪ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে ১৩১ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।
পূবালী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি দেবে ১ টাকা ২৫ পয়সা। ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা ১০২ কোটি ৮২ লাখ ৯৪ হাজার ২১৯টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে মোট ১২৮ কোটি ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
ঢাকা ব্যাংক বিতরণ করবে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা। এই হিসাবে ব্যাংকটির বিনিয়োগকারীরা পাবেন মোট ১১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭০৪ টাকা ৮০ পয়সা।
নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ যেসব ব্যাংকের
নগদ ও বোনাস মিলিয়ে যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে নগদে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করবে সিটি ব্যাংক। এই ব্যাংকটি সাড়ে ১২ শতাংশ করে নগদ ও বোনাস শেয়ার দেবে ব্যাংকটি। এর শেয়ারসংখ্যা ১০৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার ৯৯৪ টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার ৪৯২ টাকা ৫০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সাড়ে ২২ শতাংশ। এর মধ্যে নগদে ১ টাকা ২৫ পয়সা করে মোট ১৩০ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৮ টাকা ৭৫ পয়সা দেয়া হবে নগদে। পাশাপাশি ব্যাংকটি বোনাস শেয়ার হিসাবে ইস্যু করবে ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৭২টি।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ২৮৫ টাকা দেবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এই ব্যাংকটি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেবে।
এনসিসি ব্যাংক বিতরণ করবে ১২২ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৬০ টাকা ৪০ পয়সা। এই ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা মোট ১০১ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৭ টি। শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সার পাশাপাশি ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।
নগদ ও বোনাস মিলিয়ে মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে ইবিএল। এর মধ্যে নগদে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে ১১৯ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ টাকা দেয়া হবে নগদে। আরও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দেয়া হবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সাড়ে ১৭ শতাংশ হিসাবে বিতরণ করবে ১১০ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এই ব্যাংকটি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দেবে।
ব্র্যাক ব্যাংক সাড়ে ৭ শতাংশ করে নগদ ও বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা মোট ১৩৯ কোটি ২১ লাখ ৭২ হাজার ৩৯৯টি। এই হিসেবে বিনিয়োগকারীরা পাবেন ১০৪ কোটি ৪১ লাখ ২৯ হাজার ২৯৯ টাকা ২৫ পয়সা। সমপরিমাণ বোনাস শেয়ারও পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারসংখ্যা মোট ১০২ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫২টি। ব্যাংকটি এবার শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসাবে শেয়ারসংখ্যার সমপরিমাণ টাকা বিতরণ করতে যাচ্ছে। সঙ্গে দেয়া হবে ৫ শতাংশ বোনাস।
সাউথইস্ট ব্যাংক এবার ৮ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির মোট শেয়ারসংখ্যা ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি নগদে বিতরণ করবে ৯৫ কোটি ১১ লাখ ৫২ হাজার ৪১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি নগদে বিতরণ করবে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা করে। ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা ৭০ কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৫৭৬টি। এই হিসাবে বিনিয়োগকারীরা পাবেন মোট ৮৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৭০ টাকা।
উত্তরা ব্যাংক ১৪ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৯টি। এই হিসাবে বিনিয়োগকারীরা নগদে পাবেন ৭৯ কোটি ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৪ টাকা ৬০ পয়সা।
গত বছর তালিকাভুক্ত এনআরবিসি সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই ব্যাংকটি তার ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৭টি শেয়ারের বিপরীতে বিতরণ করবে ৫৫ কোটি ৩২ লাখ ৩২ হাজার ১৩৫ টাকা ২৫ পয়সা।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামিক ব্যাংক ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি সমপরিমাণ নগদ হিসেবে ৯৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ২১১টি শেয়ারের জন্য লভ্যাংশ দেবে ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা।
ইউনিয়ন ব্যাংকের লভ্যাংশও এসেছে সমপরিমাণ। ৫ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি ৯৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬০টি শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংকটি নগদ লভ্যাংশ দেবে ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮০ টাকা।
এসআইবিএলের লভ্যাংশও অন্য দুটির মতোই এসেছে ১০ শতাংশ। ৫ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি ৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার ৮৪৪টি শেয়ারের বিপরীতে তারা বিতরণ করবে ৪৯ কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪২২ টাকা।
স্ট্যান্ডার্ন্ড ব্যাংক ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি তার ১০৩ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫টি শেয়ারের জন্য নগদে বিতরণ করবে ৩০ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ১৬৭ টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক ১ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি তার ৮১ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৮টি শেয়ারের জন্য ৩ শতাংশ হিসাবে ২৪ কোটি ৪৮ লাখ ৯ হাজার ৪০১ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
সবচেয়ে কম ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৪ টাকা লভ্যাংশ দেবে এবি ব্যাংক। ৩ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি ২ শতাংশ নগদ হিসেবে এই লভ্যাংশ বিতরণ করবে তারা।
কেবল বোনাস
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ১০ শতাংশ বোনাস। এই হিসাবে ব্যাংকটি তার বিদ্যমান ১২৭ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৯টি শেয়ারের বিপরীতে আরও ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার ইস্যু করবে।
তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ২০১৯ সালে বোনাসের পাশাপাশি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এর পর আবার দুই বছর বোনাস শেয়ারে ফিরে গেল ব্যাংকটি। বিদ্যমান ৮১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬৬০টি শেয়ারের বিপরীতে আরও ৮ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০টি শেয়ার ইস্যু করবে।
টানা বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে আসা আইএফআইসি ব্যাংক এবারও তার ১৭০ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬১টি শেয়ারের ৫ শতাংশ হিসাবে সাড়ে ৮ কোটির বেশি বোনাস শেয়ার দেবে।
২০২০ সালে নগদ লভ্যাংশ বিতরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তিতে পড়া ওয়ান ব্যাংক এবার কেবল বোনাস লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকটির আয় কমে যাওয়ার পর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার বিতরণ করার ঘোষণা এসেছে।
ব্যাংকটির শেয়ারসংখ্যা ৯৩ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৪৫৬টি। নতুন করে ইস্যু হবে আরও ৪ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ২২টি।
রাষ্ট্রায়াত্ত রূপালী ব্যাংকও এখন পর্যন্ত কেবল বোনাস শেয়ার ইস্যুর ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি। এবার ব্যাংকটি ২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির বিদ্যমান শেয়ার ৪৫ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টির বিপরীতে নতুন করে ইস্যু হবে ৯১ লাখ ১১ হাজার ৭১০টি শেয়ার।
লভ্যাংশ নেই
ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ওরিয়েন্টাল ব্যাংক আইসিবি ইসলামী নামে কার্যক্রম শুরু করার পর প্রায় দেড় যুগেও মুনাফার মুখ দেখেনি। এবারও তারা লোকসান করার পর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক ৩০ এপ্রিল গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব প্রকাশের জন্য পর্ষদ সভা ডেকেছিল।
এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১৮ পয়সা লোকসানের কথা গণমাধ্যমে এসেছে। তবে লভ্যাংশসংক্রান্ত সভায় কী হয়েছে, সে বিষয়ে এনবিএলের কোনো বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে আসেনি। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য