× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও ধারণা কারসাজি
google_news print-icon

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি

বাড়ছে-বস্ত্রের-লোকসানি-কোম্পানির-দামও-ধারণা-কারসাজি
বস্ত্র খাতে বন্ধ ও লোকসানি যে কোম্পানিগুলো দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ছবি: নিউজবাংলা
বিমার শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত সপ্তাহের শেষে বস্ত্র খাতেও বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই খাতে মোট ৫৬টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করেছে, এমন ২০টি কোম্পানি ব্যাপক লোকসানে আছে। দ্বিতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করা আছে, এমন আরও দুটি কোম্পানিও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মুনাফায় থাকা কোম্পানির পাশাপাশি ঢালাও দাম বাড়ছে এসব লোকসানি কোম্পানিরও।

পুঁজিবাজারে বিমা খাতের মতো এবার বস্ত্র খাতেও যাচাই বাছাই ছাড়া ঢালাও দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

জুনে অর্থবছর শেষ হবে। এই পরিস্থিতিতে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে, এমন কোম্পানির দাম বাড়া অস্বাভাবিক না হলেও সেসব কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ আসবে না, বরং অস্তিত্ব সংকটে আছে, এমন কোম্পানির দামও বাড়ছে।

এটির পেছনে কোনো কারসাজি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, আয় ভালো, শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য বেশ আকর্ষণীয়, এমন মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানিই অভিহিত মূল্যের আশেপাশে রয়েছে।

কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এগুলোর বদলে শেয়ার সংখ্যা কম- এমন কোম্পানির প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। প্রায়ই দেখা যায়, এসব লোকসানি কোম্পানির দাম একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়ে সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে যাচ্ছে।

পুঁজিবাজারে কোনো শেয়ার এক দিনে কী পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে, তাকে বলে সার্কিট ব্রেকার। লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া, এই সার্কিট ব্রেকার থাকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। তবে ১০ পয়সা করে বাড়া বা কমার সুযোগ থাকায়, তখনও কখনও শতকরা হিসেবে কিছুটা কম বাড়তে বা কমতে পারে।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে বন্ধ হয়ে যায় পুঁজিবাজারের লেনদেন। ৬৬ দিন পর জুলাইয়ে লেনদেন চালু হলে বিমা খাতে দেখা যায় ঢালাও দর বৃদ্ধির প্রবণতা। চালু থাকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত।

এরপর ৫ এপ্রিল লকডাউন থেকে বিমায় দ্বিতীয় দফা দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। গত এক বছরে একটি কোম্পানির শেয়ার দর ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। তিন থেকে আট গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বাকিগুলোর।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
হঠাৎ করেই ঢালাও ভাবে বেড়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম

বিমার শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত সপ্তাহের শেষে বস্ত্র খাতেও বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই খাতে মোট ৫৬টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করেছে, এমন ২০টি কোম্পানি ব্যাপক লোকসানে আছে। দ্বিতীয় প্রান্তিক ঘোষণা করা আছে, এমন আরও দুটি কোম্পানিও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মুনাফায় থাকা কোম্পানির পাশাপাশি ঢালাও দাম বাড়ছে এসব লোকসানি কোম্পানিরও।

পুঁজিবাজারে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একক কোনো খাত নিয়ে বলা কঠিন। তবে বস্ত্র ও বিমা খাতে যেভাবে ঢালাও দাম বাড়ছে, সেটা ঠিক নয়। যারা শেয়ার কিনছে, তাদের ভাবা উচিত।’

এখানে আইনত কী করার আছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যিনি কিনছেন, তিনি তো তার নিজের টাকায় কিনছেন। এটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগকারীরা সচেতন না হলে আপনি তো আটকাতে পারবেন না।’

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোনো খাতে ঢালাও দাম বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য না। বিমার ক্ষেত্রে তাও কিছু ঘোষণা ও কারণ ছিল। কিন্তু বস্ত্রের কী হলো তার তো কারণ বুঝতে পারছি না।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কিছু আইনি সংস্কার হয়েছে। কারসাজির অভিযোগে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের জরিমানাও করা হয়েছে। তবে বিমা খাতে অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে কোনো তদন্তের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সংস্থাটিকে।

বস্ত্র খাতেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই অনুসন্ধানের।

সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম একাধিকবার নিউজবাংলাকে বলেছেন, শেয়ারের দাম বাড়বে কি কমবে, এটা দেখা তাদের দায়িত্ব নয়। তারা কেবল দেখবেন, কোনো গুজব ছড়িয়ে বা অনিয়ম করে দাম বাড়ানো হয়েছে কি না, এমন কোনো অভিযোগ এখনও তারা পাননি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন, ভুল শেয়ারে বিনিয়োগ করলে সে দায়িত্ব বিএসইসি নেবে না।

গত ৩১ মে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘কমিশন কখনও নির্ধারণ করতে পারে না কোন শেয়ারের দর বাড়বে, কোনটির দর কমবে। তাই ভুলে শেয়ার কেনার দায় কমিশনের না।’

লোকসানি কোম্পানির দামে লাফ

ঢাকা ডায়িং

সবচেয়ে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে এই কোম্পানিটির । ২০১৫ সালের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটি ২০১৮ সালের পর আর কোনো হিসাবও দেয়নি। কিন্তু গত ১১ এপ্রিল থেকে আকাশে উঠে যেতে চাইছে দাম।

সেদিন দাম ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা। এখন দাম ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১৩৩ শতাংশের বেশি।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা ডায়িংয়ের শেয়ারের দাম

রিং সাইন টেক্সটাইল

২০১৯ সালের পর আর্থিক হিসাব না দেয়া কোম্পানিটি বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়ে তাইওয়ানে চলে গেছে। তবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। আর নতুন করে উৎপাদন শুরুর পর্যায়ে চলে এসেছে সেটি।

কিন্তু উৎপাদন শুরু হওয়ার আগেই শেয়ার দামে দিয়েছে লাফ। গত ১২ মে দাম ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে লাফ দিয়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে এক মাসে দাম বেড়েছে ৭৫.৮০ শতাংশ।

জেনারেশন নেক্সট

সামান্য কিছু মুনাফা করার পর গত দুই বছর ধরে লভ্যাংশ দিতে না পারা চলতি বছর তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৩ পয়সা।

গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩ টাকা। সেখান থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে বৃহস্পতিবার দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। এক দিনে বাড়া সম্ভব ছিল ৪০ পয়সা, তাই বেড়েছে বৃহস্পতিবার।

ইভেন্স টেক্সটাইল

তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির দাম গত ৪ মে ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে এক মাসে ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।

সাফকো স্পিনিং

মিলে লোকসান যত বাড়ছে, শেয়ার মূল্য বাড়ছে তত।

গত ২৯ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে বাড়তে দাম পৌঁছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
দাম বৃদ্ধি অব্যাহত আছে রিং শাইনেরও

এই দাম বাড়ার পেছনে দৃশ্যত কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। উল্টো যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, তাতে শেয়ার দামে এমন উত্থান হওয়ার কথা ছিল না।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৯ পয়সা আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই টাকা ৪৩ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি সাড়ে পাঁচ পয়সা মুনাফা করার পরেও জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে লোকসান দাঁড়িয়েছে চার টাকা ৪৩ পয়সা।

চতুর্থ প্রান্তিকে অভাবনীয় কিছু না ঘটলে এই কোম্পানি থেকে এবার মুনাফার আশা না করাই ভালো।
বৃহস্পতিবার এক লাফে ১০ শতাংশ দাম বাড়া জাহিন স্পিনিং মিলও বছরের তিন প্রান্তিক মিলিয়ে শেয়ার প্রতি লোকসানে আছে এক টাকা ৩৭ পয়সা।

ডুবন্ত এই কোম্পানিতে আগ্রহ থাকার কথা ছিল না কারও। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল থেকে দাম বেড়ে প্রায় দেড়গুণ হয়ে গেছে। সেদিন দাম ছিল শেয়ার প্রতি ৫ টাকা। আর সেখান থেকে বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।

রিজেন্ট টেক্সটাইল

তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৯২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দরও গত বৃহস্পতিবার মূল্য বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।

গত ২৮ এপ্রিল শেয়ার দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা। এই কয় দিনে বেড়েছে ৪৪.৪৫ শতাংশ।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
দাম বৃদ্ধি নিয়ে শেষ করেছে জেননেক্সট

তাল্লু স্পিনিং মিলস

২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ না দেয়া ২০১৯ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে হিসাব দেয়ার পর দুই বছর আর কোনো হিসাবও দিচ্ছে না।

দাম বেড়েছে এই কোম্পানিটিরও। গত ৪ মে থেকে কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ।

৪ মে শেয়ারের দাম ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ২০ পয়সা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৪০ পয়সা বেড়েছে। সেদিন এর চেয়ে বেশি বাড়ার সুযোগ ছিল না সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল

২০১২ সালের পরে কেবল ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, বন্ধ থাকা কোম্পানিটি নয় মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে এক টাকা ২৯ পয়সা।

কিন্তু গত ৬ মে থেকে এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২৫.৪৫ শতাংশ।

৬ মে শেয়ার মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা, আর বৃহস্পতিবার দাঁড়ায় ২১ টাকা ২০ পয়সা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭৯ পয়সা। কিন্তু শেয়ার দামে হঠাৎ আগ্রহ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটির লভ্যাংশ অনিশ্চিত।

গত ১ জুন কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে ২১.১৩ শতাংশ বেড়ে গেছে সাত কার্যদিবসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

গত নয় মাসে এই কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। কিন্তু গত ৪ মের পর দাম বেড়েছে ১৮.৫১ শতাংশ। লোকসানি এই কোম্পানিটি সব শেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
ইটিএল-এরও শেয়ারদর বেড়েছে

মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং

সবশেষ ২০১৬ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানির মালিকরা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে চাইছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। বন্ধ থাকা কোম্পানিটি চলতি বছর তিন প্রান্তিক শেষে লোকসানে আছে এক টাকা ২৩ পয়সা।

কিন্তু গত ২০ মে থেকে কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।

আর এন স্পিনিং মিল

২০১৮ সালের পর লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটি চলতি বছরও লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা যায় এর ব্যালান্সি শিট দেখলে।

বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১৬ পয়সা। ৪ মে শেয়ার মূল্য ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে ১৭ শতাংশ বেড়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সা।

জাহিন টেক্সটাইল

সবশেষ ২০১৮ সালে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবারও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না, এটা বলাই যায়। বছরের তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি এখন লোকসান দুই টাকা ৫২ পয়সা।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
সাফকো স্পিনিং-এর দরও ওঠানামার মধ্যেই ছিল

কিন্তু শেয়ার মূল্যে যে লাফ তাতে এই অনিশ্চয়তার কোনো নমুনাই নেই। গত ১ জুন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। আর এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনেই বাড়ে প্রায় ১০ শতাংশ।

হামিদ ফেব্রিক্স

লোকসানি এই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইস ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হতো না বললেই চলে। গত ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের পর দাম কমতে কমতে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে।

কিন্তু ২১ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দাম। গত বৃহস্পতিবার শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।

এর মধ্যে কোম্পানিটির বছরের তিন প্রান্তিকের আয়ের তথ্য চলে এসেছে। নয় মাসে শেয়ার প্রতি এক টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দেয়া এই কোম্পানিটিরও লভ্যাংশ দেয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।

তার পরেও বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কিছুটা কম দাম বাড়ে কোম্পানিটির।

স্টাইল ক্রাফট

বছর পাঁচেক আগে তুমুল আলোচিত কোম্পানিটি কয়েক গুণ শেয়ার বাড়িয়ে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে ফ্লোর প্রাইস ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সাতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হতো না বললেই চলে। কিন্তু গত ৩ জুন ফ্লোর প্রত্যাহারের পর এই কোম্পানির দাম প্রথম দুই কার্যদিবসে কমলেও পরের দুই দিনে বেড়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা।

তিন প্রান্তিকে এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫৬ পয়সা।

বাড়ছে বস্ত্রের লোকসানি কোম্পানির দামও, ধারণা কারসাজি
গত মাসে দর একেবারে পড়ে গেলেও চলতি মাসে দর বেড়েছে তাল্লুরও

প্রাইম টেক্সটাইল

শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির দাম গত দুই কার্যদিবসে বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল

২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে একে বাঁচাতে চাইছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কিন্তু বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, এই কোম্পানিটি চালু করা যাবে না বলেই তারা ভাবছেন। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন।

কিন্তু বস্ত্র খাতে সাম্প্রতিক উত্থানের মধ্যে দাম বেড়ে গেছে এই কোম্পানিরও। গত ৬ জুন থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে কোম্পানিটির। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেড়ে ছুঁয়েছে সার্কিট ব্রেকারও।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Frogs wedding in hope of rain

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে ছবি: নিউজবাংলা
মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির আসায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেচে গেয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন স্থানীয়রা। লোকজন।

উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান চলে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাপুর আলীর স্ত্রী মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

বিয়ের আয়োজনকারী মল্লিকা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে আমরা কষ্টে রয়েছি; গ্রামের মানুষজন অস্তিত্বতে আছে। কেউই কোনো কাজ কামাই করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আগের যুগের মানুষরা ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হতো। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছি।’

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বিয়ে দেখতে আসা জাহিদ নামের একজন বলেন, “আমার জীবনে প্রথম ব্যাঙের বিয়ে দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে। ‘বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে’ বিষয়টি প্রথম জানলাম।”

বৃদ্ধ আজিজুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আবাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি।’

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কুড়িগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। আজ (শনিবার) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The death of the child fell from the mothers lap due to the impact of the autorickshaw

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাঁদছেন শিশু হুমাইরা আক্তারের স্বজন। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষকালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগম ধাক্কা খান। এ সময় শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক বছরের শিশু হুমাইরা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মদিনা বাজারের উত্তর পাশে খানকা শরীফের সামনের সড়কে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় রাস্তার পাশে এক বছরের শিশু সন্তান হুমাইরাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগমের ধাক্কা খান অটোরিকশার সঙ্গে। এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
DNCC is sprinkling water in the city to relieve the heat

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম শনিবার আগারগাঁওয়ে ডিএনসিসির পানি ছিটানো কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও পান না। সিটি করপোরেশনে তার বসার ব্যবস্থাও নেই। তাকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।’

চলমান তাপপ্রবাহে সারা দেশের সঙ্গে পুড়ছে রাজধানী ঢাকাও। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ নগর জীবন। এ অবস্থায় রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দুটি স্প্রে ক্যানন প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না৷ গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে।

‘এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে।’

চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজগুলো আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন যে চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। বাস্তবে সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই।

‘হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে সাতজন চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করেছে এবং তারা সবাই নারী।’

ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Field workers of Pran RFL died of heatstroke in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর ফাইল ছবি
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে সাখাওয়াত হোসেন মুকুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের বিপনন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

২৭ বছর বয়সী মুকুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায়।

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মুন্সীগঞ্জ শহরের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ মোহাম্মদ রোকন জানান, শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের অদূরে মুন্সীরহাট এলাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অবস্থায় তীব্র গরমের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের মরদেহ তার নিজ জেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Hundreds of houses were destroyed in Kamalganj in the rampage of Kalbaisakhi

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

আকস্মিক কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু বাড়িঘর। ঝড়ের পর খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে অর্ধশতাধিক পরিবার।

এ ছাড়াও গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার, ধূপাটিলা, উসমানগড়, ব্রাহ্মণঊষারসহ ৮টি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘর এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি, ভাদাইরদেউল গ্রামে আরও কয়েকটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ-বাঁশ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউনিয়নের নেছার মিয়া, ময়নুল মিয়া, খুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ অসংখ্য পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তীব্র শিলাবৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। সহোযোগিতা না পেলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে।’

পতনঊষার ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান জানান, আকস্মিক ঝড়ে পতনঊষার গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সেসব দরিদ্র পরিবারের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের দ্রুত সহায়তার প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান বাড়িঘর বিধ্বস্তের কথা বলেছেন। তবে পরিপূর্ণ হিসাব জানা যায়নি। চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেয়ার জন্য। দ্রুত তাদের সহোযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎহীন কুলাউড়া
বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জনের প্রাণহানি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A moving bus caught fire from an overturned motorcycle in Banani

বনানীতে চাপা দেয়া মোটরসাইকেল থেকে চলন্ত বাসে আগুন

বনানীতে চাপা দেয়া মোটরসাইকেল থেকে চলন্ত বাসে আগুন শনিবার বনানীর মাঝ সড়কে চলন্ত বাসে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার বিকেলে জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

রাজধানীর বনানীতে মাঝ সড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপনে কাজ করে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেলে জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করা জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের বাসটি বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলটিকে টেনে-হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতেও আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chuadanga is burning at a temperature of 426 degrees Celsius

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা প্রখর রোদে মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতি তীব্র তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করছে জেলার তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খাওয়াতে পারছে না জেলাবাসী। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের ইজিবাইক চালক হারেজ আলী বলেন, ‘কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার উপর চলি এসিচে। আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে বাইরি বের হয়িচি। মাজে মাজে রাস্তার পাশের দুকান থেকি শরবত খেয়ি ঠান্ডা হচ্চি।’

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম; নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

মন্তব্য

p
উপরে