বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লভ্যাংশ সবচেয়ে বেশি আসতে পারে গ্রামীণ টুর

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৯:১৮

মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ আয় আছে গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৯১ পয়সা আয় আছে তাদের। আর গত বছরও কোনো লোকসান নেই। ফলে চতুর্থ প্রান্তিকে যত আয় হবে, সেটি যোগ করে তার ওপর ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন ইউনিটধারীরা। চতুর্থ প্রান্তিকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। আর প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যখন ৯৭০ পয়েন্ট বাড়ে, তখন গ্রামীণ টু ইউনিটপ্রতি আয় করে ৩ টাকা ৭ পয়সা। তারপরও চতুর্থ প্রান্তিকে যদি কোনো আয়ও না হয়, তার পরেও ন্যূনতম লভ্যাংশ আসবে ২ টাকা ৭৩ পয়সা।

একই সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের একটির ইউনিটপ্রতি আয় ২ টাকা ৩৫ পয়সা, একটির আয় ১ টাকা ৮৭ পয়সা। একই নীতিমালায় ঘোষণা হলেও প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয়টির লভ্যাংশ এসেছে দেড় গুণ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ডিসেম্বরে অর্থবছর শেষ হয়েছে এমন ছয়টি এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সবগুলোই এবার ইউনিটধারীদেরকে রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এগুলোর ইউনিটপ্রতি আয় আর লভ্যাংশের মধ্যে পার্থক্য দেখা গেছে।

এর কারণ, ফান্ডগুলোর গত বছরের ব্যালান্স শিট। যেগুলো গত বছর লোকসান দিয়েছিল, সেগুলোর এবার লভ্যাংশ আসছে কম। আর যেগুলো গত বছর মুনাফায় ছিল বা নূন্যতম লোকসান দিয়েছে, সেগুলোর লভ্যাংশ আসছে বেশি।

জুনে অর্থবছর শেষ হয়েছে এমন আরও যে ২৩টি ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণার বাকি আছে, সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর লভ্যাংশ কী পরিমাণ হতে পারে, তার একটি ধারণা এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এতে এটা স্পষ্ট যে, সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা আছে গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বা পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ফান্ডগুলো চলে একই নীতিতে। তাদের আয়ের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নগদে লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হয়। তবে গ্রোথ ফান্ড হলে লভ্যাংশ দিতে হয় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ।

বছর সাতেক আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এক আদেশে জানায়, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো লভ্যাংশ নগদের বদলে চাইলে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিটেও দিতে পারবে। তবে সেই রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের মারপ্যাঁচ ছিল বেশ জটিল। ফলে বিনিয়োগকারীরা আসলে কত লভ্যাংশ পেল তা বোঝা ছিল কঠিন।

আবার এক বছর মুনাফা করে পরের বছর যদি লোকসান হয়, তাহলে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের দামও কমে যেত। ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসান আরও বাড়ত।

এই পরিস্থিতিতে গত বছর থেকে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিট দেয়ার বিধান বাতিল হয়। এবার থেকে আর সে সুযোগ নেই। ফলে দিতে হচ্ছে নগদেই।

২০২০ সালে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মার্চ থেকে পুঁজিবাজারে যে ধস নামে তাতে জুনে অর্থবছর শেষ হয় এমন সিংগভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড বড় অংকের লোকসান দেয়। যে কয়টি মুনাফা করে, সেগুলোও ছিল নগণ্য।

কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে যে অবিশ্বাস্য উত্থান, তাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও ব্যাপক মুনাফায় আছে। আর এ কারণে এবার লভ্যাংশও আসছে ভালো।

এবার বিভিন্ন ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের ঘোষণার পর স্পষ্ট হচ্ছে কোন নীতিমালায় লভ্যাংশ আসবে।

আগের বছর যদি কোনো ফান্ডের লোকসান থাকে, তাহলে সেটির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুযোগ থাকে। আর এ কারণে জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত যত আয় হয়েছে, তার বিপরীতে ‘সর্বোচ্চ’ লভ্যাংশ পাওয়া যায়নি।

এখন পর্যন্ত ঘোষণা হয়েছে ছয়টি ফান্ডের লভ্যাংশ। এর মধ্যে কেবল একটি গত বছর মুনাফায় ছিল। আর এ কারণে তারা ইউনিটপ্রতি এবার ১ টাকা ৮১ পয়সা আয় করেও দেড় টাকা লভ্যাংশ দিতে পেরেছে। অন্যদিকে গত বছরের লোকসানের কারণে ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৩৫ পয়সা আয় করেও এবার লভ্যাংশ এসেছে এক টাকা।

এখন পর্যন্ত জুন ক্লোজিং যে ছয়টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যে ফান্ডটি সময়ে সবচেয়ে কম আয় করেছে, তারা আয় করেছে ১৮ পয়সা। আর সবচেয়ে বেশি আয় করেছে একটি ১ টাকা ২৫ পয়সা। ১ টাকার বেশি আয় করেছে আরও একটি ফান্ড।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সবচেয়ে বেশি বিতরণযোগ্য আয় যাদের

৩০ জুন অর্থবছর শেষ হয়, পুঁজিবাজারে এমন ফান্ডের সংখ্যা ২৯টি। এর মধ্যে ৬টি লভ্যাংশ ঘোষণা করার পাশাপাশি আরও ১০টি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে। বাকি ১৩টি ফান্ড এখনও এই সিদ্ধান্ত জানায়নি।

সব মিলিয়ে ২৩টি ফান্ডের মধ্যে মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ আয় আছে গ্রামীণ টু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৯১ পয়সা আয় আছে তাদের। আর গত বছরও কোনো লোকসান নেই। ফলে চতুর্থ প্রান্তিকে যত আয় হবে, সেটি যোগ করে তার ওপর ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন ইউনিটধারীরা।

চতুর্থ প্রান্তিকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। আর প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যখন ৯৭০ পয়েন্ট বাড়ে, তখন গ্রামীণ টু ইউনিটপ্রতি আয় করে ৩ টাকা ৭ পয়সা।

তারপরও চতুর্থ প্রান্তিকে যদি কোনো আয়ও না হয়, তার পরেও ন্যূনতম লভ্যাংশ আসবে ২ টাকা ৭৩ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিতরণযোগ্য আয় আছে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। মার্চ শেষে তাদের ইউনিটপ্রতি আয় ৭৯ পয়সা। গত বছর লোকসান ৪ পয়সা, হাতে থাকে ৭৫ পয়সা। এর সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে তৃতীয় সর্বোচ্চ বিতরণযোগ্য আয় আছে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। মার্চ শেষে তাদের ইউনিটপ্রতি আয় ১ টাকা ১৯ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি ৪৮ পয়সা লোকসান দেয়ায় তাদের হাতে থাকে ৭১ পয়সা। এর সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ৮ ফান্ডের যে চিত্র

২০২০ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত আটটি ফান্ড গত বছর মন্দা বাজারেও কোনো লোকসান দেয়নি। কিন্তু চলতি বছরের চাঙা বাজারেও বছরের তিন প্রান্তিকে তাদের ইউনিটপ্রতি আয় আহামরি কিছু হয়নি। এ কারণে তারা এবারের আয়ের পুরোটার ওপরও যদি লভ্যাংশ বিতরণ করে, তার পরেও মূলত নির্ভর করতে হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়ের ওপর।

এই ফান্ডগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে আগামী বুধবার।

এর মধ্যে আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিকে শেষে ৩০ পয়সা, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩১ পয়সা, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২৫ পয়সা, আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৩০ পয়সা, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ৪১ পয়সা, আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ১১ পয়সা, ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২৮ পয়সা আর প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল ৪১ পয়সা আয় করেছে।

এই ফান্ডগুলোর বেশিরভাগ গত বছর ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ বিতরণ করেছিল।

ব্যাপক আয় থাকা সত্ত্বেও লভ্যাংশ কম হওয়ার আভাস

মার্চ শেষে ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি আয় ১ টাকা ৮৩ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকে যদি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়ও হয়, তার পরেও লভ্যাংশ কিছুটা কম হবে। কারণ, গত বছরের লোকসান ১ টাকা ৩৫ টাকা। হাতে থাকে ৪৮ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মার্চ শেষে আয় ১ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর তাদের লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। তাদেরও বিতরণযোগ্য আয় আছে ৪৮ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২০ পয়সা। গত বছর ইউনিটে লোকসান ছিল ৭৫ পয়সা। ফলে বিতরণযোগ্য আছে ৪৫ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২৩ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। ফলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বিতরণযোগ্য আয় আছে আসলে ৪৩ পয়সা। এরপর যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি আয়করেছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা। হাতে থাকে ৪৩ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছর ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। হাতে থাকে ৪২ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় আছে ১ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর ফান্ডটির লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। হাতে থাকে ৩৬ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। হাতে থাকে ২১ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

মার্চ শেষে এফবিএফআইএফের ইউনিটপ্রতি আয় ১ টাকা ৭৫ পয়সা। গত বছর এটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দেয় ১ টাকা ৫৫ পয়সা। ফলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে হাতে থাকে ২০ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। ফলে বিতরণযোগ্য থাকে ১৮ পয়সা। সঙ্গে যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। কিন্তু ফান্ডটি গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা। ফলে ফলে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বিতরণযোগ্য আয় আছে আসলে ২ পয়সা। এরপর যোগ হবে চতুর্থ প্রান্তিকের আয়।

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ১ টাকা ৪০ পয়সা আয় করলেও চতুর্থ প্রান্তিকে অভাবনীয় আয় না হলে ভালো লভ্যাংশ আসার সম্ভাবনা কম। কারণ, গত বছর ইউনিটপ্রতি ফান্ডটি ১ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। ফলে এর পুরোটা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে গেলে এখনও লাগবে ২৯ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকের আয় থেকে সেই ক্ষতি পুষিয়ে এরপর লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

‍২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ফান্ডটি অর্থবছর শেষে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৬৭ পয়সা আয় করেও লভ্যাংশ দিয়েছিল ১৬ পয়সা। কারণ, আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান ছিল তাদের। আর অর্থবছরের পুরো আয় দিয়েও সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়নি। ফলে আগামী বছরও কিছু সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে।

লভ্যাংশ ঘোষণা করা ৬ ফান্ডের চতুর্থ প্রান্তিকের আয় কত

প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা কার এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছর শেষে ইউনিট প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ১৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৯৬ পয়সা। এর পরে চাঙা তিন মাসে তারা খুব একটা আয় বাড়াতে পারেনি। এ সময়ে আয় হয়েছে ১৮ পয়সা, যা চার প্রান্তিকের আয়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল পরিচালিত ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার ইউনিট প্রতি আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় করেছে সবচেয়ে বেশি; ১ টাকা ২ পয়সা।

গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড চতুর্থ প্রান্তিকে এর চেয়ে বেশি আয় করেছে। তাদের মোট আয় ২ টাকা ১৩ পয়সা। যার মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্তই এসেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।

স্ট্র্যটেজিক ইক্যুইটি ফান্ড পরিচালনা করে মোট তিনটি। এগুলোর একেকটি একেক ধরনের আয় করেছে তৃতীয় প্রান্তিকে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ইউনিটপ্রতি মোট আয় করেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে হয়েছে ৭০ পয়সা।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ইউনিট প্রতি আয় করেছে মোট ১ টাকা ৮৭ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় করেছে ৩৩ পয়সা।

অন্যদিকে এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড বছর শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এর মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে এসেছে ৫৪ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর