ম্যাচে তখন অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটের খেলা চলছে। এরইমধ্যে গোল পেয়ে ম্যাচে সমতা টানে বায়ার্ন। কিন্তু গোলে শট করার আগমুহূর্তে অফসাউডের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। ফলে টিভি রিভিউতে আপাতঃদৃষ্টিতে অফসাইড মনে না হলেও গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
গোলের সামনে বল থাকলে সেটি গোল বা খেলার মোড় পরিবর্তন না করা পর্যন্ত অফসাইডের পতাকা তুলতে বা বাঁশি বাজাতে অপেক্ষা করবেন রেফারি। উয়েফার অফসাইড আইনে এমনটি থাকলেও বায়ার্ন মিউনিখের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
রেফারির এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতবাক বায়ার্ন মিউনিখ স্কোয়াড। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কোচ টমাস টুখেলসহ অনেকে। খবর ইউএনবি
খেদ ঝরতে দেখা গেল টমাস মুলারের কণ্ঠেও। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। রিয়ালের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে বায়ার্ন-অন্ত প্রাণ মুলার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়। ২০১৭ সালেও আমাদের সঙ্গে এটা ঘটেছে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দুই গোল করেছিল। সেটা অবশ্য ভিএআরের আগে।’
তিনি বলেন, ‘রেফারি ভিএআর-এর সাহায্য নেননি। তিনি এটা দেখার সুযোগও পাননি। অথচ দ্রুত বাঁশি বাজিয়ে দিলেন! সত্যিই অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত।
‘সাধারণত বাঁশি বাজানোর আগে খেলোয়াড়দের অন্তত তিন মিটার দৌড়ানোর সুযোগ দেয়া হয়। অথচ… জানি না আসলে কী ঘটেছে।’
এ বিষয়ে গোলদাতা ডি লিখট বলেন, ‘হোসেলুও গোল করার সময় প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তখন তারা খেলা চালিয়ে গেছেন। তাহলে আমাদের বেলায় কেন নয়?’
বায়ার্ন বস টুখেল এটিকে ‘বিশ্বাসঘাতকতার সামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন।