সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নেই উন্নতির বিন্দুমাত্র ছাপ। প্রতিটা ম্যাচ কিংবা সিরিজেই ব্যাটারররা রেখে যাচ্ছেন ব্যর্থতার ছাপ। বিশেষ করে বাংলাদেশের টপঅর্ডাররা ভেঙে পড়ছে তাসের ঘরের মতো।
দীর্ঘদিন পরে দলেই ফিরেই সেখানে কিছুটা আশা দেখাচ্ছেন সৌম্য সরকার। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে গড়েছিলেন শতরানের জুটি।
বিসিবির ‘রেড-গ্রীন স্টোরি’তে জানালেন বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা। আশার কথাও। সেটাকে আবার একটু বাড়াবাড়িও বলতে পারেন কেউ কেউ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো আসরে দুটির বেশি জয় না পাওয়া বাংলাদেশকে জেতাতে চান বিশ্বকাপ।
বাঁহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘আমি সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কেউ সেমিফাইনাল বললে আমি বলব ফাইনাল খেলতে যাব। তারপরে রেজাল্টের কথা আসবে। মাঠে ভালো খারাপের ওপর ফলাফল আসবে। খেলায় উত্থান-পতন, ভালো-খারাপ, হার-জিত থাকবে। আমরা আমাদের দিক থেকে চাইব নিজেদের সেরাটা দেয়ার।’
সৌম্য জানালেন যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে পারা গর্বের। এবারের বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি। সৌম্য বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যেকোনো বিশ্বকাপে খেলাই একটা গর্বের বিষয়, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবারও সেরকম রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালে আমার জন্য স্মরণীয় করতে পারি এবং পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।’
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত মিশ্র। তবে তাকে নিয়ে বেশ আশাবাদী সৌম্য, ‘শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে একসঙ্গে ছিলাম। দেখেছি সে (শান্ত) পুরো দলকে একত্র করে ভালো করার চেষ্টা করেছে। আশা করি সবকিছু একত্র করে একটা বিশ্বকাপে সে সবাইকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা, আশা করব সে বাংলাদেশকে অধিনায়কত্বের দিক থেকে নতুন কিছু উপহার দেবে।’
টি-টোয়েন্টিতে ধুকছে বাংলাদেশ। একদিন মিডল অর্ডর ভালো করছে তো, আরেকদিন টপঅর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিন বোলাররা ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্বকাপে ভালো করার উপায় বাতলে দিলেন সৌম্য, ‘শান্ত নতুন অধিনায়ক, অভিজ্ঞ সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই আছে, আমরাও অনেক দিন ধরে খেলছি। সবার অভিজ্ঞতাকে একসঙ্গে করে দল হিসেবে খেললে আশা করি আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’