দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিতরণ করা ঋণের কিস্তি আদায়ে গতি কম। ভালো গ্রাহকরা ঋণ শোধ করে চলেছেন। এই লম্বা সময়ে প্রণোদনার ঋণ ছাড়া কোনো ঋণ বিতরণও করেনি কোনো ব্যাংক।
তারপরও বছরের প্রথম ছয় মাসে মুনাফা অর্জনে চমক দেখিয়েছে সব ব্যাংক। কোনো কোনো ব্যাংক গত বছরের প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে।
নতুন বিনিয়োগ না থাকলেও চলতি ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকগুলো আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে। বলা যায়, ব্যাংকগুলো পরিচালন মুনাফায় এক রকম চমকই দেখিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি ব্যাংক এখন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকী আয় ব্যয়ের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, গত বছরের দ্বিগুণের বেশি আয় করেছে মার্কেন্টাইল ও সিটি ব্যাংক, আয় ৭০ শতাংশ বেড়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বেড়েছে ৭০ শতাংশ, ইউসিবির ৪১ শতাংশ, উত্তরা ব্যাংকের ২৪ শতাংশ এবং এনসিসি ব্যাংকের আয় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
বরাবরের মতোই এবারও দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে ইসলামী ব্যাংক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সাউথইস্ট, মার্কেন্টাইল, এক্সিম, এনসিসি, ঢাকা, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, প্রিমিয়ার, শাহজালাল ইসলামী, যমুনা, এসআইবিএল ভালো পরিচালন মুনাফা পেয়েছে।
- আরও পড়ুন: কঠিন সময়েও ব্যাংকে মুনাফায় জোয়ার
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো গতকাল পর্যন্ত নিজেদের অর্ধবার্ষিকীর হিসাব চূড়ান্ত করতে পারেনি। এজন্য এ ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার চিত্র জানা সম্ভব হয়নি।
এখন, প্রশ্ন হচ্ছে করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে কোন যাদুবলে ব্যাংকের মুনাফায় এই জোয়ার?
নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো একটি কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি; ব্যাংকগুলোর কর্তা ব্যক্তিরা বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে হিসাবের ‘ম্যারপ্যাচের’ মুন্সিয়ানার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আলম খান চৌধুরী বলেন, ‘এই বছরে বৈদেশিক বাণিজ্যে ভালো ব্যবসা হয়েছে। যারা আগে ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছিল, তারা ভালো মুনাফা পাচ্ছে। ওই মুনাফায় কর নেই, তা থেকে আলাদা প্রভিশনও রাখতে হয় না। এ ছাড়া শেয়ারবাজার থেকেও আয় বেড়েছে। এ ছাড়া ঋণ নতুন করে খেলাপি না হওয়ায় ব্যাংকের খরচ কমেছে।
‘সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আমাদের ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে যাদের মুনাফা বেড়েছে, তাদেরও একই ধরনের ব্যবসা বেড়েছে।’
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকের মুনাফা বাড়ল যত
অবশ্য পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের জন্য চূড়ান্ত কিছু নয়। কারণ, এই মুনাফা থেকে ঋণের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) রাখতে হয়। এরপর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হবে। এরপরই চূড়ান্ত হবে নিট মুনাফা।
একদিকে করোনা, অন্যদিকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার ধাক্কা—দুই মিলিয়ে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় বিপর্যয় নেমেছিল ২০২০ সালের প্রথমার্ধে। যদিও বছর শেষে সে বিপর্যয় কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছিল ব্যাংকগুলো।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান মনসুর বলেন, ‘পরিচালন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আমানতের সুদহার সর্বনিম্নে নামিয়ে আনার সুফলও পেয়েছে ব্যাংকগুলো। আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্সের কমিশন থেকে প্রাপ্ত আয় ও পুঁজিবাজার থেকে পাওয়া মুনাফার প্রভাব বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় প্রতিফলিত হয়েছে।’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের প্রান্তিক মুনাফায় হ্রাস বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলে ব্যাখ্যা দিতে হয়।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়, নানা খাতে আয় বাড়ার পাশাপাশি ঋণের সঞ্চিতি সংরক্ষণে ছাড়ের কারণে তাদের মুনাফা বেড়েছে। এই ব্যাংকটির অর্ধবার্ষিকী মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয় ব্যাংকগুলোকে। এটি শতকরা ১ শতাংশ থেকে শুরু করে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। করোনাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সঞ্চিতি সংরক্ষণে ছাড় দিয়েছে।
আহসান এইচ মনসুরের ব্র্যাক ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক মুনাফার হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ত্রৈমাসিক মুনাফার যে হিসাব তারা মার্চ শেষে দিয়েছিল, তাতে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় মুনাফা প্রায় দেড় গুণ হয়েছে।
এই ব্যাংকার বলেন, ‘আমরা (ব্র্যাক ব্যাংক) ৩৫০ কোটি টাকা প্রভিশন রেখেই ছয় মাসের হিসাব দেখিয়েছি।’
কোনো ব্যাংক যদি সঞ্চিতি সংরক্ষণ না করে মুনাফার হিসাব দেখায়, তাদেরকে বছর শেষে সঞ্চিতি রাখতে গেলে হিসাব করতে হবে। তখন মুনাফায় চমক নাও থাকতে পারে বলে মনে করেন এই ব্যাংকার।
তবে করোনাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংরক্ষণ না করার সুযোগ রাখলেও ব্যাংকগুলো সেটি সংরক্ষণ করেনি, এমন নয়।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের ২০২০ সালের পরিচালন মুনাফা থেকে আমরা অতিরিক্ত ১৭০ কোটি টাকা সঞ্চিতি সংরক্ষণ (প্রভিশন) করেছি। চলতি বছরও পরিচালন মুনাফা থেকে ২০০ কোটি টাকা বাড়তি সঞ্চিতি রাখতে চাই। দেশের অন্য ব্যাংকগুলোরও একই পন্থা অনুসরণ করা দরকার।’
তিনি মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের জন্য বড় বিষয় নয়। এখন সময় হলো সম্পদের গুণগত মান ঠিক রেখে মূলধনের ভিত শক্তিশালী রাখা।
‘আর ব্যাংক কখনই স্বল্পমেয়াদি কোনো ব্যবসা নয়। গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রেখে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকাই যে কোনো ব্যাংকের বড় সফলতা।’
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম তুলে ধরেছেন ব্যাংকের সৃষ্টিশীলতার বিষয়টিকে। তিনি বলেন, ‘গত বছর অর্থনীতিতে করোনার অভিঘাত ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। মৃত্যু ও সংক্রমণের তুলনায় মানুষ আতঙ্কিত ছিল বহুগুণ।
‘গত এক বছরে করোনার সঙ্গে বিশ্ববাসী অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে। এ কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হলেও মানুষের মনের আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে। গত ছয় মাসে অর্থনীতি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে শুরু করেছিল। ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার চিত্র তারই জানান দিচ্ছে।’
‘তবে সম্প্রতিক সময়ে আবার যেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে, সেটি অর্থনীতি ও ব্যাংকের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে,’ বলেন এই ব্যাংকার।
আরও একটি ঘটনা ঘটেছে গত দুই বছরে। ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে গিয়ে আমানতের সর্বোচ্চ সুদহার বেঁধে দেয়া হয় ৬ শতাংশ। কিন্তু এখন চার শতাংশের মতো নেমেছে এই সুদহার। আর ব্যাংকগুলো ঋণ দিচ্ছে ৭ থেকে ৯ শতাংশে। অর্থাৎ ব্যাংক যে অর্থ খরচ করে টাকা সংগ্রহ করে, তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা নেয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে। এটিও মুনাফা বাড়ার একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কোন ব্যাংকের মুনাফা কত
আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে, সেটিই কোনো ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা। পরিচালন মুনাফা কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। এ মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন সংরক্ষণ ও কর-পরবর্তী মুনাফাই হলো একটি ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা।
ইসলামী ব্যাংক জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে।
২০২০ সালের প্রথমার্ধে পূবালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৯৯ কোটি টাকা। চলতি বছর একই সময়ে ব্যাংকটি ৫০৫ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৫০৪ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৯৯ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৪৮৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংক এশিয়া। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৫০ কোটি টাকা।
সাউথইস্ট ব্যাংক চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৪৭২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটি ৩৪৮ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফায় ছিল।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩৫৮ কোটি টাকা। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে যা ছিল ২৪৩ কোটি টাকা।
ইসলামী ধারার এক্সিম ব্যাংক চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ৩৪৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। গত বছর একই সময়ে ২৩৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফায় ছিল ব্যাংকটি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে এনসিসি ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৩১৫ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটি ২৭৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছিল।
২০২০ সালের প্রথমার্ধে ২৬৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করা ঢাকা ব্যাংক এ বছর ৩১০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে পরিচালন মুনাফায় ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ১৮৬ কোটি টাকা। এ বছরের প্রথমার্ধে তা ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৩১০ কোটি, যমুনা ব্যাংক ২৮৫ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ২২৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা পেয়েছে চলতি বছরের প্রথমার্ধে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক চলতি বছরের প্রথমার্ধে পরিচালন মুনাফা পেয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ভালো পরিচালন মুনাফা করেছে ২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোও। এনআরবিসি ব্যাংক ১৫০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ১২৭ কোটি, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি) ৮০ কোটি ও মেঘনা ব্যাংক ৭০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে।
২০২০ সালের প্রথমার্ধে এ ব্যাংকগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ৯১ কোটি ও মধুমতি ১২৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছিল। এসবিএসি ও মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল যথাক্রমে ৭০ ও ১২ কোটি টাকা।
উদ্বেগও আছে
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর কিছু ঝুঁকিও দেখছেন। তিনি মনে করেন, সরকার প্রণোদনার এক লাখ কোটি টাকার যে ঋণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করেছে, সেগুলো ফিরে পাওয়া কঠিন হবে।
তিনি বলেন, ‘এই ঋণগুলো আদায় হবে কি না-তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। একটার পর একটা ছাড় দিয়েই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনো ঋণই আদায় করতে পারবে না ব্যাংকগুলো।
‘সে কারণে ব্যাংকগুলোর জন্য সামনে মহাবিপদ আছে বলে আমি মনে করি। খারাপ ব্যাংকগুলো এই সংকটে টিকে থাকবে কী না-সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।’
কিছু কিছু ব্যাংকের হিসাব নিয়েও সংশয়ের কথা জানালেন তিনি। বলেন, ‘ব্যাংকগুলো এই ছয় মাসের হিসাবের ক্ষেত্রে একুয়াল বেসড অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। অনেক ব্যাংক প্রভিশনিং না করেই হিসাব দেখিয়েছে। পরিচালন ব্যয়সহ অন্য অনেক ব্যয়ও হিসাবে ধরেনি। অর্থাৎ যে টাকাটা পকেটে আসেনি, সে টাকাটাও মুনাফার হিসাবে ধরেছে। বছর শেষে যখন প্রভিশন করতে হবে, তখন ব্যাংকগুলো ধরা খাবে।
‘তবে ভালো ব্যাংকগুলো খুব একটা সমস্যা হবে না। খারাপ ব্যাংকগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হবে।’