বুধবার সকালে লেনদেনের শুরুতে সূচক কিছুটা বাড়লেও পরে বেলা পৌনে একটার দিকে একপর্যায়ে তা আগের দিনের চেয়ে ৭৭ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময় এমন কোনো খাত ছিল না যেটাতে দরপতন হয়নি।
পরে অবশ্য ক্রয়চাপে হারানো দর কিছুটা ফিরে পায় কোম্পানিগুলো। আর এতে কিছুটা উদ্ধার হয় হারানো সূচক। আর শেষ আধা ঘণ্টায় সূচক ফিরে পায় হারানো পুরোটা।
টানা উত্থানে পুঁজিবাজার যখন স্থিতিশীলতার পথে, তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির একটি আদেশে হঠাৎ ছন্দপতনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
পরপর দুই দিন বড় দরপতন থেকে ঘুরে দাঁড়ালেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে, সেটি স্পষ্ট লেনদেনের চিত্রেই।
মঙ্গলবার ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ‘অস্বাভাবিক’ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আদেশ দেয়ার পর পুঁজিবাজারে এই হঠাৎ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এই নির্দেশ আসার দিন তাও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সূচকের বড় পতন ঠেকানো গিয়েছিল। প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনেও প্রায় সব খাতে শেয়ারদর কমায় একপর্যায়ে সূচকের বড় পতন হয়। তবে দিন শেষে ক্রয়চাপে শেষ পর্যন্ত সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েই শেষ করেছে লেনদেন।
দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ৬২৩ পয়েন্ট। আর লেনদেন ২ হাজার ২১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান উদ্ধারকর্তা হলেও দ্বিতীয় দিন কোনো নির্দিষ্ট খাত নেতৃত্ব দেয়নি। যেসব কোম্পানি দর হারিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সূচকে বড় প্রভাব ফেলে এমন কোম্পানির দরপতন খুব একটা বেশি না হওয়া, বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর মতো বড় মূলধনি কোম্পানির দাম বৃদ্ধিতে রক্ষা পাওয়া গেল এবার।
তবে অনিশ্চয়তার কারণে লেনদেন কমে গেছে। শেয়ারে বিনিয়োগ না করে বিনিয়োগকারীরা যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, তা বোঝা যায় লেনদেনেই। আগের দিনের তুলনায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি কমেছে লেনদেন।
বুধবার সকালে লেনদেনের শুরুতে সূচক কিছুটা বাড়লেও পরে বেলা পৌনে একটার দিকে একপর্যায়ে তা আগের দিনের চেয়ে ৭৭ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময় এমন কোনো খাত ছিল না যেটাতে দরপতন হয়নি। পরে অবশ্য ক্রয়চাপে হারানো দর কিছুটা ফিরে পায় কোম্পানিগুলো। আর এতে কিছুটা উদ্ধার হয় হারানো সূচক। আর শেষ আধা ঘণ্টায় সূচক ফিরে পায় হারানো পুরোটা।
মঙ্গলবার লেনদেন চলাকালে দুপুরের দিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানায়, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স, বিকন ফার্মা, জিবিবি পাওয়ার, এমারেল্ড অয়েল, ন্যাশনাল ফিড মিল, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ঢাকা ডায়িং এবং ফুয়াং সিরামিক কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত হবে।
বিএসইসির পরিচালক শেখ মাহবুব উর রহমান, সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের প্রধান মইনুল হক এই তদন্ত করবেন। কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করবেন শেখ মাহবুব উর রহমান।
আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই নির্দেশ আসার সময় লেনদেন চলছিল। আর বাজার আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল ৩২ পয়েন্ট। লেনদেনও আগের দিনের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত ছিল। তবে গণমাধ্যমে নির্দেশনার খবরটি আসার পর শুরু হয় দরপতন। অবশ্য শেষ বেলায় সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলোর অল্প করে দর বৃদ্ধি আর আর্থিক খাতে উল্লম্ফনের পর দিন শেষে সূচক কমে ১০ পয়েন্টের মতো।
লেনদেন শেষে সেই ৯ কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির তদন্ত নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেজে। তখনই স্পষ্ট হয় যে একধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ফলে সেই নির্দেশনার প্রভাবটি মূলত পড়েছে দ্বিতীয় দিন।
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা এক দশকের মন্দাভাবের পর পুঁজিবাজার যখন স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে, লেনদেন যখন তিন হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই হয়ে শেয়ারগুলো হারানো দর ফিরে পাওয়ার অবস্থায়, সে সময় এ ধরনের তদন্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে করার কিছু নেই। বিএসইসি অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।
সেটা না করে বিজ্ঞপ্তি এলে কী হয়, তা চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেখা গেছে। ৫০ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে এমন কোম্পানিগুলো নিয়ে তদন্তে বাজারে ধস নামার উপক্রম হয়। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে এসে বিএসইসি সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয়। আর এরপর এক দিনেই ফিরে যাওয়া যায় হারানো সূচক।
ব্যাংক খাতে সেই পুরোনো চিত্র
উচ্চমূল্যের বহুজাতিক কোম্পানির তুলনায় আনুপাতিক হারে বেশি লভ্যাংশ পাওয়া ব্যাংক খাত যে অবমূল্যায়িত, সে বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে কোনো সংশয় নেই। চাঙা পুঁজিবাজারেও এই খাত কেন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, এমন আলোচনা চলার সময় মাঝেমধ্যে এক-দুই দিন দল বেঁধে শেয়ারমূল্য বাড়লেও পরদিনই যে কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়, তা দেখা গেল আবার।
আগের দিন ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছিল ২৮টির। এদিন এই খাতে লেনদেন শুরু করেছে নতুন কোম্পানি সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক। এই ব্যাংকটির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশই। তবে লেনদেন হয়েছে নগণ্যসংখ্যক। হাতবদল হয়েছে মাত্র ৮ হাজার ২৪৭টি।
সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে ১০টির। দাম ধরে রেখেছে ৫টি। কমেছে বাকি ১৭টিরই দর।
আগের দিন ২০ পয়সা বাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংক আজ হারিয়েছে ৩০ পয়সা, আগের দিন ২০ পয়সা বাড়া ওয়ান ব্যাংক হারিয়েছে ১০ পয়সা।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে নতুন সাউথবাংলা ছাড়া সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আল আরাফাহ ও পূবালীর শেয়ারে; ৩০ পয়সা করে। আর সবচেয়ে বেশি কমেছে রূপালীর ৭০ ও প্রাইম শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা করে।
ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলো এভাবে বানরের বাঁশ বেয়ে ওঠার মতো করেই চলছে গত কয়েক মাসে। গত ২৭ মে এক দিনে সাতটি ব্যাংকের দাম দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছা, আরও আটটির দাম সর্বোচ্চ অবস্থানের কাছাকাছি পৌঁছার দিন যে দাম ছিল, বর্তমানে ২০টির মতো ব্যাংক তার চেয়ে কমে লেনদেন হচ্ছে।
অথচ এবার ব্যাংকগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে, তা অনেকটাই ছিল চমক। আশঙ্কা ছিল করোনার সময় আয় তলানিতে নামবে। কিন্তু দেখা গেছে উল্টো। আর করোনার দ্বিতীয় বছরে আয় আরও বাড়ায় লভ্যাংশ বৃদ্ধির আশাও করা হচ্ছে।
ব্যাংকে আগের দিন লেনদেন ছিল ২৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আজ সেটি কমে হয়েছে ২১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
ব্যাংকের মতোই চিত্র আর্থিক খাতে। আগের দিন লেনদেন স্থগিত একটি ছাড়া দাম বেড়েছিল বাকি ২২টির সব কটির। দ্বিতীয় দিনে ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছেও সমানসংখ্যক।
টানা দ্বিতীয় দিন শতকরা প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফিনান্স ও ইসলামী ফিনান্সের শেয়ার দর। এ ছাড়া বিডি ফিনান্সের ৭০ পয়সা আর লভ্যাংশ ঘোষণার সভা ডাকা জিএসপি ফিনান্সের দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। বাকিগুলোর দর বৃদ্ধি আর কমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য নেই।
ব্যাংকের মতো লেনদেন কমেছে এই খাতেও। আগের দিন যেখানে হাতবদল হয়েছিল ২৫৯ কোটি ২৪ লাখ, সেখানে আজ লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি লেনেদেন বস্ত্রে, তুমুল আগ্রহ বেক্সিমকোতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমলেও বস্ত্র খাত বুধবার লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। তুলনামূলকভাবে শেয়ারের দামও বেশি বেড়েছে এই খাতেই।
এই খাতের ৫৮টি শেয়ারের মধ্যে দাম কমেছে ৩১টির, বেড়েছে ২২টির আর পাল্টায়নি ৫টির দর।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ৪১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.৮৮ শতাংশ বেড়েছে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর। বিএসইসি যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির তদন্তে নেমেছে, তার একটি এটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আদেশ জারির দিন শেয়ার দর কমলেও দ্বিতীয় দিনই দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার পর এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই কোম্পানিটি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী বিনিয়োগকারীরা।
এ ছাড়া মালেক স্পিনিংয়ের দাম ৮.০২ শতাংশ, বন্ধ থাকা তাল্লু স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৭.০৭ শতাংশ।
গত ২৮ এপ্রিলও তাল্লুর দর ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাম এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকা ছাড়িয়ে গেল।
এ ছাড়া রহিম টেক্সটাইলের ৬.২৪, বন্ধ থাকা তুংহাইয়ের ৫.৭১ ও দাম বৃদ্ধির ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দেয়া ঢাকা ডায়িংয়ের দাম বাড়ল ৫.৩২ শতাংশ।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মোট লেনদেন ২৬৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা হয়েছে। মূলত বেক্সিমকো লিমিটেডে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের কারণে সার্বিক লেনদেনের চতুর্থতে উঠে এসেছে এই খাতটি।
গত বছরের জুলাই থেকে আট গুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়া এই একটি কোম্পানিরই লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বিপুল লেনদেনের দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেল। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৬০ পয়সা। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০০ টাকার ওপরে ক্লোজ হয়েছে।
বিবিধ খাতে দাম বেড়েছে ৫টি কোম্পানির, কমেছে ৯টির। আগের দিনও একই পরিমাণ শেয়ারের দাম কমা ও বাড়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
ডিএসসিতে লেনদেনের সবশেষ চিত্র
অন্যান্য খাতের কী চিত্র
গত কয়েক দিনে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রকৌশল খাত আর দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর।
৯টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীকে কমেছে ৩২টির। হাতবদল হয়েছে ২৭৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৩৬০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতেও দরপতন ঘটেছে। বেড়েছে ৯টির দর, কমেছে ২১টির। কমেছে লেনদেনও। বুধবার হাতবদল হয়েছে ২২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ২৯৬ কোটি ১ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫টির দর। লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৭১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বিমা খাত দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতেই পারছে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অন্য দিনের তুলনায় তাও কিছুটা ভালো গেছে। ৩৬টি কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে বেড়েছে ১৩টির দর। লেনদেন হয়েছে ১০৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৬১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
লভ্যাংশে চমক থাকলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত দাঁড়াতেই পারছে না। টানা চারদিন দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। ৬টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩টির দরেই। আর অপরিবর্তিত ছিল ৭টির দর। লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছে ৮৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। ৯টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১১টির দর। লেনদেন হয়েছে ৭৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চারটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৭টির দর। লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৬৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।