× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
মুখোমুখি চিকিৎসক পুলিশ
google_news print-icon

মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

মুখোমুখি-চিকিৎসক-পুলিশ
লকডাউনে দায়িত্ব পালন নিয়ে টানাপোড়েন চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের। পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে চিকিৎসক ও পুলিশের দুই শীর্ষ সংগঠন। দুই পক্ষই দায়ীদের শাস্তি চেয়েছে।

চলমান লকডাউনে দায়িত্ব পালন নিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। দুই পেশাজীবীদের প্রধান সংগঠনগুলো পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে। চিকিৎসকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাদের হয়রানি করা হলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের আচরণে পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।

এবার লকডাউনে চলাচল নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। এর অংশ হিসেবে পুলিশের কাছ থেকে মুভমেন্ট পাস (চলাচলের জন্য ছাড়পত্র) নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর এই ছাড়পত্র নিয়েই পুলিশ ও চিকিৎসকদের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ‘হয়রানি’ ও ‘নিগ্রহের’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠতে থাকে ১২ মার্চ ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের শুরুর দিন থেকে।

মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

এর মধ্যে রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে একজন চিকিৎসকের পরিচয়পত্র প্রদর্শন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হলে এ বিরোধ তুঙ্গে ওঠে।

ওই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনিকে ‘হেনস্তা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেছেন চিকিৎসকদের প্রধান পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। চিকিৎসকদের আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে।

ওই ঘটনায় ডা. জেনির কাছে যে কর্মকর্তারা পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছিলেন, তারা হলেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এ কাইয়ুম এবং ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অপরদিকে ওই ঘটনায় ডা. জেনিকেই দায়ী করে তার শাস্তি দাবী করেছে পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে ডা. জেনির সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা একপর্যায়ে উত্তপ্ত বিতণ্ডায় রূপ নেয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। ডা. জেনি যখন এসব কথা পুলিশকে বলছিলেন, তখন তাকে ‘ভুয়া ডাক্তার’ বলা হয়েছে বলে তিনি নিউজবাংলার কাছে অভিযোগ করেছেন। এমনকি একপর্যায়ে অবৈধ যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অন্যদিকে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ডা. জেনি পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘তুই-তোকারি’ করেছেন, ‘দেখে নেয়ার’ ‍হুমকি দিয়েছেন।

ডা. জেনি একজন রেডিওলজিস্ট। এই সূত্রে রেডিওলজিস্টদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ এক বিবৃতিতে ওসি কাইয়ুমের শাস্তি দাবি করেছে। তারা বলেছে, ‘পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা পাপিয়ার সঙ্গে পুলিশ ডা. জেনির তুলনা করেছে, যা একজন নারী চিকিৎসকের জন্য চরম অবমাননাকর।’

ওই ঘটনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত ও হতাশ হয়ে পড়ছেন বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চাওয়ার পাশাপাশি ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছে সংগঠনটি।

মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

ডা. জেনিকে ‘হেনস্তার’ প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখাও।

বিএমএ মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের হয়রানি বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এভাবে চিকিৎসক হয়রানি চলতে থাকলে আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারব না, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এটা দুঃখজনক।’

পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পালন করা কঠিন উল্লেখ করে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘অধিদপ্তরের জানা উচিত দেশের ৮০ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে কোনো ডাক্তারি পরিচয়পত্র নেই।’

জেনিকে হেনস্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বললেন চিকিৎসকরা

ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ, এফডিএসআরের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, লকডাউনে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে বা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় চিকিৎসকদের সুপরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এটার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র রয়েছে।

সোমবার লকডাউন চলমান অবস্থায় চিকিৎসক হয়রানির প্রতিবাদে ওই সংগঠনের উদ্যোগে একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এই অভিযোগ করেন।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো একটি মহল করোনাকালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করতে এবং সরকার ও পুলিশের কাছে চিকিৎসকদের প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আইনশৃঙ্খালা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে এটির তদন্ত দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় বলা আছে, চিকিৎকরা মুভমেন্ট পাসের আওতামুক্ত থাকবেন। তারপরও কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজটি করেছেন। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করব, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা এ রকম হয়রানি করছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

পুলিশ কী বলছে

চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখানো নিয়ে এ ‍তুলকালামে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এক পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনিকেই দায়ী করেছে।

সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের প্রতি জনৈক চিকিত্সক কর্তৃক এহেন অপেশাদার ও অরুচিকর আচরণে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।…একজন গর্বিত পেশার সদস্য হয়ে অন্য একজন পেশাদার বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কটাক্ষ বা অসৌজন্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়।’

মহামারিকালে ঘরের বাইরে এলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক জানিয়ে বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং কর্তব্যরত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জোর দাবি জানাচ্ছে।’

ওই ভিডিওচিত্র ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকায় জেনির গাড়ি আটকে তার পরিচয়পত্র দেখতে চান নিউমার্কেট থানার ওসি এস এ কাইয়ুম।

ওই গাড়িতে ডা. জেনির কর্মস্থল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের স্টিকার সাঁটানো ছিল, তার গায়েও চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন ছিল। তারপরও কেন পরিচয়পত্র দেখাতে হবে– এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে জেনি তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ও বলেন। ওসি কাইয়ুমও জানান, তিনিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে।

এই উত্তপ্ত তর্কের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। আধা ঘণ্টা পর তিনি ঘটনাটির মীমাংসা করতে সক্ষম হন।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি (ডা. জেনি) নিজ পেশার পরিচয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক পরিচয় তুলে ধরে পুলিশ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং জাতির সামনে পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছেন।’

১৪ এপ্রিল থেকে চলা লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা বাইরে যেতে চান, তাদের মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের জন্য এই পাস নেয়ার দরকার নেই। তাদের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখালেই হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে বলেছে, ‘ডা. জেনিকে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, যা একজন পেশাদার ও সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘গত ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাপ্তরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) অবশ্যিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তিনি তা অমান্য করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার পরিচয় প্রদান না করে নিজ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উক্ত চিকিৎসক বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বাদানুবাদকালে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তা অত্যন্ত অরুচিকর ও লজ্জাজনক। এক পেশার সদস্য হয়ে আরেক পেশার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি কী ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের “তুই” বলে সম্বোধন করেছেন এবং “আর আমি কী, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা” বলে হুমকি দিয়েছেন।’

‘বৈশ্বিক মহামারির এই দুঃসময়ে পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সর্বজন স্বীকৃত’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৯১ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, ২০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবনরক্ষায় পুলিশ সদস্যরা তীব্র দাবদাহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই ঘটনার ভিডিও আছে, ভিডিও থেকে আপনারাই এর মূল্যায়ন করবেন। আমাদের কথা হলো, কোনো পেশাকেই খাটো করে না দেখে সবার পেশাকেই সবার সম্মান করা দরকার। অতিমারির সময় আমরা যেন সবাই ধৈর্যশীল হই এবং সঠিক আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হই। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।’

দুই পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি এই দুই পেশাজীবীদের মধ্যে বিরোধের বহিঃপ্রকাশ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলেছি, আমরা প্রতিটি পেশাকেই সম্মান করি। সবাই মিলে যেন আরও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সবকিছু মোকাবিলা করি।’

আরও যা যা ঘটেছে

লকডাউনের শুরু থেকেই দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথম দিন এক চিকিৎসক পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাকে জরিমানা করা হয়। আরেকজনকে একটি চেকপোস্টে ‘কসাই’ ডাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া কয়েকজন চিকিৎসককে কর্মস্থলে নামিয়ে দিয়ে আসা গাড়িকে আটকে জরিমানা করা হয়েছে। এক চিকিৎসক পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তাকে কারাগারে পাঠানোর ‍হুমকি দেয়া হয়েছে।

পরিচয়পত্র দেখানোর পরও মুভমেন্ট পাস না থাকায় জরিমানা করা হয় স্কয়ার হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কর্মরত নাজমুল ইসলাম হৃদয়কে। বিষয়টি জানিয়ে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। এরপর বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তার সেই টাকা ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।

একইভাবে হেনস্তার শিকার হন চিকিৎসক দম্পতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কামরুন নাহার মুক্তা ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার এনামুল কবির খান।

ডা. মুক্তা নিউজবাংলাকে জানান, তার বাসা এলিফ্যান্ট রোডেই। সকালে তাকে হাসপাতালে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চালক ফিরছিলেন। তিনি তাকে তার আইডি কার্ড দিয়ে পুলিশকে দেখাতে বলেন।

পুলিশ আটকালে চালক জানান, চিকিৎসককে হাসপাতালে দিয়ে এসেছেন। প্রমাণস্বরূপ তিনি চিকিৎসকের আইডি কার্ড দেখান। পুলিশ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করলে চালক কথা বলার জন্য ফোনে ওই চিকিৎসককে ধরিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

এনামুল কবির খান আরও কিছু ঘটনা জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান হাবিব রাজু ডিউটি সেরে সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে পুলিশ তাকে নামিয়ে সিএনজি রেখে বাসায় যেতে বলে।’

ডা. মুক্তা ও এনামুল কবির খানের মতো হয়রানির শিকার হয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুজরাত আরফিনও।

এই চিকিৎসককেও ঢাকা মেডিক্যালে নামিয়ে বাসায় ফিরছিলেন গাড়িচালক। শাহবাগ মোড়ে গাড়ি থামিয়ে জরিমানা করা হয়। চিকিৎসকের গাড়ি শোনার পরেও ভ্রুক্ষেপ ছিল না পুলিশের।

আরও পড়ুন:
ডা. জেনির পাশে তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
The bus was killed in a bus to overtake

ভাঙ্গায় ওভারটেক করতে গিয়ে বাস খাদে, নিহত ১

ভাঙ্গায় ওভারটেক করতে গিয়ে বাস খাদে, নিহত ১

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদী এলাকায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরো লাইন পরিবহনের বাসটি খাদে পড়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহার বেগম (৪১) বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় ইউরো লাইন পরিবহনের বাসটি। এ সময় বাসটি উল্টে খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ সময় সড়কের দুই দিকে বিপুল পরিমাণ গাড়ি আটকা পড়ে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রোকিবুজ্জামান জানান, একে অপরকে ওভারটেক করতে গেলে শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় ইউরো লাইন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাই। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।

একইসাথে শ্যামলী পরিবহন বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Give a hundred
গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল

'শতফুল ফুটতে দাও'

'শতফুল ফুটতে দাও'

গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন 'শতফুল ফুটতে দাও'।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের এক মিশ্র সভাতে ইউনিয়নবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। সভাতে মাদ্রাসার শিক্ষক, মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, রাজনীতিক ব্যাক্তিত্ব সহ অনেক শ্রেণিপেশার মানুষ ছিলেন।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেন নি। আমরা যে লড়াইটা করেছি, সংগ্রামটা করেছি, ছেলেরা যে কারনে প্রাণ দিয়েছে এটা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা আপনারা সকলে বুঝেন। আপনারা যা বলবেন সেটাই৷ অর্থাৎ আপনারা ভোট দিবেন আপনার পছন্দের প্রার্থীকে। সে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন। পার্লামেন্টে গিয়ে জনগণের কথা বলবে, আপনাদের কথা বলবে। এটাকে আমরা বলি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

তিনি আরও বলেন, এবারে এ ব্যবস্থাটার একটু পরিবর্তন হচ্ছে। এবারে দুইটা পার্লামেন্ট থাকবে। একটা নিম্নকক্ষ আরেকটাকে বলে উচ্চকক্ষ। নিম্নকক্ষে আমরা যারা যাবো তারা নির্বাচিত হয়ে যাবো। আর উচ্চকক্ষে যে দলগুলো পার্লামেন্টে যাবে তাদের যে প্রতিনিধির সংখ্যা থাকে সে অনুযায়ী তারা উচ্চকক্ষে যাবে৷ এরপরেও বিভিন্ন সেক্টরের কিছু মানুষ যাবে। যেমন হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। আলেম সসাজের কিছু মানুষ। আমাদের বিদ্যান, পন্ডিত মানুষ যারা আছেন তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে। তারাও সেখানে থাকবে। এভাবে এমন একটা পার্লামেন্ট হবে যে পার্লামেন্ট সত্যিকার অর্থে জনগণের কথা বলবে। এটা একটা দলের কর্তৃত্ব থাকবেনা। এটা নিয়ম মাফিক, যেটা আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলি। ফলে যেটা পনেরো বছর দু:শাসন হয়েছে, ফ্যাসিজম হয়েছে সে জিনিসটা থেকে থেকে আমরা হবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ আগস্টে যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান দেশ নতুন করে সাজানোর সুযোগ হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশটা সাজাতে চাই। অনেক মত থাকবে, অনেক মত একমত হবেনা। মতগুলোকে পার্লামেন্টে আনতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে মানুষ একটা সিদ্ধান্ত পাবে। দেশটা সেভাবে চলবে।

তিনি বলেন, আমরা এ কথাটা বারবার বলছি যে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ থাকবে। এখানে যারা হিন্দু আছেন তারা হিন্দু ধর্ম পালন করবে, তাদের মন্দির সুরক্ষিত থাকতে হবে। যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে তাদের মসজিত সুরক্ষিত থাকতে হবে। মানুষের কথা বলার সুযোগ সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই মিলে থাকাটাই আমাদের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, একটা কথা আছেনা। 'শত ফুল ফুটতে দাও'। শতফুল ফুটলে একটা বগানে সে ফুলের সৌরভ সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে৷ আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাইনা। আমরা হিন্দুমুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টানের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইনা। আমরা হিংসার রাজনীকে পশ্রয় দিতে চাইনা। আমরা চাই একটা শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমাদের নেতা শহিদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। তিনি নয়মাস দেশটার জন্য যুদ্ধ করেছেন। আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের সবার চাওয়া ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতার যে অস্তিত্ব সেটা ভুলে যাওয়ার কোন কারন নাই। আমরা স্বাধীনতা ভুলে যেতে পারিনা। ঠিক একইভাবে চব্বিশের ৫ আগস্ট আমরা ভুরবোনা। কারন এই দিন আমাদের ছেলেরা রক্ত দিয়েছে। আমাদের উপর যে একটা দানব এসে বসেছিলো সেটা সরিয়ে দিয়েছে। এটাকেউ আমরা ভুলতে পারবোনা। এই যে এক সাথে সবকিছুকে নিয়ে চলা এটাই হবে নতুন বাংলাদেশ।

এরপরে পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার শুকানপুকুরি ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা করে মির্জা ফখরুল। সেখানে নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শিষের জন্য ভোট চান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি শরীফুল ইসলাম শরীফ সহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

মন্তব্য

জাতীয়
Labor leader threatened to kill a journalist of the Daily Bangla

দৈনিক বাংলার সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা

দৈনিক বাংলার সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা অভিযুক্ত পৌর শ্রমিকলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সবুজ

দৈনিক বাংলার চরফ্যাশন প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলামকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন চরফ্যাশন পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সবুজ। এঘটনায় সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এর বসতবাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক চরফ্যাশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'শ্রমিকলীগ নেতা সবুজের স্ত্রী একটি সরকারী প্রাইমারী স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। ২০২৫ সনের ২০ জানুয়ারী তার স্ত্রী শ্রেণী কক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাসে তার শিশু কন্যাকে টেবিলে বসিয়ে বাকবাকুম পায়রা কবিতা পাড়িয়ে ভিডিও চিত্র ধারন করেন। ওই ভিডিও তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোষ্ট করে ক্যাপশন লিখেন “ম্যাডাম যখন দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাসে বাকবাকুম পায়রা কবিতা শেখায়” এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এঘটনা নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। আমি তার প্রতিবেশী হওয়ায় তার স্ত্রীকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে আমার ইন্দন রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সে আমার সাথে বিরোধ শুরু করেন। এনিয়ে শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হন। আমাকে একাধিকবার মামলায় হয়রানীর হুমকি দেন। ফের মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকলীগ নেতা আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে মসজিদের সমানে দেখা হয়। তার স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে তর্ক হয়। ওই তর্কের জেরে এলাকার মানুষের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপে মুখে তিনি ওই স্থান থেকে পালিয়ে যান।'

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ওই শ্রমিকলীগ নেতা আমাকে ইতিপূর্বেও একধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু ফের আমাকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এঘটনায় আমি আইনি সহায়তা চেয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।

অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ হুমকির বিষয় অস্বীকার করে জানান, তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। তাকে হুমকি কেন দিবো।

চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, হুমকির ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Best Thana Barayagram of Natore district is the best SI Rakibul Islam

নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়াইগ্রাম, শ্রেষ্ঠ এসআই রাকিবুল ইসলাম

নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়াইগ্রাম, শ্রেষ্ঠ এসআই রাকিবুল ইসলাম

নাটোর জেলার সেপ্টেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বড়াইগ্রাম থানা। একই সঙ্গে জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রাকিবুল ইসলাম। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতারে বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন।

বড়াইগ্রাম থানার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ থানার পুরস্কার গ্রহণ করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম সারোয়ার। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) নাটোর জেলা পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ তারিকুল ইসলাম পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মামলার নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক মামলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, নাটোর জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। তিনি চাঁদাবাজি রোধ, রাত্রিকালীন টহল জোরদার এবং চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশনা দেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইফতে খায়ের আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন চন্দ্র হোড়, জেলার সব থানার অফিসার ইনচার্জ, সিআইডি প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ থানা বড়াইগ্রাম এবং শ্রেষ্ঠ এসআই রাকিবুল ইসলামের সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম সারোয়ার বলেন, এই অর্জন বড়াইগ্রাম থানার পুরো টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। মাদক নির্মূল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো সাফল্য সম্ভব নয়, তাই জনসাধারণের সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

মন্তব্য

জাতীয়
Jamaats human chain in Sherpur demanding five points including election in PR system 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রথম গেইটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাও: হাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল, সাবেক নায়েবে আমির মাও: আব্দুল বাতেনসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তারা জামায়াত ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য

জাতীয়
University student killed in a truck in Meherpur

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায়  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায়  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে অমি খাতুন (২২) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার সময় সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অমি খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার রামদাসপুর ভিটিরমাঠ গ্রামের স্কুল শিক্ষক রাহিনুলের স্ত্রী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দীন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অমি খাতুন ও তার স্বামী রাহিনুল ইসলাম মেহেরপুর শশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে রামদাসপুর গ্রামে ফিরছিলেন। তারা ফতেপুর নামক স্থানে পৌছালে দ্রত গতির একটি ট্রাক পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমি খাতুনের।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দীন জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্ডর করা হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Report of 5 people including Salman Anisul January 5

সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারি জমার নির্দেশ

সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারি জমার নির্দেশ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার পর এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এদিন সকালে কেরাণীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদের এজলাসে তোলা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন– সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক এমপি শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

এর আগে গত ২০ জুলাই এ মামলায় তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় আবেদন করেন তিনি। পরে আবেদন মঞ্জুর করে আজকের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় সময় চাইলে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন চেম্বার আদালত।

এদিকে, আজ সকাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক অবস্থায় ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ১৯ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ওইদিন এ ঘটনা তদন্তে আরও তিন মাস সময় চান প্রসিকিউশন। পরে ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিও ১২ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৯ আসামিকে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

p
উপরে