আলোচিত কনটেন্ট মেকার হিরো আলম জানিয়েছেন, ডেকে নিয়ে রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি না গাওয়ার মুচলেকা আদায়ের দিন গোয়েন্দা পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। তুই তোকারি করে কথা বলেছে। তার চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছে, তার মতো মানুষের নামের সঙ্গে ‘হিরো’ শব্দটি যায় না। সেটি পাল্টাতে হবে।
তবে পুলিশ যা-ই বলুক না কেন, নামের সঙ্গে জুড়ে দেয়া ‘হিরো’ পাল্টানোর কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। বলেছেন, এই নাম পুলিশ তাকে দেয়নি, তাই পুলিশের কথায় তিনি পাল্টাবেনও না।
কয়েক বছর ধরেই হিরো আলমকে নিয়ে তুমুল আলোচনা। তাকে নিয়ে হাস্যরস, কটাক্ষকে গায়ে না মেখে একের পর এক ভিডিও, গানসহ নানা কনটেন্ট তৈরি করে আসছেন তিনি।
ঈদুল ফিতরের পর হিরো তার চ্যানেলে ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ গান প্রকাশের পর তুমুল সমালোচনা হয় তাকে নিয়ে। পরে হিরো প্রথমবারের মতো নিজের গান অনলাইন থেকে সরিয়ে নেন। পাশাপাশি বলেন, তিনি উপলব্ধি করেছেন, রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া তার উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি আর গাইবেন না।
এর মধ্যে গত বুধবার হঠাৎ করেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে হিরোকে ডেকে নিয়ে রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি গাইবেন না।
পরে হিরো জানান, পুলিশ তাকে নাম পাল্টানোর নির্দেশও দিয়েছে।
কেন নাম পাল্টাতে বলেছে- এমন প্রশ্নে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, “তারা আমার সঙ্গে অনেক রাফ ব্যবহার করেছে। বলে, ‘এই তোর চেহারা কোনোদিন আয়নাতে দেখেছিস, তুই নিজেকে হিরো বলিস, হিরো বলতে কী বোঝায় তুই বোঝা। তুই সিনেমা দেখিস না হিরোটা কী রকম হতে হয়? তোর নাম হিরো আলম; তুই নাম চেঞ্জ করবি। এখন থেকে তুই হিরো আলম নাম পরিচয় দিবি না’।”
আপনি কী বললেন- এমন প্রশ্নে হিরো বলেন, ‘আমি তো কোনো কিছু বলিনি, আমি চুপচাপ, দেখি তারা বলতে থাক। তারা কত কী বলতে পারে আমি দেখতে চাই আর শুনতে চাই।’
আপনি তাহলে নাম পাল্টাচ্ছেন না?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন নাম চেঞ্জ করব, ওরা নাম দিয়েছে নাকি আমাকে, না আমার কোনো ডিরেক্টর-প্রডিউসার নাম দিয়েছে? আমার নিজের নাম দেয়া, আমি নিজে এতদূর আসছি।’
তবে পুলিশের কিছু নিষেধ মেনে চলবেন বলেও জানান হিরো। বলেন, ‘ওদের সমস্যা হয়েছে, ওরা পুলিশের পোশাক পরতে নিষেধ করেছে, পরলাম না। তারপর নজরুলগীতি, পল্লিগীতি গাইতে মানা করছে- গাইলাম না সমস্যা কী?’
তবে পুলিশের এই নিষেধাজ্ঞা পছন্দ হয়নি হিরো আলমের। তিনি মনে করছেন, তার ব্যক্তিস্বাধীনতায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার তো ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় তারা আঘাত দিতে পারে না। তারা যে কাজ করেছে, একজনের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় আঘাত করেছে। পুলিশের কোনো জায়গায় আইনে লেখা নাই- পুলিশ আমার কাছ থেকে মুচলেকা নিতে পারবে যে তুই গান গাইতে পারবি না। এই কথা পুলিশের কোনো আইনে লেখা নেই।’
পুলিশের এই কাণ্ডের প্রতিবাদে হিরো নতুন একটি গান প্রকাশ করেছেন। তিনি গানে বলেন, ‘আমার কী হবে গো, জেল হবে না ফাঁসি হবে/কী অপরাধে আমার সরল মনটা কান্দেরে বন্ধু?’ পরক্ষণেই তিনি আবার গেয়ে ওঠেন, সারা জীবন সকল কাজে পাইলাম শুধু বাধা/আমাকে আসামি করল ভাগ্যের গোলকধাঁধারে দয়াল, ভাগ্যের গোলকধাঁধা।’
বগুড়ায় ডিশ লাইনের ব্যবসা দিতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে ভিডিও ছেড়ে হিরোর কনটেন্ট তৈরির শুরু। পরে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে তৈরি হয় হাস্যরস। তবে দমে না গিয়ে, সমালোচনা গায়ে না মেখে একের পর এক ভিডিও বানাতে থাকেন তিনি। সেই সঙ্গে শুরু করেন গান।
পরে বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, আরবি, চীনা এবং আফ্রিকান সোয়াহিলি ভাষায় গান তিনি। তৈরি করেন সিনেমা। লেখেন বই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি।
স্পষ্টতই সমালোচনা, কটাক্ষ গায়ে মাখছেন না হিরো আলম। মফস্বল থেকে উঠে এসে রাজধানীর বুকে তিনি অবস্থান নিয়ে যে বেশ আয় করছেন, সেটি তার জীবনাচরণেও ফুটে ওঠে। তিনি গাড়ি কিনেছেন, নিয়েছেন অফিসও।
তার জীবনের এই ঘটনার সঙ্গে গানের এই কলি ‘সারা জীবন সকল কাজে পাইলাম শুধু বাধা’র কোনো সম্পর্ক আছে কি না, জানতে চাওয়া হয় হিরোর কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই সেটা, ওটা নিয়ে মনের দুঃখ একটু প্রকাশ করলাম।’
আরও পড়ুন:‘মি টু’ বিতর্ককে উস্কে সামাজিক যোগাযোগমা্যধমে চাঞ্চল্যকর পোস্ট অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের।
সম্প্রতি বাংলা থিয়েটারের জগতে যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে হইচই টলিপাড়ায়, এর মধ্যেই অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন শৈশবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি!
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, নারীর প্রতি যৌন নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিজের সঙ্গে ঘটা হাড়হিম করা ঘটনার কথা এদিনে প্রকাশ্যে আললেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অর্ধাঙ্গিনী’।
ফেসবুক পোস্টে চূর্ণী লেখেন, আজ প্রায় ৬ বছর আগের একটি খুব ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম পোস্ট মনে করছি। তাতে লেখা ছিল, আমি হয়তো তরুণ ছিলাম, কিন্তু আমি ভুলে যাইনি। # মি টু। এরপরই মেয়েবেলায় তার সঙ্গে ঘটা ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা ফেসবুকে ভাগ করে নেন চূর্ণী।
অভিনেত্রী লেখেন, আমার ভেতরে লম্বা সময় ধরে এই কান্না জমে আছে, শিশু নির্যাতনের শিকার আমি, নীরব থেকেছি। একজন তার বেড়ে ওঠা বছরগুলিতে চুপ থেকেছে কারণ সে প্রকাশ্যে এই সত্যিটা বলতে পারেনি।
সেই অপরাধী স্বাভাবিকভাবেই শাস্তি পায়নি। তবে আমি আজ বিশ্বাস করতে চাই, কর্মফল সে ভুগবেই। কিন্তু আমি এখনও তার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। অন্তত এটা সে করতে পারে।
তিনি লেখেন, আমাকে যে ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সারা জীবনের ক্ষত যা আমাকে সহ্য করতে হয়েছে তার জন্য ক্ষমা তো চাওয়াই উচিত। আমি তার নাম নিতে পারব না এই ভেবে সে হয়তো আরাম করছে। ঠিক এটাই তাকে মাত্র ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর থেকে সুবিধা নিতে বাধ্য করেছে.. যে তার সারাল্যের জেরে তখনও পৃথিবীটাকে চিনে উঠতে পারেনি।'
অতীতের সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার মনে আছে আমি বিভ্রান্ত ছিলাম এবং পুরোপুরি অবিশ্বাসের মধ্যে ছিলাম। আমার মনে আছে, যখন আমি পারতাম ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যেতাম… গলা শুকনো এবং একটি ভারী হৃদয় নিয়ে, সাহায্য চাওয়ার মতো কেউ ছিল না। আমি বিধ্বস্ত থাকতাম এবং ভয়ে কাঁপতাম কারণ আমার নিষ্পাপ মন তাকে বিশ্বাস করেছিল’।
থিয়েটারে মেয়েদের নিরাপদ স্থান পাওয়া নিয়ে বেনি বসুর একটি পিটিশন সই করতে গিয়ে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় দেখেন তার মেয়াদ ফুরিয়েছে। সেই থেকেই নিজের সঙ্গে ঘটা এই দুর্বিষহ ঘটনা এতদিন পর প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী।
আজও নিজের ওপর ঘটা অত্যাচার ভোলেননি চূর্ণী, অপেক্ষায় রয়েছেন অপরাধীর ক্ষমাপ্রার্থনার। আজও সে সমাজে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি লেখেন, ‘আমার মনে হয়, তার যৌন বিকৃত স্বভাব পরিবর্তিত হয়েছে। তার অঙ্গভঙ্গি এবং ভালোমানুষির অভিনয় আজও আমাকে ক্রুদ্ধ করে তোলে।’
এই পোস্ট সেই সেই নির্যাতনকারীর কাছেও পৌঁছাবে বিশ্বাস তার।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে কোনো কিছুই গোপন রাখেননি চূর্ণী। এতদিনে সমাজের সামনে এই কঠিন সত্যিটা তুলে ধরার পর স্ত্রীর সাহসিকতাকে কুর্নিশ কৌশিকের।
তিনি লেখেন, ‘আমাদের পরিবারের অফুরান আদর, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা তোমার জন্য রইলো চিরকাল। তোমার কঠিন ব্যথার স্মৃতির ভার লাঘব হোক আমাদের আস্থায়, আলিঙ্গনে। এত বছর গুমরে থাকা বাষ্প তোমার মনের যে ক্ষতি করেছে, তার বিচার কিন্তু ঠিক হচ্ছে অন্য আঙ্গিকে, অন্য চেহারায়! আমি নিজে চোখে সেই দোষীর তিলে তিলে ক্ষয় দেখছি! একদিন পুড়ে ছাই হয়ে যাবে সেই হাত! ততদিন সভ্যতা আর দায়িত্বের জোব্বায় আমার ঘৃণাকে ঢেকে সামলে রাখলাম।’
আরও পড়ুন:রুপালি পর্দার তারকারা ঘন ঘন জনসমক্ষে এলে সেই অর্থে ‘দাম’ থাকে না বলেই মনে করতেন মহানায়ক উত্তম কুমার। তার চলাফেরাতেও ছিল সেই প্রভাব।
সবকিছুর পর তারকারাও তো মানুষ। এ হিসেবে অনেক কাজেই অংশ নিতে হতো তাদের। মহানায়ক ভোট প্রয়োগ করতেন কীভাবে, এবার প্রকাশ্যে এসেছে সে তথ্য।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, একবার সহকর্মী তথা ভ্রাতৃপ্রতিম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে উত্তম কুমার বকা দিয়েছিলেন তিনি পেট্রল পাম্পে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন বলে। আসলে তাকেও খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কয়েক বার। বাঙালির ম্যাটিনি আইডল বলে কথা। উত্তম কুমার মানেই তো তখন জনারণ্য। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন মহানায়কের ভোটাধিকার প্রয়োগের উপায়ের কথা।
গৌরব ঠাকুরদাকে না দেখলেও পরিবারের সদস্যদের মুখেই শুনেছিলেন, মহানায়ক কখনও বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না। বরং বাড়ি থেকেই খামে ভরে তার ভোট জমা পড়ত। সরকারি কর্মীরা যেভাবে পোস্টার ব্যালটে ভোট দেন। সেভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন উত্তম কুমার।
পোর্ট ট্রাস্টের চাকরিজীবী হিসেবেই মহানায়ক এই বিশেষ সুবিধে পেতেন। তবে পরে অভিনয়ের জন্য সেই চাকরি ছেড়ে দিলেও তৎকালীন সরকার তার জন্য এই বিশেষ ব্য়বস্থা বহাল রেখেছিল। কারণ, বুথে উত্তম কুমারকে দেখলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাতে গোলযোগ দেখা দিতে পারে।
বিশৃঙ্খলা রুখতেই উত্তম কুমারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিল সেই সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার।
চলতি লোকসভা ভোটের আবহে আমজনতার পাশপাশি সেলেবরাও গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে ওঠেন বরাবর। বুথে লাইন দিয়ে তারাও ভোট দেন। কিন্তু উত্তম কুমার কখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতেন না। তার জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:টলিউডে নাকি এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সোহিনী সরকারের বিয়ের গুঞ্জন! টলিগঞ্জের অন্যতম কাঙ্খিত নায়িকা নাকি অবশেষে বাঁধা পড়ছেন শোভন-সুরে।
এতদিন সোহিনীর জীবনে প্রেমের আনাগোনা কম ছিল না, তবে থিতু হননি নায়িকা। তবে আর দেরি নয়। এই বছরই নাকি সাতপাক ঘুরবেন দুজনে।কেউ বলছেন, জুলাইতে শুভকাজটা সারবেন শোভন-সোহিনী, আরেক সূত্র বলছে, জুলাই নয় নভেম্বরে বিয়ে।
মাস যা-ই হোক না কেন, ২০২৪-এ ছয় বছরের ছোট শোভনের সঙ্গে সোহিনীর বিয়ে টলিপাড়ার হট টপিক। একটা সময় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের সঙ্গে শোভনের মাখোমাখো প্রেম নিয়ে কম আলোচনা হয়নি টেলিপাড়ায়। ইমনের সঙ্গে ব্রেকআপের পর শোভন খুল্লমখুল্লা প্রেম করেছেন স্বস্তিকার সঙ্গে। কিন্তু ২০২৩-এ আচমকা ছন্দপতন। আলাদা হন তারা। স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, ‘হ্যাপি নোটে’ শেষ হয়েছে সম্পর্ক।
ব্রেকআপের পর আজও ইমনের সঙ্গে শোভনের সখ্যতা অটুট। তবে সেই পথে হাঁটেননি স্বস্তিকা। সাবেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই, কিন্তু সাবেকের বিয়ের জল্পনা কি তার কানে পৌঁছেছে?
হিন্দুস্তান টাইমসকে স্বস্তিকা বলেন, ‘একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, একজন আমার সাবেক। অন্যজনকে আমি সিনিয়র অভিনেত্রী হিসাবে সম্মান করি। তার কাজও দেখি। তারা দুজনে যখন একে অপরের সঙ্গে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, (কয়েক মুহূর্তের স্তব্ধতা) যদিও আমি জানি না প্রকাশ্যে এটা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেছে কি না।
‘আমি একজন সাংবাদিকদের থেকে এই সুখবরটা শুনছি, তারা যদি নিজেদের কমপ্যাটিবল ভেবে থাকেন এবং তারা সাত পাকে বাঁধা পড়তে চান আমি দুজনেই শুভকামনা জানাব। এটা আমার শিক্ষা।’
জানা যায়, অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের এক অনুষ্ঠানের সূত্রেই কাছাকাছি আসেন শোভন-সোহিনী। গত বছর পুজোর আগেই শোভন-সোহিনীর সম্পর্ক নিয়ে ঢি ঢি পড়ে যায় টলিপাড়ায়। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার সম্পর্ক একটু একটু করে প্রকাশ্যে এসেছে।
সোহিনী নিজের মুখে জানিয়েছেন, ‘শোভনের সঙ্গে আমি ভালো আছি’। তবে বিয়ে নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ দুজনের। শোভনের আগে রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে ছিলেন সোহিনী।
শোভন জীবনপথে এগিয়ে গেলেও স্বস্তিকা কিন্তু এখনও সিঙ্গল। বিয়ে নিয়ে কী পরিকল্পনা তার? অভিনেত্রীর জবাব, ‘আমি কখনই চাইব না ৪০ বছরে গিয়ে বিয়ে করব আর ৪৫ বছরে গিয়ে মা হব। বাবা-মা রয়েছেন, কিছু দায়িত্ব তাদেরও নেয়া উচিত। যখন সময় আসবে তখন ঠিক ঠিক ভালো একজন মানুষকে আমি বিয়ে করতে চাই, আর একটা হেলথি বাচ্চার জন্ম দিতে চাই।’
স্বস্তিকা আরও যোগ করেন, ‘এর মাঝে যদি কোনো মানুষের সঙ্গে প্রেম হয়…। আমি এমন একটা ম্যাচুয়ারেটির জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যে কাউকে খুঁজে পেলে বলব, ছোটবেলায় ভালো লাগত রাত জেগে ভোর পাঁচটা অবধি ফোনে মেসেজ চালাচালি করা কিংবা ফোনে কথা বলার।
‘এখন সেই ইচ্ছেটা নেই। যা প্রেম করার সেটা বিয়ের পরে, যদি তোমার আমার সঙ্গে থাকতে হয় তো। তবে পুরোটাই হচ্ছে যদি আমি কাউকে খুঁজে পাই তো! এখন আর সেই বয়সে নেই যে ঢাকুরিয়া লেকে বসে হাত ধরে প্রেম করব’। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরও পড়ুন:চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে সংগঠনটির কয়েকজন সদস্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন জানান, তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈশাখী টিভির সাংবাদিক লিয়ন মীর জানান, শপথ গ্রহণ শেষে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন এক রিপোর্টার। এসময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তিনি।
কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এরপর শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রক্তাক্ত আহত হন কয়েকজন সাংবাদিক। মারামারিতে যোগ দেন আলেকজান্ডার বোসহ কয়েকজন জুনিয়রও।
মিঠুন আল মামুন ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘আমি একজন শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় খল অভিনেতা শিবা শানু আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে কেন সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। এরপরই তিনি আমার ওপর হামলা চালান।
‘এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক এগিয়ে এলে জয় চৌধুরী অশ্লীল গালি দিয়ে জুনিয়র শিল্পীদের নির্দেশ দেন সাংবাদিকদের ওপর চালানোর। জয় ও শিবা শানুর নেতৃত্বেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।’
এ ঘটনার পরপরই এফডিসিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএফডিসির খোলা প্রাঙ্গণে এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু মিশাকে শপথ পাঠ করান।
ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকের তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ এ মামলাটি করেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তার মতে, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়ত বোঝেননি।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকরা নানান স্ট্যাটাস ও মন্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধুনা করছে নেটিজেনরা।
‘এছাড়া জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের লাইক-ফলো করা পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে! নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!’
সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বলেন, ‘যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।’
নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে এটা নিয়ে জোভান দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
জোভান ছাড়াও ‘রূপান্তর’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক প্রমূখ।
মারা গেছেন মঞ্চ ও টেলিভিশন জগতের পরিচিত মুখ অভিনেতা অলিউল হক রুমি।
সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রুমির জন্ম বরগুনায়। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
মাসখানে আগে রুমির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। ভারতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। পরে ফিরে দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
অভিনেতার রুমির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তারা জানিয়েছেন শোক।
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘চলে গেলেন রুমি ভাই! মৃত্যুটা কত সহজ, জীবনটাই অনেক বেশি কঠিন। এই প্রথমবার, এমন খবর শুনে, সবাইকে জানাবার জন্য লিখতে যেয়ে, লিখলাম আর মুছলাম অসংখ্যবার! আপনার ছবির সাথে কোন ভাবেই “শেষ বিদায়” এর কিছু লিখতে পারছিলাম না রুমী ভাই! সব সম্ভব⁉’
তিনি লিখেছেন, ‘মাত্র দেড়/ দুই মাস, সব চেষ্টা শেষ হল! কোনভাবেই ঠেকানো গেল না কিছু! আপনার পরিবারকে আল্লাহ এ শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিক, এ প্রার্থনা করি। পরপারে চির শান্তিতে থাকবেন।’
তিন দশকের বেশি সময় অভিনয় নিয়ে ছিলেন রুমি। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদনা সহকারী হিসিবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
১৯৮৮ সালে থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে রুমির অভিনয়ের শুরু। ওই বছরই ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ২০ ও ২১ এপ্রিল দু দিনব্যাপী হচ্ছে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আয়োজন করা এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত ও এই দুই দেশের প্রবাসীদের নির্মিত ৩৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা। এ ছাড়াও রয়েছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন ও জমকালো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ ছাড়াও এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে অর্ধশত অতিথি যোগ দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের প্রতিটি আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। কোনো প্রবেশ ফি বা টিকেট নেই। শুধু ২১ এপ্রিল বিকেলে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটির জন্য শনি অথবা রোববার সকাল সকাল অনুষ্ঠান স্থলে এসে বিনামূল্যে একটি বিশেষ পাস সংগ্রহ করতে হবে। দুদিনই শনি ও রোববার সকাল ১১টা থেকে বিশেষ পাশটি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
মন্তব্য