মঞ্চে বসেই কণ্ঠশিল্পী তপু এক ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘দর্শক সারিতে যারা আছেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ যদি গান গাইতে চান, তারা মঞ্চে চলে আসুন, আপনাদের গান শুনব আমরা সবাই।’
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে একজন ছেলে ওঠেন মঞ্চে; নিজের লেখা, সুর করা গান করেন। পরে আরেকজন নারী কণ্ঠশিল্পী যান; তিনি শোনান লালনের গান।
দ্বিতীয় জন যখন মঞ্চে উঠে গেছেন, তখন মঞ্চের নিচে আরেকজন অপেক্ষা করছিলেন। মূলত তিনিই দ্বিতীয় শিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠতে চেয়েছিলেন; কিন্তু মঞ্চের কাছে আসতে দেরি হওয়ায় তৃতীয় হতে হয় তার।
দ্বিতীয় শিল্পী নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল আগ্রহ নিয়ে মঞ্চে উঠলেন তৃতীয় জন। গাইলেন ‘তোমাকে চাই আমি আরও কাছে’ গানটির প্রথম কয়েক লাইন। গান গাওয়ার পাশাপাশি তার হাসির ফোয়ারা আর অভিব্যক্তির কারণে সবাই তাকে বাহবা দিলেন।
মঞ্চ থেকে তিনি নেমে আসার পর গানটি বেজে ওঠে সাউন্ড বক্সে। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে ওঠেন তিনি।
তার এই প্রাণবন্ত ভাবটাকে আগত অতিথিরা হাত তালি ও চিৎকারে স্বাগত জানান। গত জুলাইয়ের ২৮ তারিখে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ঘটনা এটি।
প্রাণবন্ত এ মেয়েটির নাম মাসুদা খান। অনেকে তাকে চিনবেন ‘মাসু আঁকে’ শব্দটি বললে। কারণ এই শব্দে তিনি পরিচিত ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে। মাসুদা ছবি আঁকেন, ছবি আঁকা শেখান।
ফেসবুক, ইনস্টায় তার পেজ ও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে পোস্ট করা ভিডিওগুলো মাসুদাকে ‘মাসু আঁকে’ বলে ভিডিও শুরু করতে দেখা যায়। আঁকার ভিডিও বানানো ছাড়াও ইদানীং তিনি অভিনয় করেন, ফটোশুটে অংশ নেন, কমিক বুক লেখেন।
মাসুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার এখন ২৪ বছর বয়স। আমি একটু এক্সপ্লোর করছি কী কী করতে পারি। অভিনয় করলাম কিছুদিন আগে। ইউএনডিপির সঙ্গে একটা কমিক বুক লিখেছে ও এঁকেছি। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশেও অংশ নিয়েছিলাম। আমি আসলে অনেক কিছুই ট্রাই করে দেখছি, কোনটা করতে ভালো লাগে।’
মাসুদ লেখাপড়া করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে, অ্যাপ্লাইড লিঙ্গুইস্টিকস বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে। তিনি মনে করছেন, ইংরেজি সাবজেক্টটি তাকে অনেক কিছু করতে সাহায্য করছে।
মাসুদা বলেন, ‘যেহেতু আমার টেকনিক্যাল সাবজেক্ট না, তাই আমার অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। যদি আমি ডক্টর বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য পড়তাম, তাহলে সাবজেক্টে ফোকাস বেশি করতে হতো।’
আর্টের মধ্যে সব সময় থাকতে চান মাসুদা। আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি একদিন বইও লিখতে চাই এবং সব সময় পড়াশোনা করে যেতে চাই। এটাই আমার ক্যারিয়ার চয়েস। জানি একটু এলোমেলো।’
মাসুদা নিজেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও দাবি করেন। ফেসবুকে তার পেজের নাম ‘জলতরঙ্গ: মাসু.আকে’স আর্ট জার্নাল উপ’, ইনস্টাগ্রামে তার অ্যাকাউন্টের নাম ‘মাসু.আঁকে’।
ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাসুদার ভিডিও ও নানা ছবি। ২০১৮ থেকে আঁকা নিয়ে তার ভিডিও বানানো শুরু, করোনার সময় সেটি বেড়ে যায়। মাসুদা জানান, শখ থেকেই ভিডিও বানানো শুরু তার।
মাসুদা বলেন, ‘আমার তো আঁকতে ভালো লাগে। প্রথম দিকে সিলি সিলি ভিডিও বানিয়ে বন্ধুদের পাঠাতাম। অনলাইনে আপলোড করার পর অনেকে বললেন যে, ভিডিওগুলো লম্বা করার জন্য। তারপর নিজের পছন্দের পাশাপাশি দর্শকের পছন্দকেও প্রাধান্য দেয়া শুরু করলাম।’
নিজের ফোনেই কনটেন্ট তৈরির সব কাজ করেন মাসুদা। তার ভিডিওতে একটি ইমপারফেকশন থাকবে, সেটাই মাসুদার পছন্দ। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ সাহায্য করলে ভালো হতো, কিন্তু সেটাও তার কাছে তেমন সমস্যার কিছু না।
নিজের প্ল্যাটফর্মটাকে আরও অনেক বড় করতে চান। কিন্তু এ মুহূর্তে সাবস্ক্রাইবাররা যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছে সেটা তার কাছে পারফেক্ট মনে হচ্ছে। যদি সপ্তাহে দুটি করে কনটেন্ট দিতে পারতেন, তাহলে হয়তো ফলোয়ার আরও বাড়ত বলে মনে করেন মাসুদা। কিন্তু যা হচ্ছে বা যেভাবে এগোচ্ছে সেটাও তার কাছে ঠিকই মনে হচ্ছে।
মাসুদা বলেন, ‘ছবি আঁকা আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু আমার কিছু এক্সট্রা কারিকুলারও আছে। আমি সব কিছুর একটা ব্যালান্স রাখতে চাই জীবনে।’
কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কারণেই চমৎকার, ফাটাফাটি, জোস জোস জায়গায় কোলাবোরেশন করতে পেরেছেন বলে জানান মাসুদা। বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা ক্যারিয়ার চয়েস এবং এটা আমি কনসিডার করছি।’
মাসুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত। তার করা ভিডিও কিংবা নানা আয়োজনে তাকে যে প্রাণবন্ত মুডে অন্য মানুষরা আবিষ্কার করেন, তাতে তিনি আরও পছন্দের হয়ে ওঠেন সবার কাছে।
নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায় একটি কনটেন্টে কাজ করে তার পরিচিতি বেড়েছে আরও কিছুটা। এই পরিচিতি পাওয়ার বিষয়টায় বেশ মজা পাচ্ছেন মাসুদা। কী করবেন তিনি, কী হবে, তা নিয়ে এত ভাবছেন না। সময়টা উপভোগ করছেন আর যে কাজটি করতে ইচ্ছে করছে সেখানে নিজের শতভাগ দিয়ে যুক্ত হচ্ছেন মাসুদা খান।
রুপালি পর্দার তারকারা ঘন ঘন জনসমক্ষে এলে সেই অর্থে ‘দাম’ থাকে না বলেই মনে করতেন মহানায়ক উত্তম কুমার। তার চলাফেরাতেও ছিল সেই প্রভাব।
সবকিছুর পর তারকারাও তো মানুষ। এ হিসেবে অনেক কাজেই অংশ নিতে হতো তাদের। মহানায়ক ভোট প্রয়োগ করতেন কীভাবে, এবার প্রকাশ্যে এসেছে সে তথ্য।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, একবার সহকর্মী তথা ভ্রাতৃপ্রতিম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে উত্তম কুমার বকা দিয়েছিলেন তিনি পেট্রল পাম্পে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন বলে। আসলে তাকেও খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কয়েক বার। বাঙালির ম্যাটিনি আইডল বলে কথা। উত্তম কুমার মানেই তো তখন জনারণ্য। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন মহানায়কের ভোটাধিকার প্রয়োগের উপায়ের কথা।
গৌরব ঠাকুরদাকে না দেখলেও পরিবারের সদস্যদের মুখেই শুনেছিলেন, মহানায়ক কখনও বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না। বরং বাড়ি থেকেই খামে ভরে তার ভোট জমা পড়ত। সরকারি কর্মীরা যেভাবে পোস্টার ব্যালটে ভোট দেন। সেভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন উত্তম কুমার।
পোর্ট ট্রাস্টের চাকরিজীবী হিসেবেই মহানায়ক এই বিশেষ সুবিধে পেতেন। তবে পরে অভিনয়ের জন্য সেই চাকরি ছেড়ে দিলেও তৎকালীন সরকার তার জন্য এই বিশেষ ব্য়বস্থা বহাল রেখেছিল। কারণ, বুথে উত্তম কুমারকে দেখলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাতে গোলযোগ দেখা দিতে পারে।
বিশৃঙ্খলা রুখতেই উত্তম কুমারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিল সেই সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার।
চলতি লোকসভা ভোটের আবহে আমজনতার পাশপাশি সেলেবরাও গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে ওঠেন বরাবর। বুথে লাইন দিয়ে তারাও ভোট দেন। কিন্তু উত্তম কুমার কখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতেন না। তার জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:টলিউডে নাকি এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সোহিনী সরকারের বিয়ের গুঞ্জন! টলিগঞ্জের অন্যতম কাঙ্খিত নায়িকা নাকি অবশেষে বাঁধা পড়ছেন শোভন-সুরে।
এতদিন সোহিনীর জীবনে প্রেমের আনাগোনা কম ছিল না, তবে থিতু হননি নায়িকা। তবে আর দেরি নয়। এই বছরই নাকি সাতপাক ঘুরবেন দুজনে।কেউ বলছেন, জুলাইতে শুভকাজটা সারবেন শোভন-সোহিনী, আরেক সূত্র বলছে, জুলাই নয় নভেম্বরে বিয়ে।
মাস যা-ই হোক না কেন, ২০২৪-এ ছয় বছরের ছোট শোভনের সঙ্গে সোহিনীর বিয়ে টলিপাড়ার হট টপিক। একটা সময় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের সঙ্গে শোভনের মাখোমাখো প্রেম নিয়ে কম আলোচনা হয়নি টেলিপাড়ায়। ইমনের সঙ্গে ব্রেকআপের পর শোভন খুল্লমখুল্লা প্রেম করেছেন স্বস্তিকার সঙ্গে। কিন্তু ২০২৩-এ আচমকা ছন্দপতন। আলাদা হন তারা। স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, ‘হ্যাপি নোটে’ শেষ হয়েছে সম্পর্ক।
ব্রেকআপের পর আজও ইমনের সঙ্গে শোভনের সখ্যতা অটুট। তবে সেই পথে হাঁটেননি স্বস্তিকা। সাবেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই, কিন্তু সাবেকের বিয়ের জল্পনা কি তার কানে পৌঁছেছে?
হিন্দুস্তান টাইমসকে স্বস্তিকা বলেন, ‘একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, একজন আমার সাবেক। অন্যজনকে আমি সিনিয়র অভিনেত্রী হিসাবে সম্মান করি। তার কাজও দেখি। তারা দুজনে যখন একে অপরের সঙ্গে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, (কয়েক মুহূর্তের স্তব্ধতা) যদিও আমি জানি না প্রকাশ্যে এটা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেছে কি না।
‘আমি একজন সাংবাদিকদের থেকে এই সুখবরটা শুনছি, তারা যদি নিজেদের কমপ্যাটিবল ভেবে থাকেন এবং তারা সাত পাকে বাঁধা পড়তে চান আমি দুজনেই শুভকামনা জানাব। এটা আমার শিক্ষা।’
জানা যায়, অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের এক অনুষ্ঠানের সূত্রেই কাছাকাছি আসেন শোভন-সোহিনী। গত বছর পুজোর আগেই শোভন-সোহিনীর সম্পর্ক নিয়ে ঢি ঢি পড়ে যায় টলিপাড়ায়। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার সম্পর্ক একটু একটু করে প্রকাশ্যে এসেছে।
সোহিনী নিজের মুখে জানিয়েছেন, ‘শোভনের সঙ্গে আমি ভালো আছি’। তবে বিয়ে নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ দুজনের। শোভনের আগে রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে ছিলেন সোহিনী।
শোভন জীবনপথে এগিয়ে গেলেও স্বস্তিকা কিন্তু এখনও সিঙ্গল। বিয়ে নিয়ে কী পরিকল্পনা তার? অভিনেত্রীর জবাব, ‘আমি কখনই চাইব না ৪০ বছরে গিয়ে বিয়ে করব আর ৪৫ বছরে গিয়ে মা হব। বাবা-মা রয়েছেন, কিছু দায়িত্ব তাদেরও নেয়া উচিত। যখন সময় আসবে তখন ঠিক ঠিক ভালো একজন মানুষকে আমি বিয়ে করতে চাই, আর একটা হেলথি বাচ্চার জন্ম দিতে চাই।’
স্বস্তিকা আরও যোগ করেন, ‘এর মাঝে যদি কোনো মানুষের সঙ্গে প্রেম হয়…। আমি এমন একটা ম্যাচুয়ারেটির জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যে কাউকে খুঁজে পেলে বলব, ছোটবেলায় ভালো লাগত রাত জেগে ভোর পাঁচটা অবধি ফোনে মেসেজ চালাচালি করা কিংবা ফোনে কথা বলার।
‘এখন সেই ইচ্ছেটা নেই। যা প্রেম করার সেটা বিয়ের পরে, যদি তোমার আমার সঙ্গে থাকতে হয় তো। তবে পুরোটাই হচ্ছে যদি আমি কাউকে খুঁজে পাই তো! এখন আর সেই বয়সে নেই যে ঢাকুরিয়া লেকে বসে হাত ধরে প্রেম করব’। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরও পড়ুন:ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকের তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ এ মামলাটি করেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তার মতে, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়ত বোঝেননি।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকরা নানান স্ট্যাটাস ও মন্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধুনা করছে নেটিজেনরা।
‘এছাড়া জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের লাইক-ফলো করা পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে! নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!’
সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বলেন, ‘যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।’
নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে এটা নিয়ে জোভান দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
জোভান ছাড়াও ‘রূপান্তর’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক প্রমূখ।
মারা গেছেন মঞ্চ ও টেলিভিশন জগতের পরিচিত মুখ অভিনেতা অলিউল হক রুমি।
সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রুমির জন্ম বরগুনায়। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
মাসখানে আগে রুমির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। ভারতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। পরে ফিরে দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
অভিনেতার রুমির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তারা জানিয়েছেন শোক।
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘চলে গেলেন রুমি ভাই! মৃত্যুটা কত সহজ, জীবনটাই অনেক বেশি কঠিন। এই প্রথমবার, এমন খবর শুনে, সবাইকে জানাবার জন্য লিখতে যেয়ে, লিখলাম আর মুছলাম অসংখ্যবার! আপনার ছবির সাথে কোন ভাবেই “শেষ বিদায়” এর কিছু লিখতে পারছিলাম না রুমী ভাই! সব সম্ভব⁉’
তিনি লিখেছেন, ‘মাত্র দেড়/ দুই মাস, সব চেষ্টা শেষ হল! কোনভাবেই ঠেকানো গেল না কিছু! আপনার পরিবারকে আল্লাহ এ শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিক, এ প্রার্থনা করি। পরপারে চির শান্তিতে থাকবেন।’
তিন দশকের বেশি সময় অভিনয় নিয়ে ছিলেন রুমি। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদনা সহকারী হিসিবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
১৯৮৮ সালে থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে রুমির অভিনয়ের শুরু। ওই বছরই ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ২০ ও ২১ এপ্রিল দু দিনব্যাপী হচ্ছে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আয়োজন করা এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত ও এই দুই দেশের প্রবাসীদের নির্মিত ৩৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা। এ ছাড়াও রয়েছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন ও জমকালো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ ছাড়াও এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে অর্ধশত অতিথি যোগ দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের প্রতিটি আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। কোনো প্রবেশ ফি বা টিকেট নেই। শুধু ২১ এপ্রিল বিকেলে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটির জন্য শনি অথবা রোববার সকাল সকাল অনুষ্ঠান স্থলে এসে বিনামূল্যে একটি বিশেষ পাস সংগ্রহ করতে হবে। দুদিনই শনি ও রোববার সকাল ১১টা থেকে বিশেষ পাশটি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।
রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনান ‘তেরা হোনে লাগা হু’, ‘দুরি’ ও ‘আদাতের’ মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।
কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন।
এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।
ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।’
২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, ‘জাল’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। ‘জেহের’ সিনেমার ‘ওহ লামহে ওহ বাতে’ গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য ‘পেহলি নাজার ম্যায়’, ‘বাখুদা তুমহি হো’, ‘তু জানে না’, ‘দুরি’, ‘ম্যায় রং শরবতো কা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’ সহ প্রায় শতাধিক গান।
আরও পড়ুন:বিপাকে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। অভিনেত্রী ও তার স্বামী রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ অ্যাক্ট ২০০২-এর অধীনে বৃহস্পতিবার একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের।
সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে পুণেয় রাজ কুন্দ্রার বাংলো, শিল্পার জুহুর ফ্ল্যাট। পাশাপাশি রাজ কুন্দ্রার নামে থাকা ইক্যুইটি শেয়ারও রয়েছে।
২০২১ সালে পর্নোকাণ্ডে নাম জড়ায় অভিনেত্রীর স্বামী রাজের। সেই সময় একটা লম্বা সময়ে হাজতে থাকতে হয় শিল্পার স্বামীকে। জামিনে ছাড়া পেয়ে একটু একটু করে নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।
দিন কয়েক আগে রাজ তার জেলবন্দি জীবনের কাহিনি তুলে ধরেছিলেন বড় পর্দায়। এর মধ্যেই ফের ঝঞ্ঝাটে শিল্পা ও তার স্বামী।
এই ঘটনার পর অনেকেই উদ্বেগে ছিলেন। প্রশ্ন ভাসছিল, কেমন আছেন অভিনেত্রী? অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন শিল্পা। জানালেন নিজের অবস্থানের কথা।
শিল্পা ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘‘অসম্মানের সময় বিচলিত না হয়ে শান্ত হতে শেখো।’’ তার পরই অন্য একটি পোস্টে সাঁইবাবার ছবি দিয়ে লেখেন, ‘‘শরণাপন্ন করে দাও।’’
ব্যক্তিগত জীবনে এমন ওঠাপড়ার মাঝেও বৃহস্পতিবার রাতে সালমান খানের ফ্ল্যাটে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে যান শিল্পা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য