× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
৩০ কোম্পানিই ২৯টি দর হারাল সর্বোচ্চ
google_news print-icon

৩০ কোম্পানির ২৯টি দর হারাল ‘সর্বোচ্চ’

৩০-কোম্পানির-২৯টি-দর-হারাল-সর্বোচ্চ
নতুন করে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া ৩০ কোম্পানির সব কটি দাম হারিয়েছে রোববার। ছবি: নিউজবাংলা
যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কমানো হয়েছে, সেগুলোর একটি বিশেষ সুবিধা আছে। তা হলো অন্যগুলোর মতোই এগুলোর দাম ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে, কিন্তু কমতে পারবে দুই শতাংশ। প্রথম দিন সব কটি কোম্পানি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে কেবল একটি কোম্পানিই দাম সর্বোচ্চ পরিমাণের চেয়ে কম কমেছে।

নতুন করে যে ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর বা তুলে নেয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই দর হারিয়েছে। এসব কোম্পানির দর হারানোর প্রান্তসীমা ছিল দুই শতাংশ। আর একটি ছাড়া সবগুলোই এই পরিমাণ দর হারিয়েছে।

এর আগে ফ্লোর তুলে দেয়া ৬৬ কোম্পানির মতোই এই কোম্পানির ক্ষেত্রেও একটি প্রবণতা লক্ষ্যণীয়। আর তা হলে ফ্লোর প্রাইসে কোনো কোনোদিন একটি শেয়ারও হাতবদল না হলেও ‘মুক্ত’ হয়ে যাওয়ার পর সব কটি কোম্পানিই লেনদেন হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এরপর প্রথম লেনদেন হয়েছে রোববার।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর শেয়ার মূল্যে দেখা দেয়া ধস ঠেকাতে এই ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয় সবগুলো শেয়ারের। কিন্তু শেয়ারের আয়, মৌলভিত্তি বিবেচনায় না এনে কেবল বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই সর্বনিম্ন দাম দেয়া হয়।

পরে দেখা যায়, বহু কোম্পানি বিপুল পরিমাণ লোকসান দিচ্ছে। আর এ কারণে বেঁধে দেয়া সেই মূল্য অযৌক্তিক হয়ে যায় আর সেই দামে শেয়ার হাতবদল হচ্ছিল না বললেই চলে।

এই পরিস্থিতিতে প্রথমে ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়। সেই কোম্পানিগুলোর প্রায় অর্ধেক এখন বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে গেছে। আর প্রতিদিনই বেশ ভালো পরিমাণে লেনদেন হচ্ছে।

এর পরেও আরও বেশ কিছু কোম্পানি থেকে যায়, যেগুলো লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে তোলা হয় ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারে কোনো ফ্লোর প্রাইস রাখা হবে না। কিন্তু একদিনে সবগুলো তুলে দিলে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় তারা ধাপে ধাপে এই সিদ্ধান্ত নেবেন।

যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কমানো হয়েছে, সেগুলোর একটি বিশেষ সুবিধা আছে। তা হলো অন্যগুলোর মতোই এগুলোর দাম ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে, কিন্তু কমতে পারবে দুই শতাংশ।

কিন্তু শতকরা হিসাবের কারণে কোনো কোনো কোম্পানির দাম কমতে পারে দুই শতাংশের কম।

বিএসইসি চেয়ারম্যান নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, হঠাৎ করে এই সুবিধা উঠিয়ে দেয়া হলে তা পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এজন্য পুঁজিবাজার যখন স্বাভাবিক হবে, বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থাশীল হবে তখন আস্তে আস্তে এসব সুযোগ উঠিয়ে দেয়া হবে।

কোনটার দাম কত কমল

রেনউইক যগেশ্বর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯০০ টাকা। রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৮২ টাকা।

ফ্লোর উঠানোর আগে বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল আটটি। সেটি বেড়ে হয়েছে ২১টি।

মুন্নু এগ্রোর দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দুই শতাংশ কমে হয়েছে ৭৭৮ টাকা ৯০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো শেয়ার হাতবদল না হলেও আজ লেনদেন হয়েছে ৩১টি।

নর্দার্ন জুট কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩২৪ টাকা ৯০ পয়সা। এটিও দর হারিয়েছে ২ শতাংশ। আজ ৩০৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩১৮ দশমিক ৪০ পয়সায়। ফ্লোর উঠার আগে লেনদেন ছিল ১৮টি।

ইস্টার্ন কেবলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪০ টাকা ১০ পয়সা। দুই টাকা ৮০ পয়সা বা দুই শতাংশ কমে এখন দাম হয়েছে ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সা।

ফ্লোর উঠার আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও সেটি এখন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৫৪৫টি

গত অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়া বাটা শুর ফ্লোর প্রাইস ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে।

ফ্লোর মুক্ত দিনে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে দাম হয়েছে ৬৭৯ দশমিক ৪০ পয়সা। লেনদেনও হয়েছে প্রায় তিন ‍গুণ।

বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছেল ৭৯৯টি। আর রোববার হয়েছে দুই হাজার ১৯৭টি।

৩০ কোম্পানির ২৯টি দর হারাল ‘সর্বোচ্চ’
নতুন করে যে ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে

কোহিনুর ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭২ টাকা ৮০ পয়সা। এর দরও ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৬৩ টাকা ৪০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির জট খুলেছে। ৫১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

ওয়াটা ক্যামিকেল ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩০৬ টাকা ৮০ পয়সা। ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে দাম হয়েছে ৩০০ টাকা ৭০ পয়সা।

আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও এর লেনদেন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৫৪৮টি।

এপেক্স স্পিনিং এর দর ১৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয়েছে ১২৮ টাকা ১০ পয়সা।

ফ্লোরের শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটিরও জট খুলেছে। দাম কমার পর হাতবদল হয়েছে ৪০০টি।

সিভিও পেট্রো ক্যামিকেলের দাম ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয়েছে ১১৩ টাকা ১০ পয়সা।

আগের দিন মাত্র তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও ফ্লোর থেকে মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে ৪১১টি।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর ৩০৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৩০১ টাকা ৮০ পয়সা।

তবে এটির লেনদেন কমেছে। আগের দিন ১২০টি শেয়া হাতবদল হলেও আজ হয়েছে ৯২টি।

সোনালী পেপারের দাম ২৭৩ টাকা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬৭ টাকা ৬০ পয়সা।

এটিরও লেনদেন কমেছে। আগের দিন ২০টি হাতবদল হলেও আজ হয়েছে দুটি।

কে অ্যান্ড এর দর ২০৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২০৩ টাকা ৩০ পয়সা।

এটিরও লেনদেন কমেছে। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৬৯টি। আজ হয়েছে একটি।

স্টাইলক্রাফটের দর ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪৩ টাকা ৩০ পয়সা।

আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে দুই হাজার ৯৩টি শেয়ার লেনদেন হলেও এটি আজ হাতবদল হয়েছে দ্বিগুণ। লেনদেন হয়েছে চার হাজার ২৯২টি।

বিডিঅটোকারের দর ১৪৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে ৩৩৫টি।

মুন্নু সিরামিকের দর ১২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১২৪ টাকা ৩০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন ৭৪ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে এক হাজার ২৫১টি।

বঙ্গজের দাম ফ্লোর প্রাইস ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১১৪ টাকা ৬০ পয়সা।

এই কোম্পানিরও লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে এক হাজার ৭২৬টি শেয়ার লেনদেন হলেও এটি আজ হাতবদল হয়েছে দুই হাজার ৪০৬টি।

৩০ কোম্পানির ২৯টি দর হারাল ‘সর্বোচ্চ’
প্রথম ধাপে ফ্লোর তুলে নেয়া ৬৬ কোম্পানি

এপেক্স ট্যানারির দাম ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন ১০০টি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর হাতবদল হয়েছে দুই হাজার ২২৯টি।

সমতা লেদারের দর ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সা।

আগের দিন ফ্লোর প্রাইসে একটি শেয়ার লেনদেন হলেও এটি আজ হাতবদল হয়েছে ১৭টি।

এপেক্স ফুটওয়্যারের দর ফ্লোর প্রাইস ২১৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ২১৫ টাকা।

এই কোম্পানির এটিরও লেনদেন কমেছে। আগের দিন তিন হাজার ৩৫১টি শেয়ার হাতবদল হলেও আজ হয়েছে দুই হাজার ৪৬৭টি।

আজিজ পাইপের দর ফ্লোর প্রাইস ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৫ টাকা ৬০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ৭১০ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৯৫টি।

ন্যাশনাল টিউবের দর ১০৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ১০১ টাকা ১০ পয়সা।

আগের দিন ১৪১টি শেয়ার হাতবদল হলেও আজ লেনদেন হয়েছে ৭০৮টি।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭২ টাকা ১০ পয়সা থকে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৭০ টাকা ৭০ পয়সা।

এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ১০ হাজার শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩৭৪টি।

ন্যাশনাল পলিমারের দর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা।

লেনদেন কমেছে এটিরও। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন হাতবদল হয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৫১টি। তবে আজ হাতবদল হয়েছে ৩৮ হাজার ১০৯টি।

জেমিনি সি ফুডের দর ফ্লোর প্রাইস ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সা।

এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ৭১৮টি শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে ৪৪৭টি।

এসকে ট্রিমসের দর ৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১ টাকা।

ফ্লোরের শেষ দিন একটি শেয়ারও লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির ১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৬২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে আজ হাতবদল হয়েছে আট হাজার ১১৯টি।

সিপার্লের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে হয়েছে ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে আজ হাতবদল হয়েছে ১১টি।

হাক্কানি পাল্পের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৪ টাকা থেকে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে হয়েছে ৭২ টাকা ৬০ পয়সা।

এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন এক হাজার ১০১টি শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে ২২টি।

ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ফ্লোর প্রাইস ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৫২ টাকা ৪০ পয়সা।

এটির লেনদেনও কমেছে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ২৯ হাজার ৯০টি শেয়ার হাতবদল হলেও দর কমার দিন লেনদেন হয়েছে ১৭ হাজার ২১টি।

একমাত্র শেয়ার হিসেবে এটলাসের দর সর্বনিম্ন সীমা থেকে কম কমেছে। কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা। দাম কমতে পারত ১০৭ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত। কিন্তু দিন শেষে দাম হয়েছে ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা।

তবে এর লেনদেন হয়েছে ন্যূনতম। আগের দিন দুটি শেয়ার হাতবদল হওয়া কোম্পানিটির তিনটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এটি।

‘দাম কমাই স্বাভাবিক’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধন গবেষণা কমর্কতা দেবব্রত সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এতদিন লেনদেন না হওয়ার কারণ কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস ছিল অতিমূল্যায়িত। এখন দর কমবে, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনবে।’

আরও পড়ুন:
আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
সেই ৬৬ কোম্পানির শেয়ারে এখন বাড়তি ‍সুবিধা
আতঙ্ক থাকলেও ফ্লোর প্রত্যাহারের প্রভাব ইতিবাচক
পুঁজিবাজারে উঠে যাচ্ছে ফ্লোর প্রাইস
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার: দরপতন ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Tajiya procession came out in old Dhaka on the occasion of Ashura

আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকায় বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল

আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকায় বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদী-তীরবর্তী কারবালার ময়দানে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। শোকের দিন পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিল বের করেছেন শিয়া মুসলিমরা। রোববার সকাল ১০টায় হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে ১০ মহররমের প্রধান তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে।

হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার সুপারিনটেনডেন্ট এম.এম. ফিরোজ হোসেন জানান, তাজিয়া মিছিলটি সাজানো হয়েছে সামনে কালো ব্যানার, বেহেস্তা (লাল-সবুজ নিশান), পাঞ্জা আলম মাতম, দুলদুল ঘোড়া, খুনি ঘোড়া ও একটি জারি তাজিয়া দিয়ে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The Holy Ashura will give mankind the power and courage to establish truth and justice against oppression and injustice Chief Advisor

পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা

পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে।

তিনি পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে আজ এ কথা বলেন।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘পবিত্র আশুরা’র শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

তিনি বলেন, ইসলাম সত্য, ন্যায় এবং শান্তির ধর্ম। ইসলামের এই সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহচরবৃন্দ বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ একটি দিন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী সৃষ্টিসহ নানা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এদিনে সংঘটিত হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে দুটি রোজা রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

এই মহিমান্বিত দিনটির তাৎপর্য ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সকলের প্রতি বেশি বেশি নেক আমল করার আহবান জানান। তিনি সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পবিত্র আশুরার এই দিনে তিনি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Dhaka will assist Kuala Lumpur in investigating against terrorists Foreign Ministry

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্তে কুয়ালালামপুরকে সহযোগিতা করবে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্তে কুয়ালালামপুরকে সহযোগিতা করবে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযানে ‘চরমপন্থি উগ্রবাদী’ আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) বলেছে, ‘সন্ত্রাস-সংক্রান্ত তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চেয়েছে।’

বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গ্রেপ্তার বা আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক ঘটনার হালনাগাদ তথ্যে বাংলাদেশ জানিয়েছে, বাকি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বা তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর (ডিপোর্টেশন) প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশ সরকার ঘটনাপ্রবাহ ‘ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে এবং কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করে যাবে।

মালয়েশিয়ার সরকার শুক্রবার জানায়, মালয়েশিয়ার পুলিশ সম্প্রতি যে বাংলাদেশি চরমপন্থি গোষ্ঠী (জিএমআরবি) ভেঙে দিয়েছে, তা সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ ও সদস্য নিয়োগে লিপ্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩৬ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৬এ অনুযায়ী অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১৬ জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০১২ (এসওএসএমএ)-এর আওতায় তদন্ত ও বিচারের জন্য আটক রাখা হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশির বিষয়ে দেশটি ইতোমধ্যে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, তারা এখন মালয়েশিয়ার উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন বাংলাদেশির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি এবং এখন তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই করবে, তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

‘যদি তারা জড়িত থাকে, তাহলে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে,’ বলেন উপদেষ্টা হোসেন। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি এখনো কিছুটা ‘ফ্লুইড’ বা অস্থির।

এই ঘটনা ভবিষ্যতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালয়েশিয়ান ভিসা ইস্যুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে কিনা, প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো নেতিবাচক ঘটনা ভিসা ইস্যুতে প্রভাব ফেলতে পারে, এবং তারা একথা বলতে পারেন না যে এর কোনো প্রভাবই পড়বে না।

তবে তিনি বলেন, যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে প্রভাব কমানো সম্ভব।

মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক তান শ্রী মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, এই গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক সদস্যপদ ফি হিসেবে জনপ্রতি ৫০০ রিংগিত এবং আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী অন্যান্য স্বেচ্ছা অনুদান গ্রহণ করে তহবিল সংগ্রহ করত।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ছিল ১০০ থেকে ১৫০ জন, যারা সবাই মালয়েশিয়ায় কারখানা, নির্মাণকাজ ও পেট্রোল পাম্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক।

তিনি বলেন, সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট অ্যাপ এবং আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সেবার মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো। গোষ্ঠীটি নতুন সদস্য নিয়োগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করত।

মোহাম্মদ খালিদ বলেন, পুলিশ এখনো তদন্ত করছে ঠিক কত টাকা আইএস নেটওয়ার্কে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, গোষ্ঠীটি সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে আইএস-এর প্রচারণা ছড়াত, ‘বাইআহ’ (আনুগত্যের শপথ) সম্পন্ন করত এবং গোপন ধর্মীয় ক্লাস ও সদস্য সভার মতো কার্যক্রম আয়োজন করত।

তিনি বলেন, ‘যারা অনলাইনে আনুগত্যের শপথ করত, তাদেরকে সেল নেতা বানানো হতো, যাতে তারা গোষ্ঠীর প্রভাব আরও বাড়াতে পারে। নতুন সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল ধাপে ধাপে—স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে অভিজাত দলের গঠন পর্যন্ত।’

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীতে কোনো মালয়েশিয়ান নাগরিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে এই গোষ্ঠী মালয়েশিয়ায় প্রায় এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও গোষ্ঠীটি মালয়েশিয়ায় কোনো হামলার পরিকল্পনা করছিল না, তবে তারা দেশটিকে তহবিল সংগ্রহ ও সদস্য নিয়োগের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। তদন্তে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ও ইন্টারপোল সহায়তা করছে।

মোহাম্মদ খালিদ বলেন, মালয়েশিয়ান আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে আইএস মতাদর্শ ছড়াতে থাকা বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে গোষ্ঠীটির কার্যক্রম শনাক্ত করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Korona and dengue identification of two more in Sylhet 

সিলেটে আরো দুইজনের করোনা ও ডেঙ্গু শনাক্ত 

সিলেটে আরো দুইজনের করোনা ও ডেঙ্গু শনাক্ত 

সিলেটে নতুন করে একজনের করোনা ও একজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছর ২৭ জনের করোনা ও ৩৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হলো।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এই বছর ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিলেট স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রেরিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে জুলাই মাসে পাঁচজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হলো। বর্তমানে ২৫০ শয্যার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চলতি বছর ৩৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১০ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় তিনজন, মৌলভীবাজার জেলায় ১১ জন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৪ জন। তবে, ডেঙ্গুতে সিলেট অঞ্চলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Prosecuson hopes to begin the testimony of Sheikh Hasinas case in July August

জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আশা প্রসিকিউসনের

জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আশা প্রসিকিউসনের

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ জুলাই মাসের শেষে কিংবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউসন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই মাসের শেষের দিকে কিংবা আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলে আমরা প্রসিকিউসনের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করছি।’

এদিকে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের মুখোমুখী করতে ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে আর্জি জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

গত ১ জুলাই বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানিতে বিচারের এই আর্জি জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় তিনি ট্র্যাইব্যুনালকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সারা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে সর্বত্র অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। পরিমাণে, সংখ্যায় এবং স্থানের ব্যপকতায় এই অপরাধ ছিল বিস্তৃত-ব্যাপক। আর এই অপরাধ ছিল সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগত)। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে এবং নির্দেশের চেইন অব কমান্ড অনুসারে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশ এবং অন্যান্য সহযোগী বাহিনী সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে অপরাধ সংঘটন করেছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের সর্বত্র একই পদ্ধতিতে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং যে অপরাধ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে এবং যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছি পুরোটাই ছিল বিস্তৃত এবং পদ্ধতিগত, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে প্রমাণ করে। ফলে আমাদের সবিনয় প্রার্থনা হচ্ছে, এই মামলায় যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছি, তার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারের মুখোমুখী করা হোক।’

চিফ প্রসিকিউটরের এই শুনানির পর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন দুই সপ্তাহ সময় চাইলে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ অভিযোগ গঠন বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য রয়েছে।

এসময় ট্র্যাইব্যুনালে হাজির ছিলেন এই মামলায় গ্রেফতারকৃত পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল- মামুন। তার পক্ষে ট্র্যাইব্যুনালে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। অভিযোগ গঠন বিষয়ক সেদিনের শুনানি ট্র্যাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।

গত ১৬ জুন ট্র্যাইব্যুনাল-১ পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আগামী সাতদিনের মধ্যে হাজির হতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন এবং পরদিন দু’টি পত্রিকায় শেখ হাসিনা ও কামালকে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তবে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরেও পলাতক দুই আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় ট্র্যাইব্যুনাল ১ জুলাই অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। সে ধারাবাহিকতা ১ জুলাই শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলায় অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউসন। এদিন প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। জাজ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In Bhola Coward van the Coast Guard searched illegal goods worth Tk 1 crore

ভোলায় কাভার্ড ভ্যানে কোস্টগার্ডের তল্লাশি ৭ কোটি টাকার অবৈধ পন্য জব্দ

ভোলায় কাভার্ড ভ্যানে কোস্টগার্ডের তল্লাশি ৭ কোটি টাকার অবৈধ পন্য জব্দ

ভোলা জেলা শহরের কালিনাথ বাজারে ঢাকা থেকে আসা ভোলাগামী এস এ পরিবহনের পন্য বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে আনা প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৮০ কেজি পলিথিন, ৫ হাজার ৮৮৯ পিস আতশবাজি ও ১৯ হাজার ৬০০ শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভোলা বেইস।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে কোস্টগার্ড ভোলা বেইসের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় কোস্টগার্ডের ভোলা বেইসের সদস্যরা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে ওই এলাকায় ঢাকা থেকে ভোলাগামী এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ৭ কোটি ৮ লাখ ২ হাজার ৩৬০ টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, পলিথিন, আতশবাজি ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত কারেন্ট জাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিনষ্ট করা হয়। এ ছাড়া নিষিদ্ধ পলিথিন ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুল্ক ফাকি দিয়ে আনা সিগারেট বরিশাল কাস্টমস ও আতশবাজি ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্টগার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কতৃক শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসা চোরাচালানবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Another wild elephant died in Sherpur

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।

খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।

এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।

এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’

মন্তব্য

p
উপরে