সূচকের উত্থান পতনে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে মঙ্গলবারের লেনদেন। এদিন ব্যাংক, বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশলের মতো দাপটে খাতগুলোকে পেছনে ফেলে দর বৃদ্ধির সামনের কাতারে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ইউনিট প্রতি দর খুব বেশি না বাড়লেও যেকোনো খাতের তুলনায় আগ্রহের শীর্ষে ছিল পিছিয়ে থাকা এই খাত।
তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে পাঁচটির অর্থবছর বছরের বিভিন্ন সময়ে শেষ হলেও ৩০ জুন শেষ হয়েছে বাকি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থবছর। জুন ক্লোজিংয়ের মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ইউনিটি প্রতি সম্পদ মূল্য গত ৫ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে।
যেখানে দেখা গেছে গত বছরের জুনের তুলনায় চলতি বছরের জুনে ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্য সর্বনিম্ম বেড়েছে ১৩ শতাংশ আর সর্বোচ্চ বেড়েছে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতে চলমান শাটডাউনের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। চলমান সাত দিনের শাটডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে আরও সাত দিন করেছে সরকার।
এই সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় সীমা ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তায়ও একইভাবে লেনদেন চলবে নাকি তা পরিবর্তন হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট থেকে বেড়ে হয় ৬ হাজার ২৪১ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১০টাকা ৯ মিনিট পর্যন্ত খুব বেশি উত্থান পতন ছিল না সূচকে। তারপর থেকে ১০টা ২২ মিনিট পর্যন্ত সূচক টানা কমে, নেমে আসে ৬ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। তারপর আবার উত্থানে সূচক ওঠে ৬ হাজার ২৩৪ পয়েন্টে।
এভাবেই সূচকের ওঠা নামায় চলে লেনদেন। দিন শেষে আর ফেরেনি শুরুর সেই উত্থান। পতনেই শেষ হয়েছে দিনের কার্যক্রম। তবে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্যের বিপরীতে যে দর থাকা উচিত বর্তমান বাজার দর অনেক কম। তবে আগের তুলনায় অনেক দর বেড়েছে। অনেক ৫ টাকা ৬ টাকার ফান্ড এখন দশ টাকার কাছাকাছি বা দশ টাকার বেশি। ফলে আগ্রহ নেই এটা বলা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর সঙ্গে বাজারের সরাসরি সম্পৃক্ত। পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর বাড়লে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য বাড়বে। শেয়ার দর কমলে সম্পদ মূল্য কমবে। আর গত এক বছরে পুঁজিবাজারের যে একটি ভালো জায়গায় পৌছেছে তার কারণেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদ মূল্য বেড়েছে।
‘আমি বলব, যাদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই তারা যেন তাদের বিনিয়োগের অর্ধেক অন্তত মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সম্পদে মূল্যের চেয়ে ফান্ডগুলোর ইউনিট প্রতি দর কম থাকে তাহলে বিনিয়োগ উপযোগী আর ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্যের চেয়ে ইউনিট প্রতি দর বেশি থাকলে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই করা উচিত।
ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্যের তুলনায় বেশির ভাগ ফান্ডের দর কম। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তাদের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পদ মূল্য প্রকাশ করেছে ১২ টাকা ১৫ পয়সা। অথচ ফান্ডটির ইউনিটি প্রতি দর মঙ্গলবার ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৮ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
এ সময় সবচেয়ে বেশি সম্পদ মূল্যের গ্রামিন ওয়ান, ‘স্কিম টু’-এর ২০ টাকা ৮২ পয়সা। ফান্ডটি মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা।
এ ছাড়া, সবচেয়ে কম সম্পদ মূল্যের আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। যার ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য ৯ টাকা ০৫ পয়সা আর ফান্ড লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা।
মঙ্গলবার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উত্থানে অনেকটাই নিস্তেজ ছিল বিমা, ব্যাংক, বস্ত্র খাত।
ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র তিনটির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। বাকি ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে আটটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ১৩টির দর কমেছে। বাকি একটির দর পাল্টায়নি।
বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র চারটির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ৪৬টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির। কমেছে ৩৯টির। দর পাল্টায়নি একটির।
বাধনহারা মিউচ্যুয়াল ফান্ড
মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ছিল বাধনহারা। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ স্থানে ছিল এ খাতের ইউনিটগুলো।
লেনদেন দর বৃদ্ধির শীর্ষে না থাকলেও সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া ফান্ডটি ছিল ডিবিএসই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ৩০ জুন শেষে ফান্ডটির সম্পদ মূল্য প্রকাশ করা হয়েছে ১১ টাকা ৮১ পয়সা। মঙ্গলবার ফান্ডটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। ইউনিট প্রতি দর ৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা।
তারপরেই আছে ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। যার অর্থবছর শেষ ইউনিটি প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৪২ পয়সা। মঙ্গলবার ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৬.৭৫ শতাংশ।
গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য প্রকাশ করা হয়েছে ১১ টাকা ৭২ পয়সা। লেনদেন শেষে ফান্ডটির দর বেড়েছে ৬.০২ শতাংশ।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৮৮ শতাংশ। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থবছর শেষে সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১৫ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধির তালিকায় আছে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৭১ শতাংশ। আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৫৫ শতাংশ।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৪.৮১ শতাংশ থেকে ৪.২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
নন ব্যাংক আর্থিক খাতেও জোয়ার
মঙ্গলবার লেনদেন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া খাত হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। পাশাপাশি দর বেড়েছে নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, যার শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা।
প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের শতকরা হিসেবে দর বেড়েছে ৯.৭৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ারের শতকরা হিসেবে দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। শেয়ার দর ৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা।
ইউনাইটেড ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের শতকরা হিসেবে দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৬৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এদিন নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র দুটির দর কমেছে। বাকি ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি টাকা।
ব্যাংক হারাল দর
গত কয়েক কার্যদিবসে অনেকটাই উত্থান দেখা গেছে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের শেয়ার। এ খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের ২০২০ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা।
অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় ব্যাংক খাতের লভ্যাংশ ঘোষণা আকর্ষণীয় হলেও বিনিয়োগকারীরা সময় সময় তাদের আগ্রহ পরিবর্তন করেন। ফলে কয়েকদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর বাড়লেও কমে ঠিক তাল রেখে। কয়েকদিন দর বাড়ার পর মঙ্গলবারও ঢালাওভাবে দর কমেছে এ খাতের।
এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। আর ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র তিনটির। দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ১৫টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
গত কয়েক কার্যদিবস ধরে ব্যাংক খাতের সবচেয়ে দুর্বল আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বাড়ছে। ওঠে আসছে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়।
মঙ্গলবারও ব্যাংকটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ। শেয়ার দর ৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
তারপরের দর বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংক ছিল প্রিমিয়ার ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আল-আরফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৪৪ শতাংশ।
দর পাল্টায়নি বা আগের কার্যদিবসের মতোই শেয়ার দর আছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের।
পতনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.৭৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা।
এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৭০ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.১৪ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.০৪ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৯০ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৫১ শতাংশ। একই হারে কমেছে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর।
উঠছে নামছে বিমা
সোমবার ঢালাওভাবে বিমা খাতের শেয়ারের দর বাড়ার পর পুরো উল্টে গেছে মঙ্গলবার। শেয়ার দর কমার চিত্র এতটাই করুন শীর্ষ দর পতন হওয়া ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১২টি ছিল বিমা খাতের।
সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের, শতকরা হিসেবে দর কমেছে ৬.৩২ শতাংশ। শেয়ার দর ৮৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮১ টাকা ৪০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.০২ শতাংশ। পগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩৮ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.০১ শতাংশ। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৮ শতাংশ। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৭ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৫৯ শতাংশ।
এছাড়া গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.১৮ শতাংশ পর্যন্ত।
অন্যান্য খাতের যে অবস্থা
তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ারের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। লেনদেনে এ খাতের জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ।
নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.২৮ শতাংশ। আরএন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭৭ শতাংশ। তাল্লু স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ। এ ছাড়া, এ খাতের তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, জাহিন স্পিনিং, জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এদিন এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ১.২৫ শতাংশ। লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
প্রকৌশল খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। দর পাল্টায়নি একটির। দর কমেছে ৩০টির।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৮৯ কোাটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৭৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৬৬টির। পাল্টায়নি ১২টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি টাকা।