× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
মুখোমুখি চিকিৎসক পুলিশ
google_news print-icon

মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

মুখোমুখি-চিকিৎসক-পুলিশ
লকডাউনে দায়িত্ব পালন নিয়ে টানাপোড়েন চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের। পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে চিকিৎসক ও পুলিশের দুই শীর্ষ সংগঠন। দুই পক্ষই দায়ীদের শাস্তি চেয়েছে।

চলমান লকডাউনে দায়িত্ব পালন নিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। দুই পেশাজীবীদের প্রধান সংগঠনগুলো পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে। চিকিৎসকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাদের হয়রানি করা হলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের আচরণে পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।

এবার লকডাউনে চলাচল নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। এর অংশ হিসেবে পুলিশের কাছ থেকে মুভমেন্ট পাস (চলাচলের জন্য ছাড়পত্র) নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর এই ছাড়পত্র নিয়েই পুলিশ ও চিকিৎসকদের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ‘হয়রানি’ ও ‘নিগ্রহের’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠতে থাকে ১২ মার্চ ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের শুরুর দিন থেকে।

মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

এর মধ্যে রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে একজন চিকিৎসকের পরিচয়পত্র প্রদর্শন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হলে এ বিরোধ তুঙ্গে ওঠে।

ওই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনিকে ‘হেনস্তা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেছেন চিকিৎসকদের প্রধান পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। চিকিৎসকদের আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে।

ওই ঘটনায় ডা. জেনির কাছে যে কর্মকর্তারা পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছিলেন, তারা হলেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এ কাইয়ুম এবং ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অপরদিকে ওই ঘটনায় ডা. জেনিকেই দায়ী করে তার শাস্তি দাবী করেছে পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে ডা. জেনির সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা একপর্যায়ে উত্তপ্ত বিতণ্ডায় রূপ নেয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। ডা. জেনি যখন এসব কথা পুলিশকে বলছিলেন, তখন তাকে ‘ভুয়া ডাক্তার’ বলা হয়েছে বলে তিনি নিউজবাংলার কাছে অভিযোগ করেছেন। এমনকি একপর্যায়ে অবৈধ যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অন্যদিকে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ডা. জেনি পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘তুই-তোকারি’ করেছেন, ‘দেখে নেয়ার’ ‍হুমকি দিয়েছেন।

ডা. জেনি একজন রেডিওলজিস্ট। এই সূত্রে রেডিওলজিস্টদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ এক বিবৃতিতে ওসি কাইয়ুমের শাস্তি দাবি করেছে। তারা বলেছে, ‘পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা পাপিয়ার সঙ্গে পুলিশ ডা. জেনির তুলনা করেছে, যা একজন নারী চিকিৎসকের জন্য চরম অবমাননাকর।’

ওই ঘটনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত ও হতাশ হয়ে পড়ছেন বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চাওয়ার পাশাপাশি ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছে সংগঠনটি।

মুখোমুখি চিকিৎসক-পুলিশ

ডা. জেনিকে ‘হেনস্তার’ প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখাও।

বিএমএ মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের হয়রানি বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এভাবে চিকিৎসক হয়রানি চলতে থাকলে আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারব না, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এটা দুঃখজনক।’

পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পালন করা কঠিন উল্লেখ করে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘অধিদপ্তরের জানা উচিত দেশের ৮০ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে কোনো ডাক্তারি পরিচয়পত্র নেই।’

জেনিকে হেনস্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বললেন চিকিৎসকরা

ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ, এফডিএসআরের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, লকডাউনে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে বা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় চিকিৎসকদের সুপরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এটার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র রয়েছে।

সোমবার লকডাউন চলমান অবস্থায় চিকিৎসক হয়রানির প্রতিবাদে ওই সংগঠনের উদ্যোগে একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এই অভিযোগ করেন।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো একটি মহল করোনাকালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করতে এবং সরকার ও পুলিশের কাছে চিকিৎসকদের প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আইনশৃঙ্খালা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে এটির তদন্ত দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় বলা আছে, চিকিৎকরা মুভমেন্ট পাসের আওতামুক্ত থাকবেন। তারপরও কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজটি করেছেন। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করব, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা এ রকম হয়রানি করছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

পুলিশ কী বলছে

চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখানো নিয়ে এ ‍তুলকালামে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এক পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনিকেই দায়ী করেছে।

সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের প্রতি জনৈক চিকিত্সক কর্তৃক এহেন অপেশাদার ও অরুচিকর আচরণে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।…একজন গর্বিত পেশার সদস্য হয়ে অন্য একজন পেশাদার বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কটাক্ষ বা অসৌজন্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়।’

মহামারিকালে ঘরের বাইরে এলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক জানিয়ে বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং কর্তব্যরত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জোর দাবি জানাচ্ছে।’

ওই ভিডিওচিত্র ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকায় জেনির গাড়ি আটকে তার পরিচয়পত্র দেখতে চান নিউমার্কেট থানার ওসি এস এ কাইয়ুম।

ওই গাড়িতে ডা. জেনির কর্মস্থল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের স্টিকার সাঁটানো ছিল, তার গায়েও চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন ছিল। তারপরও কেন পরিচয়পত্র দেখাতে হবে– এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে জেনি তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ও বলেন। ওসি কাইয়ুমও জানান, তিনিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে।

এই উত্তপ্ত তর্কের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। আধা ঘণ্টা পর তিনি ঘটনাটির মীমাংসা করতে সক্ষম হন।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি (ডা. জেনি) নিজ পেশার পরিচয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক পরিচয় তুলে ধরে পুলিশ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং জাতির সামনে পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছেন।’

১৪ এপ্রিল থেকে চলা লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা বাইরে যেতে চান, তাদের মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের জন্য এই পাস নেয়ার দরকার নেই। তাদের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখালেই হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে বলেছে, ‘ডা. জেনিকে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, যা একজন পেশাদার ও সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘গত ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাপ্তরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) অবশ্যিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তিনি তা অমান্য করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার পরিচয় প্রদান না করে নিজ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উক্ত চিকিৎসক বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বাদানুবাদকালে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তা অত্যন্ত অরুচিকর ও লজ্জাজনক। এক পেশার সদস্য হয়ে আরেক পেশার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি কী ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের “তুই” বলে সম্বোধন করেছেন এবং “আর আমি কী, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা” বলে হুমকি দিয়েছেন।’

‘বৈশ্বিক মহামারির এই দুঃসময়ে পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সর্বজন স্বীকৃত’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৯১ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, ২০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবনরক্ষায় পুলিশ সদস্যরা তীব্র দাবদাহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই ঘটনার ভিডিও আছে, ভিডিও থেকে আপনারাই এর মূল্যায়ন করবেন। আমাদের কথা হলো, কোনো পেশাকেই খাটো করে না দেখে সবার পেশাকেই সবার সম্মান করা দরকার। অতিমারির সময় আমরা যেন সবাই ধৈর্যশীল হই এবং সঠিক আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হই। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।’

দুই পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি এই দুই পেশাজীবীদের মধ্যে বিরোধের বহিঃপ্রকাশ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলেছি, আমরা প্রতিটি পেশাকেই সম্মান করি। সবাই মিলে যেন আরও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সবকিছু মোকাবিলা করি।’

আরও যা যা ঘটেছে

লকডাউনের শুরু থেকেই দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথম দিন এক চিকিৎসক পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাকে জরিমানা করা হয়। আরেকজনকে একটি চেকপোস্টে ‘কসাই’ ডাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া কয়েকজন চিকিৎসককে কর্মস্থলে নামিয়ে দিয়ে আসা গাড়িকে আটকে জরিমানা করা হয়েছে। এক চিকিৎসক পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তাকে কারাগারে পাঠানোর ‍হুমকি দেয়া হয়েছে।

পরিচয়পত্র দেখানোর পরও মুভমেন্ট পাস না থাকায় জরিমানা করা হয় স্কয়ার হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কর্মরত নাজমুল ইসলাম হৃদয়কে। বিষয়টি জানিয়ে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। এরপর বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তার সেই টাকা ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।

একইভাবে হেনস্তার শিকার হন চিকিৎসক দম্পতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কামরুন নাহার মুক্তা ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার এনামুল কবির খান।

ডা. মুক্তা নিউজবাংলাকে জানান, তার বাসা এলিফ্যান্ট রোডেই। সকালে তাকে হাসপাতালে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চালক ফিরছিলেন। তিনি তাকে তার আইডি কার্ড দিয়ে পুলিশকে দেখাতে বলেন।

পুলিশ আটকালে চালক জানান, চিকিৎসককে হাসপাতালে দিয়ে এসেছেন। প্রমাণস্বরূপ তিনি চিকিৎসকের আইডি কার্ড দেখান। পুলিশ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করলে চালক কথা বলার জন্য ফোনে ওই চিকিৎসককে ধরিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

এনামুল কবির খান আরও কিছু ঘটনা জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান হাবিব রাজু ডিউটি সেরে সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে পুলিশ তাকে নামিয়ে সিএনজি রেখে বাসায় যেতে বলে।’

ডা. মুক্তা ও এনামুল কবির খানের মতো হয়রানির শিকার হয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুজরাত আরফিনও।

এই চিকিৎসককেও ঢাকা মেডিক্যালে নামিয়ে বাসায় ফিরছিলেন গাড়িচালক। শাহবাগ মোড়ে গাড়ি থামিয়ে জরিমানা করা হয়। চিকিৎসকের গাড়ি শোনার পরেও ভ্রুক্ষেপ ছিল না পুলিশের।

আরও পড়ুন:
ডা. জেনির পাশে তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Stop destruction of nature plant trees Professor Yunus

প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করুন, গাছ লাগান: অধ্যাপক ইউনূস

প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করুন, গাছ লাগান: অধ্যাপক ইউনূস

সুস্থ জীবনযাত্রার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সকলকে প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করে গাছ না কেটে গাছ লাগানো ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করারও আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্লাস্টিক একটি বিষ। শুধু মানুষের জন্য নয়, এই বিশ্বের সবকিছুর জন্য। আমরা এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি না, কারণ এটি ধীরে ধীরে এবং ধীরে ধীরে ঘটছে। আসুন আমরা এটির সমাধান করি। আসুন আমরা এই বিষ থেকে নিজেদের রক্ষা করি।’

৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে বুধবার (২৫ ‍জুন) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রেআয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা নাগরিকদের নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলন হওয়া উচিত, কেবল সরকারের উপর নির্ভর করা নয়।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা আমার পরিবেশ। আমাকেই এটা রক্ষা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা যদি বেঁচে থাকতে চাই—তাহলে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, সারা দেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের প্রচারণার মতো গাছ কাটা বন্ধ করতে একটি অভিযান চালানো উচিত।

নতুন প্রজন্ম ঢাকার কাছাকাছি দূষণমুক্ত নদী এবং সবুজ বন দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘তরুণরা আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণ প্রজন্ম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সৃজনশীল শক্তি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে তরুণ প্রজন্মকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা দেশের সকল নাগরিককে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আমাদের আত্ম-ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না।’

প্লাস্টিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বর্ণনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জনগণ যদি এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে পরিবর্তন করতে না চায়—তাহলে তাদের অবশ্যই পরাজয় বরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন বন্ধ করলে এর ব্যবহার এড়ানোর প্রশ্নই উঠবে না। এটাই মূল কারণ।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মানুষ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না প্রকৃতিরও একটি ধ্বংসাত্মক রূপ রয়েছে।

গ্রহে প্লাস্টিকের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্লাস্টিক জলবায়ু সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সঠিক প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের জলাশয় এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

প্রকৃতিতে প্লাস্টিকের স্থায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, সবকিছুরই একটি আয়ু আছে কিন্তু প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস যার কোনো মৃত্যু নেই।

মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ না করি—তাহলে ধ্বংস আমাদের পিছু ছাড়বে না.....আমরা আত্মঘাতী পথে আছি, কারণ প্লাস্টিক এবং পলিথিনের নির্বিচার ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস জুলাইয়ের বিদ্রোহের শহীদদের স্মরণ করেন এবং আন্দোলনে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা

অধ্যাপক ইউনূস অনুষ্ঠানে পরিবেশ মেলা-২০২৫' এবং 'জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫' উদ্বোধন করেন।

তিনি পরিবেশ সুরক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপকদের মধ্যে জাতীয় পরিবেশ পুরস্কার, জাতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পরিবেশ মেলা ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলবে, আর বৃক্ষমেলা ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

উভয় মেলাই প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য হলো: ‘আসুন পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাই, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনকে রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নির্মল পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রেখে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা ২৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে এক বার্তায় এই মন্তব্য করেন, যা মূলত ৫ জুন পালিত হয় এবং প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার উপায় বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সরকার পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যটন সীমিত করার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, 'প্লাস্টিক দূষণের অবসান' প্রতিপাদ্যে এবারের জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্ধারিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত দশকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক সামগ্রীর বহুমুখী ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অত্যধিক উৎপাদন, ব্যাপক ব্যবহার এবং অব্যবস্থাপনা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের পরিবেশ ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্লাস্টিক দূষণের কঠোর নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করার জন্য দেশব্যাপী নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পলিথিন ব্যাগের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন, অনুমোদন এবং প্রবর্তনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ট্রান্সবাউন্ডারি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ও সামুদ্রিক আবর্জনার সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’-এর আওতায় ইপিআর (বর্ধিত উৎপাদক দায়িত্ব) নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ চলছে, যেখানে উৎপাদনকারী নিজ দায়িত্বে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহপূর্বক তা ব্যবস্থাপনা করবেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলই বর্তমানে পরিবেশ ও প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।

মন্তব্য

জাতীয়
Firefight

মেট্রো রেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত

মেট্রো রেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, উত্তরা সেন্টার, মেট্রো রেল স্টেশন, উত্তরা এবং বিজয় সরণিতে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও বহির্গমন বিষয়ক মহড়া করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ২৫ জুন সকাল ১১টায় উত্তরা সেন্টারে এবং বিকেল ৩টায় বিজয় সরণি সেন্টারে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় ওয়াটার টেন্ডার, পাম্প ক্যারিং টেন্ডার, সিজার লিফট, অ্যাম্বুলেন্স ও স্নোরকেল গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।

মেট্রো রেলে বা মেট্রো রেল স্টেশনে হঠাৎ করে অগ্নিদুর্ঘটনা সংঘটিত হলে কিভাবে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে, কিভাবে অগ্নিনির্বাপণ করতে হবে, কিভাবে সাধারণ লোককে ইভাকুয়েট করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক শুশ্রূষা প্রদান করে কিভাবে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে মহড়ায় তার বাস্তব অনুশীলন দেখানো হয়। মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় ভলান্টিয়াররা অংশগ্রহণ করেন। মহড়া চলাকালীন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

মহড়া শেষে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) একেএম খায়রুল আলম। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রকৃত দুর্ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রী সাধারণের কার কী করণীয় সে সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

মহড়া দুটি পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাজাহান শিকদার ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার একেএম রায়হানুল আশরাফ। এ সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

মন্তব্য

জাতীয়
The 5th Intex Bangladesh Exhibition starts in Dhaka

ঢাকায় শুরু ১৬তম ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন

ঢাকায় শুরু ১৬তম ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল গার্মেন্টস ক্রেতা, বিপনন ও সরবরাহকারী এবং সোর্সিং এক্সিবিশন খ্যাত ইনটেক্স বাংলাদেশের ১৬তম আসর আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে শুরু হয়েছে। এই তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিং শোতে ১০টিরও বেশি দেশের ১২৫টির অধিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে, যা বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং উৎপাদনকারীদের জন্য একটি গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

পোশাক খাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ-এর নিত্য উদ্ভাবনী কৌশল ও উন্নতমানের দ্রুত উৎপাদন ক্ষমতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাহিদায় প্রাধান্য পাচ্ছে।

২০২৬ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানি ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইনটেক্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনা এবং টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে উদ্ভাবন প্রদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং এলএবিসিসিআই, কেবিসিসিআই ও বিজিসিসিআই-এর মতো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংস্থার নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন পোশাক খাতে বিশ্ব বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দ্রুত টেকসই ও মূল্য-সংযোজিত পোশাক উৎপাদনের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। উদ্ভাবন, কমপ্লায়েন্স এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগে কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশটি দায়িত্বশীল ফ্যাশন ও টেক্সটাইল সোর্সিংয়ের পরবর্তী অধ্যায় নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, ইনটেক্স বাংলাদেশের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করবে”

এই বছরের এক্সপোতে বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য প্যাভিলিয়নের মধ্যে ভারতের (টেক্সপ্রোসিল ও পেডেক্সিলের মাধ্যমে) তুলা, মিশ্র সুতা ও টেকসই টেক্সটাইল প্রদর্শন করছে। চীন নিয়ে এসেছে টেকনিক্যাল ফ্যাব্রিক ও গার্মেন্টস ট্রিম। দক্ষিণ কোরিয়া পরিবেশবান্ধব পারফরম্যান্স উপকরণ প্রদর্শন করছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ড ও জাপান নিয়ে এসেছে প্রিমিয়াম শার্টিং ও বোনা পণ্য। বাংলাদেশি প্রদর্শনকারীরা নিটওয়্যার, ডেনিম এবং ভার্টিক্যালি ইন্টিগ্রেটেড উৎপাদন সমাধানের অগ্রগতি তুলে ধরছে।

এক্সপোর মূল্যবোধ আরও বাড়াতে ইন্টারেক্টিভ বিজনেস ফোরাম (আইবিএফ) দুটি সেশনের আয়োজন করেছে। প্রথম সেশনে টেক্সটাইল উৎপাদন ও ফ্যাশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে, অন্যদিকে দ্বিতীয় সেশনে বৈশ্বিক শুল্ক ও বাণিজ্য পরিবর্তনের বাংলাদেশি রপ্তানির প্রভাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই সেশনগুলোতে এ শিল্পের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন, যা ব্যবসায়িক স্থিতিস্থাপকতা ও বৃদ্ধির কৌশল প্রদান করবে।

প্রদর্শনীর পাশাপাশি, ইনটেক্স বাংলাদেশ ২০২৫-এ ব্যবসায়িক সভা (বি২বি), ভিআইপি নেটওয়ার্কিং এবং ক্রেতা-সরবরাহকারীদের মধ্যে ম্যাচমেকিং সুবিধা রয়েছে— যা সোর্সিং ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা প্রদান করছে।

ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়ার আয়োজিত এই ইভেন্টটি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিবিএ, ইপিবি এবং আইবিসিসিআই, এলেবিসিসিআই, কেবিসিসিআই ও বিজিসিসিআইয়ের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার সমর্থন পেয়েছে।

বাংলাদেশ যখন আরও উদ্ভাবনী ও টেকসই টেক্সটাইল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে, ইনটেক্স বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারের সাপ্লাই চেইনের সাথে দেশটিকে সংযুক্ত করার একটি প্রধান সমর্থক হিসেবে কাজ করছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Plastic adviser

পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দূষণ রোধ ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশের বিষ। এটা কেবল মানুষ নয়, পৃথিবীর সকল প্রাণির জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীতে প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে বাংলাদেশেও বাড়ছে, এর সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রতি প্লাস্টিকের ব্যবহার। আসুন, আমরা আজ থেকে মনে মনে ঠিক করি, প্লাস্টিক বর্জন করব।’

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে হলে পরিবেশ বাঁচাতে হবে।

পরিবেশ ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে পারলে আমরা সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করতে পারব।"

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি এর ব্যবহার বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সপ্তাহে অন্তত একটা দিন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন করে, তাহলে ক্রমান্বয়ে প্লাস্টিককের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া কঠিন এ পথে এগুনো যাবে না।

দূষণ রোধে কেবল পলিথিন বর্জন নয়, পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দৈনন্দিন জীবনযাপনে (লাইফস্টাইল) পরিবর্তন ছাড়া সামগ্রিক পরিবেশ বিপর্যয় অবধারিত। পরিবেশ সুরক্ষার বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে একটি সোনালু গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Bangladesh National Insurance Company Limiteds 21st Annual Meeting

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Meghna Banks 12th Annual General Meeting held

মেঘনা ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মেঘনা ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার রাজধানীর মহাথালীতে অবস্থিত ম্যাডোনা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারপার্সন মিসেস উজমা চৌধুরী।

বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তানভীর আহমেদ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মো. আলী আক্তার রেজভী, এফসিএ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব রজব আলী, জনাব এম. নজরুল ইসলাম এবং জনাব হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাজী আহ্সান খলিল এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব জনাব সজিব কুমার সাহা, এফসিএ এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।

সভায় ব্যাংক নিজেদের পরিষেবা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারণা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

জাতীয়
Former CEC Habibul Awal arrested

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অবশেষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজী হাবিবুল আউয়ালকে খুঁজছিল বলে জানা যায় । তাকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ডিবি।

এর আগে, গত ২২ জুন রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, হাবিবুল আওয়ালকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। যদিও ডিবির পক্ষ থেকে ওই রাতেই বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন তাহলে হাবিবুল আওয়াল কোথায়?

পরে সোমবার এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সাংবাদিকদের বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে গ্রেফতারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় অপর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসে তার নাম।

নূরুল হুদার কমিশন আলোচনায় ছিল ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট রাতে’ সম্পন্ন করে। আর কাজী আউয়ালের কমিশন বিতর্কিত ছিল ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে। এছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে তার বেশ কিছু নেতিবাচক বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।

জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আইনের আওতায় আনতে জোরালো তত্পরতা চালাচ্ছি। রোববার রাতে তাকে ধরতে দুই দফায় অভিযান চালিয়েছিলাম। প্রথমে খবর পাই তিনি বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় আছেন। সেখানে আমাদের টিম যাওয়ার পর জানতে পারে, কিছুক্ষণ আগেই তিনি ওই বাসা ত্যাগ করেছেন। পরে আরেকটি এলাকায় তার অবস্থানের তথ্য পাওয়ার পর সেখানেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।'

ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘রোববার রাতে বসুন্ধরা এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু হাবিবুল আওয়ালকে ধরতে একই এলাকায় অভিযান চালানো হয়, এ কারণে অনেকেই মনে করেছিল আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তবে তাকে গ্রেফতারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যখনই পাওয়া যাবে, তখনই তাকে গ্রেফতার করা হবে।'

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ‘আমি-ডামি ভোট' উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন তত্কালীন কমিশন। ওই কমিশনের বেশির ভাগ কার্যক্রমই ছিল বিতর্কিত। ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যদের আসামি করে রোববার মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের সাবেক চারজন আইজিও।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলায় সোমবার কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নূরুল হুদা এবং হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ছাড়াও কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও তার নেতৃত্বাধীন কমিশন সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে