বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতের কিছু সুবিধাও তৈরি হবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ জুন, ২০২৪ ২১:৫৫

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। এটি নিশ্চিতভাবে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্জন। যদিও এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধার অবসান ঘটবে। তবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হ্রাস হবে বলে জাতীয় সংসদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে কিছু বাড়তি সুবিধাও তৈরি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। এটি নিশ্চিতভাবে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্জন। যদিও এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধার অবসান ঘটবে। তবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’

ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে রেভিটালাইজেশন অফ কমিউনিটিজ হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি) প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিত করার কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়ে নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রয়োজনীয় মেরামত, জনবল পদায়ন, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে নতুন নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। সারা দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে এবং ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ চলমান।’

সরকার প্রধান জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে মূলত স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ শনাক্ত, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার সংক্রান্ত সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অসংক্রামক রোগ প্রাথমিকভাবে নিরূপণ ও উচ্চতর পর্যায়ে রেফার যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্সেনিকোসিস, অটিজম ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার করা এবং একটি কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের জবাবে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তাতে আমাদের কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বশান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান অব্যাহত রেখেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও বৈরিতা নয়’ নীতিতে বিশ্বাস করি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক অবস্থানে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও করোনার কারণে সারা বিশ্বের ন্যায় আমাদের এখানেও বাস্তবায়ন কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। আমরা অত্যন্ত দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। জীবন ও জীবিকা সমুন্নত রেখে অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিতে পেরেছি।

‘কোভিডের পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে। মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব আমাদেরও বহন করতে হচ্ছে। আমরা মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বয় করে এটিকে মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা। জলবায়ু পরিবর্তনে আবেদনকারী দেশ না হলেও অন্যতম ভুক্তভোগী দেশ। নিজস্ব অর্থে অভিযোজন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তবে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০) বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ডলার। আবার ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ সার্বিকভাবে সম্পূর্ণ এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অর্থায়ন একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।’

এ বিভাগের আরো খবর