বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রণোদনার ঋণ নিয়ে প্রতিবেদনের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৩:১৮

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন না প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে এসেছে, এমন খবরে পতন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন বিনিয়োগ বাড়ার অনেক কারণ আছে। শুধু প্রণোদনার টাকার কারণে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বেড়েছে এটা ঠিক না।’

প্রণোদনার ঋণ পুঁজিবাজারে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশের পর টানা দুই দিন পড়ল উড়তে থাকা পুঁজিবাজার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা মুদ্রানীতি নিয়ে সংশয়।

প্রতি বছর মুদ্রানীতি প্রকাশের আগে আগে পুঁজিবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়, যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

আগামী এক বছরের আর্থিক বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেমন দেখতে চায় তা এই মুদ্রানীতিতে উল্লেখ থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করে তাহলে তারা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমায়, আর যদি সম্প্রসারণমূলক ঘোষণা করে, তাহলে প্রবৃদ্ধি বাড়ায়।

করোনাকালে এমনিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কম। উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ না করে হাত গুটিয়ে ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বহুজন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

অবশ্য টানা দ্বিতীয় দিনের এই পতন নিয়ে বাজারসংশ্লিষ্টরা কিছু নেতিবাচক ভাবছেন না। তারা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে কয়েক দিন পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ার পর কিছুটা দর সংশোধন স্বাভাবিক। আর সংশোধনে সূচকের এমন কোনো পতন হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা লেনদেন কমার বদলে বাড়ছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন না প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে এসেছে, এমন খবরে পতন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন বিনিয়োগ বাড়ার অনেক কারণ আছে। শুধু প্রণোদনার টাকার কারণে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বেড়েছে এটা ঠিক না।’

তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার টাকা যদি পুঁজিবাজারে এসে থাকে তাহলে কত বিনিয়োগ হয়েছে, সেটি প্রকাশ করা উচিত ছিল।’

তার মতে, পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য আছে তবে ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরও এ সময়ে বেড়েছে। ফলে যারা কয়েক সপ্তাহ আগে শেয়ার কিনেছেন তাদের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হওয়ায় এখন বিক্রির চাপ বেড়েছে। ফলে সূচক কমছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই।

মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে ওঠে। তারপর কমে আসে সূচক বৃদ্ধির হার। এরপর আবারও ১১টা ৯ মিনিটে সূচক ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। সেখান থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে সূচক, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর ঢালাও পতন হলেও বিমা ও বস্ত্র খাতের উত্থান ছিল উল্লেখযোগ্য। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের দরও খুব বেশি বাড়েনি এদিন।

ঝিমিয়ে ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড

লেনদেন হওয়া ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র তিনটি ব্যাংকের শেয়ারে দর বেড়েছে। পাল্টায়নি পাঁচটির। বাকি ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের ২.০৩ শতাংশ। শেয়ার দর ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ১০ পয়সা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১.২৬ শতাংশ। ৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা।

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ১৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার দর ৩৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ২০ পয়সা।

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১.৯৬ শতাংশ। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের ১.৮৬ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ১.৫০ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার ১.৪৬ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ১.৩২ শতাংশ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.২৯ শতাংশ।

এছাড়া পূবালী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি। সোমবার হাতবদল হয়েছিল মোট ১১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ছয়টি ফান্ডের দর বেড়েছে, পাল্টায়নি নয়টির। বাকি ২২টি ফান্ডের দর কমেছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের, ৩.১৯ শতাংশ। সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ২.৯০ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ২.৩৪ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের দর কমেছে ১.৯৬ শতাংশ।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার যা আগের দিন ছিল ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বেশ কিছু দিন পর বস্ত্র ও বিমার উত্থান

চলতি সপ্তাহের প্রথম দুদিন লেনদেনে বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ার দর ছিল তলানিতে। মঙ্গলবার সে অবস্থা থেকে বের হয়ে উত্থানে ফিরেছে দুই খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দর।

এদিন দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায়র শীর্ষে ছিল বিমা খাতের পিপলস ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। শেয়র দর ৪৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা।

বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৫.৯৭ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫.৮৫ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫.৪৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৪.৯১ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৪.১৮ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৩.৭৩ কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৩.৫৯ শতাংশ আর রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৩১ শতাংশ।

নিটল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৮২ শতাংশ পর্যন্ত।

এই খাতে লেনদেন দীর্ঘদিন পর দুইশ কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। লেনদেন হয়েছে মোট ২১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা যে কোনো খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ১৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

বিমার ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দুটির লেনদেন ছিল স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ১২টির। বেড়েছে বাকি ৩৭টির দর।

অন্যদিকে বস্ত্র খাতে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত দেখা গেছে ৭টির দর, আর বেড়েছে বাকি ৪০টির দর। ঈদের আগে থেকে দর সংশোধনের মধ্যে বেশ কয়েকদিন পর এই চিত্র দেখা গেছে এই খাতে।

দর বৃদ্ধির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানি। অন্যদিকে গত কয়েকদিনে বেশ বেড়েছিল, এমন বেশ কিছু কোম্পানি দর হারিয়েছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১০৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

ঘুরে দাঁড়িয়েছে লোকসানি কোম্পানি

সোমবার লেনদেন শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানি বা জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ছিল তলানিতে। একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এ খাতের শেয়ার দর। ওঠে এসেছে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায়।

এ খাতের বিচ হ্যাচারি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৩৩ শতাংশ, ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ৫০ পয়সা।

তুং হাই নিটিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৪৫ শতাংশ, ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।

জুট স্পিনার্সের দর বেড়েছে ৪.৯৮ শতাংশ, ১৩২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৯ টাকা।

দর বৃদ্ধির তালিকায় আছে লোকসানি প্রতিষ্ঠান ফাস ফিনান্স ও ফারইস্ট ফিনান্সও। এই দুই কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে যথাক্রমে ৪.৫৪ ও ৪.২৮ শতাংশ।

এছাড়া তাল্লু স্পিনিং, ফ্যামিলি টেক্সের শেয়ার দরও বেড়েছে মঙ্গলবার।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ৩০টি কোম্পানি দর হারিয়েছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৬৪ কোটি টাকা।

আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে পরপর দ্বিতীয় দিন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ১৬টির।

আগের দিন লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও আজ লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল এই খাত। হাতবদল হয়েছে মোট ১৫১ কোটি ২১ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আবার দরপতন হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর উড়তে থাকা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এদিন আগ্রহ ধরে রাখতে পারেনি। আগের দিন দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকলেও এই কোম্পানিটি এদিন দর পতনের শীর্ষ তালিকায় ছিল।

৫.৫৯ শতাংশ দর হারিয়ে ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা হয়েছে।

এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টিই দর হারিয়েছে, বেড়েছে বাকি ১০টির দর। হাতবদল হয়েছে মোটি ১১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ১৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির, পাল্টায়নি দুটির। বাকি ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে গত দুই দিনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ারে বেশ আগ্রহ দেখা গেলেও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কমেছে দর। আগের দিন দুই টাকা হারলেও আজ দর কমেছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা।

এই খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির, বেড়েছে ৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বিবিধ খাতে বেক্সিমকো টানা প্রায় এক বছর ধরে লেনদেনের শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও সুকুক বন্ডের টাকা তুলতে শুরু করার পর আর সেই অবস্থানে ফিরতে পারছে না। আর বেক্সিমকোর কারণে বিবিধ খাত লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও এখন আর সেই অবস্থানে নেই।

আজ এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ৮৫ কোটি টাকা যা আগের দিন ছিল ৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার লেনদেনে তালিকাভুক্ত সাতটি সিমেন্ট খাতের কোম্পানির মধ্যে সবগুলোর দর কমেছে। টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে হাইডেনবার্গ সিমেন্টের, যার শেয়ার দর কমেছে ৯ টাকা। ২ টাকা ৩০ পয়সা শেয়ার প্রতি দর কমেছে প্রিমিয়ার সিমেন্টের।

তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের ৫টি কোম্পানির মধ্যে মঙ্গলবার দর বেড়েছে মাত্র একটির। এদিন স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১.৪৯ শতাংশ।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে।

শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ১.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ১৯৪টির, পাল্টায়নি ২৬টির। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৮৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩২ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৬৩টির, পাল্টায়নি ৩২টির।

সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর