বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উত্তেজনার পারদে জ্বালানি ঢেলে শেষ ওভারে রংপুরের জয়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:১১

ছোট রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে রংপুর। জাতীয় দলের খেলা শেষ করে বিপিএলে যোগ দেওয়া ব্র্যান্ডন কিং ঝড় তোলেন উইকেটে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হারানোর ছিল না কিছুই। ইতোমধ্যেই প্লে-অফ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে গেছে তাদের। তাই নির্ভার হয়ে মাঠে নেমেছিল মোহাম্মদ মিঠুনরা। তার ওপর আবার এই ম্যাচের আগে উড়িয়ে এনেছিল মারকুটে ক্যারিবীয় ব্যাটার কেনার লুইসকে। তার আসাটা সার্থকও হয়েছে। কুমিল্লাকে হারিয়েছে ১২ রানের ব্যবধানে।

পুরো আসর জুড়েই মোটামুটি ব্যর্থ ছিল সিলেটের ওপেনিং জুটি। যার কারণে পাওয়ার-প্লের সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। লুইস আসায় সেই জায়গার ঘাটতি পূরণ হয়েছিল। তবে সিলেটের জয়ের পেছনে বড় কৃতিত্ব ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েলের। সিলেটের দুই ইনিংসেই তিনি ছিলেন আস্থার প্রতীক। ব্যাট হাতে ২০০ স্ট্রাইকরেটে ৩১ বলে খেলেছিলেন ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল সিলেট। বল হাতেও শিকার করেছিলেন এক উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

তবে সিলেটের জয়ে বেশ ভালো অবদান ছিল দেশের তরুণ পেসার তানজিম সাকিবেরও। তিনি একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। স্ট্রাইকে ছিল উইকেটে থিতু হওয়া লিটন দাস। প্রথম বলেই তাকে আউট করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ ৩ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। আর স্ট্রাইকে তখন টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা আন্দ্রে রাসেল। তবে রাসেলকে ভয় পাননি সাকিব। নিজের নার্ভকে শক্ত করে আদায় করে নিয়েছেন ডট বল। সব মিলিয়ে ১২ রানের বেশি নিতে দেননি আন্দ্রে রাসেলদের।

সিলেটের বিপক্ষে হারলেও কুমিল্লার জন্য আহামরি ক্ষতি হয়নি। প্লে-অফে খেলা এখনো প্রায় নিশ্চিতই তাদের। ১০ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। বাকি দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে না হারলে, শেষ চারে থাকবে তারাই। তাই বরং তাদের প্রাপ্তি নিয়েই তারা খুশি থাকতে পারে।

সিলেটের বিপক্ষে বিপিএলে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস। যদিও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি কিন্তু তার রানে ফেরাটা কুমিল্লার বেশ স্বস্তির। কারণ বিপিএলের শুরুর দিকে কোনোভাবেই হাসছিল না লিটন দাসের ব্যাট। তার ব্যাট কাজে আসবে পরের ম্যাচগুলোতে।

প্লে-অফ নিশ্চিতের লক্ষ্যে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন বরিশালের ওপেনার তামিম ইকবাল। ২০ বল থেকে ৩৩ রান করে তামিম ফিরলে গতকালও বরিশালের ত্রাতা হয়ে আসেন কেইল মায়ার্স। দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলতে থাকেন জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে। কিন্তু বরিশালের ইনিংসের সর্বনাশ ডেকে আনেন আহমেদ শেহজাদের পরিবর্তে মাঠে নামা ইংলিশ ওপেনার টম ব্যান্টন। ১২তম ওভারে জিম্মি নিশামের বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন তিনি। এখান থেকেই শুরু হয় বরিশালের পতন। এরপর আর কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন তামিম ইকবালরা।

বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি একাই ধংসস্তূপে ঠেলে দেন বরিশালকে। ১৩ ওভারে শিকার করেন ৩ উইকেট। ওভারের প্রথম বলেই ফেরান মুশফিকুর রহিমকে। তৃতীয় বলে শিকার সৌম্য সরকার। আর শেষ বলে ঝড় তুলতে থাকা কেইল মায়ার্স। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ফরচুন বরিশাল। ১১ ওভারে ১০৪ রান করা বরিশাল শেষ ৯ ওভারে তুলতে পারে মোটে ৪৭ রান। এই সময়ে উইকেট হারিয়েছে ৮টি। ২০০ বা ২২০ রানের আশা দেখিয়েও বরিশাল সংগ্রহ করতে পারে মোটে ১৫১ রান।

ছোট রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে রংপুর। জাতীয় দলের খেলা শেষ করে বিপিএলে যোগ দেওয়া ব্র্যান্ডন কিং ঝড় তোলেন উইকেটে। বিপিএলের মাঝপথে দল পাওয়া মুমিনুল এদিন ব্যর্থ ছিলেন ব্যাট হাতে। কোনো রান না করেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ব্র্যান্ডন কিংয়ের সঙ্গে চার-ছক্কার ঝড় নামাতে শুরু করেন। পাওয়ার-প্লের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে বাইরে বের হয়ে মারতে গিয়ে বোকা বনে যান কিং। স্টাম্পিং হয়ে ফেরত যান ড্রেসিংরুমে। এরপর কিছুটা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় রংপুর। দুই ওভার পরে মিরাজের শিকার হয়ে একই পথে হাঁটেন সাকিবও। তবে যাওয়ার আগে ১৫ বল থেকে করে যান গুরুত্বপূর্ণ ২৯ রান। ১২তম ওভারে মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দেন জিম্মি নিশাম। কিন্তু সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় প্রিতম। এরপর ১৭ বল থেকে ২৮ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন নিশাম। অস্বীকার করার উপায় নেই টম মরিস আর প্রিটোরিয়াসের ইনিংসকে। আসরের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ছিল এটি। খেলা গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। একবার বরিশাল আশা জাগিয়েছে তো আরেকবার আশা জাগিয়েছে রংপুর। শেষ পর্যন্ত জয়টা পেয়েছে রংপুরই। তবে ১২তম ওভারে নিশামের ওই ক্যাচটা তালুবন্দি করতে পারলে ভিন্ন কিছুও হতে পারত ম্যাচের রেজাল্ট।

এ বিভাগের আরো খবর