পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ আয় করেছে।
এই সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের একই সময়ে এই মুনাফা ছিল ৩২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ২৮ পয়সা ছিল।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৭৩ পয়সা ছিল।
কোম্পানিটির বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কোম্পানিটির গত বছরের এই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। গত বছরের এই সময়ে মোট বিক্রি ছিল ২৬৪ কোটি টাকা। সেখান থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৪৭৩ কোটি টাকা।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেশ সুরানার এ বিষয়ে বলেন, “উদ্ভাবন ও টেকসই হওয়ার যাত্রা আমরা ধরে রেখেছি। আমাদের ‘হোলসিম ওয়াটার প্রটেক্ট’, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ‘জিওসাইকেল’ এবং নতুন অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা আশানুরুপ গতি বজায় রেখেছে। আমাদের কর্মীদের অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও চেতনা এই ফলাফল অর্জনে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে।”
লাফার্জহোলসিম দেশের সিমেন্ট উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি একটি সিমেন্ট কারখানা ও তিনটি গ্রাইন্ডিং স্টেশন স্থাপনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যাকে বলা হচ্ছে সিমেন্ট খাতে দেশে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক হোলসিম গ্রুপ ও স্পেন ভিত্তিক সিমেন্টোস মলিন্স গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে তার শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে করে আসছে।
ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের এই কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ৫৬৭ কোটি টাকা।