বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক মাসে এমারেল্ডের ১০% শেয়ার কিনল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২১ ১৬:৩৬

এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড আবারও চালু হচ্ছে জাপানি বিনিয়োগে। ধানের কুঁড়া থেকে তেল উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর এমন তথ্য জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

পুঁজিবাজারে লোকসানি কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল লিমিটেডের শেয়ার কিনছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। গত এক মাসে কোম্পানিটির প্রায় ১০ শতাংশ শেয়ার কিনেছে তারা। এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে তথ্য না থাকলেও তথ্য আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।

এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড আবারও চালু হচ্ছে জাপানি বিনিয়োগে। ধানের কুঁড়া থেকে তেল উৎপাদনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর এমন তথ্য জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

নিউজবাংলার সঙ্গে আলোচনায় বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানালেন, কোম্পানিটিকে নিয়ে খুবই আশাবাদী তিনি। তারা যেসব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছিলেন, তার মধ্যে রিং শাইন ও আলহাজ টেক্সটাইল এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে।

তিনি বলেন, রিং শাইন প্রোডাকশনের চলে আসছে। এমারেল্ড অয়েলও প্রোডাকশনে চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এরপর আলোচনায় আসে বাংলাদেশে ব্যবসারত জাপানের মিনোরি লিমিটেডের। কোম্পানিটি ২০১৯ সালে এমারেল্ড অয়েলের ৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল। প্রায় পাঁচ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটিকে তাদের মাধ্যমেই আবার চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

বলা হয়, মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড এমারেল্ড অয়েলের আরও প্রায় ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনার কথা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও আলোচনা আগের মতোই আছে। আমরা চেষ্টা করছি।’

শেয়ার কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে যে পরিমাণ শেয়ার ছিল এখনও তাই আছে। কোম্পানিটি চালু করতে কিছু প্রক্রিয়া আছে। সেগুলো সম্পূর্ণ হওয়ার পর অশীদারত্ব আরও বাড়ানো হবে।

তবে কোম্পানিটির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ সুদে আসলে বেড়ে ১০০ কোটি টাকার মতো হয়ে গেছে। এখন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে সুদ মওকুফের চেষ্টা চলছে। সেটি হয়ে গেলেই কোম্পানিটিকে উৎপাদনে আনার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত এই পরিচালক।

পরিবর্তন হয়নি ডিএসইতে

মে থেকে জুন এই এক মাসে কোম্পানিটির ৯.৭৮ শতাংশ শেয়ার হাতবদল হয়ে তা জমা হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশে। সে তথ্য নেই দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৩০ জুনে মোট শেয়ারের ৩০.৪৫ শতাংশ শেয়ার ছিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল ৭.৯৪ শতাংশ আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল ৬১.৬১ শতাংশ শেয়ার।

২০২১ সালের ৩ মার্চে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। তারপর ৩০ এপ্রিলে পরিবর্তন হয় শেয়ার ধারণের পরিসংখ্যান।

এই সময়ে কোম্পানিটির উদোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৪৫ শতাংশ শেয়ার থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার অংশ বৃদ্ধি করে ১৮.৮০ শতাংশে উন্নীত করে। যার পুরোটা নেয়া হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। এ সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকে মোট শেয়ারের ৫০.৭৫ শতাংশ শেয়ার।

এরপর ৩১ মে ২০২১ সময়ে আবারও পরিবর্তন হয় শেয়ার ধারণের পরিসংখ্যান। এ সময়ে দেখানো হয় কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে আছে মোট শেয়ারের ৩৮.২৬ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনেয়াগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে নামিয়ে আনে ১২.৪১ শতাংশে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশও কমে দাঁড়ায় ৪৯.৩৩ শতাংশে।

এরপর ডিএসই এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারধারণ-সম্পর্কিত কোনো তথ্য যুক্ত করেনি।

যেহেতু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আগেই জানিয়েছে মিনোরি বাংলাদেশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনবে কিন্তু ডিএসই ওয়েবসাইটে এ-সম্পর্কিত কোনো তথ্য না থাকায় বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন তোলেন জুলাই শেষ হলেও জুনের তথ্য কেন নেই ডিএসইতে।

সিএসইর তথ্য শেয়ার কিনছে প্রাতিষ্ঠানিকরা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ঠিকই কোম্পানিটির জুনের তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেখানে মে থেকে জুন সময়ে কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন বলে তথ্য দেয়া হয়েছে।

সিএসই তথ্যে বলা হয়েছে, জুন শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮.২৬ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে অপরিবর্তিত থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশে যুক্ত হয়েছে ৯.৭৮ শতাংশ শেয়ার। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে মোট শেয়ারের ২২.১৯ শতাংশ শেয়ার আছে বলা হয়েছে। বিপরীতে জুন শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশের শেয়ার আছে ৩৯.৫৫ শতাংশ, মে মাসে যা ছিল ৪৯.৩৩ শতাংশ।

ডিএসইর বক্তব্য

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক ও মুখপাত্র শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে ডিএসইর রিসার্চ বিভাগ। তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে স্পষ্ট করা যাবে।

বিনিয়োগাকরীরা যেন সঠিক সময়ে সঠিত তথ্য পেতে পারে সে জন্যও কাজ করছে ডিএসই বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর