× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
উপসচিবের গাড়িতে ধাক্কায় চিকিৎসকের হেনস্তা
google_news print-icon

উপসচিবের গাড়িতে ধাক্কায় চিকিৎসক ‘হেনস্তা’

উপসচিবের-গাড়িতে-ধাক্কায়-চিকিৎসক-হেনস্তা
রাস্তায় হেনস্তা এবং প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসক রাইয়ান হাসার পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে। আর তাকে আটকে রাখার পুরো দায় পুলিশকে দিচ্ছেন মোহাম্মদ গোলাম কবির। তবে পুলিশের দাবি, গোলাম কবিরের নির্দেশনাতেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ডা. রাইয়ানকে।

মোটরসাইকেলে চিকিৎসক, আর গাড়িতে যাচ্ছিলেন উপসচিব। পথে উপসচিবের সরকারি গাড়িতে ধাক্কা লাগা নিয়ে দুই পক্ষের বাদানুবাদ।

একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসে ট্রাফিক পুলিশ। উপসচিব তার ভিজিটিং কার্ড ট্রাফিকের সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর ওই চিকিৎসককে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও থানায় আটকে থাকতে হয় প্রায় দুই ঘণ্টা। এরপর থানা থেকে জানানো হয়, উপসচিবের কোনো অভিযোগ নেই, চিকিৎসক এবার যেতে পারেন।

রাস্তায় হেনস্তা এবং প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসক রাইয়ান হাসার পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে। আর তাকে আটকে রাখার দায় পুলিশকে দিচ্ছেন মোহাম্মদ গোলাম কবির। তবে পুলিশের দাবি, গোলাম কবিরের নির্দেশনাতেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ডা. রাইয়ানকে।

কী হয়েছিল রাস্তায়

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে চিকিৎসক রাইয়ান হাসার ও উপসচিব মোহাম্মদ গোলাম কবিরের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে গত রোববার বিকেলে। পরদিন বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের এই চিকিৎসক।

এই পোস্টে ডা. রাইয়ান দাবি করেন, রাস্তায় তার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোহাম্মদ গোলাম কবিরের সরকারি গাড়ির কোনো ক্ষতি না হলেও ঘটনাটির জন্য অযথা তাকে (ডা. রাইয়ান) দায়ী করা হয়।

ডা. রাইয়ান লেখেন, ‘অযাচিতভাবে তিনি গতকাল আমাকে হয়রানি করেছেন। আমি হোন্ডার হর্নেট বাইক চালাই। ল্যাবএইডের সামনের রাস্তায় সিগন্যাল দেয়। ওনার গাড়ি হঠাৎ থামার জন্য আমার বাইকের হ্যান্ডেল তার গাড়িতে আস্তে করে লাগে। আমি তাকিয়ে দেখি কিছু হয়নি। পরে সিগন্যাল ছেড়ে দিলে আমি পাশ দিয়ে বের হই।

‘হঠাৎ পেছন থেকে আমাকে ডাকলেন তিনি। আমি পেছনে আসলাম। উনি গাড়িতে একটা ছোট্ট টোপ দেখিয়ে বললেন এটা আমি করেছি। অথচ সিগন্যালে ৫-৬ মিনিট তার গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময় একবারের জন্যও বের হয়ে কথা বলেননি তিনি। আমি মাপ দিয়ে দেখালাম ওনার টোপ খাওয়া জায়গা আমার বাইকের হ্যান্ডেল থেকে ১০-১২ ইঞ্চি নিচে। উনি মানতে নারাজ। পরে আমি খুবই ভালোভাবে বললাম, আচ্ছা এটা ঠিক করতে ৪০০-৫০০ টাকা লাগবে। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নেন। আর আমি দোষ করলে আপনার ডাকে পেছনে আসতাম না। সামনের রাস্তা ফাঁকা আছে। টান দিয়ে চলে যেতাম।’

উপসচিবের গাড়িতে ধাক্কায় চিকিৎসক ‘হেনস্তা’

এরপরেও হয়রানির অভিযোগ তুলে ডা. রাইয়ান লেখেন, ‘পরে তিনি বললেন আমি ম্যাজিস্ট্রেট। এর জন্য আমাকে পানিশমেন্ট পেতে হবে। কী করেন আপনি? আমি বললাম আমি চিকিৎসক। উনি আমার আইডি কার্ড চাইলে আমি দেখালাম। উনি ছবি তুললেন। আমি ওনারটা চাইলে উনি সামনের ট্রাফিক পুলিশের কাছে চলে গেলেন। কী যেন বলে আমার কাছে আসলেন। বললেন স্যরি তো বলতে পারতেন। আমি বললাম এটা আমার জন্য হয়নি। তারপরও আমি স্যরি। আর ওটা ঠিক করতে যা লাগে আমি দিয়ে দিচ্ছি। তারপর উনি কিছু না বলে ট্রাফিকের কাছে নিজের আইডি দিয়ে গাড়িতে করে চলে গেলেন। ট্রাফিক বলল ধানমন্ডি থানা থেকে পুলিশ আসবে। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।

‘প্রায় ঘণ্টার কাছাকাছি সময়ে পুলিশ আসল। আমি তাদের সব বললাম। তারা বলল আপনাকে থানায় যেতে হবে। আমি বললাম কার অভিযোগের জন্য আমি থানায় যাব? তিনি কই? তাকে ডাকুন। পুলিশ বলল, আমাদের কিছু করার নেই। উনি ম্যাজিস্ট্রেট। আমি শেষে ধানমন্ডি থানায় গেলাম। সেখানেও ঘণ্টাখানেক বসে থাকতে হলো। আমি বললাম, এভাবে আমাকে বসায় রেখে হয়রানি কেন করা হচ্ছে? আমি তো চোর, ডাকাত নই। আমার বাইকের সব কাগজপত্র আছে। আমার আইডি কার্ড আছে। আমি ঐ ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। ট্রাফিক পুলিশ বা আপনাদের কারো সাথেও কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। এটা ঠিক হচ্ছে না।’

আরও পড়ুন: মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

এর পরের ঘটনা জানিয়ে ডা. রাইয়ান লেখেন, ‘পুলিশ কার সাথে যেন কথা বলে আমাকে এসে বলল আচ্ছা আমি ঐ ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন দিয়ে বলছি আপনি স্যরি বলেছেন। আমার তখন রাগ হলো। আমার ২ ঘণ্টা নষ্ট করেছেন তিনি। আর এখন বলব স্যরি? দোষ না করেও স্যরি বলেছি। ওনার ক্ষমতা আছে। আমাকে থানা পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এখন তিনি কোন ধারায় কী মামলা করবেন, সেটা জিজ্ঞাসা করুন। আমি কোনো স্যরি বলব না। ওনাকে থানায় ডাকেন। কেন আমাকে থানায় আসতে বাধ্য করল সেই ব্যাখ্যা তাকে দিতে হবে।’

আটকে রাখার পুরোটা সময়ে পুলিশের আচরণ ভালো ছিল জানিয়ে এই চিকিৎসক লেখেন, ‘পুলিশ বলল আপনি ওনার সাথে একবার কথা বলে সব ঠিক করে নেন। আপনারা দুজনই সম্মানিত ব্যক্তি। …তারপর পুলিশ ওনার সাথে কী যেন কথা বলল বের হয়ে। তারপর এসে আমাকে বলল আপনি এখন আসতে পারেন।’

উপসচিব-পুলিশের পাল্টাপাল্টি দায়

ডা. রাইয়ান তার পোস্টে হয়রানির জন্য দায়ী করা সরকারি কর্মকর্তাকে ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে পোস্টে তিনি ওই কর্মকর্তার ভিজিটিং কার্ডের যে ছবি দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, সরকারি গাড়িতে থাকা কর্মকর্তা হলেন প্রধান তথ্য কমিশনারের একান্ত সচিব মোহাম্মদ গোলাম কবির।

উপসচিবের গাড়িতে ধাক্কায় চিকিৎসক ‘হেনস্তা’


নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোহাম্মদ গোলাম কবিরের ভিজিটিং কার্ডটি পুরোনো। তিনি এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গোলাম কবির দাবি করছেন, সেদিন সামান্য তর্কতর্কির পর তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। চিকিৎসককে আটকে রাখার দায়দায়িত্ব পুরোপুরি পুলিশের।

উপসচিব মোহাম্মদ গোলাম কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি (ডা. রাইয়ান) মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। আমার গাড়িতে একটা ধাক্কা দিয়ে স্পট ফেলে দিয়েছেন। জ্যামের কারণে বেশি দূর যেতে পারেননি। তখন আমার ড্রাইভার ও আমি নেমে তাকে বললাম, ভাই আপনি এমন একটা ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছেন একবার সরিও বললেন না!’

গোলাম কবির বলেন, ‘তখন ওই চিকিৎসক বলেন যে, আমি করিনি আগে থাকেই আছে। আমি বললাম, আপনি ধাক্কা দিয়েছেন কি না। তিনি বললেন, হ্যাঁ লাগছে। তাহলে তো একটু সরি বলতে হয়।’

গোলাম কবির জানান, তাদের এই কথার সময় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য নিজে থেকেই এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার গাড়ি তো সরকারি, সেটা স্টিকার লাগানো আছে। ট্রাফিক আমাকে বলল স্যার কী হয়েছে? তখন আমি বললাম আমার গাড়িতে উনি ধাক্কা দিল, আবার তর্কও করছে। ট্রাফিক থেকে আমাকে বলল, স্যার আমি দেখতেছি আপনি যান। আমি বললাম ঠিক আছে দেখেন।

‘তখন ট্রাফিক পুলিশ তার মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাইল। এর মধ্যে ট্রাফিক ছেড়ে দিয়েছে। আমার পেছনে অ্যাম্বুলেন্স থাকায় ট্রাফিক পুলিশ আমাকে বলল, আপনি চলে যান, আর আপনার কোনো কন্টাক্ট নম্বর থাকলে দেন। তখন আমি আমার পুরোনো অফিসের কার্ড দিয়েছিলাম।’

গোলাম কবির বলেন, ‘এরপর ঘণ্টাখানেক পরে ধানমন্ডি থানা থেকে আমাকে আজমাইন নামে একজন উপপরিদর্শক কল দেন। আমার গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে এই জন্য চিকিৎসককে আটকে রেখেছি, আপনি একটা লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব। উনি ডাক্তার। আমি বলেছি, উনি ডাক্তার মানুষ, উনাকে আটকে রেখেছেন। থাক বাদ দেন। আজমাইন আমাকে বলেন যে উনি সরি বলেছেন। তাই আমি বলেছি যে, ওনাকে ছেড়ে দেন।’

বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তার দাবি, উপসচিবের নির্দেশেই ডা. রাইয়ানকে আটকে রাখা হয়েছিল।

রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি উপসচিবের কথামতো তাকে আটকে রেখেছি। আমি স্যারকে বলেছিলাম যে, স্যার উনাকে (চিকিৎসক) ধমক দিয়ে ছেড়ে দিব না ব্যবস্থা নিব। তখন স্যার বললেন থানায় পাঠাতে।’

ডা. রাইয়ানকে কতক্ষণ পুলিশ বক্সে আটকে রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, দশ-পনেরো মিনিট।

তবে এএসআই রফিকুল ইসলামের দাবি মানছেন না উপসচিব গোলাম কবির। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এমন কিছুই বলিনি। এটা বলার প্রশ্নই আসে না। আমি আমার কার্ড রেখে চলে এসেছি। এরপর আমাকে থানা থেকে ফোন করা হয়।’

পুলিশকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমি যদি এমন বলেই থাকি ধরে নিলাম, তাহলেও আমার কথামতো কেন আটকে রাখা হবে। আমাকে তো অভিযোগ দিতে বলা হবে।’

অন্যদিকে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মো. আজমাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কাউকে আটকে রাখিনি। ওই দিন একটা ঘটনা ঘটলেও সেটা ওখানে মিউচুয়াল হয়ে গেছে। আমি ঘটনা শুনে সচিব স্যারকে ফোন দিলাম। উনি আমাকে বলে দিলেন, একটা ইয়ে হয়েছে আপনি ওনাকে ছেড়ে দেন।’

ডা. রাইয়ানকে কতক্ষণ থানায় রাখা হয়েছিল, জানতে চাইলে আজমাইন বলেন, ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দিয়েছি। আমি তো উনাকে আটক করিনি। উনাকে জাস্ট উনার কাগজগুলো ঠিক আছে কিনা তা জানতে চেয়েছি।’

এসআই আজমাইন বলেন, ‘আমি উপসচিব স্যারকে ফোন দিলে স্যার ছেড়ে দিতে বলেন। তারপরও ডাক্তার সাহেব হঠাৎ করে কেন এটা করল আমি বুঝতে পারছি না। আমি ওসি স্যারের সঙ্গেও কথা বলেছি। সব পজিটিভ ছিল। উনি হয়তো পুলিশ বক্সে অনেকক্ষণ বসে ছিলেন। আমার কাছে দশ থেকে পনেরো মিনিট ছিলেন। এর বেশি আমার কাছে ছিল না। যত দ্রুত পেরেছি মিউচুয়াল করার চেষ্টা করেছি।’

এদিকে ফেসবুকে নামসহ স্ট্যাটাস দেয়াতে ডা. রাইয়ানের বিষয়ে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন গোলাম কবির।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সাইবার ক্রাইমে এটি জানিয়েছি। তবে আমি কোনো ঝামেলা করতে চাই না। এটি খুবই সামান্য ব্যাপার। উনি (চিকিৎসক) যদি ওনার বক্তব্য প্রত্যাহার করেন, তবে আমিও কিছু করব না।’

এ বিষয়ে চিকিৎসক রাইয়ান হাসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা আমি ফেসবুকে বলেছি। আমি কোনো অপরাধ করিনি। উনি (উপসচিব) যদি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেন, তবে সেটি তার ব্যাপার। আমার সঙ্গে যা হয়েছে সেটি আমি আমার সামাজিক মাধ্যমে বলতেই পারি।’

কতক্ষণ আটকে থাকতে হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে রাস্তায় মানে পুলিশ বক্সে প্রায় এক ঘণ্টা ও থানায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আপনি চাইলে থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

রাজধানী
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

রাজধানী
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

রাজধানী
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে