বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকে উত্থানের দিনও দুর্বল কোম্পানির কদর

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ১৪:২২

মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টিই এই ধরনের কোম্পানি, যার একটির কখনও লভ্যাংশ দেয়ার রেকর্ড নেই আর একটি সবশেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে। আর ব্যাংকের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারে আরও একটি ভালো দিন গেল। সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্টের বেশি। আর এর মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে। সবেচেয় বড় বাজার মূলধনের খাতটিতে বেড়েছে সবগুলোর দর।

পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যেও ব্যাংক খাতের ঝিমিয়ে থাকার আলোচনার মধ্যে অবশেষে এলো একটি ভালো দিন। প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বেড়েছে লেনদেনও।

তবে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের এই আগ্রহের মধ্যেও স্বল্প মুলধনী, দুর্বল, লোকসানি কোম্পানিতে আগ্রহে ভাটা পড়েনি এতটুকু।

মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টিই এই ধরনের কোম্পানি, যার একটির কখনও লভ্যাংশ দেয়ার রেকর্ড নেই আর একটি সবশেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে।

ব্যাংকের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারে আরও একটি ভালো দিন গেল। সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্টের বেশি। আর এর মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে। ওই দিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৫৮৭ পয়েন্ট। এর চেয়ে ৫২ পয়েন্ট কমে শেষ হয় দিনের লেনদেন।

লেনদেনেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। গত ১০ জুনের পর সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিন লেনদেন হলো দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ১২৭ কোটি টাকা।

খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংকে বেড়েছে সবগুলোর দর। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতও টানা দ্বিতীয় দিন ছিল চাঙা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও ছয়টি ছাড়া বেড়েছে সবগুলোর দর।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও যতগুলোর দর কমেছে, বেড়েছে তার চেয়ে বেশি।

ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।

আগের দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া বস্ত্র খাত দর হারিয়েছে। আর দর পতনের বৃত্তে থাকা বিমা খাতের বিনিয়োগকারীদের পকেট আরও ফাঁকা হয়েছে। সিংহভাগ কোম্পানির দর কমল পর পর দ্বিতীয় দিন।

সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়লেও পরে তা কমে আগের দিনের সমান অবস্থানে চলে যায়। তখনও ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলোতে গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় দেখা যায় স্থবিরতা। কোনো কোম্পানির দাম বাড়ে ১০ পয়সা, তো অন্য একটি কোম্পানির কমে ১০ পয়সা।

বেলা ১১টার পর থেকে ব্যাংক খাতে ঝুঁকতে শুরু করে বিনিয়োগকারীরা। আর মুহূর্তেই সূচকে ঘরে উত্থান। বেলা ১টা ৬ মিনিটে তা ৬ হাজার ৫৪৭ পয়েন্ট উঠে। এরপর কিছুটা কমলেও দুইটায় লেনদেন শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে তা উঠে ৬ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে। তবে শেষ মুহূর্তে সমন্বয়ের কারণে সেখান থেকে ১৪ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।

অবশেষে ব্যাংকে আগ্রহ

২০২০ সালে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ বিতরণ, চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে বিস্ময়কর আয়ে আগামীতে লভ্যাংশ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশার মধ্যেও এই খাত নিয়ে ছিল হতাশাই।

গত ২৭ মে এক দিনে সব খাতের দর বৃদ্ধি, দিনের সর্বোচ্চ দরে সাতটি ব্যাংকের লেনদেন, আরও সাতটির কিছুটা কম দামে লেনদেন শেষ করার পর এই খাতটিও চাঙা হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। সেখান থেকে দাম খুব একটি না কমলেও এরপর বিমা, বস্ত্র, প্রকৌশল এমনকি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকলেও ব্যাংক কেন ঝিমিয়ে, তা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির হতে থাকে।

দিনের শুরুটাও ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। তবে এক পর্যায়ে সব ব্যাংকের দামই অনেকটাই বেড়ে যায়। যদিও পরে বিক্রয়ের চাপে দাম কিছুটা কমে আসে। তার পরেও দিন শেষে একটিও ব্যাংকের দাম না কমার চিত্র ২৭ মের পর ঘটেছে হাতে গোনা দুই এক দিন। তার এর আগে এমটি যেদিন ঘটেছে, সেদিন দাম বাড়ার হার খুব একটা বেশি ছিল না।

তবে এমন ভালো দিনেও সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে কেবল একটি ছিল ব্যাংকের। আর এই খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম বাড়া কোম্পানিটির অবস্থান সামগ্রিক তালিকায় ৩২ নম্বরে।

আইএফআইসি ব্যাংকের দাম বেড়েছে ৮.১৪ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের বেড়েছে ৪.০৮ শতাংশ।

এ ছাড়া প্রিমিয়ারের ৩.৬৭, এবির ৩.৬৫, রূপালীর ৩.৪৯, ডাচ-বাংলার ৩.৩৬, মার্কেন্টাইলের ৩.২৬, ইউসিবির ৩.১২, ব্যাংক এশিয়ার ৩.০৯, ওয়ান ব্যাংকের ৩.০৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৪৬.২৩ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ব্যাংকের মতো আর্থিক খাতেও পর পর দ্বিতীয় দিন দেখা গেছে চাঙাভাব। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরেই। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৬টির আর পাল্টায়নি ৩টির দর।

ব্যাংকের মতো এই খাতের কোম্পানিতেও বিনিয়োগ বেড়েছে। আজ হাতবদল হয়েছে ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

আগ্রহ ধরে রাখল জ্বালানি খাত

ব্যাংকের মতোই জ্বালানি খাতের ঝিমিয়ে থাকা নিয়েও আলোচনা ছিল ব্যাপক। অথচ করোনাকালে এই খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা খারাপ হয়নি। চলে এসেছে লভ্যাংশ ঘোষণার সময়ও।

এর মধ্যে আগের দিন এই খাতটিরে গা ঝাড়া দেয়ার বিষয়টি শেয়ারধারীদেরকে কিছুটা হলেও আশাবাদী করেছিল। পর পর দ্বিতীয় দিন এই চিত্রে সেই আশা আরও বড় হয়েছে।

এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৬টির, বেড়েছে বাকি ১৭টিরই।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমন দ্বিতীয় কোম্পানিটি এই খাতের। সিভিও পেট্রোক্যামিকেলের কম বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। তবে কোম্পানিটি লোকসানে আর লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে কি না, এ নিয়ে আছে সংশয়।এ ছাড়া ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৬.২০ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩.৫৩, পদ্মা ও যমুনা অয়েলের ২.৩৬ শতাংশ করে আর এমজেএল বিডির দর বেড়েছে ১.৯৩ শতাংশ।

এই খাতেও লেনদেন বেড়েছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ১৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৩৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাড়ল

তালিকাভুক্ত ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় ৩০টি। এর মধ্যে ৫টি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন ফান্ডগুলো এবার যে হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে, তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি। এ কারণে পুঁজিবাজারের ফান্ডগুলোতেও তৈরি হয়েছে আগ্রহ।

এই ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৯টির, আর অপরিবর্তিত ১৪টির দর।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ৯ আগস্ট লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ দেয়া এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড। আগের দিনের দরের সঙ্গে যোগ হয়েছে ৪.৮০ শতাংশ।

একই দিন লভ্যাংশ ঘোষণার জন্য ট্রাস্টি বৈঠক ডাকা এইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের দাম বেড়েছে ৪.৭৬ শতাংশ।

এ ছাড়া ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৪.৬৭ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ২.৯৬ শতাংশ, এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৭৮ শতাংশ, ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের দাম বেড়েছে ২.৭৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এই খাতেও লেনদেন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। হাতবদল হয়েছে ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৩ কোটি ১ লাখ টাকা।

দুর্বল কোম্পানিতে আগ্রহ কমছে না

চাঙা পুঁজিবাজারে বন্ধ, লোকসানি কোম্পানির শেয়ার দর ক্রমাগত বাড়তে থাকা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে গত কয়েক মাস ধরেই। বলাবলি হচ্ছিল, মৌলভিত্তিক কোম্পানিতে আগ্রহ না থাকায় এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

তবে মৌলভিত্তির ব্যাংকের দর ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির দিনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

দিনের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল লোকসানের কারণে গত বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তবে এবার লোকসান বেড়েছে আরও। গত বছর শেয়ার প্রতি ৫১ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এবার তিন প্রান্তিকেই লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা।

এই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইস ১১৫ টাকা ৪০ পয়সাতে বিক্রি হতো না খুব একটা। ফ্লোর তুলে দেয়ার পর টাকা ১৩ কর্মদিবস কমে ৮৩ টাকা ২০ পয়সায় নেমে এসেছিল।

সেই কোম্পানিটিই গত কয়েকদিন ধরে দাম বাড়তে বাড়তে এখন দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা। আজ বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।

লোকসানের কারণে কখনও লভ্যাংশ দিতে না পারা সাভার রিফ্রাকটরিজের দামও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ২৮ পয়সা সম্পদমূল্যের কোম্পানিটির দর এক দিনে ১৮ টাকা বেড়ে এক পর্যায়ে উঠে যায় ২২৭ টাকা। যদিও এই দাম বেড়েছে দিনের শেষ বেলায়, যে কারণে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের কারণে দাম দাঁড়ায় ২১৩ টাকা।

এ ছাড়া লোকসানে থাকা আজিজ পাইপের দাম বেড়েছে ৮.৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ২৩ পয়সা লোকসান দেয়া জেমিসি সি ফুডের দাম বেড়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা, তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১১ পয়সা লোকসান দেয়া অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের দাম কমেছে ৮ শতাংশ।

বিমার আরও একটি খারাপ দিন, দর হারাল বস্ত্র খাতও

জুনের মাঝামাঝি সময়ে সংশোধনে যাওয়া বিমা খাত মহামারির বছরে প্রথম ৬ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।

তার পরেও পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না এই খাতটি। এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ১১টির। অন্যদিকে দর হারিয়েছে ৩৯টি কোম্পানি। পাল্টায়নি বাকি একটির দাম।

এই খাতে লেনদেনও কমেছে। আজ হাতবদল হয়েছে ১৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ২০১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

পোশাক খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার অর্ডার পাওয়ার খবরে আগের দিন ব্যাপকভাবে চাঙা থাকা বস্ত্র খাদের দর হারানো ছিল কিছুটা অবাক করার মতো। আগের দিন এই খাতের ৫৪টি কোম্পানির মধ্যে যেখানে দর বেড়েছিল ৫৪টির, সেখানে আজ এই খাতে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ৪০টির, পাল্টায়নি বাকি ৩টির দর।

লেনদেনও কমেছে। আজ হাতবদল হয়েছে ২৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ২৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতে কী চিত্র

টানা তিন কর্মদিবস লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে প্রকৌশল খাতই। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে তা।

আজ এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৩১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির, কমেছেও সমান সংখ্যক কোম্পানির। আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ১৬টির। লেনদেন হয়েছে মোট ২৩৭ কোটি ৮ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৩০৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক থাকে বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির।

হাতবদল হয়েছে মোট ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ১০৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

বেক্সিমকোর সর্বাধিক লেনদেন হওয়ার তালিকায় শীর্ষে ফেরার সুবাদে ব্যাপকভাবে লেনদেন বেড়েছে বিবিধ খাতে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোটি ১৭৮ কোটি ৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

এই লেনদেনের মধ্যে কেবল বেক্সিমকোর শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১০৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির, কমেছে বাকিগুলোর।

সূচক ও লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৫৩৫ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে তৈরি হওয়া শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪২৪ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের এই অবস্থান ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৫টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৮টির, কমেছে ১৭০টির এবং পাল্টায়নি ২৭টি কোম্পানির দর।

লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে সূচকটি ১৯ হাজার ২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের দিন এটি ছিল ৭৩ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর