× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
জিএমজি ইউনাইটেডের উড়োজাহাজ যাচ্ছে নিলামে
google_news print-icon

বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব, ঠকল সরকারও

বিনিয়োগকারীরা-নিঃস্ব-ঠকল-সরকারও
জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ার সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়ে আর চালু হয়নি। ফাইল ছবি
বেসরকারি এয়ারলাইনস জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ার বন্ধ করে দেয়া হলেও সরকারের ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়নি। উড়োজাহাজগুলো ফেলে রাখা হয়েছে বিমানবন্দরে। পাওনা আদায়ে এখন সেগুলো বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু প্লেসমেন্ট শেয়ার ও পুঁজিবাজারে বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া টাকার কী হবে, তার কোনো জবাব নেই।

একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি। আরেকটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে উচ্চমূল্যে শেয়ার বিক্রি করে ব্যবসা বন্ধ করে ঠকিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

কেবল বিনিয়োগকারী নয়, সরকারকেও ঠকিয়েছে জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বেবিচকের পাওনা পরিশোধ করেনি তারা। উল্টো বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ফেলে রেখে তৈরি করেছে সমস্যা।

বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার বেবিচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিমানবন্দরে ফেলে রাখা উড়োজাহাজগুলো বিক্রি করে দেবে তারা।

এই দুই প্রতিষ্ঠানের ১২টিসহ মোট ২২টি উড়োজাহাজ শিগগিরই বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।

দুটি কোম্পানির কাছে বেবিচকের পাওনার পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহেদুল আলমের মতে, উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্তের উদ্যোগ আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা এয়ারপোর্ট হচ্ছে একটা দেশের গেটওয়ে। দেশে ঢুকতেই বিদেশের যাত্রীরা যখন এ ধরনের একটা পরিস্থিতি দেখে, রংচটা এয়ারক্রাফট পড়ে থাকা এটা খুবই দৃষ্টিকটু।

‘এটা কখনোই একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাঙ্ক্ষিত সাইট হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও এমন দৃশ্য দেখা যাবে না। এটা আমাদের এখানে এত দিন ধরে চলছে। অনেক আগেই কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ওগুলো সরিয়ে ফেলা।’

তিনি বলেন, ‘যে সময় এগুলো এখানে পার্ক করা হয়েছিল, সে সময় সিভিল এভিয়েশনের উচিত ছিল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানে পৌঁছানো। যারা এটা করেছে তারাও ভালো কাজ করেনি।

‘যে এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ আছে তাদের কথা বাদই দিলাম, কিন্তু যারা সার্ভিসে আছে তাদের অনেকেরই এয়ারক্রাফট আছে। তাদের সঙ্গে দেনদরবার করেও জিনিসটা শেষ করা যেত। এখন যত দ্রুত সরানো যায় ততই ভালো।’

হঠাৎ করে কোনো এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পাওনা আদায়ে শক্তিশালী আইন হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ। জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘মুশকিল হলো, আমাদের দেশে লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো আইনই নেই।

‘এখন যদি কোনো কারণে এয়ারলাইনস দেউলিয়া হয়ে যায় বা অপারেশনে না থাকে তাদের কাছে টাকা আদায় করা মুশকিল। ইউনাইটেড শেয়ারবাজারে এনলিস্টেড কোম্পানি। এমন একটা পদ্ধতি বের করা উচিত যাতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়।’

সাময়িক বন্ধের পর আর চালু হয়নি জিএমজি, প্লেসমেন্ট শেয়ারের টাকার কী হবে?

১৯৯৭ সালে কোম্পানি খুলে পরের বছরের এপ্রিলে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে দেশে কার্যক্রম শুরু করে বেসরকারি জিএমজি এয়ারলাইনস। ২০০৪ সালে প্রথম বেসরকারি এয়ারলাইনস হিসেবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইটে আসে তারা।

২০০৯ সালে এয়ারলাইনসটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনে নেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। তবে তারা ব্যবসায় সফল হতে পারেনি।

তিন বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় জিএমজির ফ্লাইট। তবে এর মধ্যেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা বলে ৩০০ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির তথ্য আসে গণমাধ্যমে। পরে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়নি।

আর এই প্লেসমেন্টে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে কি না, সেই তথ্য আর গণমাধ্যমে আসেনি। এ বিষয়ে জিএমজির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য কখনও দেয়া হয়নি।

২০১২ সালের ৩০ মার্চ বন্ধ করে দেয়ার সময় জিএমজি বলেছিল, আবার চালু হবে কোম্পানি। তবে তা আর হয়নি। সে সময় পর্যন্ত বকেয়া বাবদ প্রতিষ্ঠানটির কাছে বেবিচকের পাওনা ছিল ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।

বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব, ঠকল সরকারও
জিএমজি এয়ারলাইন্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলেও প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে তুলে নিয়েছে তিনশ কোটি টাকার মতো

ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হয়ে গেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি এমডি এইটটি থ্রি ও দুটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ ফেলে রাখে জিএমজি। পরে ড্যাশ এইট দুটি বিক্রি করা হলেও সাত বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে এমডি এইটটি থ্রি উড়োজাহাজগুলো।

কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জিএমজির কোনো কার্যালয় নেই, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ইউনাইটেড কাণ্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ার শাহজালালে ১০টি উড়োজাহাজ ফেলে ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা কোম্পানিটি ব্যবসা গুটিয়ে ফেলে হঠাৎ করে। বন্ধ হওয়ার সময় তাদের কাছে বেবিচকের পাওনা ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

ইউনাইটেডের ফেলে যাওয়া উড়োজাহাজের মধ্যে রয়েছে চারটি এমডি এইটটি থ্রি, দুটি এয়ারবাস থ্রি ওয়ান জিরো, তিনটি এটিআর সেভেনটি টু ও একটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ।

বিমানবন্দরে ২০১৪ সাল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের একটি ট্রাইস্টার উড়োজাহাজ, অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইনসের একটি ড্যাশ এইট, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইনসের একটি ড্যাশ এইট ও আছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে এগুলো কার্গো টার্মিনালের সামনে ছিল। আমরা এগুলোকে সরিয়েছি। এখন এক জায়গায় রেখেছি। এখান থেকেও এগুলো সরিয়ে ফেলব। কারণ, এগুলো আমাদের স্পেস অকুপাই করে আছে।

‘আমরা এখন একটি আইনি প্রক্রিয়াতে যাচ্ছি। এগুলোকে এরই মধ্যে ডিরেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি। এর মানে আগে যে কোম্পানির নামে ছিল। এখন আর সে নামে নেই। এখন যেটা করতে হচ্ছে, আইনের নিয়ম হচ্ছে এদের বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তো বাজেয়াপ্তের কাজ আমরা হাতে নিচ্ছি।’

বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব, ঠকল সরকারও
কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার আগে ইউনাইটেড এয়ারের মালিকপক্ষ পুঁজিবাজারে উচ্চমূল্যে প্রায় সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে

বাজেয়াপ্ত উড়োজাহাজগুলো পরে নিলামে তোলা হবে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যখন বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে তখন এগুলোর মালিকানা সিভিল এভিয়েশনের হয়ে যাবে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা বাজেয়াপ্ত করছি। করার পরে আমরা এটাকে নিলামে দিয়ে দেব।

‘যেগুলো নিলামযোগ্য না, সেগুলোকে ধ্বংস করে দেব। এখন যে এয়ারলাইনসগুলোর উড়োজাহাজ রয়েছে তার মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারের উড়োজাহাজই সবচেয়ে বেশি। যেহেতু থার্ড টার্মিনালের এক্সপানশন চলছে এই জায়গাগুলো দ্রুত খালি করতে হবে।’

ইউনাইটেড এয়ারের অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের কাছে আমাদের বেশ কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। সেগুলো এখনও শোধ করা হয়নি।

‘আর্থিক অসংগতির কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে ইউনাইটেড এয়ারের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। উড়োজাহাজগুলোর প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণও করা যায়নি। সহসা সেই অবস্থাও নেই। যদিও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছেন আবার চালু করার, কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়নি।’

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকেরা প্রায় সব শেয়ার বাজারে বিক্রি করে নিজেদের বিনিয়োগের টাকা তুলে নিয়েছেন, কিন্তু ২০১৬ সালের পর আর কোনো আর্থিক হিসাব বিবরণীও প্রস্তুত করেনি।

এ কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটিকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে নিয়ে গেছে।

১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ৭৫০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার। পরে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য হওয়ার পর শেয়ারের দাম কমতে কমতে দুই টাকার নিচে চলে আসে।

ওটিসি মার্কেটে যাওয়ার সময় কোম্পানিটির ৭২ কোটির বেশি শেয়ার ছিল বিনিয়োগকারীদের। এই শেয়ারের কার্যত এখন কোনো মূল্য আর রইল না।

আরও পড়ুন:
হুলুস্থুল শেষে কোটি শেয়ারের অর্ডার, এখন নেই ক্রেতা
ওটিসিতে ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ারদরে উল্লম্ফন
ইউনাইটেড এয়ারকে সচলে আরও তৎপর বিএসইসি
ওটিসিতে ৩ দিনেই শেষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ার
ইউনাইটেড এয়ারকে ফেরাতে বোর্ড পুনর্গঠন বিএসইসির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Two leaders of the A League arrested the candidate for show cause by threatening the rival
সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন

প্রতিদ্বন্দ্বীকে হুমকি দিয়ে আ. লীগের দুই নেতা আটক, প্রার্থীকে শো-কজ

প্রতিদ্বন্দ্বীকে হুমকি দিয়ে আ. লীগের দুই নেতা আটক, প্রার্থীকে শো-কজ আটক সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়। ছবি: নিউজবাংলা
আটককৃতরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকলে হাত, দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপের হুমকিদাতা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে (আনারস) শো-কজ করেছেন জেলা রিটার্ননিং কর্মকর্তা।

শনিবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আটককৃতরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

লিখিত বক্তব্যে শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার দুই কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে হুমকিদাতা দু’জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

মামলা হওয়ার পর শনিবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেপ্তার করে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী পথসভায় অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের জবান আমরা বন্ধ করে দেব। আমরা আগামী ৮ মে'র নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমরা অন্য কোনো মার্কার কোনো এজেন্ট দিতে দেবো না। রফিক সাহেবকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আজকেই ঘোষণা দিলাম।’

প্রতিপক্ষের লোকদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাবধান হয়ে যান, আমাদের মাঝে অসন্তোষ ও হানাহানির চেষ্টা করবেন না। আপনাদের দাঁত ভেঙে দেয়া হবে। যাদের দাঁত নেই, তাদের চাপার হাড্ডি ভেঙে দেয়া হবে।’

এরপর পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় একই সভায় বলেন, ‘অন্য কোনো মার্কার এজেন্ট কোনো কেন্দ্রে দিতে দেব না। এজেন্ট দিলে তার হাত বাড়ি দিয়ে ভেঙে আমরা যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করবো।’

এ সময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম (আনারস) ও তালেব উদ্দিন (দোয়াত-কলম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Loss of Tk 10 Crores Those three officers of Agrani Bank have been dismissed

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত ছবি: নিউজবাংলা
অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে শনিবার দুপুরে জানান অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন।

বরখাস্ত হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী।

আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত দল পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। দলটির প্রধান হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three foreign forces worked to keep the Awami League in power GM Quader

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই।’

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘তিন বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল। আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে।

‘নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল। তাই নির্বাচনে গিয়েছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিল।

‘আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে বিএনপি এক কিংবা ১০ লাখ বা এক কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও তাদের আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়। তবে তা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না এবং আমরা গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি নই।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Frogs wedding in hope of rain

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে ছবি: নিউজবাংলা
মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির আসায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেচে গেয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন স্থানীয়রা। লোকজন।

উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান চলে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাপুর আলীর স্ত্রী মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

বিয়ের আয়োজনকারী মল্লিকা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে আমরা কষ্টে রয়েছি; গ্রামের মানুষজন অস্তিত্বতে আছে। কেউই কোনো কাজ কামাই করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আগের যুগের মানুষরা ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হতো। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছি।’

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বিয়ে দেখতে আসা জাহিদ নামের একজন বলেন, “আমার জীবনে প্রথম ব্যাঙের বিয়ে দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে। ‘বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে’ বিষয়টি প্রথম জানলাম।”

বৃদ্ধ আজিজুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আবাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি।’

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কুড়িগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। আজ (শনিবার) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The death of the child fell from the mothers lap due to the impact of the autorickshaw

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাঁদছেন শিশু হুমাইরা আক্তারের স্বজন। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষকালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগম ধাক্কা খান। এ সময় শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক বছরের শিশু হুমাইরা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মদিনা বাজারের উত্তর পাশে খানকা শরীফের সামনের সড়কে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় রাস্তার পাশে এক বছরের শিশু সন্তান হুমাইরাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগমের ধাক্কা খান অটোরিকশার সঙ্গে। এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
DNCC is sprinkling water in the city to relieve the heat

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম শনিবার আগারগাঁওয়ে ডিএনসিসির পানি ছিটানো কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও পান না। সিটি করপোরেশনে তার বসার ব্যবস্থাও নেই। তাকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।’

চলমান তাপপ্রবাহে সারা দেশের সঙ্গে পুড়ছে রাজধানী ঢাকাও। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ নগর জীবন। এ অবস্থায় রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দুটি স্প্রে ক্যানন প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না৷ গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে।

‘এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে।’

চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজগুলো আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন যে চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। বাস্তবে সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই।

‘হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে সাতজন চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করেছে এবং তারা সবাই নারী।’

ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Field workers of Pran RFL died of heatstroke in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর ফাইল ছবি
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে সাখাওয়াত হোসেন মুকুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের বিপনন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

২৭ বছর বয়সী মুকুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায়।

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মুন্সীগঞ্জ শহরের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ মোহাম্মদ রোকন জানান, শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের অদূরে মুন্সীরহাট এলাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অবস্থায় তীব্র গরমের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের মরদেহ তার নিজ জেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

মন্তব্য

p
উপরে