× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বেদনার অভিজ্ঞতার পরও নতুন শেয়ারে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ
google_news print-icon

বেদনার অভিজ্ঞতার পরও নতুন শেয়ারে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ

বেদনার-অভিজ্ঞতার-পরও-নতুন-শেয়ারে-ঝুঁকিপূর্ণ-বিনিয়োগ
ইজেনারেশনের আইপিওতে যারা ৫ হাজার টাকায় ৫০০ শেয়ার পেয়েছেন, তাদের সেই শেয়ারের দর এখন ১৬ হাজার ৩৫০ টাকা। টানা ছয় কার্যদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। এর আগেও বেশ কয়েকটি নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রে এভাবে ক্রমাগত দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। পরে অনেকগুলোর দাম অর্ধেকে নেমে আসায় বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

আবার নতুন শেয়ার নিয়ে হুলুস্থুল। তালিকাভুক্তির পর টানা ছয় কার্যদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে অভিহিত মূল্যের তিন গুণ হয়ে গেল ইজেনারেশনের শেয়ারের দর।

নতুন শেয়ার তালিকাভুক্ত হলে প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ এবং এর পরে বাড়তে বা কমতে পারে ১০ শতাংশ করে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে। প্রথম দিন ৫০ শতাংশ হিসেবে বেড়ে সেটি হয় ১৫ টাকা। দ্বিতীয় দিন আরও ৫০ শতাংশ বেড়ে দাম হয় ২২ টাকা ৫০ পয়সা।

তৃতীয় দিন থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে দাম। তৃতীয় কার্যদিবসে দাম হয় ২৪ টাকা ৭০ পয়সা। চতুর্থ কার্যদিবসে দাম দাঁড়ায় ২৭ টাকা ১০ পয়সা। আর পঞ্চম কার্যদিবসে দাম দাঁড়ায় ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। ষষ্ঠ কার্যদিবসে মঙ্গলবার আবার সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়ে দর দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৭০ পয়সা।

আইপিওতে ৫ হাজার টাকায় যারা ৫০০ শেয়ার পেয়েছিলেন, এখন তাদের এই শেয়ারের দাম ১৬ হাজার ৩৫০ টাকা।

নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে এভাবে দিনের পর দিন সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি রবির ক্ষেত্রে। টানা ১৪ কার্যদিবস বেড়ে শেয়ারটির দাম ৭৭ টাকা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের ভুল বিবেচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই শেয়ারটির দাম কমতে কমতে একপর্যায়ে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। এখন কিছুটা বেড়ে দাম ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে।

রবির পর ক্রমাগত বাড়তে থাকা নতুন শেয়ার এনার্জিপ্যাকও বিনিয়োগকারীদের হতাশার আরেক নাম। ৩১ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার দরও টানা ছয় দিন সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ১০১ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছিল।

এরপর আবার টানা পতন হতে হতে শেয়ারদর নেমে আসে ৪৬ টাকা ১০ পয়সায়। এখন কিছু বেড়ে তা হয়েছে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা।

তৃতীয় যে শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান করিয়েছে, সেটি হলো মীর আকতার হোসেন লিমিটেড।

বেদনার অভিজ্ঞতার পরও নতুন শেয়ারে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ

৫৪ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর দ্বিতীয় কার্যদিবসে উঠে যায় ১১৭ টাকায়। এরপর কমতে কমতে তা নামে ৭৩ টাকা ৬০ পয়সায়। এরপর কিছুটা বেড়ে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৩০ পয়সা।

আরেক নতুন শেয়ার তাওফিকা অ্যাগ্রোতেও লোকসান করিয়েছে বহু বিনিয়োগকারী। টানা চার কার্যদিবস বেড়ে ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত শেয়ারের দর একপর্যায়ে উঠে ২৭ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত। পরে তা আবার নামতে থাকে।

২১ টাকা ৪০ পয়সায় নামার পর অবশ্য আবার ওঠে। মঙ্গলবার দাম দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৪০ পয়সা।

১০ টাকায় তালিকাভুক্ত এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্সের শেয়ারদরও একপর্যায়ে বেড়ে হয় ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা। সেটির দর কমে এখন ২৬ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে।

ডমিনোজ স্টিলের দরও ১০ টাকা থেকে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সায় উঠতে যেমন সময় লাগেনি, তেমনি ২৪ টাকা ১০ পয়সায় নেমেছেও কম সময়েই।

এভাবে একের পর এক টাকা হারানোর নির্মম বেদনার পরও নতুন শেয়ার পেলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে আইপিও শেয়ার পেয়েছেন তারা শেয়ার বিক্রি করবে কি করবে না তাদের বিষয়। কিন্তু এখন কারা লাখ লাখ শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন সেটা যাচাই করে উচিত।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকে অল্প শেয়ার। তারা সেগুলো নিয়ে খুব বেশি কারসাজি করতে পারে না। বেশি শেয়ার থাকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। তাদের শেয়ার লক করে দিলেই এমন অবস্থার পরিবর্তন হবে।

তিনি বলেন, ‘আইপিও শেয়ার থেকে সবাই মুনাফা পেতে চায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন দেখে অনেকে শেয়ার কিনতে আগ্রহী তখন তারাও শেয়ার বিক্রি করে না। প্রাতিষ্ঠানিকদের শেয়ার লক থাকলে তারাও তখন আইপিও শেয়ার থেকে মুনাফা করার চেষ্টা করবে না।’

ইজেনারেশন লিমিটেডের আর্থিক অবস্থা

বেদনার অভিজ্ঞতার পরও নতুন শেয়ারে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ

প্রতিষ্ঠানটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর ’২০-ডিসেম্বর ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫৩ পয়সা।

একই সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ৯২ পয়সা। আর আইপিও-পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানির এনএভি হয়েছে ২০ টাকা ৩৪ পয়সা।

কোম্পানির বক্তব্য

টানা ছয় দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ইজেনারেশন লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকতা (সিএফও) মো. মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই, যা জানানো হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে। করোনা মহামারি অনেকের কাছে ক্ষতির কারণ হলেও আমাদের ব্যবসা সফল হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কিছুটা কমেছে, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সেটিকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
What is the status of Delhi seventh Dhaka in Lahore at the top of air pollution?

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, দিল্লি সপ্তম, ঢাকার কী অবস্থা?

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, দিল্লি সপ্তম, ঢাকার কী অবস্থা?

সারা দেশে লঘুচাপের প্রভাবে গত দুদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে দূষণের উপস্থিতিও কমে এসেছে অনেকটা। গত দুদিনের মতো আজও ঢাকার বায়ুমান ‘ভালো’র কাছাকাছি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৪। এই সূচক ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত, যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকার শ্রেণি থেকে যা অনেক দূরে।

কণা দূষণের একিউআই সূচক যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

ফলে আজ সকালে রাজধানী ঢাকার বাতাস দূষণ থেকে দূরে এবং ‘ভালো’র একপ্রকার কাছাকাছি বলা চলে।

এই সময়ে ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর ছিল পাকিস্তানের লাহোর। সূচক ১৫২, ১৩৯, ১৩৭ ও ১৩৫ নিয়ে তারপরই ছিল যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো, ফিলিপাইনের ম্যানিলা এবং কুয়েত সিটি।

এ ছাড়াও ৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শহর দিল্লি। তবে দূষণের মাত্রা কম থাকায় একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল অনেক নিচে; ৫৪ নম্বরে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে ঢাকা। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়। বর্ষার শুরুতেই অবশ্য এই আভাস মিলতে শুরু করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BNP does not support the electoral college in the presidential election

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তাবিত ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এই ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কমিশনের যে প্রস্তাব তাতে একটা ইলেক্টোরাল কলেজ করা হবে। এবং প্রায় ওনাদের ভাষ্য অনুযায়ী ৭০ হাজারের মতো ভোটার থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এখানে ভোটার হবেন। এবং রাষ্ট্রপতিকে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ওখানে প্রস্তাব করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে আগের মতোই একমত নয় বিএনপি।

এই কাউন্সিলের জবাবদিহি না থাকায় সমর্থন করে না বিএনপি। এই কাউন্সিলে আরেকটি ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করি আমরা।’

স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হলে ভারসাম্যহীনতা দূর হবে, ফ্যাসিবাদ দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, অন্য সাংবিধানিক পদ, সংস্থা স্বাধীন করতে পারলে সমস্যা থাকবে না।’

বিএনপি মনে করে সুশাসন নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল করা যেতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে তাদের যোগ করা যেতে পারে, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন করা যেতে পারে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মনে করে, দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনগুলো সংস্কারের প্রয়োজন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mirpur was shot dead at Tk 22 lakh

মিরপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

মাইক্রোর সূত্র ধরে গ্রেপ্তার ৬
মিরপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জে ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর আসামিদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সূত্র ধরেই অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের হোতা মো. জলিল মোল্লা (৫২), মো. জাফর (৩৩), মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), সৈকত হোসেন ওরফে দিপু মৃধা (৫২), মো. সোহাগ হাসান (৩৪) ও পলাশ আহমেদ (২৬)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, পিস্তল, গুলি, জাল টাকা ও লুণ্ঠিত টাকা-বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।

পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল। চক্রটি দীর্ঘদিন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের ওপর নজরদারি করে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে ওত পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। তাদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ডাকাতরা চারটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও একজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিবির একাধিক টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবি প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস শনাক্ত করে। মাইক্রোবাসের চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তথ্য বিশ্লেষণ করে একযোগে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এ চক্র আগেও ভয়াবহ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই এবং ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে এ চক্র আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bhawal Chandipur Agrakhola road is like a death

ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী   
ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

কেরানীগঞ্জের শাক্তা ও তারানগর ইউনিয়নের বুক চিরে চলা ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়কের বেহাল দশায় নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কজুড়ে এখন গর্ত আর ধুলাবালি। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় যানবাহন আটকে যায়, আর শুকনো মৌসুমে উড়ে ধূলোর ঝড়।

রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। ছোট-বড় গর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত হন অনেক পথচারী। অন্যদিকে, যানবাহন চলাচলের অযোগ্য এই সড়কে প্রতিনিয়তই নষ্ট হয়ে পড়ে ভ্যান, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি। আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল, মেকাইল মাদ্রাসা ও অগ্রখোলা কমিউনিটি হাসপাতালের সামনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই যানবাহন ।

সড়কের করুণ অবস্থার কারণে অনেক চালক ও পথচারী এখন পাশের বেলনা, কলাতিয়া ও নয়াবাজার হয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করছেন। এতে সময়, অর্থ ও দুর্ভোগ বাড়ছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেরানীগঞ্জ ছাড়াও নবাবগঞ্জ, দোহার, সিরাজদিখানসহ দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার মানুষ মোহাম্মদপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। অথচ বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটার অবস্থা এমন যে, অটোরিকশা সিএনজিতে ওঠা মানেই কোমর ভাঙা। মাঝে মাঝেই যানবাহন পড়ে মানুষ আহত হয়। স্কুলের বাচ্চারা পর্যন্ত ভয়ে এই রাস্তায় যেতে চায় না। কোন এমপি-মন্ত্রী একবার এই রাস্তা দিয়ে গেলে বুঝত কষ্টটা কেমন।

একই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পণ্যবাহী ট্রাকচালক রাকিব হাওলাদার। তিনি বলেন, একবার গর্তে পড়লে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ট্রাকে থাকা জিনিসপত্র পড়ে যায়, এভাবে থাকলে এই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা সম্ভব নয়। এটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সড়কটি ইতোমধ্যে ডিপিপিতে অনুমোদন পেয়েছে। তাই এখন সংস্কার করা হচ্ছেনা। বছরের শেষ দিকে ২০ ফুট প্রশস্ত করে এবং আরও শক্তিশালী করে কাজ শুরু হবে। তখন রাস্তাটি আরো টেকসই হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, সংস্কার কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত অন্তত গর্ত ভরাট করে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। নইলে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Twenty four bucks the family of four runs a family of four

আড়াইশ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল!

আড়াইশ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল!

একটা ভাঙাচোরা বাইসাইকেলই তার ভরসা। এ সাইকেল চালিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের দুর্গম খাসিয়া পল্লীতে কাজ করে দুই-আড়াইশ টাকা রোজগার করে কিশোর তোফাজ্জল (১৪)। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দী গ্রামের আলী আহমেদ (৬৫) এর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন। পরিবারে সে একমাত্র উপার্জনক্ষম। বাবা হার্টের রোগী, বোন আয়েশা খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন আর বয়োবৃদ্ধ দাদী সমিতা বিবি (৮২) দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী।

তোফাজ্জল কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিনি সকালে ভাঙাচোরা একটি সাইকেল নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের খাসিয়া পল্লীতে কাজে যাই। সন্ধ্যায় ফিরি। যা রোজগার হয়, দুবেলাও খেতে পাইনা। এ দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নাই। প্রতিবেশী ফজল মিয়া, আবু শহীদ এ পরিবারের দুরাবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, প্রকৃতই তারা খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিনজনই অসুস্থ। মাঝে মধ্যে আমরা যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

সরেজমিন তোফাজ্জলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ছোট্ট একটি ঘরে মেঝেয় জীর্ণ-শীর্ণ কাঁথায় শুয়ে আছেন সমিতা বিবি। অপুষ্টি আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় ক্লান্ত। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। যা বললেন বোঝা গেলো, ডালভাত খেয়ে ঈদের দিন পার করেছি। ক্ষিদের জ্বালায় রাতে ঘুম আসে না। একরত্তি নাতি আর কিইবা করবে। তবু যা করছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চাল ডাল আনলে ওষুধ আনতে পারে না। তবু প্রায়ই অনাহারে থাকতে হয়। ঈদে চান্দে প্রতিবেশীরা কেউ খাবার দেয়, কেউ সামান্য টাকা-পয়সা দেয়। এইভাবেই টিকে আছি।

স্থানীয়দের সহযোগিতাই একমাত্র ভরসা। মানুষের সাহায্যে দুমুঠো ভাত খেতে পারেন, যদি কেউ সাহায্যে না করে তাহলে না খেয়েই থাকতে হয়। তার বিলাপে চোখে জল চলে আসে। এ যেন দারিদ্র্যের এক করুণ চিত্র। এই অসহায় নারীর জীবন কাটছে অভাব আর কষ্টে। পা ভেঙে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী। ছেলে আলী আহমেদও হার্টের রোগী। কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। তাই ১৩/১৪ বছরের নাতি তোফাজ্জলের কাঁধেই সংসারের ভার। দুর্গম খাসিয়া পুঞ্জিতে কাজ করে দিনে আয় করে দুই-আড়াইশ টাকা মাত্র। এ টাকায় দুবেলা খাবার যোগানোই মুশকিল। তার ওপর অসুস্থ দাদি, বাবা আর মরার উপর খাঁড়ার ঘা মানসিক প্রতিবন্ধী বড় বোন আয়েশা খাতুন।

ইসলামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ জানান, একসময় তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। কয়েক বছর আগে সরকারি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবারের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোফাজ্জলদের দুরাবস্থা জেনে অনেকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাদের সহায়তা করছেন। তবে বয়োবৃদ্ধ সমিতা বিবি ও মানসিক প্রতিবন্ধী আয়েশা খাতুনের সুচিকিৎসা ও তোফাজ্জলদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ব্যবস্থা জরুরি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Ganabangla tapas got bail

জামিন পেলেন গানবাংলার তাপস

জামিন পেলেন গানবাংলার তাপস

গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস জামিনে মুক্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যায় জামিনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, ‘গানবাংলার কৌশিক হোসেন তাপসের জামিনের কাগজপত্র গত বুধবার দুপুরে কারাগারে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বের হন।’ গত বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বাদী ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক কর্মসূচিতে অংশ নেন ইশতিয়াক। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। অভিযুক্তরা অতঙ্কিত হামলা চালিয়ে ইশতিয়াক মাহমুদকে মারধর ও গুলি করেন। আহতের পেটে, পিঠে, হাতে ও মাথায় গুলি লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে গুলি বের করা হয়। ঘটনার ৩ মাস পর, ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় ইশতিয়াক মাহমুদ নিজেই একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। কৌশিক হোসেন তাপস ছিলেন মামলার ৯ নম্বর আসামি। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মামলাটি আদালতে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Israq is breaking the law

ইশরাক আইন লঙ্ঘন করছেন

দাবি আসিফ মাহমুদের
ইশরাক আইন লঙ্ঘন করছেন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তার কর্মকাণ্ডে আইন লঙ্ঘন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ইশরাক হোসেন এখন যা করছেন সেটা ক্রিমিনাল অফেন্স। তিনি আইন লঙ্ঘন করছেন। গতকাল বুধবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

ইশরাক হোসেনকে রাজনৈতিক উদ্দেশে মিসগাইড করা হচ্ছে এবং তাকে দিয়ে এসব করানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

বিএনপির সঙ্গে এখন সরকারের ভালো সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ইশরাককে অনুরোধ করেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার গেজেট প্রকাশ যখন হয়েছে তখন পর্যন্ত বিষয়টি বিচারাধীন ছিল।

তাই সেই সময়ের মধ্যে তার শপথ করানো সম্ভব হয়নি। যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেসময় তার শপথের জন্য ফাইলও তৈরি করেছিল। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা বন্ধ করতে হয়েছে।

জনগণের কথা চিন্তা করে ইশরাকের এই পথ থেকে সরে আসা উচিত বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সব ধরনের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এটাও সম্ভব ছিল। ইশরাক আরো দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ব আচরণ করবেন এমন আশা করছি।

মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ালেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি নগরভবনে সভা করেছেন সম্প্রতি। গতকাল নগর ভবনে চলমান টানা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন তিনি।

মশক নিধন কার্যক্রম শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ইশরাক সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেও নাগরিকদের জরুরি সেবা চালু রেখেছি। কিন্তু স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তা বন্ধের ষড়যন্ত্র করেছেন।’

তার দাবি, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে সরকার একতরফাভাবে প্রশাসক দিয়ে নগর পরিচালনা করছে, যা আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট উপেক্ষার শামিল।’

মন্তব্য

p
উপরে