সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, এমন একটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২৯ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চলতি বছর যতগুলো ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার দামের তুলনায় আনুপাতিক হারে এটির লভ্যাংশই সবচেয়ে বেশি।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত বেমেয়াদী সিএপিএম ইউনিট ফান্ড এই লভ্যাংশ দিয়েছে।
এই ফান্ডটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এবং এর কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই।
পুঁজিবাজার ও বাজারের বাইরে বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটপ্রতি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হলেও এটির অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা।
তবে এই লভ্যাংশ যারা পাবেন, তখন তাদেরকে ইউনিটপ্রতি কিনতে হয়েছে ১৪০ টাকার আশেপাশে, যদিও এখন দাম কিছুটা কমেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় লভ্যাংশ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৪৭ টাকা ৭১ পয়সা। এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বা পুঁজিবাজারের বাইরের যে কয়েকটি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে এই ফান্ডটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এর আগে আইসিবির ইউনিট ফান্ড ইউনিটধারীদেরকে ৪২ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অবশ্য এই ফান্ডটি চাইলেই কেনা যায় না। আইসিবির কাছে আবেদন করে রাখতে হয়। বর্তমান ইউনিটধারীদের কেউ যদি ভাঙাতে চান, তাহলেই কেনা যায়। আর সে ক্ষেত্রে কিনতে হয় অন্তত ৫০ লাখ টাকার।
আইসিবির ফান্ডটির বর্তমান ইউনিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬১ টাকা। অন্যদিকে সিএপিএম ইউনিট ফান্ডের বর্তমান মূল্য ১২৮ টাকা ১৮ পয়সা। এই পরিমাণ সম্পদই আছে ইউনিটপ্রতি। কেউ বিক্রি করতে চাইলে তিনি পাবেন ১২৭ টাকা ৭৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন তারিখে ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩৪ টাকা ২ পয়সা। আর বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৪০ টাকা ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ সে সময় ফান্ডটি কিনতে হয়েছে ১৪০ টাকা ৯০ পয়সা।
এই মূল্যেও যারা কিনেছেন, তারা ইউনিটপ্রতি দামের ২০. ৯৩ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন।
এর আগে আইসিবির ইউনিট ফান্ডধারীরা ইউনিটমূল্যের ১৭ শতাংশের মতো লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছেন।
তবে এখন যারা সিএপিএমের ফান্ডটি কিনবেন, তারা লভ্যাংশ পাবেন না। ৩০ জুন যাদের হাতে ইউনিটটি ছিল, তারাই পাবেন এই লভ্যাংশ।