× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে
google_news print-icon

অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে

অবকাঠামো-উন্নয়নে-বেশি-গুরুত্ব-দিতে-হবে
উন্নয়নশীল দেশ হলে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং ভালো হবে। ফলে বিদেশিরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে। আন্তর্জাতিক যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে, তারা বাংলাদেশেকে বেশি গুরুত্ব দেবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেয়া সহজ হবে।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ধাপ পার হলো। এখন চূড়ান্ত ধাপ অতিক্রমের পালা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে এসে এ দেশ জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত কাতারে পৌঁছাব। দ্বিতীয় ধাপের অর্জন অবশ্যই গর্বের বিষয়। অর্থনীতির জন্য একটা মাইলফলক।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না হলে ২০২৪ সালের মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে যেত বাংলাদেশ। মহামারির কারণে নানা ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়ায় সময় দুই বছর পিছিয়ে যায়।

উন্নয়নশীল দেশ হলে অনেক সুযোগসুবিধা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অনেক চ্যালেঞ্জও আছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্যে শুল্ক সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। এ জন্য ‍২০২৬ সালের আগে কিছু প্রস্তুতি নেয়া দরকার।

বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগবে, যাতে করোনার আগে উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা ছিল, সেটাকে এগিয়ে নেয়া যায়। তাহলে রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতা বাড়বে।

দক্ষ জনশক্তি লাগবে। কারণ, জনশক্তি দক্ষ হলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এর ফলে এলডিসি পরবর্তী বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।

এলডিসি উত্তরণের পর সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ আসবে বাণিজ্যে। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে নানাভাবে সুবিধা পেয়ে থাকে। যেমন: ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধার কারণে আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই সুবিধাটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর আর থাকবে না।

তবে এটা ঠিক, উন্নয়নশীল দেশের ঘোষণা হলেই এ সুবিধা বন্ধ হবে না। ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণ হলেও পরের কয়েক বছরে এ সুযোগ অব্যাহত থাকবে।

উন্নয়নশীল দেশ হলে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং ভালো হবে। ফলে বিদেশিরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে। আন্তর্জাতিক যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে, তারা বাংলাদেশেকে বেশি গুরুত্ব দেবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেয়া সহজ হবে।

এটা ঠিক, আমাদের ঋণ গ্রহণের সুদের হার বেশি। বাংলাদেশ যেহেতু বিশ্বব্যাংকের মাপকাঠিতে কয়েক বছর আগেই নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, ফলে এরই মধ্যে কিছুটা উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া বিদেশ থেকে, বিভিন্ন সংস্থা থেকে, উন্নয়ন সহযোগী বা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে যেসব ঋণ নেয়া হয়, সেখানে অনুদানের চেয়ে ঋণের পরিমাণ বেশি থাকে।

বাংলাদেশকে অবশ্যই অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে সক্ষমতা বাড়ে।

ওষুধ খাতে একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ আমরা এলডিসি থেকে বের হয়ে গেলে ওষুধ খাতে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত এলডিসির যে সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা আর থাকবে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উচ্চমূল্যে লাইসেন্সও নিতে হবে।

আমাদের উচিত হবে এখন থেকেই উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের আগে বাণিজ্যসহ যেসব প্রস্তুতি দরকার, সেটা নেয়া। যেসব বাজারে বিশেষ সুবিধা আছে, সেই বাজারগুলো নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশেষ সুবিধা পায় না বাংলাদেশ। কাজেই ইউরোপের বাজার নিয়ে ভাবতে হবে বেশি।

তৈরি পোশাক খাতের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। লিড টাইম (ক্রেতার কাছে পণ্য শিপমেন্টের সময়) কমাতে হবে।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে বেশি যেতে হবে। ভিয়েতনাম তাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে এটা করছে।

মনে রাখতে হবে, উন্নয়ন যেন সকলের জন্য হয়। যারা ধনী, শুধু তাদের জন্য উন্নয়ন হলে চলবে না। সাধারণ মানুষের কাছেও যেন উন্নয়নশীল দেশের সুফল পৌঁছায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের কাছে যাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক সুরক্ষার সুফল পৌঁছায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

শিক্ষার উন্নয়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া এবং দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে নানা ধরনের প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা জরুরি। এসব সম্পন্ন করলে ২০২৬ সালে যখন উন্নয়নশীল দেশ হবে, তখন সত্যিকার অর্থে সর্বসাধারণের জন্য অর্থবহ হয়ে উঠবে।

এ জন্য এখন থেকে এসব প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যদি প্রস্তুতি ‍শুরু করি, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

ড. নাজনীন আহমেদ: সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মৌসুমী ইসলাম

আরও পড়ুন:
এলডিসি থেকে উত্তরণ: করতে হবে বাণিজ্য চুক্তি
সামনে এগিয়ে যেতে পরিকল্পনা এখনই
উন্নয়নশীল বাংলাদেশ কী পাবে, কী হারাতে পারে
বিনিয়োগ বাড়াতেই হবে  
শিল্পায়নে জোর দিতে হবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Tourists arrived at the beach and were declared dead at the hospital

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা অসুস্থ পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ছবি: নিউজবাংলা
ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঢলে পড়া এক পর্যটককে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান সাগরে গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।

প্রাণ হারানো মতিউর রহমানের (৪০) বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।

ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

তিনি জানান, লাইফ গার্ড কর্মীরা ঘটনাটি দেখে তাৎক্ষণিক ওই পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টার পরপরই সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা এক পর্যটককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন, কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।’

আরএমও বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে নাকি অন্য কোনো কারণে ওই পর্যটক মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মতিউরের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।

আরও পড়ুন:
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ বন্যপ্রাণী
আইসিসির এলিট প্যানেলে আম্পায়ার সৈকত
টেকনাফের অপহৃত চারজন ফিরেছেন ‘মুক্তিপণ দিয়ে’, এক কৃষকের খোঁজ নেই
ইফতারে ব্যাটারির পানির শরবত পান করে হাসপাতালে চারজন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three van passengers killed by truck in Bagerhat

বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত

বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত বাগেরহাটে শনিবার সকালে ট্রাকের চাপায় তিনজন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার জানান, সকালে মোংলাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

বাগেরহাটের খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো তিনজন হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝননিয়া গ্রামের সাঈদ মোড়ল (৪৫), একই গ্রামের মো. আজাদ (৩৫) ও কুমরাই গাববুনিয়া গ্রামের মো. মনি (৪৫)।

এ ঘটনায় ট্রাকটির চালক যশোরের চৌগাছার চানাদা-আফরা গ্রামের বাসিন্দা গাজি সাফায়েত হোসেনকে (১৮) আটক ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মোংলাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সাঈদ মোড়লের মরদেহসহ আহত দুইজনকে ট্রাকের চাকার নিচ থেকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়।

খুলনা-মোংলা জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Very intense fire in Chuadanga Pabna Rajshahi

রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ

রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ দাবদাহের মধ্যে পাবনার একটি অঞ্চলে টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছেন তৃষ্ণার্ত লোকজন। ছবি: নিউজবাংলা
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের তিন জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র এবং পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।

তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার বেলা তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ। একই দিনে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত
৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ
দুই জেলায় অতি তীব্র, ১৬টিতে তীব্র দাবদাহ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
15 were injured in the attack due to filing a case of assault

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: নিউজবাংলা
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করায় ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ‘হাতবোমার’ আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইপুরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কানাইপুরের প্রয়াত মালেক সরদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী রিপন সরদার বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আনসার হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার লোকজন নিয়ে রিপনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে গত ২৩ এপ্রিল রিপন সরদারের স্ত্রী রুনিয়া বেগম বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ২২ জনের নামে একটি মামলা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এরই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপনের চাচাত ভাই ও আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীদ পারভেজের সমর্থক জামাল সরদার স্থানীয় বাজারে যান। মাঝপথে সাবেক চেয়ারম্যান মিলন সরদারের কর্মী মহসিন লোকজন নিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি
ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তা দুর্নীতির মামলায় রিমান্ডে
সিংড়া উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The jute field is burning

দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত

দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।

দাবদাহ আর বৃষ্টিহীনতায় পুড়ছে মাদারীপুরের পাটক্ষেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেয়ায় যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে, তেমনি খরায় জমির আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না কৃষকরা।

এমনটা চলতে থাকলে উৎপাদন অনেকটা হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা কৃষকদের।

সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনের তীব্র দাবদাহে পাট গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতেই মরে যাচ্ছে পাট গাছ। কোথাও শুকিয়ে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে ঘন ঘন সেচ দিয়েও গাছের আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারছেন না।

অনাবৃষ্টির কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি না হওয়ায় জমিতে আগাছার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণ হারে।

কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।

খোয়াজপুরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে মাঠ ফেটে চৌচির। পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। একটুখানি বড় হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন চললে এবার পাট আবাদ ধসে পড়বে। অনেকেই সেচ দিলেও এক দুই দিন পরে আবার শুকিয়ে যায়। এতে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠছে।’

আর মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ৩৭ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বপন কাজ শেষ হয়েছে এবং অনেক স্থানে চারা বড় হয়ে গেছে, কিন্তু রোগের কারণে পাটের ক্ষতি হওয়ায় চাষিদের বিকেলে পানি সেচ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘এই গরমে পাটের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে কৃষকদের বলছি, যেন বিকেলে সেচের মাধ্যমে পাট গাছ জীবিত রাখে। এতে গাছ মরবে না।’

মাদারীপুর জেলায় অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের অবস্থান শীর্ষে। গত বছর পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরাও এবার বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ: ৭ দিন বন্ধ স্কুল কলেজ
‘১০০ কেজি বেগুন ৫০০ টাকায় বিক্রি করি’
বেগুনে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক, ‘সেক্স ফেরোমন ফাঁদ’ পাতার পরামর্শ
১৫২ কৃষক পেলেন কোটি টাকার বেশি ঋণ
দিল্লি অভিমুখে লক্ষাধিক কৃষক, আটকাতে সড়কে কংক্রিটের দেয়াল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The child fell from the roof while playing and died

খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত

খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত প্রতীকী ছবি
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।

নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।

খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।

তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

p
উপরে