নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ পড়ল বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। বিসিসিআইয়ের একাধিকবার বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম থেকে নির্ধারিত ম্যাচগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নাভি মুম্বাইয়ে। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সব কটি দলকে বিসিসিআই আজ এ তথ্য জানিয়েছে।
ভেন্যু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ নারী দলের ওপরও। কারণ, বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আগামী ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী দলের। এখন সেই ম্যাচটি হবে নাভি মুম্বাইয়ে।
এছাড়া বেঙ্গালুরুতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ, সেমিফাইনাল ও সম্ভাব্য ফাইনাল ম্যাচও হওয়ার কথা ছিল (যদি পাকিস্তান ফাইনালে না ওঠে)। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। পাকিস্তানের বাকি ম্যাচগুলোও হবে সেখানে।
ইএসপিএনক্রিকইনফো অবশ্য জানিয়েছে, ম্যাচের দিন–তারিখে কোনো পরিবর্তন আসছে না। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে আট দলের এই টুর্নামেন্ট। নতুন সূচি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। ফলে ভারত পর্বে তিন ভেন্যু-ইন্দোর, বিশাখাপত্তম, গুয়াহাটির সঙ্গে যোগ হলো নাভি মুম্বাই।
গত জুনে বেঙ্গালুরুতে আইপিএল শিরোপা উদযাপনের সময় পদদলিত হয়ে ১১ দর্শকের মৃত্যু হয়। তাতে রাজ্য সরকার বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি ও কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে সমাবেশের পরিচালনায় ত্রুটির জন্য দায়ি করে এবং ঘটনার তদন্তের জন্য এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি স্টেডিয়ামটিকে ‘অরক্ষিত’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে কোনো বড় ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি পায়নি কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। স্থানীয় পুলিশও তাদের অনুমতি দেয়নি।
অগ্নিনির্বাপণ নীতিমালা মানা না হওয়ায় স্টেডিয়ামটির বিদ্যুৎ–সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি রাজ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মহারাজা টি-টোয়েন্টিও সরিয়ে নেওয়া হয় মহীশূরে। প্রথমে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কেরালার তিরুবনন্তপুরমকে বিবেচনায় নিলেও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় শেষ পর্যন্ত নাভি মুম্বাইকে বেছে নেয় বিসিসিআই।