বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসছে ‘সবচেয়ে বেশি বিতরণযোগ্য’ গ্রামীণ টুর লভ্যাংশ

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২১ ১৮:৫৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সবচেয়ে বেশি আয় আছে গ্রামীণ টুর। গত জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি তাদের আয় ৩ টাকা ৯১ পয়সা। গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক ৮৮০ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময়ে এই ফান্ডটি কত আয় করেছে, তার ওপর নির্ভর করে লভ্যাংশ ঘোষণা হবে। তবে মার্চ পর্যন্ত আয় বলে দেয়, এবার লভ্যাংশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবে এই ফান্ডটিই।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণযোগ্য আয়ের মিউচ্যুয়াল ফান্ড গ্রামীণ টু তাদের লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত সভা করার কথা জানিয়েছে।

আগামী ২৯ আগস্ট এই ফান্ডটির ট্রাস্টি বোর্ডের সভা হবে বলে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ।

জুনে অর্থবছর শেষ হয়েছে এমন ১৭টি ফান্ড এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগামী বুধবার ঘোষণা হবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইসের ১০টি ফান্ডের লভ্যাংশ।

এখন বাকি আছে কেবল এইমসেরই আরেক ফান্ড রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সবচেয়ে বেশি আয় আছে গ্রামীণ টুর। গত জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি তাদের আয় ৩ টাকা ৯১ পয়সা।

গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক ৮৮০ পয়েন্ট বেড়েছে। এই সময়ে এই ফান্ডটি কত আয় করেছে, তার ওপর নির্ভর করে লভ্যাংশ ঘোষণা হবে। তবে মার্চ পর্যন্ত আয় বলে দেয়, এবার লভ্যাংশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবে এই ফান্ডটিই।

এর কারণ, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির যে আয়, তার পুরোটাই বিতরণযোগ্য। গত বছর তাদের কোনো লোকসান না থাকায় সঞ্চিতি সংরক্ষণের কোনো দরকার পড়বে না।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো তাদের আয়ের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নগদে বিতরণ করতে বাধ্য। এই হিসাবে কেবল তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত গ্রামীণ টুর ইউনিটধারীরা পেতে পারেন ২ টাকা ৭৩ পয়সা। এর সঙ্গে তৃতীয় প্রান্তিকের আয় যুক্ত হলে তা ৩ টাকার বেশি হয়ে যেতে পারে।

মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে যেসব ফান্ডের বিতরণযোগ্য আয় সবচেয়ে বেশি

এখন পর্যন্ত যে ১৭টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাতে সবচেয়ে কম আয় করেছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি পরিচালিত ফান্ডগুলোর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে সবচেয়ে কম আয় করেছে যে ফান্ডটি, সেটি এই তিন মাসে ইউনিটপ্রতি ১৮ পয়সা আয় করেছে। আর সবচেয়ে বেশি আয় করেছে যেটি, সেটি ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।

ফান্ডটির বর্তমান মূল্য ১৯ টাকা ৯০ পয়সা।

গত এক বছরে ফান্ডটির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ফান্ডটির লভ্যাংশের ইতিহাস সবচেয়ে ভালো। পুঁজিবাজারে চাঙাভাব থাকুক আর মন্দা থাকুক, বিনিয়োগকারীরা কখনও লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হননি। গত বছর লোকসানের কারণে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত সিংহভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড যেখানে লভ্যাংশ দিতে পারেনি, সেখানে এই ফান্ডটির ইউনিটধারীরা পেয়েছেন ৭০ পয়সা করে। সে বছর তাদের ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ৭৪ পয়সা।

এই ফান্ডটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ এসেছে ২৫ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ লভ্যাংশ পেয়েছেন ইউনিটধারীরা। এর ১০ শতাংশ অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ১ টাকা নগদ আর ১৫ শতাংশ পাওয়া গেছে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিট হিসেবে।

বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি পরিচালিত ফান্ডগুলোর মোট ও চতুর্থ প্রান্তিকের আয়

প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করা এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছর শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ১৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৯৬ পয়সা। এর পরে চাঙা তিন মাসে তারা খুব একটা আয় বাড়াতে পারেনি। এ সময়ে আয় হয়েছে ১৮ পয়সা, যা চার প্রান্তিকের আয়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার ইউনিট প্রতি আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় করেছে সবচেয়ে বেশি; ১ টাকা ২ পয়সা।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড চতুর্থ প্রান্তিকে এর চেয়ে বেশি আয় করেছে। তাদের মোট আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা। যার মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্তই এসেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।

স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ফান্ড পরিচালনা করে মোট তিনটি। এগুলোর একেকটি একেক ধরনের আয় করেছে তৃতীয় প্রান্তিকে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ইউনিটপ্রতি মোট আয় করেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে হয়েছে ৭০ পয়সা।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে মোট ১ টাকা ৮৭ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় করেছে ৩৩ পয়সা।

অন্যদিকে এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড বছর শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে এসেছে ৫৪ পয়সা।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ড সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটরপ্রতি আয় করেছে মোট ২ টাকা ৪১ পয়সা। এর মধ্যে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এসেছে ১ টাকা ২১ পয়সা।

অন্যদিকে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে এসেছে ৭০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর