মঞ্চে বসেই কণ্ঠশিল্পী তপু এক ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘দর্শক সারিতে যারা আছেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ যদি গান গাইতে চান, তারা মঞ্চে চলে আসুন, আপনাদের গান শুনব আমরা সবাই।’
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে একজন ছেলে ওঠেন মঞ্চে; নিজের লেখা, সুর করা গান করেন। পরে আরেকজন নারী কণ্ঠশিল্পী যান; তিনি শোনান লালনের গান।
দ্বিতীয় জন যখন মঞ্চে উঠে গেছেন, তখন মঞ্চের নিচে আরেকজন অপেক্ষা করছিলেন। মূলত তিনিই দ্বিতীয় শিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠতে চেয়েছিলেন; কিন্তু মঞ্চের কাছে আসতে দেরি হওয়ায় তৃতীয় হতে হয় তার।
দ্বিতীয় শিল্পী নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল আগ্রহ নিয়ে মঞ্চে উঠলেন তৃতীয় জন। গাইলেন ‘তোমাকে চাই আমি আরও কাছে’ গানটির প্রথম কয়েক লাইন। গান গাওয়ার পাশাপাশি তার হাসির ফোয়ারা আর অভিব্যক্তির কারণে সবাই তাকে বাহবা দিলেন।
মঞ্চ থেকে তিনি নেমে আসার পর গানটি বেজে ওঠে সাউন্ড বক্সে। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে ওঠেন তিনি।
তার এই প্রাণবন্ত ভাবটাকে আগত অতিথিরা হাত তালি ও চিৎকারে স্বাগত জানান। গত জুলাইয়ের ২৮ তারিখে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ঘটনা এটি।
প্রাণবন্ত এ মেয়েটির নাম মাসুদা খান। অনেকে তাকে চিনবেন ‘মাসু আঁকে’ শব্দটি বললে। কারণ এই শব্দে তিনি পরিচিত ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে। মাসুদা ছবি আঁকেন, ছবি আঁকা শেখান।
ফেসবুক, ইনস্টায় তার পেজ ও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে পোস্ট করা ভিডিওগুলো মাসুদাকে ‘মাসু আঁকে’ বলে ভিডিও শুরু করতে দেখা যায়। আঁকার ভিডিও বানানো ছাড়াও ইদানীং তিনি অভিনয় করেন, ফটোশুটে অংশ নেন, কমিক বুক লেখেন।
মাসুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার এখন ২৪ বছর বয়স। আমি একটু এক্সপ্লোর করছি কী কী করতে পারি। অভিনয় করলাম কিছুদিন আগে। ইউএনডিপির সঙ্গে একটা কমিক বুক লিখেছে ও এঁকেছি। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশেও অংশ নিয়েছিলাম। আমি আসলে অনেক কিছুই ট্রাই করে দেখছি, কোনটা করতে ভালো লাগে।’
মাসুদ লেখাপড়া করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে, অ্যাপ্লাইড লিঙ্গুইস্টিকস বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে। তিনি মনে করছেন, ইংরেজি সাবজেক্টটি তাকে অনেক কিছু করতে সাহায্য করছে।
মাসুদা বলেন, ‘যেহেতু আমার টেকনিক্যাল সাবজেক্ট না, তাই আমার অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। যদি আমি ডক্টর বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য পড়তাম, তাহলে সাবজেক্টে ফোকাস বেশি করতে হতো।’
আর্টের মধ্যে সব সময় থাকতে চান মাসুদা। আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি একদিন বইও লিখতে চাই এবং সব সময় পড়াশোনা করে যেতে চাই। এটাই আমার ক্যারিয়ার চয়েস। জানি একটু এলোমেলো।’
মাসুদা নিজেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও দাবি করেন। ফেসবুকে তার পেজের নাম ‘জলতরঙ্গ: মাসু.আকে’স আর্ট জার্নাল উপ’, ইনস্টাগ্রামে তার অ্যাকাউন্টের নাম ‘মাসু.আঁকে’।
ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাসুদার ভিডিও ও নানা ছবি। ২০১৮ থেকে আঁকা নিয়ে তার ভিডিও বানানো শুরু, করোনার সময় সেটি বেড়ে যায়। মাসুদা জানান, শখ থেকেই ভিডিও বানানো শুরু তার।
মাসুদা বলেন, ‘আমার তো আঁকতে ভালো লাগে। প্রথম দিকে সিলি সিলি ভিডিও বানিয়ে বন্ধুদের পাঠাতাম। অনলাইনে আপলোড করার পর অনেকে বললেন যে, ভিডিওগুলো লম্বা করার জন্য। তারপর নিজের পছন্দের পাশাপাশি দর্শকের পছন্দকেও প্রাধান্য দেয়া শুরু করলাম।’
নিজের ফোনেই কনটেন্ট তৈরির সব কাজ করেন মাসুদা। তার ভিডিওতে একটি ইমপারফেকশন থাকবে, সেটাই মাসুদার পছন্দ। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ সাহায্য করলে ভালো হতো, কিন্তু সেটাও তার কাছে তেমন সমস্যার কিছু না।
নিজের প্ল্যাটফর্মটাকে আরও অনেক বড় করতে চান। কিন্তু এ মুহূর্তে সাবস্ক্রাইবাররা যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছে সেটা তার কাছে পারফেক্ট মনে হচ্ছে। যদি সপ্তাহে দুটি করে কনটেন্ট দিতে পারতেন, তাহলে হয়তো ফলোয়ার আরও বাড়ত বলে মনে করেন মাসুদা। কিন্তু যা হচ্ছে বা যেভাবে এগোচ্ছে সেটাও তার কাছে ঠিকই মনে হচ্ছে।
মাসুদা বলেন, ‘ছবি আঁকা আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু আমার কিছু এক্সট্রা কারিকুলারও আছে। আমি সব কিছুর একটা ব্যালান্স রাখতে চাই জীবনে।’
কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কারণেই চমৎকার, ফাটাফাটি, জোস জোস জায়গায় কোলাবোরেশন করতে পেরেছেন বলে জানান মাসুদা। বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা ক্যারিয়ার চয়েস এবং এটা আমি কনসিডার করছি।’
মাসুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত। তার করা ভিডিও কিংবা নানা আয়োজনে তাকে যে প্রাণবন্ত মুডে অন্য মানুষরা আবিষ্কার করেন, তাতে তিনি আরও পছন্দের হয়ে ওঠেন সবার কাছে।
নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায় একটি কনটেন্টে কাজ করে তার পরিচিতি বেড়েছে আরও কিছুটা। এই পরিচিতি পাওয়ার বিষয়টায় বেশ মজা পাচ্ছেন মাসুদা। কী করবেন তিনি, কী হবে, তা নিয়ে এত ভাবছেন না। সময়টা উপভোগ করছেন আর যে কাজটি করতে ইচ্ছে করছে সেখানে নিজের শতভাগ দিয়ে যুক্ত হচ্ছেন মাসুদা খান।
চুপিসারে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। আনি আনি করেও মনের মানুষকে প্রকাশ্যে আনছেন না তিনি। একই বোধহয় বলে, ‘ডুবে ডুবে জল খাওয়া’।
বসন্ত উৎসবের দিন জানালার ধারে মনের মানুষের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন দিতিপ্রিয়া। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি পোস্ট করতেই ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে পাশে দাঁড়ানো এই রহস্যমানব কে?
এ প্রশ্নের উত্তরে এই সময়কে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার জীবনে একজন আছে। গত তিন মাস আমি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি। তবে এখনই সবটুকু জানাতে চাই না। ক্রমশ প্রকাশ্য।’
দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘ছয় মাস হোক তারপর সবটুকু সবাইকে জানাব। শুধু এটুকু বলতে পারি আমার যার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সে এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ নয়। সম্পূর্ণ আলাদা জগতের মানুষ। খুব শিগগিরই আমি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।’
দিতিপ্রিয়ার এই প্রেমের সম্পর্ক কতদিনের সেটাও খোলসা করতে চাননি অভিনেত্রী।
২০২৩- এ দিতিপ্রিয়ার জন্মদিনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রেম করছেন? জবাব ছিল, ‘হ্যাঁ করছি তো…।’ এরপরই সহাস্য সংযোজন, ‘কেরিয়ারের সঙ্গে।’
গত বছরে সিঙ্গল ছিলেন বলেই দাবি দিতিপ্রিয়ার। আগে সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং দিব্যজ্যোতি দত্তের মতো অভিনেতার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার।
শিশুশিল্পী হিসেবে বিনোদন জগতের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। মা, দুর্গা, অপরাজিত, তোমায় আমায় মিলে, ব্যোমকেশের মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তারপর হয়ে ওঠেন টেলিভিশনের করুণাময়ী রানি রাসমণি। রানিমা হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।
সিরিয়ালের পাশাপাশি সিনেমাতেও দুর্দান্ত কাজ করেছেন। রাজকাহিনি, অভিযাত্রিক, আয় খুকু আয়, অচেনা উত্তম, কলকাতা চলন্তিকার মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। রুদ্রবীণার অভিশাপ, মুক্তি, বোধন, ডাকঘর, রাজনীতির মতো সিরিজেও তার জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক পাড়ের চিড়িয়াখানায় ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার সংসারে আসে তিনটি শাবক। আর জন্মের এক মাসেরও বেশি সময় পর নাম পেয়েছে ওরা তিন বোন।
জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সোমবার দুপুরে চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গেলে বাঘ শাবকগুলোকে জনসম্মুখে আনা হয়। এ সময় তিনি মেয়ে শাবক তিনটিকে কোলে নিয়ে এগুলোর নামকরণ করেন। তিন বোনের নাম দেয়া হয়- প্রকৃতি, স্রোতস্বিনী ও রূপসী।
জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত সিদ্দিকী, চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব ও এনডিসি হুছাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন এবং চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শুভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাঘ শাবক দেখতে চিড়িয়াখানায় গিয়ে জেলা প্রশাসক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু’টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে দু’টি থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তিনটি শাবকসহ মোট বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে ৫টি বাঘ ও ১২টি বাঘিনী। এখানে সাদা বাঘও রয়েছে।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় দু’টি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দিয়ে দু’টি জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে সাবেক জেলা প্রশাসক বাঘটির নাম রাখেন জো বাইডেন। বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর।
বাঘ জো বাইডেন জন্মের পরপরই ওর মা থেকে পরিত্যক্ত হলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালন-পালন করা হয়। এক বছর লালনপালনের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অবস্থিত বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হএসবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো জো বাইডেন নিজের সংসার তৈরি করলো। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে ছিল। সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে উদ্ধার করে সরকারের দখলে নিয়ে এসেছি। সেখানে আমরা বার্ডস পার্ক করার পরিকল্পনা করেছি।
‘ইতোমধ্যে কিছু আমেরিকার ফ্ল্যামিংগোর ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছি। এর বাইরে কিছু পেলিক্যান ও কিছু ম্যাকাও পাখি পাওয়া গেলে চট্টগ্রামে আর্ন্তজাতিক মানের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ডস পার্ক করতে পারব আশা করছি।’
মা হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসায় মা ঝর্ণা রায়ের মৃত্যুর পর এক ফেসবুক পোস্টে মাকে ঘিরে কিছু কথা লিখেছেন তিনি।
অ্যাম্বুলেন্সের ছবি পোস্ট করে পূজা লিখেছেন, ‘এভাবে আমাকে একা করে দিলা মামুনি? এইটা তো কথা ছিল না। তুমি না বলছিলা আমার পাশে সবসময় থাকবা। আমার এখন কি হবে? আমি কাকে আমার সব কথা বলবো মামুনি?’
‘কত কথা জমা হয়ে আছে, ভেবেছিলাম তুমি সুস্থ হলে সব কথা গড়গড় করে বলবো। কিন্তু এইটা কি হলো? তুমি তোমার এই মেয়ের কথা চিন্তা করলে না?’
পূজা লিখেছেন, ‘বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করবো? বলো তুমি??? মা, মাগো পারলে আমাকে মাফ করে দিও মা। একমাত্র তুমি ছিলে যার সাথে হাসতাম, রাগ হলে চিল্লাতাম আবার অন্যের রাগও তোমার ওপর ঝাড়তাম। আহ, তখন কি যে শান্তি লাগতো। কিন্তু এখন!!’
তিনি লিখেছেন, ‘মামুনি বলারও কেউ নাই। নিজেকে এখন সান্ত্বনা দিচ্ছি সবাইকে চলে যেতে হয়। চিন্তা করো না মামুনি তোমার কাছে একদিন না একদিন আমিও আসবো। তোমার পিছু তোমার এই মেয়ে ছাড়বে না বলে দিলাম। ভালো থেকো মা আমার।’
চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায় মারা গেছেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের বাসায় তিনি মারা যান বলে প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘ঝর্ণা অ্যান্টি (পূজা চেরির মা) আর নেই । সবাই উনার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন।’
জানা গেছে, ঝর্ণা রায় বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি মিরপুরের একটি হাসপাতালে থেকে বাসায় ফেরেন।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা চেরি।
মেয়েদের শাড়ি পরা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শংকরের যে বক্তব্য আলোড়ন তুলেছে অবশেষে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, যা বলেছেন ভেবেই বলেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্যটি করেছিলেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের সঙ্গে শনিবার কথা বলেছেন তিনি।
নিজের মতের প্রতি সমর্থন দিয়ে মমতা শংকর বলেন, ‘যা বলেছি ভেবেচিন্তেই বলেছি। বক্তব্য থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই। আমার বক্তব্যটা মন দিয়ে শুনুন। ঠিক কী বলেছি, দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন। যাদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছি তাদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। কাউকে অসম্মান করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই মন্তব্যকে তো অনেকে সমর্থনও করেছেন। কই তা নিয়ে তো কথা হচ্ছে না। কেবল নেতিবাচক নিয়েই যত আলোচনা। যাই হোক, আমার বক্তব্যের সঙ্গে সবাই সহমত হবেন এমনটা আমি আশা করি না। এই বিষয়ে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই। দয়া করে এবার থামুন।’
নতুন প্রজন্মের সাজে আভিজাত্য রয়েছে? নাকি সাজে আধুনিকতার নামে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে ফেলছেন নারীরা- এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা শংকর বলেছিলেন, যারা ল্যাম্প পোস্টের নীচে দাঁড়াতে বাধ্য হন, তাদেরকে আমি আমার শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কারণ তারা পেশার তাগিদে বাধ্য হন ওভাবে শাড়ি পরতে। যারা বিনা কারণেও পরেন সেটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারি না।
এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ বিষয়ে মমতা শংকরের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘আমি আমার ডিগনিটি (আত্মমর্যাদা) নিয়েই থাকতে চাই। সেটাকে কখনই বিসর্জন দেব না। আমি আর এই ব্যাপার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।’
নিরাপত্তার ইস্যুতে বন্ধ রাখা হয়েছে সারা বিশ্বে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় সিরিজ হ্যারি পটারের বিভিন্ন পর্বে প্রদর্শিত বাষ্পচালিত ট্রেন পরিষেবা ‘দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস’।
স্থানীয়ভাবে ‘দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিস’ নামে পরিচিত এ সেবাটি যুক্তরাজ্যে দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। ট্রেনটি বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোকসান হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এর অপারেটর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হ্যারি পটার সিনেমাখ্যাত এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছে। বাষ্প ইঞ্জিনের এই ট্রেন এতদিন যাবত বিশেষ ছাড়ের অধীনে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে আসছিল। তবে এখন বাঁধ সেধেছে ট্রেনটির পুরোনো ধাঁচের দরজা।
বর্তমানে এই দরজার অনুমোদন নেই দেশটিতে। তাই ওয়েস্ট কোস্ট রেলওয়ের (ডব্লিউসিআর) এই পরিষেবাটি আবারও চালু করতে অনুমোদন লাগবে ইংল্যান্ডের অফিস অফ রেল অ্যান্ড রোডের (ওআরআর)। এই সংস্থা অনুমোদ দিলেই পুনরায় চলতে পারবে দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
২০০২ সালে জে কে রাউলিংয়ের বিখ্যাত শিশুতোষ সিরিজ হ্যারি পটারের দ্বিতীয় খণ্ড ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’-এ প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল এই বাষ্পচালিত ট্রেন। এরপর এটি আরও কয়েকটি খণ্ডে প্রদর্শিত হয়। মূলত সেখান থেকেই দর্শকদের আকর্ষণের জায়গা হয়ে ওঠে হাইল্যান্ডসের গ্লেনফিনান ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে মালাইগ থেকে ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত পাড়ি দেওয়া এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
পরিষেবাটি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকে। এ বছরও দর্শনার্থীদের পরিষেবা দিতে ট্রেনটি বিশেষ ছাড়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিসটি বন্ধ থাকবে। তবে যারা এতে চড়তে আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডব্লিউসিআরের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জেমস শাটলওয়ার্থ বলেন, ‘পরিষেবাটি স্থগিত হওয়ায় আমরা হতাশ; আমাদের ট্রিপ বুক করা গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তিনি বলেন, ‘জ্যাকোবাইট পরিষেবাটি হাজার হাজার পর্যটকের আকর্ষণের জায়গা। এটি মালাইগ এবং ফোর্ট উইলিয়ামের স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশপাশি যুক্তরাজ্যের পর্যটন খাতে প্রতি বছর অন্তত ২০ মিলিয়ন পাউন্ড যোগ করে। ওআরআর যদি আমাদের আবারও ছাড় না দেয়, তাহলে এতে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অন্তত ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হতে পারে।’
জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অফ থ্রোনসের প্রিক্যুয়েল সিরিজ ‘হাউস অফ দ্য ড্রাগনের’ দুটি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন আসতে মাত্র কয়েক মাস বাকি।
এইচবিও তাদের ওয়েবসাইটে শুক্রবার ‘ব্ল্যাক’ ও ‘গ্রিন’ টিমের জন্য আলাদা দুটি ট্রেলার প্রকাশ করে, যা পরবর্তী সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়।
এইচবিওর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৬ জুন সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন দেখানো হবে।
সিরিজটি জর্জ আরআর মার্টিনের বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ব্লাডের’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি গেম অফ থ্রোনসের ২০০ বছর আগের গল্প। গল্পটি একটি কাল্পনিক টারগারিয়ান পরিবারের ইতিহাস, যারা একসময় রাজত্ব করেছিল ওয়েস্টেরসে।
নির্মাতারা হাউজ অফ দ্য ড্রাগনের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার সিরিজটির নতুন কিছু স্টিল পোস্টার শেয়ার করেন।
এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে ১০টি এপিসোড নিয়ে মুক্তি পায় হাউজ অফ দ্য ড্রাগনের প্রথম সিজন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য