পুঁজিবাজারে বিমা খাতের মতো এবার বস্ত্র খাতেও যাচাই বাছাই ছাড়া ঢালাও দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
জুনে অর্থবছর শেষ হবে। এই পরিস্থিতিতে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে, এমন কোম্পানির দাম বাড়া অস্বাভাবিক না হলেও সেসব কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ আসবে না, বরং অস্তিত্ব সংকটে আছে, এমন কোম্পানির দামও বাড়ছে।
এটির পেছনে কোনো কারসাজি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, আয় ভালো, শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য বেশ আকর্ষণীয়, এমন মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানিই অভিহিত মূল্যের আশেপাশে রয়েছে।
কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এগুলোর বদলে শেয়ার সংখ্যা কম- এমন কোম্পানির প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। প্রায়ই দেখা যায়, এসব লোকসানি কোম্পানির দাম একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়ে সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারে কোনো শেয়ার এক দিনে কী পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে, তাকে বলে সার্কিট ব্রেকার। লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া, এই সার্কিট ব্রেকার থাকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। তবে ১০ পয়সা করে বাড়া বা কমার সুযোগ থাকায়, তখনও কখনও শতকরা হিসেবে কিছুটা কম বাড়তে বা কমতে পারে।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে বন্ধ হয়ে যায় পুঁজিবাজারের লেনদেন। ৬৬ দিন পর জুলাইয়ে লেনদেন চালু হলে বিমা খাতে দেখা যায় ঢালাও দর বৃদ্ধির প্রবণতা। চালু থাকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত।
এরপর ৫ এপ্রিল লকডাউন থেকে বিমায় দ্বিতীয় দফা দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। গত এক বছরে একটি কোম্পানির শেয়ার দর ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। তিন থেকে আট গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বাকিগুলোর।
বিমার শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত সপ্তাহের শেষে বস্ত্র খাতেও বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই খাতে মোট ৫৬টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করেছে, এমন ২০টি কোম্পানি ব্যাপক লোকসানে আছে। দ্বিতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করা আছে, এমন আরও দুটি কোম্পানিও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মুনাফায় থাকা কোম্পানির পাশাপাশি ঢালাও দাম বাড়ছে এসব লোকসানি কোম্পানিরও।
পুঁজিবাজারে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একক কোনো খাত নিয়ে বলা কঠিন। তবে বস্ত্র ও বিমা খাতে যেভাবে ঢালাও দাম বাড়ছে, সেটা ঠিক নয়। যারা শেয়ার কিনছে, তাদের ভাবা উচিত।’
এখানে আইনত কী করার আছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যিনি কিনছেন, তিনি তো তার নিজের টাকায় কিনছেন। এটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগকারীরা সচেতন না হলে আপনি তো আটকাতে পারবেন না।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোনো খাতে ঢালাও দাম বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য না। বিমার ক্ষেত্রে তাও কিছু ঘোষণা ও কারণ ছিল। কিন্তু বস্ত্রের কী হলো তার তো কারণ বুঝতে পারছি না।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কিছু আইনি সংস্কার হয়েছে। কারসাজির অভিযোগে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের জরিমানাও করা হয়েছে। তবে বিমা খাতে অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে কোনো তদন্তের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সংস্থাটিকে।
বস্ত্র খাতেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই অনুসন্ধানের।
সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম একাধিকবার নিউজবাংলাকে বলেছেন, শেয়ারের দাম বাড়বে কি কমবে, এটা দেখা তাদের দায়িত্ব নয়। তারা কেবল দেখবেন, কোনো গুজব ছড়িয়ে বা অনিয়ম করে দাম বাড়ানো হয়েছে কি না, এমন কোনো অভিযোগ এখনও তারা পাননি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন, ভুল শেয়ারে বিনিয়োগ করলে সে দায়িত্ব বিএসইসি নেবে না।
গত ৩১ মে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘কমিশন কখনও নির্ধারণ করতে পারে না কোন শেয়ারের দর বাড়বে, কোনটির দর কমবে। তাই ভুলে শেয়ার কেনার দায় কমিশনের না।’
লোকসানি কোম্পানির দামে লাফ
ঢাকা ডায়িং
সবচেয়ে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে এই কোম্পানিটির । ২০১৫ সালের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটি ২০১৮ সালের পর আর কোনো হিসাবও দেয়নি। কিন্তু গত ১১ এপ্রিল থেকে আকাশে উঠে যেতে চাইছে দাম।
সেদিন দাম ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা। এখন দাম ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১৩৩ শতাংশের বেশি।
রিং সাইন টেক্সটাইল
২০১৯ সালের পর আর্থিক হিসাব না দেয়া কোম্পানিটি বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়ে তাইওয়ানে চলে গেছে। তবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। আর নতুন করে উৎপাদন শুরুর পর্যায়ে চলে এসেছে সেটি।
কিন্তু উৎপাদন শুরু হওয়ার আগেই শেয়ার দামে দিয়েছে লাফ। গত ১২ মে দাম ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে লাফ দিয়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে এক মাসে দাম বেড়েছে ৭৫.৮০ শতাংশ।
জেনারেশন নেক্সট
সামান্য কিছু মুনাফা করার পর গত দুই বছর ধরে লভ্যাংশ দিতে না পারা চলতি বছর তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৩ পয়সা।
গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩ টাকা। সেখান থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে বৃহস্পতিবার দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। এক দিনে বাড়া সম্ভব ছিল ৪০ পয়সা, তাই বেড়েছে বৃহস্পতিবার।
ইভেন্স টেক্সটাইল
তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির দাম গত ৪ মে ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে এক মাসে ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং
মিলে লোকসান যত বাড়ছে, শেয়ার মূল্য বাড়ছে তত।
গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে বাড়তে দাম পৌঁছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।
এই দাম বাড়ার পেছনে দৃশ্যত কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। উল্টো যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, তাতে শেয়ার দামে এমন উত্থান হওয়ার কথা ছিল না।
কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৯ পয়সা আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই টাকা ৪৩ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি সাড়ে পাঁচ পয়সা মুনাফা করার পরেও জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে লোকসান দাঁড়িয়েছে চার টাকা ৪৩ পয়সা।
চতুর্থ প্রান্তিকে অভাবনীয় কিছু না ঘটলে এই কোম্পানি থেকে এবার মুনাফার আশা না করাই ভালো।
বৃহস্পতিবার এক লাফে ১০ শতাংশ দাম বাড়া জাহিন স্পিনিং মিলও বছরের তিন প্রান্তিক মিলিয়ে শেয়ার প্রতি লোকসানে আছে এক টাকা ৩৭ পয়সা।
ডুবন্ত এই কোম্পানিতে আগ্রহ থাকার কথা ছিল না কারও। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল থেকে দাম বেড়ে প্রায় দেড়গুণ হয়ে গেছে। সেদিন দাম ছিল শেয়ার প্রতি ৫ টাকা। আর সেখান থেকে বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
রিজেন্ট টেক্সটাইল
তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৯২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দরও গত বৃহস্পতিবার মূল্য বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল শেয়ার দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা। এই কয় দিনে বেড়েছে ৪৪.৪৫ শতাংশ।
তাল্লু স্পিনিং মিলস
২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ না দেয়া ২০১৯ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে হিসাব দেয়ার পর দুই বছর আর কোনো হিসাবও দিচ্ছে না।
দাম বেড়েছে এই কোম্পানিটিরও। গত ৪ মে থেকে কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ।
৪ মে শেয়ারের দাম ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ২০ পয়সা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৪০ পয়সা বেড়েছে। সেদিন এর চেয়ে বেশি বাড়ার সুযোগ ছিল না সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল
২০১২ সালের পরে কেবল ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, বন্ধ থাকা কোম্পানিটি নয় মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে এক টাকা ২৯ পয়সা।
কিন্তু গত ৬ মে থেকে এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২৫.৪৫ শতাংশ।
৬ মে শেয়ার মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা, আর বৃহস্পতিবার দাঁড়ায় ২১ টাকা ২০ পয়সা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭৯ পয়সা। কিন্তু শেয়ার দামে হঠাৎ আগ্রহ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটির লভ্যাংশ অনিশ্চিত।
গত ১ জুন কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে ২১.১৩ শতাংশ বেড়ে গেছে সাত কার্যদিবসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
গত নয় মাসে এই কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। কিন্তু গত ৪ মের পর দাম বেড়েছে ১৮.৫১ শতাংশ। লোকসানি এই কোম্পানিটি সব শেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে।
মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং
সবশেষ ২০১৬ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানির মালিকরা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে চাইছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। বন্ধ থাকা কোম্পানিটি চলতি বছর তিন প্রান্তিক শেষে লোকসানে আছে এক টাকা ২৩ পয়সা।
কিন্তু গত ২০ মে থেকে কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।
আর এন স্পিনিং মিল
২০১৮ সালের পর লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটি চলতি বছরও লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা যায় এর ব্যালান্সি শিট দেখলে।
বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১৬ পয়সা। ৪ মে শেয়ার মূল্য ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে ১৭ শতাংশ বেড়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সা।
জাহিন টেক্সটাইল
সবশেষ ২০১৮ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবারও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না, এটা বলাই যায়। বছরের তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি এখন লোকসান দুই টাকা ৫২ পয়সা।
কিন্তু শেয়ার মূল্যে যে লাফ তাতে এই অনিশ্চয়তার কোনো নমুনাই নেই। গত ১ জুন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। আর এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনেই বাড়ে প্রায় ১০ শতাংশ।
হামিদ ফেব্রিক্স
লোকসানি এই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইস ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হতো না বললেই চলে। গত ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের পর দাম কমতে কমতে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে।
কিন্তু ২১ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দাম। গত বৃহস্পতিবার শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।
এর মধ্যে কোম্পানিটির বছরের তিন প্রান্তিকের আয়ের তথ্য চলে এসেছে। নয় মাসে শেয়ার প্রতি এক টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দেয়া এই কোম্পানিটিরও লভ্যাংশ দেয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।
তার পরেও বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কিছুটা কম দাম বাড়ে কোম্পানিটির।
স্টাইল ক্রাফট
বছর পাঁচেক আগে তুমুল আলোচিত কোম্পানিটি কয়েক গুণ শেয়ার বাড়িয়ে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে ফ্লোর প্রাইস ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সাতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হতো না বললেই চলে। কিন্তু গত ৩ জুন ফ্লোর প্রত্যাহারের পর এই কোম্পানির দাম প্রথম দুই কার্যদিবসে কমলেও পরের দুই দিনে বেড়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা।
তিন প্রান্তিকে এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫৬ পয়সা।
প্রাইম টেক্সটাইল
শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির দাম গত দুই কার্যদিবসে বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল
২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে একে বাঁচাতে চাইছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কিন্তু বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, এই কোম্পানিটি চালু করা যাবে না বলেই তারা ভাবছেন। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন।
কিন্তু বস্ত্র খাতে সাম্প্রতিক উত্থানের মধ্যে দাম বেড়ে গেছে এই কোম্পানিরও। গত ৬ জুন থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে কোম্পানিটির। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেড়ে ছুঁয়েছে সার্কিট ব্রেকারও।
মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাব্বি হোসেন নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে।
রাব্বি হোসেন গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র।
ভবানিপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ রবিবার সকালের দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাব্বি হোসেনের মামা আব্দুস সালাম জানান৷ সকালের দিকে নিজ ঘরের দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয় রাব্বি।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে র্যাবের অভিযানে ৯৬ গ্রাম হেরোইনসহ মোস্তফা হাওলাদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব-১০।
গ্রেফতারকৃত মোস্তফা হাওলাদার (৪৫) বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মোবারক হাওলাদারের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৬ গ্রাম হেরোইন ও ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, মোস্তফা হাওলাদার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জেলার সদর উপজেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ কাজল (৩৫) এবং আবির আহম্মেদ (২৭) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বৈখর এলাকা থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত কাজল সদর উপজেলার বৈখর গ্রামের আবু তালেব শিকদারের পুত্র এবং আবির আহম্মেদ নয়াকান্দি গ্রামের শাহীন মাঝির পুত্র।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম সাইফুল আলম জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সদর উপজেলার বৈখর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ মাদক ক্রয় বিক্রির সাথে জড়িত কাজল এবং আবির আহম্মেদকে ১৭টি দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় তারা এসব ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতো।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কাজলের নামে মাদক আইনে আগে থেকেই মামলা আছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ ছুটি পাবেন তারা।
২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১ অক্টোবর (বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। আর ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি।
পরের দুদিন ৩ ও ৪ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে সরকারি কর্মচারীদের।
উল্লেখ্য, সাধারণত সরকারি কর্মচারীদের ঈদে তিন দিন করে ও দুর্গাপূজায় একদিন ছুটি থাকে। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে তা বাড়ানো হয়েছিল।
তবে ২০২৫ সালের দুই ঈদ মিলিয়ে মোট ১১ দিন ছুটি এবং শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। সে অনুযায়ী ছুটির তালিকা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত ১১ বছরে দেশে সড়কে ৬২ হাজার ৬১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯০ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন।
গতকাল শনিবার যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, শুধু ঢাকায় প্রতিদিন যানজটে নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ৯৮ হাজার কোটি টাকা, জ্বালানি অপচয় ১১ হাজার কোটি টাকা, আর যানজটের কারণে সংসার ভাঙার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই সড়কে প্রতি বছর হাজারও প্রাণহানি রোধ ও ভয়াবহ যানজট নিরসনে নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নত গণপরিবহন অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, গত এক দশকের বেশি সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা, যানজট ও দূষণে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাঠামো মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরিবহন খাতে দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, গত ১১ বছরে দেশে সড়কে ৬২ হাজার ৬১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯০ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন। শুধু ঢাকায় প্রতিদিন যানজটে নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ৯৮ হাজার কোটি টাকা, জ্বালানি অপচয় ১১ হাজার কোটি টাকা, আর যানজটের কারণে সংসার ভাঙার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির এই মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ যানজট শুধু সময় ও অর্থনৈতিক ক্ষতিই করছে না; নাগরিকদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও বিপন্ন করছে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা রোগ বাড়ছে। একই সঙ্গে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ ও পারিবারিক অশান্তি দেখা দিচ্ছে। শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে এবং টিনএজদের বিপথগামিতার অন্যতম কারণও যানজট ও বেকারত্ব।
দেশের অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই জানিয়ে আলোচনা সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরিফ রফিকুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সহীন ও মাদকাসক্ত চালকরা যাতে গাড়ি চালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করে সড়ক সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না।
রফিকুজ্জামান আরও বলেন, বাসভাড়ার সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে ইন্স্যুরেন্সের টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা কোনোদিন এই সুবিধা পান না। ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা আদায়ে যাত্রীসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।
গণঅধিকারের মুখপাত্র ফারুক খান বলেন, তারা চান, যাত্রী কল্যাণ সমিতি শক্তিশালী হয়ে সব সিদ্ধান্ত প্রণয়নে অংশগ্রহণ করবে, যাতে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়। কোনো দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, জনগণের পক্ষের কথা তারা বলতে চান। তাদের লক্ষ্য হলো- যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা, সৎ ও ন্যায়সংগতভাবে দাবি পূরণ করা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রয়, যাত্রীকল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার। প্রতি তিনজন বেকারের একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। আর দুই বছরের বেশি বেকার এমন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী সবচেয়ে বেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি এবং বেশ সময় ধরে বেকার থাকার প্রবণতা দেখা গেছে।
দেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার বসে আছেন। তারা একেবারে চাকরি পাচ্ছেন না কিংবা পছন্দমতো চাকরি পাচ্ছেন না। মেস করে থাকেন, মানবেতর জীবনযাপন করেন, আর একটি সম্মানজনক চাকরির জন্য দিন গোনেন। মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে যারা পরিবারের সঙ্গে থাকেন, নানা টানাপোড়েন তাদের অসহায় করে তোলে, মানসিক চাপে থাকেন সবসময়।
গত বছর শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেওয়ার পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। মূলত চাকরি পাওয়া নিয়ে হতাশা থেকেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ওই আন্দোলন গড়ে তোলেন।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশের চলমান সংস্কার আলোচনায় রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারকেও প্রাধান্য দেওয়া উচিত। বিশেষ তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে কী কী করা উচিত, আলোচনায় থাকা দরকার।
প্রতি ৩ জনে ১ জন বেকার উচ্চশিক্ষিত
বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে এখন বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। এর মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৫ হাজার।
সার্বিকভাবে কয়েক বছর ধরে দেশে বেকারের মোট সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত। কিন্তু খারাপ খবর হলো, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে এখন প্রতি তিনজন বেকারের মধ্য একজন উচ্চশিক্ষিত। তারা বিএ কিংবা এমএ ডিগ্রি নিয়েও শোভন চাকরি পাচ্ছেন না।
২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, ওই বছর চার লাখের মতো স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার ছিলেন। আট বছর পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ লাখ। এর মানে আট বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষিত বেকার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
উচ্চশিক্ষিত তরুণেরা বেশি দিন বেকার থাকেন
১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই বয়সসীমার মধ্যে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে ২ বছরের বেশি সময় ধরে বেকার থাকেন ১৭ শতাংশের বেশি তরুণ বেকার। এই হার অন্য ডিগ্রিধারীর চেয়ে বেশি। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২ বছরের বেশি সময় বেকার থাকেন ৮ শতাংশের বেশি বেকার। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন তরুণদের মধ্যে বেকারের হার ১ শতাংশের মতো।
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তার এই পদক্ষেপে সংহতি জানিয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। শনিবার কলেজ প্রাঙ্গণে অনশন করেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, কেবি কলেজে বোমা হামলার হুমকি, শিক্ষকদের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তারা এই আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বি. এম. আব্দুল্লাহ রনি জানান, দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন, কলেজ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চলমান হুমকি এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমরা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেব।’
মন্তব্য