২ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ। ভারতের মোট বাণিজ্যের ১ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হয় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সঙ্গে। নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জন্মলগ্ন থেকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশ সব সময়ই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে থাকে। দুই দেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক সব সময়ই পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আবর্তিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ববৃহৎ সীমান্ত হওয়ায় ট্রানজিট, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অন্যান্য অর্থনেতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ভারত বাংলাদেশের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল।
করোনা মহামারির ফলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি এক কঠিন সংকট মোকাবিলা করেছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি আবারও খাদের কিনারায় এসে ঠেকেছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। মালদ্বীপ, ভুটান ও নেপালের অর্থনীতিও আক্রান্ত। রিজার্ভ সংকট ও মূল্যস্ফীতির ফলে এসব দেশে নাগরিকদের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা সত্ত্বেও বৈশ্বিক সংকটের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, যদিও এ দেশ দুটির অর্থনীতি এ অঞ্চলের অন্য প্রতিবেশীদের চেয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল।
দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা
ইউক্রেন যুদ্ধ ভারতসহ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে আকাশছোঁয়া। দুই দেশেরই আমদানি ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অর্ডারের পরিমাণ কমেছে। তবে প্রতিবেশী দেশ দুটির অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের কারণে অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়েনি। বিপরীতে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের মতো দেশগুলোর অর্থনীতি পর্যটন খাতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় মহামারি ও যুদ্ধের ধাক্কায় সেখানকার অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে আবর্তিত হয়ে থাকে। রাশিয়ার সাথে আমদানি-রপ্তানি বিঘ্নিত হওয়ায় এসব দেশের অর্থনীতিতেও মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ফলে এসব দেশ দক্ষিণ এশিয়া থেকেও আমদানি কমিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার রপ্তানি হ্রাসের মূল কারণ।
বর্ধিত জনসংখ্যা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ধীরগতির অন্যতম কারণ। সেই সাথে মহামারি ও যুদ্ধে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির ফলে মাথাপিছু আয় কমে আসবে, যা জিডিপি প্রবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরবে। যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বাণিজ্যিক অবরোধের ধাক্কায় এ অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে, যা কতদিনে শেষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
যুদ্ধের ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জনগোষ্ঠী বিদেশের শ্রমবাজারের ওপর নির্ভরশীল। নেপালের জিডিপির ২৭ শতাংশ আসে রেমিট্যান্স থেকে। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহকারী দেশ। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি কমতে থাকায় এসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাচ্ছে। মহামারির কারণে ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রামাঞ্চলগুলো মূলত কৃষিভিত্তিক। মহামারিকালীন কৃষিপণ্যের পরিবহন ও রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি ও এ খাতের ওপর নির্ভরশীল বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। মহামারির ধাক্কায় অনানুষ্ঠানিক খাতও বিপর্যস্ত হয়েছে। সরকার এ খাতের উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নিলেও প্রায় সময়ই এর সমস্যাগুলো উন্নয়ন কার্যক্রমের আড়ালে থেকে যায়। তেলের দাম বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত না হলে অনানুষ্ঠানিক খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।
মহামারি খাদ্য পরিবহন ও সাপ্লাই চেইনকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করেছে। পর্যাপ্ত উৎপাদন সত্ত্বেও তা ভোক্তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়ই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আন্তঃসীমান্ত পরিবহন বন্ধ থাকায় ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা সীমিত করায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিঘ্নিত হয় এবং একই সঙ্গে স্থানীয় ফুড মার্কেটও স্থবির হয়ে যায়। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অন্যতম খাদ্য রপ্তানিকারক দুটি দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য রপ্তানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায়ও সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতে খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতেও মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। খাদ্যসংকট এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে মূল্যস্ফীতির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের উদ্বাস্তু শরণার্থীদের প্রতি পশ্চিমের মনোযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশে বসবাসরত বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ওপর থেকে মিডিয়ার মনোযোগও সরে গেছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার উদ্ভূত অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচতে সেখানকার একটি জনগোষ্ঠীর ভারতে আশ্রয় নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রয়োজন দুই দেশের সহযোগিতা
বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লি সফরে আছেন। এর আগে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংযোগ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করেন। চলমান সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সফরের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে তা দেশ দুটির অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। তারপরও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল ১০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, যদিও এ হিসাব করা হয়েছে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য, আন্ডার ইনভয়েসিং, বাংলাদেশ থেকে ভারতের রেমিট্যান্স এবং ভারতে বাংলাদেশের মেডিক্যাল ও পর্যটনের হিসাবকে বাইরে রেখে। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে দুই দেশকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পণ্য পরিবহনে বিভিন্ন জটিলতা রোধে কাস্টমসের প্রক্রিয়াগুলো আরও সহজ করতে হবে। পণ্য পরিবহন সহজ করতে বন্দরের অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে ভারত কোনো জরুরি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করলে তা আগে থেকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এতে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোর মধ্যে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মার্চ মাসে জি-৭ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা মিশন ঘোষণা করেন, যেখানে তিনি আফ্রিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করার কথা বলেন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার সাফল্য উন্নত দেশগুলোকে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ করছে। বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষিপণ্যের অন্যতম ক্রেতা দেশ ভারত। ভারতের সাথে আমদানি ও রপ্তানির নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখতে পারলে বাংলাদেশের কৃষি খাত লাভবান হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ পানি উত্তোলন করতে পারলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে।
নদী শুকিয়ে যাওয়ায় শীতকালে নেপাল ও ভুটান দুই প্রতিবেশী দেশ মারাত্মক বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে। ভুটানের সাথে জলবিদ্যুৎ সহযোগিতার চুক্তির জন্য বাংলাদেশ ভারতের সমর্থন প্রত্যাশী। আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ রপ্তানি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক রয়েছে। নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংযোগ তৈরির জন্য ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট নিতে হবে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুতের বাজার বিস্তৃত করা সম্ভব, যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সহযোগিতার সম্পর্কের ওপর নির্ভর করছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারতের সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ফলপ্রসূ সহযোগিতা বৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো সংযোগ বৃদ্ধি। ট্রানজিট বৃদ্ধির মাধ্যমে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলের মধ্যে টেকসই ও কার্যকরভাবে পণ্যের বিনিময় করা সম্ভব। ২০১৬ সাল থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন সহজ করার জন্য অত্যন্ত কম ট্রানজিট ফিতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ থেকে ট্রানজিট সুবিধা পেলেও ভুটান ও নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহজ করার জন্য নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না ভারত। ট্রানজিট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দুই দেশেরই বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
সড়ক, রেলপথ ও বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ভারত বাংলাদেশকে সম্প্রতি ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশ ভারত থেকে ঋণ সহযোগিতা পেয়েছে, যার মধ্যে আছে আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ সংস্কার ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্প। বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত ভারত-বাংলাদেশ সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সেপা) সইয়ের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নতুন গতি পাবে। সীমান্ত হাট বৃদ্ধি, আমদানি-রপ্তানি শুল্ক মওকুফ, পণ্য পরিবহন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নতি প্রভৃতি সেপার অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে সেপা চুক্তি সই হবে তার অন্যতম সফলতা।
বিদ্যমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতা দুই দেশের জন্যই ‘উইন উইন সিচুয়েশন’ তৈরি করবে। দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি ও খাদ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয়ের অর্থনীতিই লাভবান হবে, যা এ অঞ্চলের অন্য অর্থনীতিগুলো থেকে বাংলাদেশ ও ভারতকে ব্যতিক্রমী করে তুলবে।
নিশাত তাসনীম: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষক।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য