× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বেশি দামে শেয়ার বেচে উধাও ফ্যামিলিটেক্সের মালিকরা
google_news print-icon
বেশি বোনাসের করুণ ফল-৫

বেশি দামে শেয়ার বেচে উধাও ফ্যামিলিটেক্সের মালিকরা

বেশি-দামে-শেয়ার-বেচে-উধাও-ফ্যামিলিটেক্সের-মালিকরা
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে ফ্যামিলিটেক্সের কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগের তিন বছর ক্রমাগত বেড়েছে আয়। তালিকাভুক্তির বছরে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার পর দাম অভিহিত মূল্যের সাড়ে সাত গুণ হয়ে যায়। পরে ক্রমাগত লোকসান দিতে দিতে একপর্যায়ে দাম কমে ১ টাকা ৬০ পয়সায় নামে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বছরে ১০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার বোনাস ঘোষণা করে হুলুস্থুল ফেলে দেয়া ফ্যামিলি টেক্সটাইল ডুবে গেলেও ব্যাপক মুনাফা করেছে মালিকপক্ষ।

উদ্যোক্তা পরিচালকরা ঘোষণা না দিয়ে বেআইনিভাবে তাদের হাতে থাকা প্রায় সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। আর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দাম এখন পড়তে পড়তে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

গত বছর শেয়ারের দাম একপর্যায়ে কমে এক টাকা ৬০ পয়সায় নেমে আসে। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের খবরে টানা কয়েক দিন দাম বেড়েছে। তাও তা তিন টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।

অর্থাৎ মালিকপক্ষ যে টাকায় শেয়ার বিক্রি করেছে, এখন সব শেয়ার কিনতে পারবে তার ভগ্নাংশ দিয়ে।

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) একটি প্রতিষ্ঠান ফ্যামিলিটেক্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে।

২০১৩ সালে তালিকাভুক্তির পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তবে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা।

ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় দেখানো হয় ৭ টাকা ২৬ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয় ২১ টাকা ৭২ পয়সা। এই লভ্যাংশ ঘোষণার পর দিন ১ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়ায় ৬২ টাকা, যদিও একপর্যায়ে দাম ৭৪ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছিল।

বিপুল পরিমাণ বোনাস শেয়ার দেয়ার পর থেকেই ফ্যামিলিটেক্সের আয় কমতে থাকে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে তারা সব শেষ মুনাফা করেছিল। তখন শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৮২ পয়সা। এর পরের চার বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে তারা।

২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় সাড়ে ৪ পয়সার মতো। পরের বছর লোকসান হয় ৭ পয়সা, ২০১৯ সালে লোকসান হয় ৮ পয়সা। আর ২০২০ সালে লোকসান হয় ১৫ পয়সা।

চলতি অর্থছরের প্রথম ছয় মাসে লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। মঙ্গলবার সবশেষ লেনদেনে ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ারের দাম ছিল ২ টাকা ৯০ পয়সা।

২০১৩ সালে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার পরের বছর তারা দেয় আরও ১০ শতাংশ বোনাস। এর পরের তিন বছর দেয় ৫ শতাংশ করে। কিন্তু গত দুই বছর কোনো লভ্যাংশই দেয়া হয়নি।

অথচ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে কোম্পানির আয় ক্রমেই বাড়ছিল। তালিকাভুক্তির আগে তিন বছরের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয় বিএসইসিতে।

সেখানে দেখা গিয়েছিল ২০১১ ও ২০১২ সালে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছিল চার গুণের বেশি। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার বছরে মুনাফা বাড়ে আরও ৭৬ শতাংশ।

মাত্রাতিরিক্ত বোনাস শেয়ার দেয়ার পর শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীরা ঠকেছে মুন্না এগ্রো (আগে নাম ছিল মুন্নু স্টাফলার), স্টাইলক্রাফট, জেমিনি সি ফুড, ডাচবাংলা ব্যাংক, ডেল্টা লাইফের শেয়ার কিনে।

বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও বার্জার পেইন্টসের শেয়ারে লোকসান না হলেও দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

আর ওষুধ খাতের ফার্মা এইড ২০১০ সালে একটি শেয়ারের বিপরীতে পাঁচটি বোনাস শেয়ার দেয়ার পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছে।

বেশি দামে শেয়ার বেচে উধাও ফ্যামিলিটেক্সের মালিকরা
ফ্যামিলিটেক্সের উৎপাদিত পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

বেআইনিভাবে শেয়ার বেচলেও সাজা হয়নি

৩৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৪.০২ শতাংশ শেয়ারের মালিক এর উদ্যোক্তা পরিচালকরা। যদিও আইন অনুযায়ী ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে তাদের হাতে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার আছে।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে পুঁজিবাজারে ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাও করেননি।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ডিসেম্বরের শেষে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দেয়।

এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে তাতে দেখা যায়, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেরাজ-ই-মোস্তফা ২০১৮ সালের অক্টোবরে তার নিজ নামের ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার বিনা ঘোষণায় বিক্রি করেছেন, যা ওই দিনে ডিএসইতে কোম্পানিটির বিক্রি হওয়া শেয়ারের প্রায় ৯৩ শতাংশ।

প্রায় একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আরেক পরিচালক রোকসানা মোরশেদ ৯২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার সাড়ে ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন।

তিনি ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে চার দফায় ৫ কোটি ১৮ লাখ শেয়ার প্রায় ৫৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেন। তার সাবেক স্বামী ও ফ্যামিলিটেক্সের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদও একই সময়ে সোয়া ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দেশের বাইরে চলে যান।

উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি তদন্তে কমিটি

গত ২৮ ডিসেম্বর ফ্যামিলিটেক্সের পরিচালকদের বিএসইসিকে না জানিয়ে শেয়ার বিক্রির তথ্য অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কমিটির সদস্যরা ছিলেন উপপরিচালক রাকিবুর রহমান ও সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।’

পর্ষদ পুনর্গঠন করে কোম্পানি বাঁচানোর চেষ্টা

বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠনের অংশ হিসাবে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসএসি ফ্যামিলিটেক্সে ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়।

তারা হলেন কাজী আমিনুল ইসলাম, ড. সামির কুমার শীল, ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল, ড. মো. জামিল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ এহসান ও ড. মো. ফরজ আলী। ছয়জনের মধ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী আমিনুল ইসলাম।

কোম্পানির আর্থিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে কীভাবে কোম্পানিটি আবার চালু করা যায় সে বিষয়ে কমিশনকে জানাবেন তারা।

বেশি দামে শেয়ার বেচে উধাও ফ্যামিলিটেক্সের মালিকরা

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা

কী করবেন স্বতন্ত্র পরিচালক

কোম্পানির আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করাসহ কীভাবে কোম্পানিটিকে আগের অবস্থায় বা উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজ করবেন স্বতন্ত্র পরিচালকরা। এ ছাড়া কোম্পানির কোনো অসঙ্গতি থাকলে সেটি নিয়েও কাজ করবে পুনর্গঠিত বোর্ড।

এ বিষয়ে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোকে চালু করতে। দীর্ঘদিন এসব কোম্পানি বন্ধ থাকার কারণ বিদ্যমান বোর্ডে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করা। এ জন্য আমরা কোম্পানিগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিচ্ছি।’

কী করবে স্বতন্ত্র পরিচালকরা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটিকে চালু করার প্রাথমিক কাজটি তারা করবেন। পরবর্তীতে কেউ যদি কোম্পানিগুলো নিয়ে চালু করতে চায় তাহলে সেভাবে উদ্যোগ নেয়া হবে।

বেশি দামে শেয়ার বেচে উধাও ফ্যামিলিটেক্সের মালিকরা
রাজধানীর একটি ব্রোকারেজ হাউসে উৎসুক বিনিয়োগকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা

বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকের বক্তব্য

ফ্যামিলিটেক্স সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী আফজাল হোসেন বলেন, তালিকাভুক্ত হওয়ার পর অনেক কোম্পানিগুলো নিজেদের আকষর্ণীয় করার জন্য প্রথমেই বোনাস শেয়ার দেয়ার পথ বেছে নেয়। শুধু ফ্যামিলিটেক্স নয় এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা বড় অংকের বোনাসের মাধ্যমে মূলত নিজেরাই লাভবান হয়েছে।

‘এই কোম্পানির বিনিয়োগাকরীরাদের কি অবস্থা সেটি যে খুব ভালো সেটা বলা যাবে না। কারণ যে কোম্পানির শেয়ারের উদ্যোক্তা পরিচালকদেরই কোনো সন্ধান নেই সেই কোম্পানির বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যাবে সেটা কল্পনার বিষয়।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বোনাস শেয়ার দিয়ে কখনও কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বোঝা যায় না। কারণ কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন অস্পষ্টভাবে তৈরি করে দেখাতে পারে তাদের কাছে অনেক টাকা আছে। সেটি দিয়ে তারা কোম্পানি সম্প্রসারণ করবে। বাংলাদেশ এটাই হচ্ছে।

‘পরে সেই টাকার বিপরীতে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে সে টাকা নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে ঠিকই কিন্ত কোম্পানির কোনো উন্নতি করে না। আর যদি উন্নতি করেও থাকে তাহলে সেটা প্রতিফলন পাওয়ার কথা। কিন্ত সেটি না হয়ে এমনও হচ্ছে বড় বোনাস দিয়ে পরবর্তীতে কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে।’

পরের পর্বে থাকছে দুই বহুজাতিক কোম্পানি বিএটিবিসি ও বার্জার পেইন্টসের কথা

আরও পড়ুন:
আনুপাতিক শেয়ার বণ্টনেও কোটা
পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন কোন পথে
এক মাস পর পুঁজিবাজারে হাজার কোটি টাকা লেনদেন
ডাচ-বাংলার শেয়ার কিনে ঠকা দুইবার
টানা উত্থানে স্বপ্ন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In a one night expedition 12000 cubic feet of stone returned

এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে

এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গতকাল বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া পাথর পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিলেট নগরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, বুধবার রাতে ৬ সদস্যের একটি দল যৌথবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভায় লুট করা পাথর উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশাসনের জরুরি বৈঠক শেষে রাত ১২টার পর অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী। সিলেট নগরী ও সাদাপাথর এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে সাদাপাথরের লুট করা স্তুপকৃত পাথর জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো সাদাপাথর এলাকায় নিয়ে ফের প্রতিস্থাপন করা হয়।

এছাড়া সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের ওসমানী বিমানবন্দর এলাকায় সিলেট ক্লাবের সামনে যৌথবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটকেও পাথর জব্দ করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। লুট করা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

এর আগে, নজিরবিহীন লুটপাটের পর পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর রক্ষায় নড়ে বসে প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউসে জরুরি সমন্বয় সভার আহ্বান করা হয়। সভায় লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সভায় সাদাপাথর রক্ষায় ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেগুলো হলো:

১. জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথবাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি থাকবে।

৩. অবৈধ পাথর ভাঙা (ক্রাশিং) মেশিন বন্ধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৪. পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফেরানো হবে।

সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী রোববারের (১৭ আগস্ট) মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর লুটপাটের ঘটনা অনুসন্ধানে গতকাল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।

দুদক জানিয়েছে, পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি এবং পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের একাধিক পাথর কোয়ারি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন চালায়, যার মধ্যে ছিল মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ধর্মঘট ইত্যাদি। এই দাবির আড়ালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথরখেকো চক্র’ প্রকাশ্যে ও গোপনে সাদাপাথরের পাথর লুট করে নিয়ে যায়।

এর মধ্যে সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাটে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tikatkar Prince Mamun again arrested

টিকটকার প্রিন্স মামুন ফের গ্রেপ্তার

টিকটকার প্রিন্স মামুন ফের গ্রেপ্তার

জনপ্রিয় টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ ফের গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান।

ওসি জানান, বিজ্ঞ আদালতের জারি করা ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর লায়লা বলেন, “মামুন গ্রেপ্তার হয়েছে এটা সত্যি। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা আমি নিশ্চিত নই। ওর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা চলমান।”

এর আগে গত বছরের জুন মাসে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মামলাটি করেন লায়লা আখতার ফারহাদ। তবে পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি খারিজ করে দেয়।

এ ছাড়া প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগও তোলা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি হওয়ায় ওই মামলার অভিযোগের ধারা কার্যকর নেই।

প্রিন্স মামুনের জনপ্রিয়তা আসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, বিশেষ করে টিকটক ও লাইকি অ্যাপে নিজের তৈরি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করে। সেখান থেকেই তিনি পরিচিতি পান।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BSF handed over 4 Bangladeshis to BGB

বিজিবির কাছে ৯ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

বিজিবির কাছে ৯ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

মেহেরপুরের মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে আসা ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে মেইন পিলার ১০৫-এর নিকটে শূন্য লাইনে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার এবং ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের হৃদয়পুর কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে পূর্বে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা ৯ বাংলাদেশিকে বিএসএফ বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ২ জন নারী এবং ৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে উড়িষ্যা রাজ্যে বসবাস করছিলেন। পরে বিএসএফ তাদের স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে এনে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।

বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানা, , বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে এ ধরনের পতাকা বৈঠক দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Saudi palm success in the hands of foreign farmers

বিদেশফেরত কৃষকের হাতে সৌদি খেজুরের সাফল্য

বিদেশফেরত কৃষকের হাতে সৌদি খেজুরের সাফল্য

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের খেজুর সফলভাবে উৎপাদন করে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের আবদুল মোতালেব। এলাকায় তিনি এখন ‘খেজুর মোতালেব’ নামেই পরিচিত। সৌদি খেজুরের বাগান থেকে তিনি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন, যা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দেশের নানা প্রান্তের চাষিদের।

মোতালেব জানান, ১৯৯৮ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই খেজুর বাগানে কাজ করার সুযোগ পান। তিন বছর কাজ করার পর বুঝতে পারেন—অন্যের বাগানে মজুরের কাজ করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০১ সালের শেষ দিকে দেশে ফেরেন ৩৫ কেজি খেজুরের বীজ নিয়ে। নিজ বাড়ির উঠানে শুরু হয় তার খেজুর চাষের স্বপ্নযাত্রা।

শুরুর সময় ছিল দুঃখ-কষ্টে ভরা। বিদেশ থেকে টাকা বা স্বর্ণ না আনতে পারায় অভিমানে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। তার আনা বীজ থেকে জন্ম নেয় ২৭৫টি গাছ, যার মধ্যে মাত্র সাতটি ছিল মাতৃগাছ। দীর্ঘ ১৮ বছরের গবেষণায় সেই মাতৃগাছগুলো থেকেই কাটিং করে চারা উৎপাদন শুরু করেন।

বর্তমানে তার সাত বিঘা বাগানে রয়েছে ৩ হাজারের বেশি সৌদি জাতের খেজুরগাছ। যার মধ্যে আজোয়া, শুক্কারি, আম্বার, লিপজেল ও মরিয়ম জাতের খেজুর অন্যতম। খেজুরের দাম জাতভেদে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। শুধু খেজুর নয়, বিক্রি হয় চারা—কাটিং করা চারা ১৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, আর বীজ থেকে উৎপাদিত চারা ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা।

মোতালেবের ছেলে মিজানুর রহমান অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৩ সাল থেকে বাবার সাথে যুক্ত হয়ে খেজুর চাষে নতুন উদ্ভাবন করেছেন। দেশি ও সৌদি জাতের গাছ ক্রস করে এমন একটি জাত তৈরি করেছেন, যেটি থেকে প্রচুর রস পাওয়া সম্ভব। বাবা-ছেলে মিলে আট বিঘা জমিতে রস ও গুড় উৎপাদনের জন্য নতুন বাগান করেছেন।

মোতালেবের সাফল্যের খবরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন তার বাগান দেখতে ও চারা কিনতে। অনেকেই তার অনুপ্রেরণায় শুরু করেছেন সৌদি খেজুর চাষ।

ভালুকা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে সরকারিভাবে খেজুর প্রকল্প চালু হলে এ ধরনের উদ্যোক্তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন।

আবদুল মোতালেবের স্বপ্ন, একদিন তার খেজুর শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও রপ্তানি হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিন, যাতে সৌদি আরবের মতো প্যাকেটজাত করে খেজুর বাজারজাত করা যায়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rit to the High Court to take action against the looters of white stone

সাদা পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

সাদা পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করা রিটের শুনানি হবে আগামী রোববার।

এ সংক্রান্ত রিটটি শুনানির জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।

রিটে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদা পাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Municipal Home Owners Associations Human Rights to Eliminate Permanent Waterfall of Keshabpur Municipality

কেশবপুরের পৌরসভার স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির মানববন্ধন

কেশবপুরের পৌরসভার স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির মানববন্ধন

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ প্রতি বছর ছয় মাস পানি বন্দি থাকে। পৌর বাসির দীর্ঘদিনের সমস্যা জলবদ্ধতা। এই স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে, বুধবার(১৩ আগস্ট) বিকাল পাঁচ টায় ত্রিমোহিনমোড়ে পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও, এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের একটাই স্লোগান, কেশবপুর পৌরসভার সকল ঘের বন্ধ করো, স্থায়ী পানির সমস্যার সমাধান করো। পৌর সভা এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে মাছের ঘের করার কারণে প্রতি বছর এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা, শহরের মাছ বাজার, তরকারি বাজার, ধানের বাজার, চাউল পট্টি, সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে দুই / তিন ফুট পানি উঠে যায়। যার ফলে শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার মেইন রোড উপর বসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ঘুকতে পারে না। বিষয় টি উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা শর্তেও গুরুত্ব দেন না। তাই মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রশাসন কে জানিয়ে দেন অপরিকল্পিত ঘের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে কেশবপুর পৌর বাসিকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামবে পৌর বাড়ি মালিক সমিতি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ,

সহ-সভাপতি কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজেদ খান ডবলু, পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনার রশীদ বুলবুল, ঔষধ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রভাষক মোঃ শাহাজাহান কবীর, সোহেল হাসান আইদ,আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামরুল ইসলাম, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, এ্যাডঃ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার মোদক, শাহাজাহান কবীর, আব্দুল জলিল, আবু সালেহ মাসউদ হাসান, মোঃ আব্দুল মোমিন, আব্দুল হালিম মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু প্রমুখ ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
12 people die every day

তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু

তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু

দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং ৪ লাখের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ৪৪২ জন মানুষ।

গতকাল বুধবার পল্টনের একটি হোটেলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

‘জনস্বার্থ বনাম তামাক কোম্পানির প্রভাব: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন তরান্বিতকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, তামাক হৃদরোগ, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং ৪ লক্ষাধিক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এখনই প্রয়োজন বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন।

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপদেষ্টা নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

মন্তব্য

p
উপরে