বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মহানগর পুলিশের বিরোধ প্রকাশ্য হয়ে উঠছে।
নেতা-কর্মীদের হেনস্তা অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভায় পুলিশের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন মেয়র সাদিক।
তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।’
বরিশালের পুলিশ প্রশাসন বাইরের কোনো গোষ্ঠীর টার্গেট পূরণে ব্যস্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বলছে, মেয়রের মন্তব্যগুলো একান্তই তার ব্যক্তিগত। শুধু সিটি করপোরেশন নয়, পুলিশ সকল সংস্থার সমন্বয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার কাজ করছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহানগর পুলিশের সঙ্গে মেয়র সাদিকের অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরোধের শুরু এ বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে।
এদিন বরিশাল নগরীর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ হাওলাদারকে বিসিকের ফরচুন সুজ কোম্পানিতে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে আটকে মারধরের অভিযোগ ওঠে এবং সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিবাদে কাউনিয়া থানা ঘেরাও করেন মেয়র সাদিকের অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
একপর্যায়ে সোহাগকে ছাড়াতে না পেরে তারা বরিশালের বাস, লঞ্চ, থ্রি হুইলার ও রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন। কয়েক ঘণ্টা পর সোহাগকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
২৯ মার্চ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ড সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহসভাপতি গোলাম রসূলসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।
৩০ মার্চ বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী রিপন মাঝিসহ ছয়জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ জনের নামে চাঁদাবাজি মামলা করেন গোলাম রসূল। ওই মামলায় ১৬ মে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৭ মে রিপন মাঝিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে এবং তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুর নেতৃত্বে দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাও করেন।
রিপনকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
পরে মেয়রের অনুসারী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নগরীর সোহেল চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং রিপনকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
সবশেষ ২৭ মে নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের মানু মিয়ার লেনে ৯৯৯-এর কলে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার টিম।
সেখানে উপস্থিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনকে হেনস্তা এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে মান্নার বিরুদ্ধে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে মান্না সটকে পড়েন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাওয়ের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে নগরীর কালিবাড়ির সেরনিয়াবাত ভবনে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ পুলিশকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করেন।
তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বরিশালকে অশান্তির দিকে ডেকে নেবেন না। আমি এখানে ভেসে আসিনি। আগের থেকে বরিশাল আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। এত বড় আওয়ামী লীগকে আপনারা আটকাতে পারবেন না। বরিশালে অশান্তি হলে সে দায়ভার আপনাদেরকেই নিতে হবে।’
মেয়র সাদিক বলেন, ‘যারা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে আন্দোলন করছে, প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, তাদের পক্ষ নিয়ে আপনারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হেনস্তা করছেন। রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে রেড দিয়ে গ্রেপ্তার করছেন। আর যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
‘এ অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ তৃণমূলের দল। আমরা পুলিশি ক্ষমতায় চলি না, আমরা তৃণমূলের ক্ষমতায় চলি। আপনারা যা করছেন সেটা দলের জন্য বদনাম।’
২৯ মে সেরনিয়াবাত ভবনে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায়ও পুলিশের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ জানান মেয়র সাদিক।
ওই সভায় তিনি বলেন, ‘কোনো থানায় কি আমি কখনও কাউকে ছাড়াতে ফোন দিয়েছি? কাউকে মোটরসাইকেলসহ ধরলে আমি কি ফোন দেই ছাড়ানোর জন্য? সমস্যাটা কোথায়?
‘বরিশাল কি আপনাগো সম্পত্তি মনে করতে আছেন আপনারা। কার বিরুদ্ধে কাজ করতেছেন আপনারা। এই সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করতেছেন? আমার বিরুদ্ধে কাজ করতেছেন নাকি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কাজ করতেছেন? আমার বিরুদ্ধে কাজ করা মানেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কাজ করা।’
মেয়র সাদিক বলেন, ‘আমি কাজ করতেছি এইটাই কি অপরাধ আমার। আপনারা উইঠা পইরা লাগছেন আমার পেছনে। আমি তো সব শান্ত কইরা রাখছি, এটাই মনে হয় আমার অপরাধ। প্রশাসন যা করছে সেটা আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ আমাদের অভিভাবক ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানাব।’
তিনি বলেন, ’২১ নম্বর ওয়ার্ডে কী হইছে, মারামারি হইছে? মার্ডার হইছে? কী বড় ঘটনা ঘটছে যে ওইখানে দাঙ্গা পুলিশ নিয়া যাওয়া লাগছে? শুনছি ফোন নিয়া গেছে পুলিশের। ইন্টেলিজেন্সরা তদন্ত করবে বিষয়টা। এইটা একটা ষড়যন্ত্র। আমার না আমার দলের, আমার নেত্রীর ক্ষতি করতে আছে।’
মেয়র সাদিক বলেন, ‘নতুন ডিসি আসছে ভালো কথা। মন্ত্রী মহোদয়রা ইদানীং আসলে সেই চিঠিও পাই না। আমাদের সঙ্গে মন্ত্রী মহোদয়দের কথা হলে কি আপনাদের সমস্যা। এসব ষড়যন্ত্র করতে বারবার মানা করছি আপনাদের। কী কী আলাদা করতে চান আপনারা ক্লিয়ার করেন। আমি তো তদবির করতে যাই না আপনাদের কাছে। কার পারপাস সারভ করেন?
‘আপনাদের ক্ষমতা নিয়ে তো আমি এখানে হই নাই, আমি জনগণের ক্ষমতায় হইছি। জনগণ আমারে ভালোবাসে। আপনাগো পিছনে জনগণ হাঁটে না, সেটা কি আমার দোষ। প্রশাসন আমার গায়ের ওপর লাফাইয়া পড়তে চায় কেন? এটা তো আপনাদের কিছু না। বহুত সহ্য করছি, মনে করেন কি বুঝি না কিছু।’
তিনি বলেন, ‘চার পুরুষের রাজনীতি শরীরে, সবকিছুই বুঝি। আমারে ঠ্যালা দিয়া ফালাইয়া দেয়া এত সহজ না। আমার নেতা-কর্মীদের আমি ফালাইয়া দেব, আবার আমিই কোলে নিব। এর মধ্যে কেউ ওগো পকেটে ভইরা নিয়া যাইবে, সেইটা হইবে না।’
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র নতুন না। ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার ষড়যন্ত্র করে। সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে বিতর্কিত করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সাদিক আব্দুল্লাহ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা আমাদের।’
বিভিন্ন সভায় মেয়রের বক্তব্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার।
তিনি বলেন, ‘বরিশালে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নেই। পুলিশের ওপর যে হামলার ঘটনা, সেই ঘটনায় মামলা না হলেও বিষয়টির তদন্ত চলছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে যত বড়ই রাঘববোয়াল থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মেয়র সমর্থকদের প্রতিপক্ষ পুলিশ নয়। সিটি করপোরেশন জনগণের জন্য কাজ করে, আমরাও কাজ করি জনগণের জন্য। যদি কোনো জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা আমরা বিচ্ছিন্নভাবেই নিয়েই থাকি।’
তিনি বলেন, ‘মেয়রের ব্যক্তিগত অভিরুচিতে বা মতামতে সেটা তিনি বলতে পারেন, এটা তার ইস্যু। আমরা জনসেবায় নিয়োজিত, এতে সকল সংগঠনের সহযোগিতা চাই। সেখানে যদি কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকে, তাহলে সেটি পূরণের চেষ্টা রয়েছে আমাদের।’
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে এবং এই আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫–৩থ-এর অংশ হিসেবে ইনক্যাপ সিরিমনি। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ওই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিবছর দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এ বছর বিদেশে বেশ কয়েকটি মহড়া সম্পন্ন হয়েছে, আর এটাই ছিল চলতি বছরের শেষ মহড়া। এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি অর্জন করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমেরিকান বিমান বাহিনীর দেওয়া অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অপারেশন থিয়েটারের টেবিল, অপারেশন লাইট, এয়ার কন্ডিশন, জেনারেটর, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র এবং অপারেশন থিয়েটারের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মিশন কমান্ডার মেজর জুদাহ বলেন, ‘আমরা এ কার্যক্রমে বিশেষভাবে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছি। এ অঞ্চলের মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুসেবা আরও উন্নত করতে এসব সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে আনোয়ারার মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে স্থানীয় মানুষের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র টিমের সিনিয়র সদস্য কার্নেল অ্যান্ড্রু ব্রি, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি মেজর গ্রিন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যসহ দুদেশের বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জন্মনিবন্ধে ইচ্ছাকৃত ভুল, ভুল সংশোধনের নামে বারবার অর্থ গ্রহণ, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা নিজের পরিবারের নাম্বার দিয়ে আত্মসাৎ করে, বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসে সরকারি ধার্যকৃত ফিসের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, পরিষদের অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মহিলা লীগ ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচারের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ফুলতলা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘আসমা হঠাও প্রতাপনগর বাচাও’ এই স্লোগানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির সাবেক সভাপতি স.ম আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরি আলম সিদ্দিকী, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, বিএনপি নেতা কারিমুজ্জামান, প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী স্বামী আব্দুল সালাম, আর এক ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, প্রমুখ।
মানববন্ধনে বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আসমা খাতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধীসহ ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এমনকি বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদের নাম্বার পরিবর্তন করে নিজের পরিবারের সদস্যদের নাম্বার দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি জানাজানি পরেও চেয়ারম্যান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তিনি আওয়ামী মহিলা লীগের ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচার করতে হবে, তা না হলে এরপরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি করা হবে।
তবে অভিযুক্ত তথ্য উদ্যোক্তা আসমা খাতুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমার মায়ের একটি সিম হারিয়ে গিয়েছিল। ভুলক্রমে সেই সিম নাম্বারে একটি বয়স্ক ভাতার টাকা চলে আসে। আমি জানতে পেরে সমাজসেবা কর্মকর্তার অবহিত করি। আমি কোনো টাকা উত্তোলন করিনি।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজি দাউদ ঢালী বলেন, আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি আজ তাকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৩৮ দিন পর মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক অটো রিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় অটো রিকশা চালক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রধান আসামি খাইরুল ইসলামকে (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সালা পাগলার মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানো স্থানে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। গত ১১ আগস্ট রাতে অটো রিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী। পরদিন তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ২০ আগস্ট নিহতের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে খাইরুলকে আসামি করে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে খাইরুলের বাবা আইনুল হককে রাঙামাটির কাউখালি থেকে এবং তার ভাই ফুল মিয়াকে কুমিল্লার অশোকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অটোরিকশাটি কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল ঘাতক খাইরুলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গত বুধবার বিকেলে তার দেখানো স্থানে মেহেদীর কঙ্কাল উদ্ধার হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার দেখানো স্থান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে থাকা পোশাক দেখে পরিবারের সদস্যরা নিহতকে শনাক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঝরে পড়া তরুণদের কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বিশেষ কার্যক্রম ‘কার্যকর সাক্ষরতা ও ব্যবহারিক কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ (প্রাক-বৃত্তিমূলক পর্যায়)’। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে একই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের চারটি ট্রেডে দক্ষ করে তোলা হবে; ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং এবং মোবাইল ফোন সার্ভিসিং। কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস, মোট ৪৬০ ঘণ্টা। সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স শেষে টিভিইটি সোপানের এনএসসি-১ (NSC-1)-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবেন এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার পথ উন্মুক্ত হবে। তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হবে, পাশাপাশি নির্ধারিত যাতায়াত ভাতা ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণ-তরুণীরা শুধু সাক্ষরতা অর্জন করবে না, বরং কর্মসংস্থানের যোগ্যতাও অর্জন করবে, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রশিক্ষণার্থী রহিম খান বলেন, ‘এখান থেকে আমরা বিনা খরচে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।’
একজন অভিভাবক মোসা. সাবিকুন নাহার বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। ওই প্রশিক্ষণে যুক্ত হওয়ার পর তাকে নতুনভাবে উদ্যমী দেখছি। এখন তার জীবনের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি হবে বলে বিশ্বাস করি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ওই কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণরা শুধু কর্মমুখী জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মফিজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মো. আনিসুর রহমান, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ ইলেকট্রিক্যাল), এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ সিভিল), মো. জুয়েল রানা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রশিক্ষণের সফলতা কামনা করেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। গত বুধবার বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।
ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।
বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে বিজিবি কর্তৃক জানিয়েছেন।
সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছেন। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, ‘বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জের ইটনায় কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বাদলা বাজার থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি ও মৃগা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৪ হাজার ২৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ট্রলারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন আজহারুল ইসলাম লেলিন (৪০), নিয়ামুল মিয়া (২৪) ও সাইদুল মিয়া (১৯)। তারা মৃগা এলাকার বাসিন্দা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল আকরাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃগা গ্রামের ডিলার জানু মিয়ার নামে ১০ হাজার ৮৩০ কেজি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি সেগুলো সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে পৃথক দুটি স্থান থেকে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
বাদলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুস সামাদ জানান, কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে একটি ট্রলারে করে তাড়াইল নিয়ে যাওয়ার সময় ৭২ বস্তা চালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় ভরে চালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ইটনা থানার উপপরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল জানান, বাদলা থেকে ৭২ বস্তা চাল উদ্ধারের পর ডিলার জানু মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাড়ি থেকে আরও ৮৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, চালগুলো আত্মসাতের উদ্দেশে নির্ধারিত স্থানে না রেখে অন্যত্র রেখেছিলেন ডিলার জানু মিয়া তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য