মোটরসাইকেলে চিকিৎসক, আর গাড়িতে যাচ্ছিলেন উপসচিব। পথে উপসচিবের সরকারি গাড়িতে ধাক্কা লাগা নিয়ে দুই পক্ষের বাদানুবাদ।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসে ট্রাফিক পুলিশ। উপসচিব তার ভিজিটিং কার্ড ট্রাফিকের সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর ওই চিকিৎসককে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও থানায় আটকে থাকতে হয় প্রায় দুই ঘণ্টা। এরপর থানা থেকে জানানো হয়, উপসচিবের কোনো অভিযোগ নেই, চিকিৎসক এবার যেতে পারেন।
রাস্তায় হেনস্তা এবং প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসক রাইয়ান হাসার পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে। আর তাকে আটকে রাখার দায় পুলিশকে দিচ্ছেন মোহাম্মদ গোলাম কবির। তবে পুলিশের দাবি, গোলাম কবিরের নির্দেশনাতেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ডা. রাইয়ানকে।
কী হয়েছিল রাস্তায়
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে চিকিৎসক রাইয়ান হাসার ও উপসচিব মোহাম্মদ গোলাম কবিরের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে গত রোববার বিকেলে। পরদিন বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের এই চিকিৎসক।
এই পোস্টে ডা. রাইয়ান দাবি করেন, রাস্তায় তার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোহাম্মদ গোলাম কবিরের সরকারি গাড়ির কোনো ক্ষতি না হলেও ঘটনাটির জন্য অযথা তাকে (ডা. রাইয়ান) দায়ী করা হয়।
ডা. রাইয়ান লেখেন, ‘অযাচিতভাবে তিনি গতকাল আমাকে হয়রানি করেছেন। আমি হোন্ডার হর্নেট বাইক চালাই। ল্যাবএইডের সামনের রাস্তায় সিগন্যাল দেয়। ওনার গাড়ি হঠাৎ থামার জন্য আমার বাইকের হ্যান্ডেল তার গাড়িতে আস্তে করে লাগে। আমি তাকিয়ে দেখি কিছু হয়নি। পরে সিগন্যাল ছেড়ে দিলে আমি পাশ দিয়ে বের হই।
‘হঠাৎ পেছন থেকে আমাকে ডাকলেন তিনি। আমি পেছনে আসলাম। উনি গাড়িতে একটা ছোট্ট টোপ দেখিয়ে বললেন এটা আমি করেছি। অথচ সিগন্যালে ৫-৬ মিনিট তার গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময় একবারের জন্যও বের হয়ে কথা বলেননি তিনি। আমি মাপ দিয়ে দেখালাম ওনার টোপ খাওয়া জায়গা আমার বাইকের হ্যান্ডেল থেকে ১০-১২ ইঞ্চি নিচে। উনি মানতে নারাজ। পরে আমি খুবই ভালোভাবে বললাম, আচ্ছা এটা ঠিক করতে ৪০০-৫০০ টাকা লাগবে। আমি দিয়ে দিচ্ছি। নেন। আর আমি দোষ করলে আপনার ডাকে পেছনে আসতাম না। সামনের রাস্তা ফাঁকা আছে। টান দিয়ে চলে যেতাম।’
এরপরেও হয়রানির অভিযোগ তুলে ডা. রাইয়ান লেখেন, ‘পরে তিনি বললেন আমি ম্যাজিস্ট্রেট। এর জন্য আমাকে পানিশমেন্ট পেতে হবে। কী করেন আপনি? আমি বললাম আমি চিকিৎসক। উনি আমার আইডি কার্ড চাইলে আমি দেখালাম। উনি ছবি তুললেন। আমি ওনারটা চাইলে উনি সামনের ট্রাফিক পুলিশের কাছে চলে গেলেন। কী যেন বলে আমার কাছে আসলেন। বললেন স্যরি তো বলতে পারতেন। আমি বললাম এটা আমার জন্য হয়নি। তারপরও আমি স্যরি। আর ওটা ঠিক করতে যা লাগে আমি দিয়ে দিচ্ছি। তারপর উনি কিছু না বলে ট্রাফিকের কাছে নিজের আইডি দিয়ে গাড়িতে করে চলে গেলেন। ট্রাফিক বলল ধানমন্ডি থানা থেকে পুলিশ আসবে। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
‘প্রায় ঘণ্টার কাছাকাছি সময়ে পুলিশ আসল। আমি তাদের সব বললাম। তারা বলল আপনাকে থানায় যেতে হবে। আমি বললাম কার অভিযোগের জন্য আমি থানায় যাব? তিনি কই? তাকে ডাকুন। পুলিশ বলল, আমাদের কিছু করার নেই। উনি ম্যাজিস্ট্রেট। আমি শেষে ধানমন্ডি থানায় গেলাম। সেখানেও ঘণ্টাখানেক বসে থাকতে হলো। আমি বললাম, এভাবে আমাকে বসায় রেখে হয়রানি কেন করা হচ্ছে? আমি তো চোর, ডাকাত নই। আমার বাইকের সব কাগজপত্র আছে। আমার আইডি কার্ড আছে। আমি ঐ ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। ট্রাফিক পুলিশ বা আপনাদের কারো সাথেও কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। এটা ঠিক হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ
এর পরের ঘটনা জানিয়ে ডা. রাইয়ান লেখেন, ‘পুলিশ কার সাথে যেন কথা বলে আমাকে এসে বলল আচ্ছা আমি ঐ ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন দিয়ে বলছি আপনি স্যরি বলেছেন। আমার তখন রাগ হলো। আমার ২ ঘণ্টা নষ্ট করেছেন তিনি। আর এখন বলব স্যরি? দোষ না করেও স্যরি বলেছি। ওনার ক্ষমতা আছে। আমাকে থানা পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এখন তিনি কোন ধারায় কী মামলা করবেন, সেটা জিজ্ঞাসা করুন। আমি কোনো স্যরি বলব না। ওনাকে থানায় ডাকেন। কেন আমাকে থানায় আসতে বাধ্য করল সেই ব্যাখ্যা তাকে দিতে হবে।’
আটকে রাখার পুরোটা সময়ে পুলিশের আচরণ ভালো ছিল জানিয়ে এই চিকিৎসক লেখেন, ‘পুলিশ বলল আপনি ওনার সাথে একবার কথা বলে সব ঠিক করে নেন। আপনারা দুজনই সম্মানিত ব্যক্তি। …তারপর পুলিশ ওনার সাথে কী যেন কথা বলল বের হয়ে। তারপর এসে আমাকে বলল আপনি এখন আসতে পারেন।’
উপসচিব-পুলিশের পাল্টাপাল্টি দায়
ডা. রাইয়ান তার পোস্টে হয়রানির জন্য দায়ী করা সরকারি কর্মকর্তাকে ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে পোস্টে তিনি ওই কর্মকর্তার ভিজিটিং কার্ডের যে ছবি দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, সরকারি গাড়িতে থাকা কর্মকর্তা হলেন প্রধান তথ্য কমিশনারের একান্ত সচিব মোহাম্মদ গোলাম কবির।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোহাম্মদ গোলাম কবিরের ভিজিটিং কার্ডটি পুরোনো। তিনি এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গোলাম কবির দাবি করছেন, সেদিন সামান্য তর্কতর্কির পর তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। চিকিৎসককে আটকে রাখার দায়দায়িত্ব পুরোপুরি পুলিশের।
উপসচিব মোহাম্মদ গোলাম কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি (ডা. রাইয়ান) মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। আমার গাড়িতে একটা ধাক্কা দিয়ে স্পট ফেলে দিয়েছেন। জ্যামের কারণে বেশি দূর যেতে পারেননি। তখন আমার ড্রাইভার ও আমি নেমে তাকে বললাম, ভাই আপনি এমন একটা ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছেন একবার সরিও বললেন না!’
গোলাম কবির বলেন, ‘তখন ওই চিকিৎসক বলেন যে, আমি করিনি আগে থাকেই আছে। আমি বললাম, আপনি ধাক্কা দিয়েছেন কি না। তিনি বললেন, হ্যাঁ লাগছে। তাহলে তো একটু সরি বলতে হয়।’
গোলাম কবির জানান, তাদের এই কথার সময় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য নিজে থেকেই এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার গাড়ি তো সরকারি, সেটা স্টিকার লাগানো আছে। ট্রাফিক আমাকে বলল স্যার কী হয়েছে? তখন আমি বললাম আমার গাড়িতে উনি ধাক্কা দিল, আবার তর্কও করছে। ট্রাফিক থেকে আমাকে বলল, স্যার আমি দেখতেছি আপনি যান। আমি বললাম ঠিক আছে দেখেন।
‘তখন ট্রাফিক পুলিশ তার মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাইল। এর মধ্যে ট্রাফিক ছেড়ে দিয়েছে। আমার পেছনে অ্যাম্বুলেন্স থাকায় ট্রাফিক পুলিশ আমাকে বলল, আপনি চলে যান, আর আপনার কোনো কন্টাক্ট নম্বর থাকলে দেন। তখন আমি আমার পুরোনো অফিসের কার্ড দিয়েছিলাম।’
গোলাম কবির বলেন, ‘এরপর ঘণ্টাখানেক পরে ধানমন্ডি থানা থেকে আমাকে আজমাইন নামে একজন উপপরিদর্শক কল দেন। আমার গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে এই জন্য চিকিৎসককে আটকে রেখেছি, আপনি একটা লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব। উনি ডাক্তার। আমি বলেছি, উনি ডাক্তার মানুষ, উনাকে আটকে রেখেছেন। থাক বাদ দেন। আজমাইন আমাকে বলেন যে উনি সরি বলেছেন। তাই আমি বলেছি যে, ওনাকে ছেড়ে দেন।’
বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তার দাবি, উপসচিবের নির্দেশেই ডা. রাইয়ানকে আটকে রাখা হয়েছিল।
রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি উপসচিবের কথামতো তাকে আটকে রেখেছি। আমি স্যারকে বলেছিলাম যে, স্যার উনাকে (চিকিৎসক) ধমক দিয়ে ছেড়ে দিব না ব্যবস্থা নিব। তখন স্যার বললেন থানায় পাঠাতে।’
ডা. রাইয়ানকে কতক্ষণ পুলিশ বক্সে আটকে রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, দশ-পনেরো মিনিট।
তবে এএসআই রফিকুল ইসলামের দাবি মানছেন না উপসচিব গোলাম কবির। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এমন কিছুই বলিনি। এটা বলার প্রশ্নই আসে না। আমি আমার কার্ড রেখে চলে এসেছি। এরপর আমাকে থানা থেকে ফোন করা হয়।’
পুলিশকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমি যদি এমন বলেই থাকি ধরে নিলাম, তাহলেও আমার কথামতো কেন আটকে রাখা হবে। আমাকে তো অভিযোগ দিতে বলা হবে।’
অন্যদিকে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মো. আজমাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কাউকে আটকে রাখিনি। ওই দিন একটা ঘটনা ঘটলেও সেটা ওখানে মিউচুয়াল হয়ে গেছে। আমি ঘটনা শুনে সচিব স্যারকে ফোন দিলাম। উনি আমাকে বলে দিলেন, একটা ইয়ে হয়েছে আপনি ওনাকে ছেড়ে দেন।’
ডা. রাইয়ানকে কতক্ষণ থানায় রাখা হয়েছিল, জানতে চাইলে আজমাইন বলেন, ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দিয়েছি। আমি তো উনাকে আটক করিনি। উনাকে জাস্ট উনার কাগজগুলো ঠিক আছে কিনা তা জানতে চেয়েছি।’
এসআই আজমাইন বলেন, ‘আমি উপসচিব স্যারকে ফোন দিলে স্যার ছেড়ে দিতে বলেন। তারপরও ডাক্তার সাহেব হঠাৎ করে কেন এটা করল আমি বুঝতে পারছি না। আমি ওসি স্যারের সঙ্গেও কথা বলেছি। সব পজিটিভ ছিল। উনি হয়তো পুলিশ বক্সে অনেকক্ষণ বসে ছিলেন। আমার কাছে দশ থেকে পনেরো মিনিট ছিলেন। এর বেশি আমার কাছে ছিল না। যত দ্রুত পেরেছি মিউচুয়াল করার চেষ্টা করেছি।’
এদিকে ফেসবুকে নামসহ স্ট্যাটাস দেয়াতে ডা. রাইয়ানের বিষয়ে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন গোলাম কবির।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সাইবার ক্রাইমে এটি জানিয়েছি। তবে আমি কোনো ঝামেলা করতে চাই না। এটি খুবই সামান্য ব্যাপার। উনি (চিকিৎসক) যদি ওনার বক্তব্য প্রত্যাহার করেন, তবে আমিও কিছু করব না।’
এ বিষয়ে চিকিৎসক রাইয়ান হাসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা আমি ফেসবুকে বলেছি। আমি কোনো অপরাধ করিনি। উনি (উপসচিব) যদি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেন, তবে সেটি তার ব্যাপার। আমার সঙ্গে যা হয়েছে সেটি আমি আমার সামাজিক মাধ্যমে বলতেই পারি।’
কতক্ষণ আটকে থাকতে হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে রাস্তায় মানে পুলিশ বক্সে প্রায় এক ঘণ্টা ও থানায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আপনি চাইলে থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন।’
রাজধানীর মুগদায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
মুগদার বড়বাজারের সামনে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো মাহিন আহমেদ (১৩) মতিঝিল সরকারি আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে পরিবারের সঙ্গে উত্তর মুগদার মদিনাবাগে একটি বাসায় থাকত।
মাহিনের খলাত ভাই হিমেল জানান, মাহিনের বাবা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মাহিন দ্বিতীয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল মাহিন, ওই সময় ময়লার গাড়িটি তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মাহিনের মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ করে চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পটি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মেট্রোরেলের এমআরাটি-৫ ও এমআরটি-৬-এর চলমান প্রকল্পটি হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ অথবা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান তারা।
কর্মসূচিতে সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজামান খান।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দুহাত ভরে তার বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একই সঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি (বিজ্ঞাপন), ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়।
সেগুলো হলো যথাক্রমে- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।
এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
মন্তব্য