পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন আরও দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার একটি ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা এবং একটি ৭০ পয়সা করে দেবে বিনিয়োগকারীদের।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ক্যাপিটেক পরিচালিত মেয়াদহীন এই ফান্ড দুটির মধ্যে ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ আর পদ্মা প্রভিডেন্ট ফান্ড শরিয়াহ ইউনিট ফান্ড ৭ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় লভ্যাংশসংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে পপুলার লাইফ ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। আর পদ্মা লাইফ ফান্ডের আয় হয়েছে ৭২ পয়সা।
গত ৩০ জুন যাদের কাছে ফান্ড দুটির ইউনিট ছিল, তারাই এই লভ্যাংশ পাবেন।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর একটি অংশ যেমন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত, তেমনি একটি অংশ আবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হয়েই পরিচালিত হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তগুলোর মধ্যে জুন ক্লোজিংয়ের কোনোটি এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা না করলেও তালিকাবহির্ভূত পাঁচটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে এএএমএল ইউনিট ফান্ড। তারা ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৪৩ টাকা আয় করে আড়াই টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে শান্তা ফার্স্ট ইনকাম প্রোপার্টি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা আর আইডিএলসি ব্যালেন্সড ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৭ পয়সা আয় করে দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। এই দুটি ফান্ডই গত বছর লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
পুঁজিবাজারের একটির লভ্যাংশ নিয়ে সভা আহ্বান
পুঁজিবাজারে বর্তমানে যে ৩৬টি ফান্ড তহবিল ব্যবস্থাপনা করছে, তার মধ্যে জুনে অর্থবছর শেষ হয়েছে ৩০টির। এগুলোর মধ্যে একটি ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত তারিখ জানিয়েছে।
এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড আগামী ৮ আগস্ট বেলা দেড়টায় লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত সভা ডেকেছে।
এই ফান্ডটি গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা মুনাফা করেছে।
এই মুনাফার সিংহভাগ হয়েছে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে, যখন পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছিল ৯৭৭ পয়েন্ট। সে সময় ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১৯ পয়সা আয় করেছিল।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে যখন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সূচক ৫৪০ পয়েন্ট বাড়ে, তখন এই ফান্ডের আয় হয় ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের সূচক ৩৪০ পয়েন্ট কমলেও এই ফান্ড মুনাফা করে ২৩ পয়সা। আর চতুর্থ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৮৮০ পয়েন্ট। ফলে প্রথম প্রান্তিকের কাছাকাছি যদি তারা আয় করতে পারে, তাহলে এবার বেশ ভালো মুনাফার প্রত্যাশা করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিধিমালা অনুযায়ী আয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ নগদে বিতরণ করতে হবে। তবে আগের বছর লোকসান দিলে তা সমন্বয় করা যাবে।
২০২০ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে পুঁজিবাজারে মন্দার মধ্যে এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।
বুধবার ফান্ডটি লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সায়।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড তার সম্পদমূল্যের চেয়ে কমে লেনদেন হলেও ব্যতিক্রম এই ফান্ডটি। গত রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এর ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ১১ টাকা ৫৬ পয়সা।