বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই ফান্ডের লভ্যাংশ: চার বছরে যত আয়, এক বছরেই তার আড়াই গুণ

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ২০:৪২

বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড এর আগে চার বছরে মোট লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। এই চার বছরে তাদের সম্মিলিত আয় ছিল ৯০ পয়সা। এবার এক বছরেই ২ টাকা ৪১ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্তির পর তিন বছর মিলিয়ে আয় করে ৪৮ পয়সা, এবার এক বছরেই করেছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা। ফান্ডটি তিন বছর মিলিয়ে লভ্যাংশ দিয়েছে ৮০ পয়সা, এবার দেবে ১ টাকা ৩৫ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরও দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এর একটি ফান্ড ২০১৭ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে চার বছরে যত আয় করেছে, এবার আয় করেছে তার দ্বিগুণের বেশি। অন্য একটি ফান্ড ২০১৮ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে চলতি বছরের আগ পর্যন্ত যত আয় করেছে, এবার এক বছরেই করেছে তার দ্বিগুণ।

একটি ফান্ড চার বছরে মিলিয়ে যত টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে, এবার এক বছরেই দিতে যাচ্ছে তার প্রায় সমান।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ড সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটধারীদের ১৩ শতাংশ, অর্থাৎ ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ দেবে সাড়ে ১৩ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ড দুটির ট্রাস্টি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এই দুটি ফান্ড মিলিয়ে জুনে অর্থবছর শেষ হওয়া মোট ১৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করল। আরও ১২টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত বৈঠকের খবর এখনও জানায়নি।

দুটি ফান্ডের মধ্যে বিডিবিএল ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। অন্যদিকে আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা।

দুটি ফান্ডই রেকর্ড পরিমাণ আয় করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে রেকর্ড পরিমাণ।

২০১৭ সালে তালিকাভুক্ত বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড এর আগে চার বছরে মোট লভ্যাংশ দিয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। এর মধ্যে ২০১৭ সালে তারা দিয়েছে ২০ পয়সা, ২০১৮ সালে ৭০ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ৫০ পয়সা।

ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা লোকসান দেয়ার কারণে ২০২০ সালে তারা কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

গত জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ফান্ডটি যত আয় করেছে, এর আগের চার বছর মিলিয়ে তার অর্ধেকও আয় করতে পারেনি। আগের চার বছরের সম্মিলিত আয় ছিল ৯০ পয়সা।

তালিকাভুক্তির বছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২১ পয়সা, ২০১৮ সালে ৭৭ পয়সা আর ২০১৯ সালে ৫৭ পয়সা আয় করেছিল। তবে গত বছর লোকসানের কারণে সম্মিলিত আয় কমে যায়।

২০২৮ সালে তালিকাভুক্ত আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তারা তারা তালিকাভুক্তির বছরে ইউনিটপ্রতি ২ পয়সা লোকসান দিয়েছে। পরের বছর ৯৮ পয়সা আয় করে ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর গত বছর ৪৮ পয়সা লোকসান দেয়ার কারণে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

এর আগে কোন ফান্ড কত লভ্যাংশ দিয়েছে

জুন ক্লোজিং মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এই ফান্ডটি ইউনিটধারীদের ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

চলতি বছর আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৪ পয়সা। আর আগের বছর ৭৬ পয়সা লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে চূড়ান্ত আয় হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা।

এই ফান্ডটি গত বছর লোকসান দেয়ার পরেও ৫ শতাংশ অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

তিনটি ফান্ড তাদের ইউনিটধারীদের ১ টাকা ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রতিটিই গত বছর বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ায় লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

এর মধ্যে এশিয়ান টাইগার সন্ধানী গ্রোথ ফান্ড এই পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে। গত বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসান দেয়ার কারণে এরা কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি পরিচালিত তিনটি ফান্ডের মধ্যে দুটিও লভ্যাংশ দেবে দেড় টাকা করে। এগুলো হলো এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।

দুটির মধ্যে বেশি আয় করেছে লেকচার ফান্ড। তবে গত বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গিয়ে তারা লভ্যাংশ কমিয়েছে।

ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।

অন্যদিকে গ্রোথ ফান্ড এবার ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮৭ পয়সা আয় করলেও এর লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা বেশি ছিল। কারণ, তাদের গত বছর লোকসান ছিল না। সে বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২৭ পয়সা।

এই কোম্পানির অপর ফান্ড এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ তার ইউনিটধারীদের ১ টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৩৫ আয় করেছে। গত বছর ১ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান ছিল তাদের। সেটি সমন্বয়ের পর কমেছে লভ্যাংশ।

আরেক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা অর্থাৎ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে এবার।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত দুটি ফান্ড এর আগে কখনও এত বেশি লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড এর আগে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে, ৯ শতাংশ করে। অন্যদিকে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ সালে।

ফান্ড দুটিই এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা করে আয় করেছে। ২০২০ সালে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। আর গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড লোকসান দিয়েছিল ৯৯ পয়সা। আর সেটি সমন্বয় করতে কমাতে হয়েছে লোকসান।

হতাশ করল আইসিবির আটটি

বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো চমৎকৃত করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি আইসিবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আটটি ফান্ড চরমভাবে হতাশ করেছে।

আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৬৮ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিরই আয় ও লভ্যাংশ এসেছে সর্বোচ্চ।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩৭ পয়সা আয় করে ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৫২ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৫৩ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ৪১ পয়সা।

আইএফআইএল ইসলাম মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা আয় করে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩২ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৪৭ পয়সা আয় করে ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর