বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইসিবির ফান্ডে হতাশার পর এশিয়ান টাইগারের চমক

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ১৭:১০

গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সন্ধানীর যে আয় ছিল, গত অর্থবছরের মোট লোকসান বিবেচনায় নিলে এর মধ্য থেকে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণযোগ্য আয় ছিল না। উল্টো ২৯ পয়সা ঋণাত্মক থাকায় চতুর্থ প্রান্তিকের আয়ের ওপর তাকিয়ে ছিলেন ইউনিটধারীরা। ফান্ডটি জানিয়েছে, তাদের চূড়ান্ত আয় হয়েছে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯৩ পয়সা। আর তাদের রিটেইনড আর্নিং ও আগের অবিতরণ করা রিজার্ভ থেকে গত বছরের ঘাটতি সমন্বয় করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

আইসিবি পরিচালিত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড চাঙা পুঁজিবাজারেও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ার পর এশিয়ান টাইগার সন্ধানী গ্রোথ ফান্ড চমকপ্রদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার পরিচালিত ফান্ডটি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ট্রাস্টি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৪০ পয়সা মুনাফা করলেও গত বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসানের কারণে এটির ভালো লভ্যাংশ বিতরণ নিয়ে সংশয় ছিল।

কারণ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো তাদের আয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ নগদে বিতরণ করতে বাধ্য। তবে আগের বছরের লোকসান সমন্বয়ের সুযোগ আছে। এ কারণে এর আগে লভ্যাংশ ঘোষণা করা ৬টি ফান্ডের মধ্যে ৫টি এবার যত আয় করেছে তার একটি অংশ সঞ্চিতি হিসেবে সংরক্ষণ করে বাকিটা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সন্ধানীর যে আয় ছিল, গত অর্থবছরের মোট লোকসান বিবেচনায় নিলে এর মধ্য থেকে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণযোগ্য আয় ছিল না। উল্টো ২৯ পয়সা ঋণাত্মক থাকায় চতুর্থ প্রান্তিকের আয়ের ওপর তাকিয়েছিলেন ইউনিটধারীরা।

তবে ফান্ডটি জানিয়েছে, তাদের চূড়ান্ত আয় হয়েছে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯৩ পয়সা। আর তাদের রিটেইনড আর্নিং ও আগের অবিতরণ করা রিজার্ভ থেকে গত বছরের ঘাটতি সমন্বয় করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

২০১০ সালের মহাধসের পর যেসব ফান্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে এশিয়ান টাইগারের লভ্যাংশের ইতিহাস খুবই ভালো।

২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির বছরে ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা, পরের বছর ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে তারা।

২০১৭ সালে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫৫ পয়সা, ২০২৮ সালে ১ টাকা ২০ পয়সা এবং ২০১৯ সালে আবার ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। তবে গত বছর লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দেয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ফান্ডটির প্রতি ইউনিট বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৬০ পয়সা। আর দিন শেষে লেনদেন ক্লোজ হয়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সায়।

কেউ লভ্যাংশ নিতে চাইলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ইউনিট ধরে রাখতে হবে।

অন্য কোন ফান্ডের লভ্যাংশ কত

এ নিয়ে জুনে অর্থবছর শেষ করা মোট ১৫টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির ৭টি। এর প্রতিটিই এবার রেকর্ডসংখ্যক আয় করে রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে।

স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি পরিচালিত তিনটি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এর মধ্যে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ইউনিটধারীদের দেড় টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

দুটির মধ্যে বেশি আয় করেছে লেকচার ফান্ড। তবে গত বছরের লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গিয়ে তারা লভ্যাংশ কমিয়েছে।

ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।

অন্যদিকে গ্রোথ ফান্ড এবার ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮৭ পয়সা আয় করলেও এর লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা বেশি ছিল। কারণ, তাদের গত বছর লোকসান ছিল না। সে বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২৭ পয়সা।

এই কোম্পানির অপর ফান্ড এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ তার ইউনিটধারীদের ১ টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৩৫ আয় করেছে। গত বছর ১ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান ছিল তাদের। সেটি সমন্বয়ের পর কমেছে লভ্যাংশ।

আরেক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা অর্থাৎ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে এবার।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত দুটি ফান্ড এর আগে কখনও এত বেশি লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড এর আগে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে, ৯ শতাংশ করে। অন্যদিকে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ সালে।

ফান্ড দুটিই এবার ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা করে আয় করেছে। ২০২০ সালে ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। আর গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড লোকসান দিয়েছিল ৯৯ পয়সা। আর সেটি সমন্বয় করতে কমাতে হয়েছে লোকসান।

জুন ক্লোজিং মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করে এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, যেটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

চলতি বছর আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৪ পয়সা। আর আগের বছর ৭৬ পয়সা লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে চূড়ান্ত আয় হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা।

হতাশ করল আইসিবির আটটি

বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো চমৎকৃত করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি আইসিবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আটটি ফান্ড চরমভাবে হতাশ করেছে।

আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৬৮ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিরই আয় ও লভ্যাংশ এসেছে সর্বোচ্চ।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩৭ পয়সা আয় করে ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৫২ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৫৩ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ৪১ পয়সা।

আইএফআইএল ইসলাম মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা আয় করে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩২ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৪৭ পয়সা আয় করে ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর