ব্যাংকের পর মহামারিতে এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির চমকপ্রদ আয়ের তথ্য মিলল। কোম্পানিটি কঠিন পরিস্থিতিতে গত বছরের তুলনায় দেড় গুণ আয় করেছে।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছরের এই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৬৮ ছিল।
অর্থাৎ এবার আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯৩ পয়সা বা ৫৫ শতাংশ।
এই আয়ের বেশিরভাগটিই হয়েছে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছরের এই তিন মাসে আয় ছিল ৯৪ পয়সা ছিল।
গত বছর মহামারির বছরেও কোম্পানিটি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দেড় গুণ আয় করেছিল। মহামারির দ্বিতীয় বছরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল।
এর আগে ব্যাংকের আয়েও এই চমক দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত যে সাতটি ব্যাংক অর্ধবার্ষিক হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে ছয়টি ব্যাংকের আয় বেড়েছে। আর একটি ব্যাংক শুরু থেকেই লোকসানে।
এসব ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের, ১০৮ শতাংশ। এরপর সিটি ব্যাংকের ১০৬ শতাংশ। বাকিগুলোর মধ্যে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ, ইউসিবি ৪১ শতাংশ, উত্তরা ২৪ শতাংশ ও এনসিসি ব্যাংক ২২ শতাংশ বেশি আয় করেছে।
অন্যদিকে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক গত বছরের সমান লোকসান করেছে। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত এই ব্যাংকটি নতুন নামে যাত্রা শুরুর পরেও কখনও মুনাফার মুখ দেখেনি। কেবল গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকে তিন মাসে মুনাফা হয়েছিল তাদের।
কঠিন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগে মন্দার মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি চমক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ব্যাংকাররা জানাচ্ছেন, আমানতের সুদ কমে আসায় প্রতিষ্ঠানের খরচ কমার পাশাপাশি ঋণের বিপরীতে যে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়, তাতে ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেশি হচ্ছে।
মুনাফা বেশি হওয়ায় এবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে বেশ ভালো মুনাফা পেয়েছেন শেয়ারধারীরা।