বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংক-বস্ত্রের দারুণ দিন, ৭ হাজার পয়েন্টের দিকে সূচকের যাত্রা

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৫৩

দিন শেষে সূচকের যে অবস্থান, সেটি ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন সে সময়ের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট। রোববার সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে। আগের দুই দিন ২৬ পয়েন্ট হারানোর পর একদিনেই বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট। এই উত্থানের মধ্য দিয়ে সূচকের অবস্থান ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির ৬ হাজার ৮২২ পয়েন্টের অবস্থানকে অতিক্রম করে গেল।

দুই দিনের সংশোধন শেষে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হলো। একদিন ব্যাপকভাবে বাড়ার পর দুদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলো দর হারানোর পর তৃতীয় কর্মদিবসে আবার ঘুরে দাঁড়াল।

বিমা ছাড়া প্রধান প্রায় সব খাতের শেয়ারধারীদের হাসিই চওড়া হয়েছে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার। এর মধ্যে ব্যাংক ছাড়া দ্বিতীয় যে খাতটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে, সেটি হলো বস্ত্র। এই খাতেও ব্যাংকের মতো হাতেগনা এক দুইটি ছাড়া বেড়েছে বাকিগুলোর দাম।

গত মঙ্গলবার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেনের পর দুই দিনের সংশোধনে বিনিয়োগকারীরা কেনাবেচা কমিয়ে দিলেও রোববার তারা ছোটখাট সংশোধন কাটিয়ে আবার শেয়ার কিনছেন। দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার আড়াই হাজার পয়েন্ট ছাড়াল।

দিন শেষে সূচকের যে অবস্থান, সেটি ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন সে সময়ের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট।

রোববার সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে। আগের দুই দিন ২৬ পয়েন্ট হারানোর পর একদিনেই বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট।

এই উত্থানের মধ্য দিয়ে সূচকের অবস্থান ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির ৬ হাজার ৮২২ পয়েন্টের অবস্থানকে অতিক্রম করে গেল।

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এক দফা, এরপর ৫ এপ্রিলের লকডাউনের শুরু থেকে মের শুরু পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় আর জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা দিয়েছে। তৃতীয় দফায় উত্থানের পর পুঁজিবাজারের সূচক ১০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে আর সামনে এগিয়ে চলেছে।

তবে এই ধাপে এসে কয়েকজন অর্থনীতিবিদ পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে বসেন। বাজার ‘অতিমূল্যায়িত’ এমন ধারণা করে সেটি আর ‘বাড়তে দেয়া উচিত হবে না’ মন্তব্য করে কার্যত হস্তক্ষেপের পরামর্শ দেন তারা। তবে বিএসইসি জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো রকম হস্তক্ষেপের পক্ষ না।

এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক এক পদক্ষেপ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবার নজিরবিহীনভাবে এসব প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য রেখেছে। পাশাপাশি বাজারে অর্থপ্রবাহ ঠিক রাখতে প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা মার্জিন ঋণ নেয়ার সুযোগ ৮ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়ায়। এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল ৭ হাজার পয়েন্টের বেশি হলে মার্জিন ঋণ ১০০ টাকার বিপরীতে পাওয়া যাবে ৫০ টাকা।

ডিএসইতে সবশেষ লেনদেনের চিত্র

পাশাপাশি বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলিষ্ঠ বক্তব্য রেখে বলেন, বাজার মোটেও অতিমূল্যায়িত নয়, বরং প্রতিবেশী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে তা আরও বাড়ার সুযোগ আছে।

পুঁজিবাজারে গত ছয় মাসে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়ে ২ থেকে ৪ গুণ হয়ে গেলেও সেগুলোর বেশির ভাগ মূলত তার অভিহিত মূল্যের চেয়ে নেমে গিয়েছিল। বন্ধ বা লোকসানি বহু কোম্পানিকে আবার চালু করতে বিএসইসি বোর্ড পুনর্গঠনের মতো নজিবরিহীন উদ্যোগ নিয়েছে।

এরই মধ্যে দুটি কোম্পানি উৎপাদনে চলে এসেছে। আরও একটি কোম্পানি উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এই অবস্থায় অভিহিত মূল্যের অনেক নিচে নেমে যাওয়া কোম্পানিগুলো অভিহিত মূল্যের দিকে ছুটছে। এগুলো উৎপাদন শুরু করতে পারলে মুনাফা পাওয়া যাবে, এমন আশাতেই মূলত শেয়ার কিনছেন বিনিয়োগকারীরা।

এর মধ্যেও আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস, সম্পদমূল্য বিবেচনায় নিলে সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাত যে অবমূল্যায়িত, সে বিষয়ে এমনকি পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীলদের মধ্যেও কোনো সংশয় নেই। আর দীর্ঘদিন পর এই খাতটির শেয়ারদর অল্প করে বাড়তে শুরু করেছে।

এই পর্যায়ে এসে কিছু ঘটনায় বাজার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে আর ৯টি কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিএসইসির কমিটি গঠন নতুন উদ্বেগ তৈরি করে। তবে শেষ পর্যন্ত উত্থানের পথে যাত্রা করা পুঁজিবাজার এই চাপও কাটিয়ে নতুন উচ্চতার পথে যাত্রা শুরু করেছে।

ব্যাংকে দাম-লেনদেন দুটোই বাড়ল

মঙ্গলবার দল বেঁধে বাড়ার পর দুই কর্মদিবস আবার দর বেঁধে পতন হয়েছিল সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের এই খাতটিতে। তবে বৃহস্পতিবার শেষ আধা ঘণ্টায় ব্যাংকগুলো সেদিনের হারিয়ে ফেরা দরের অনেকটাই ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে রোববার ভালো করার আশা তৈরি করে রেখেছিল।

হয়েছে সেটিই। আর গত ছয় কর্মদিবসের ধারাবাহিকতায় আবার দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ অবস্থান ছুঁয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা ব্যাংক। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটির শেয়ারদর এরই মধ্যে বহু বছর ধরে বাজারে নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসা ১৫টির মতো ব্যাংকের দরকে ছাড়িয়ে গেল।

নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলেই বিনিয়োগকারীদের এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এই ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয়, সম্পদমূল্য ও অন্যান্য সূচক নিশ্চিতভাবেই আগে থেকে বাজারে তালিকাভুক্ত অনেক ব্যাংকের তুলনায় দুর্বল। তবু ২০২০ সালে ১৫ এমনকি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এমন কয়েকটি ব্যাংকের শেয়ারদরকে ছাড়িয়ে গেল সাউথবাংলার দর।

আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সা।

দাম বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যেটি ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে কখনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আগের কর্মদিবসে দাম ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বোচ্চ বাড়ার সুযোগ ছিল ৬০ পয়সা, বেড়েছে ৫০ পয়সা।

দীর্ঘদিন একটি স্থানে ঘুরপাক খাওয়া এনবিএল ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের রেকর্ড ডেটের পর থেকে টানা বাড়ছে। আজ এক পর্যায়ে দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে গিয়েছিল। তবে পরে ২০ পয়সা কমে লেনদেন শেষ করেছে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়।

লেনদেনে ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে মাত্র দুটির। পাল্টায়নি দুটির। বেড়েছে বাকি ২৮ টির। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৬৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

এ ছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ৬.৬১ শতাংশ, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৫.৫১ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩.১৬ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের দর ৩.১২ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ২.৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন বস্ত্র খাতে

১০ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম এমনকি চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই খাতের বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি কোম্পানি চালু হয়েছে বিএসইসির উদ্যোগে। আরও কয়েকটি কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন হয়েছে। কয়েকটি কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তনের গুঞ্জন আছে।

সব মিলিয়ে বস্ত্র খাতের শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ এখন বিনিয়োগকারীদের। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লেনদেনে বেশিরভাগ দিনই এই খাতের অবদানই থাকছে বেশি।

সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে এই খাতেরই আছে ৫টি। এতেই বোঝা যায় বিনিয়োগকারীরা এই খাতটি নিয়ে কতটা আগ্রহী।

এর মধ্যে যে দুটি কোম্পানি বিএসইসির উদ্যোগে নতুন করে চালু হয়েছে, সেই রিংসাইন টেক্সটাইল ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল রয়েছে। অন্য তিনটি কোম্পানি হলো সোনারগাঁও টেক্সটাইল, মেট্রো স্পিনিং ও মিথুন নিটিং।

এই পাঁচটির দরই বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।

এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে নয়টির। পাল্টায়নি দুটির দর। বাকি ৪৭টির শেয়ার দরই বেড়েছে বেড়েছে।

আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ছন্দপতনে বিমায়

টানা তিন কর্মদিবস বাড়ার মধ্য দিয়ে গত জুন থেকে শুরু হওয়া সংশোধন শেষের ইঙ্গিত দেয়া বিমা খাতে আবার দর পতন হলো। কমেছে লেনদেনও।

এদিন বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩১টির। দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ১৭টির দর বেড়েছে।

আগের দিন এই খাতে হাতবদল হয়েছিল ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

দর পতন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির তালিকায় ছিল বিমা খাতের আধিক্য। এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৩.০১ শতাংশ। শেয়ার দর ১৪৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৪১ টাকা ৪০ পয়সা।

তারপরই আছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর কমেছে ২.৯৭ শতাংশ। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.২০ শতাংশ। গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.০৯ শতাংশ।

তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে যথাক্রমে ১.৯০ ও ১.৮০ শতাংশ করে। এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ১.৭৬ শতাংশ। এছাড়া সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৮৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১.৬৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৪ টাকা।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

ব্যাংকের মতোই সংশোধন কাটিয়ে উত্থানে ফিরেছে আর্থিক খাতও। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরে। বাকিগুলোর মধ্যে একটির দাম কমেছে, বেড়েছে বাকি ২১টির সবগুলোর।

দাম বৃদ্ধির দিন বেড়েছে লেনদেনও। হাতবদল হয়েছে ২০৯ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৭০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ব্যাপক চাঙাভাব লক্ষ্য করা গেছে প্রকৌশল খাতেও। দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে তিনটির, পাল্টায়নি চারটির, বাকি ৩৫টির দরই বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ছিল ১৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

ভালো দিন গেল ওষুধ ও রসায়ন খাতেও। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২১টির দর, কমেছে ৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর।

খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

লেনদেন বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৫৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৬৬ কোটি ১৬ লাখ াকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে সাতটির। পাল্টায়নি একটির দর।

সাধারণত ব্যাংকের শেয়ারের দার বাড়লে বাড়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরও। তবে চলতি বছর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার পরেও এই খাত চাঙা হওয়ার বদলে উল্টো দৌড়ে। আজ ব্যাংক খাতে উত্থানের দিনও এই খাতে লেনদেনে ছিল মন্দাভাব। বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়া বা কমার মধ্যে ব্যবধান ছিল ১০ থেকে ২০ পয়সা। কেবল গ্রামীণ টুর দাম বেড়েছে ৬০ পয়সা।

সব মিলিয়ে ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৯টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৫টির।

ঈদের আগে একদিনে লেনদেন ২০৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া এই খাতটিতে আজ হাতবদল হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে অবশ্য তার চেয়ে কম ছিল; ৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

লেনদেন খুব একটা না বাড়লে তথ্য প্রযুক্তি খাত নিয়ে না বললেই নয়। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির, কমেছে একটির। লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১২টির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৮টির। লেনদেন কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৫৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির। দর কমেছে পাঁচটির। বাকি দুটির দর পাল্টায়নি। এদিন এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

গত প্রায় এক বছর ধরেই নিয়মিতভাবেই এই খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড দিন লেনদেনের প্রথম তালিকায় থাকে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই একটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪৪ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৮ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৮ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৩১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ একদিনেই লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ২০৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯২১ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে মোট ১০০ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর