× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে পাঁচ বছর পিছিয়েছে দেশ
google_news print-icon

জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে পাঁচ বছর পিছিয়েছে দেশ

জিডিপি-প্রবৃদ্ধিতে-পাঁচ-বছর-পিছিয়েছে-দেশ
করোনা মহামারির ধকলে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হিসাবে পাঁচ বছর পিছিয়ে গেছে। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
২০২৪ সালের পরই ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ক্লাবে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। করোনার কারণে সেই ক্লাবে ঢুকতে হলে এখন এ দেশকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বিবেচনায় এযাবৎকালে বাংলাদেশের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ অর্জন হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখন অর্থবছরটি ছিল ২০১৮-১৯। এরপর প্রবৃদ্ধির চলমান এই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারির ধকলে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হিসাবে পাঁচ বছর পিছিয়ে গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত সরকারের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪-এ এমন তথ্যই দেয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারির দুই দফা উপর্যুপরি ধাক্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতির এই ধরাশায়ী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ক্লাবে আবার প্রবেশ করতে হলে দেশকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত। তাছাড়া যেখানে ২০২৪ সালের পরই ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ক্লাবে প্রবেশের আভাস ছিল, সেখানে ওই ক্লাবে ঢুকতে হলে এখন বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।

অর্থশাস্ত্রের মতে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটা দেশের কতটা উন্নতি-অবনতি হলো, জিডিপি প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করলে তা অনেকটা জানা যায়।

অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-সংক্রান্ত এই সর্বশেষ প্রতিবেদনে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, করোনা মহামারি সরকারের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর লক্ষ্যগুলোয় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে।

নতুন প্রক্ষেপণ অনুসারে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে সংশোধন করে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যার ওপর ভিত্তি ধরে ২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়।

মধ্যমেয়াদের এই নতুন প্রক্ষেপণ অনুসারে ৬ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করে তা ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭.২ শতাংশ, ৭.৬ শতাংশ এবং ৮.০ শতাংশ হারে অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে নতুন এই প্রক্ষেপণ অনুযায়ী নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন হওয়ার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে জানান, ‘আমরা যে গতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছিলাম, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাস্তবতায় সরকারের সংশোধিত ও প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সঠিক ও সময়োপযোগী। তবে অপেক্ষাকৃত কম জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও প্রস্তাবিত বছরে অর্জিত হবে কি না তাতে ঘোরতর সংশয় রয়েছে।’

কারণ উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বৈশ্বিক বাস্তবতা একে তো মোটেও অনুকূলে নেই, তার ওপর আমাদের অর্থনীতির সক্ষমতাও মারাত্মকভাবে কমে গেছে। যদিও এর থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষকে সম্পূর্ণভাবে করোনার ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখা। কিন্তু সেটা প্রত্যাশিত হারে আমরা করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর অনেকেই যেখানে তাদের জনগোষ্ঠীর শতভাগ করোনা টিকা প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, উন্নয়নশীল অনেক দেশও এই উদ্যোগে বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে, আমরা সেখানে এত বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাত্র অল্প কিছু (প্রায় ৬০ লাখ) লোককে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। অথচ ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৯ কোটি লোককে টিকার আওতায় আনা না গেলে দেশ করোনার ঝুঁকিমুক্ত হবে না। আর করোনামুক্ত না হলে যা কিছুই করা হোক না কেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ খুব একটা আগাতে পারবে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধিও হবে না।’

মাত্র দুই বছর আগেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগোচ্ছিল বীরদর্পে, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার পথে। তখন মূল্যস্ফীতি ছিল স্থিতিশীল। সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের দায়ও ছিল সহনীয়।

এ দুইয়ের ওপর ভর করে বাংলাদেশ সহজেই বহিস্থ অভিঘাত মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে টানা এক দশক ধরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মানদণ্ডের সবগুলো সূচকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। ফলে প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান ও উচ্চমাত্রার প্রবৃদ্ধিও পাচ্ছিল। করোনা শুরুর আগে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশ গড়ে ৭.৪ শতাংশ হারে স্থিতিশীল ও উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, যা বাংলাদেশকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ক্লাবে তুলে দেয়।

জিডিপির এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মূলত শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, বিশেষত বেসরকারি ভোগ, বিনিয়োগ এবং নিট রপ্তানি। অন্যদিকে জোগানের দিক থেকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাত।

গত ৫ বছরে (অর্থবছর ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯) গড়ে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত ১০.৫ শতাংশ, সেবা খাত ৬.৩ শতাংশ এবং কৃষি খাতে ৩.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

তবে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ক্লাবে বাংলাদেশের বসবাস বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনি। বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে পাল্টে যায় দেশের স্থিতিশীল অর্থনীতির দৃশ্যপট। রাতারাতি নাজুক হয়ে যায় অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি। এর সঙ্গে বৈশ্বিক অভিঘাত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে এক ধাক্কায় অনেকখানি নামিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিমাপ উল্লেখ করে সরকারের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, করোনা মহামারির প্রভাবে ২০২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার কমে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।

এরপরও সরকার আশা করছিল, শিগগিরই অর্থনীতির উত্তরণ ঘটবে। কেটে যাবে করোনার নেতিবাচক প্রভাব। এ কারণে চলতি বিদায়ী ২০২১ অর্থবছরের বাজেটেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়। সবকিছু পরিকল্পিতভাবেই চলছিল।

কিন্তু চলতি বছর এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা দুই দফা সংশোধন করে ৬.১ শতাংশে নামিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই কারণে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সরকারকে অতি সতর্ক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। নতুন লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করা হয় মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

কম হারে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে নীতি বিবৃতিতে বলা হয়, চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তিগত ভোগব্যয়, আমদানি-রপ্তানি এবং সরকারি বিনিয়োগ করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

অন্যদিকে, সরবরাহের দিক থেকে কৃষি উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় শিল্প (ম্যানুফ্যাকচারিং), নির্মাণ এবং সেবা খাত।

তাছাড়া অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির সৃষ্ট এই নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে বুঝতে পারে সরকার। ফলে উচ্চমাত্রার প্রবৃদ্ধির চিন্তা থেকে সরে আসে।

সরকারের এই দাবির প্রমাণ মেলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়ার্ল্ড ইকোনমি, এপ্রিল ২০২১ পর্যালোচনা থেকে। যেখানে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বল্পমেয়াদি প্রক্ষেপণে বলা হয়, এই মহামারির কারণে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানবজীবনের ক্ষতি হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বন্ধ থাকায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে বিশ্বজুড়েই দেশে দেশে কমছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি।

আরও পড়ুন:
নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.১ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
মহামারিতেও প্রবৃদ্ধি ৫.৫ থেকে ৬ শতাংশ: এডিবি
বাংলাদেশে এ বছর ৫% প্রবৃদ্ধি হতে পারে: আইএমএফ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

অর্থ-বাণিজ্য
Loss of Tk 10 Crores Those three officers of Agrani Bank have been dismissed

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত ছবি: নিউজবাংলা
অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে শনিবার দুপুরে জানান অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন।

বরখাস্ত হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী।

আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত দল পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। দলটির প্রধান হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three foreign forces worked to keep the Awami League in power GM Quader

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই।’

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘তিন বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল। আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে।

‘নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল। তাই নির্বাচনে গিয়েছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিল।

‘আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে বিএনপি এক কিংবা ১০ লাখ বা এক কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও তাদের আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়। তবে তা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না এবং আমরা গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি নই।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Frogs wedding in hope of rain

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে ছবি: নিউজবাংলা
মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির আসায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেচে গেয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন স্থানীয়রা। লোকজন।

উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান চলে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাপুর আলীর স্ত্রী মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

বিয়ের আয়োজনকারী মল্লিকা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে আমরা কষ্টে রয়েছি; গ্রামের মানুষজন অস্তিত্বতে আছে। কেউই কোনো কাজ কামাই করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আগের যুগের মানুষরা ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হতো। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছি।’

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বিয়ে দেখতে আসা জাহিদ নামের একজন বলেন, “আমার জীবনে প্রথম ব্যাঙের বিয়ে দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে। ‘বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে’ বিষয়টি প্রথম জানলাম।”

বৃদ্ধ আজিজুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আবাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি।’

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কুড়িগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। আজ (শনিবার) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The death of the child fell from the mothers lap due to the impact of the autorickshaw

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাঁদছেন শিশু হুমাইরা আক্তারের স্বজন। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষকালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগম ধাক্কা খান। এ সময় শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক বছরের শিশু হুমাইরা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মদিনা বাজারের উত্তর পাশে খানকা শরীফের সামনের সড়কে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় রাস্তার পাশে এক বছরের শিশু সন্তান হুমাইরাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগমের ধাক্কা খান অটোরিকশার সঙ্গে। এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
DNCC is sprinkling water in the city to relieve the heat

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম শনিবার আগারগাঁওয়ে ডিএনসিসির পানি ছিটানো কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও পান না। সিটি করপোরেশনে তার বসার ব্যবস্থাও নেই। তাকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।’

চলমান তাপপ্রবাহে সারা দেশের সঙ্গে পুড়ছে রাজধানী ঢাকাও। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ নগর জীবন। এ অবস্থায় রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দুটি স্প্রে ক্যানন প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না৷ গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে।

‘এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে।’

চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজগুলো আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন যে চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। বাস্তবে সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই।

‘হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে সাতজন চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করেছে এবং তারা সবাই নারী।’

ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Field workers of Pran RFL died of heatstroke in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর ফাইল ছবি
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে সাখাওয়াত হোসেন মুকুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের বিপনন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

২৭ বছর বয়সী মুকুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায়।

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মুন্সীগঞ্জ শহরের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ মোহাম্মদ রোকন জানান, শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের অদূরে মুন্সীরহাট এলাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অবস্থায় তীব্র গরমের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের মরদেহ তার নিজ জেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Hundreds of houses were destroyed in Kamalganj in the rampage of Kalbaisakhi

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

আকস্মিক কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু বাড়িঘর। ঝড়ের পর খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে অর্ধশতাধিক পরিবার।

এ ছাড়াও গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার, ধূপাটিলা, উসমানগড়, ব্রাহ্মণঊষারসহ ৮টি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘর এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি, ভাদাইরদেউল গ্রামে আরও কয়েকটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ-বাঁশ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউনিয়নের নেছার মিয়া, ময়নুল মিয়া, খুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ অসংখ্য পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তীব্র শিলাবৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। সহোযোগিতা না পেলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে।’

পতনঊষার ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান জানান, আকস্মিক ঝড়ে পতনঊষার গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সেসব দরিদ্র পরিবারের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের দ্রুত সহায়তার প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান বাড়িঘর বিধ্বস্তের কথা বলেছেন। তবে পরিপূর্ণ হিসাব জানা যায়নি। চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেয়ার জন্য। দ্রুত তাদের সহোযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎহীন কুলাউড়া
বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জনের প্রাণহানি

মন্তব্য

p
উপরে