× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
বহিষ্কারেও দমছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ
google_news print-icon

বহিষ্কারেও দমছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ

বহিষ্কারেও-দমছে-না-আওয়ামী-লীগের-বিদ্রোহ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বাবুল। ছবি: নিউজবাংলা
পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলের অনেকেই লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। কোনো কোনো পৌরসভায় দুই কিংবা তারও বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াদের বহিষ্কার করেও বিদ্রোহ দমাতে পারছে না আওয়ামী লীগ।

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনে ৬১ পৌরসভার মধ্যে ১৬টিতে অন্তত ২১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের অনেককেই এরই মধ্যে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এরপরেও নির্বাচনে প্রার্থিতায় আছেন তারা।

আরও পড়ুন: ভোট নিয়ে সমালোচনা মুছতে চায় আ. লীগ

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে এবার পৌর নির্বাচনের শুরু থেকেই কঠোর মনোভাব দেখিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। দলের শীর্ষ নেতারা হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, বিদ্রোহীদের আর কখনোই দলের মনোনয়ন দেয়া হবে না। তারপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন নেই।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, বিদ্রোহ দমনে দলের কঠোর মনোভাবের পর পরিস্থিতি শতভাগ না হলেও অন্যান্য বারের চেয়ে ভালো। ভবিষ্যতেও বিদ্রোহীদের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন: ভোটারদের তেল দিয়ে জরিমানা

গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় পৌর নির্বাচনের মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষ করে আওয়ামী লীগ। ১৮ ডিসেম্বর দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চূড়ান্ত করা হয় প্রার্থীদের তালিকা।

দ্বিতীয় দফায় ৬১ পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে লড়তে ফরম নিয়েছিলেন ৩১৭ জন। অর্থাৎ প্রতিটি পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন গড়ে পাঁচ জন করে।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাদের একটি বড় অংশ পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে এলেও অনেকেই লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। কোনো কোনো পৌরসভায় দুই কিংবা তারও বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

আরও পড়ুন: মাঠে নেই বিএনপি, সরব আওয়ামী লীগ

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভায় নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে নির্বাচনের মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শাহী সুমন। তাকে এরই মধ্যে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।

রাজশাহীর ভবানীগঞ্জে পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, আড়ানীতে বর্তমান মেয়র মোক্তার আলী ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা লড়ছেন বিদ্রোহী হিসেবে।

বহিষ্কারেও দমছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

রংপুর বিভাগের দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভায় বিদ্রোহী হিসেবে লড়ছেন বর্তমান পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন বাবুল ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মো. হোসেন ফাকু। মোশাররফ হোসেন বাবুলকে এরই মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন তিন জন। এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল করিম লাচু ও সদস্য ফারুক আহমেদ এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতবুর রহমান। তিন জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভোটার ফিরল কেন্দ্রে

এদিকে জেলার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় বিদ্রোহে নাম লিখিয়েছেন খায়রুল হোসেন মাওলা ও দেবাশীষ সাহা।

ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তাগাছায় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আবুল কাশেম। আর ফুলবাড়িয়া পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।

বহিষ্কারেও দমছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ
বেশ জমেছে এবারের পৌরসভা নির্বাচন। ছবি: নিউজবাংলা

ঢাকা বিভাগে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি পৌরসভায় বিদ্রোহী হিসেবে লড়ছেন যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান বকল ও কিশোরগঞ্জ সদরে ভোটের মাঠে আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল গণি ডালি।

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিদ্রোহী হিসেবে লড়ছেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হেলাল মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে হেলাল মিয়াকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আ. লীগের দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহ, বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত

জেলার কুলাউড়া পৌরসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র শফি আলম ইউনুস লড়ছেন বিদ্রোহী হিসেবে। তাকে এরই মধ্যে বহিষ্কার করেছে দল। এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী হলেন শাহজাহান মিয়া।

হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভায় সাবেক মেয়র শাহ মুসলেম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পঙ্কজ সাহা লড়ছেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: গন্ডগোল হলে দায় প্রথমত ওবায়দুল কাদেরের: কাদের মির্জা

তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে মাঠপর্যায়ে অনেক সময়ই নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। ভোটাররাও হয়ে পড়েন বিভক্ত। আর এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিতও হন।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে দেখা গেছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপট। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েন বিদ্রোহীদের কাছে।

বহিষ্কারেও দমছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ
বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে বিভাজন তৈরি হয় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝেও। ছবি: নিউজবাংলা


পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহ দমনে আগের মতোই কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হওয়া যায় না। একটা বড় রাজনৈতিক দল, এখানে এতটা পারা যায় না। তবে এবার কঠোর সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্রোহ অনেকটাই কমেছে।

‘ঐ অর্থে এবার বিদ্রোহ অনেকটাই কম। সেটা তো একটা ভালো দিক। এতে আগামী দিনে আরো সুদুরপ্রসারী, ভালো ফল পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে আমরা শুরু করেছি। আগামীতে আরও পাব।’

আরও পড়ুন: শায়েস্তাগঞ্জে আ. লীগে তিন বিদ্রোহী

তিনি বলেন, কঠোর সিদ্ধান্তের পরেও সব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলে শতভাগ বিদ্রোহ দমন করা যায় না।

তৃণমুলে বিদ্রোহে কেন্দ্রীয় নেতাদের মদদ থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান আওয়ামী লীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা।

গত ২ ডিসেম্বর সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি হবে ভোট। এর মধ্যে ২৯ পৌরসভার ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে। আর ৩২টিতে ভোট হবে ব্যালটে।

আরও পড়ুন:
কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগ ত্রিখণ্ড, ফুরফুরে বিএনপি
আ. লীগের দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহ, বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত
বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ চার কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

নির্বাচন
Mitfords murder is very sad Home advisor

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যবসায়ী হত্যা ও মব সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র বলেন, ‘ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকালও র‌্যাব দুজন ও ডিএমপি দুজনকে ধরেছে। পরে আরও একজনকে ধরা হয়েছে।’

বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মোটামুটি অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। ছোটখাট ঘটনায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি। এই জিনিসটা বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে চাঁদপুরে, খুলনা ও চট্টগ্রামের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

পুলিশের মিল ব্যারাক এলাকা পরিদর্শন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সঙ্গে একটু কথা বলা। তাদের থাকা ও খাবারের মান দেখা। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে তাদের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব এখানে।’

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই বলেও এ সময় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, সেটা আমরা জানি না। সেটা জানাবে নির্বাচন কমিশন।’

মন্তব্য

নির্বাচন
IMO recognizes the Coast Guard for the glorious contribution

গৌরবময় অবদানের জন্য কোস্টগার্ডকে আইএমও’র স্বীকৃতি

গৌরবময় অবদানের জন্য কোস্টগার্ডকে আইএমও’র স্বীকৃতি

অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘প্রশংসাপত্র’ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)।

শনিবার সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানকালে গত বছর ৫ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার সৌরভ’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দ্রুত ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ অসাধারণ ভূমিকা রাখে।

ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তৎক্ষণাৎ জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর সাহসী নাবিকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। সেই অভিযানে ৪৮ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কার্যকর ব্যারিয়ার স্থাপন ও বর্জ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে দূষণরোধ করা হয়।

এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘লেটার অব কমান্ডেশন' দিয়েছে।

আইএমও এই অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইএমও’র এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের জন্য বড় অর্জন। এটি শুধু কোস্টগার্ড নয়, পুরো দেশের জন্যই গর্বের। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, কোস্টগার্ড একটি আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে যেকোন দুর্যোগে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সর্বদা সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা বিধান, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকবে।

মন্তব্য

নির্বাচন
Water is down in Noakhali

নোয়াখালীতে পানি নামছে ধীর গতিতে

প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি
নোয়াখালীতে পানি নামছে ধীর গতিতে

টানা চার দিনের মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর টানা দুদিন নোয়াখালীতে রোদ্রৌউজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে অধিকাংশ উপজেলায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর, দুর্গাপুর ও লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ফেনীর পানি ঢুকে বৃষ্টি না থাকলে এ অঞ্চলে পানি বেড়েছে।

শনিবার (১১ জুলাই) সকালে জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দারা জানায় তাদের এলাকায় পানি নামছে ধীর গতিতে। এজন্য বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ,পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। হালকা বৃষ্টিতেই নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, সেন্ট্রাল রোড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতেও পানি জমে রয়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি কাজ শুরু করেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, পানি নিষ্কাশনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

মন্তব্য

নির্বাচন
Mitfords hellish murder in the fast trial of the government Law Advisor

মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা

মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করা হবে।

উপদেষ্টা শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

তিনি আরো বলেন, এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং ধারা ১০-এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করা হবে।

গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের আঘাতে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা উঠে এসেছে।

মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ চাঁদাবাজি। নিহত লাল চাঁদ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এদিকে, অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

মন্তব্য

নির্বাচন
 Bangladeshi youth killed BSF again at the border

 সীমান্তে আবার বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি যুবক নিহত

 সীমান্তে আবার বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি যুবক নিহত

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আসকর আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আসকর আলী হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান। এ সময় ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আসকর আলী ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার মরদেহ ভারতের প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতের সীমান্তেও অতিরিক্ত বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।

দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে। নিহত যুবকের লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

৪২ বিজিবি জানিয়েছে, "আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মন্তব্য

নির্বাচন
Bangladesh welcomed WHOs move on an indefinite vacation

অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে সায়মা ওয়াজেদ, ডব্লিউএইচও’র পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে সায়মা ওয়াজেদ, ডব্লিউএইচও’র পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, আমরা এটিকে জবাবদিহিতার পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সরকারের এই বক্তব্য তুলে ধরেন।

সায়মা ওয়াজেদকে পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যেখানে সায়মা ওয়াজেদকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে, তার সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে এবং এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বের সততা ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচারের আবির্ভাবে আনন্দিত।

মন্তব্য

p
উপরে