বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জয়ে শুরু বাংলাদেশের এশিয়া কাপ

  • ক্রীড়া ডেস্ক   
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৪১

লিটন কুমার দাস চেয়েছিলেন স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে তারা স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে পেরছেন কিনা, তা নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় লিটনরা হয়তো মন ভরানো পারফরম্যান্স করতে পারেননি, তবে জয়ের দিক থেকে দেখা হলে খারাপ খেলেনি বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করেছে এশিয়া কাপ। লিটনের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে ম্যাচ। হংকংয়ের বিপক্ষে জিতেও গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। ১১ বছর আগে এই হংকংয়ের বিপক্ষে টি২০ বিশ্বকাপ ম্যাচ হেরেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। সে বিবেচনায় লিটনরা ফাঁড়া কাটালেন এশিয়া কাপে।

হংকংয়ের কাছ থেকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওই টার্গেটে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি। ২৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও কন্ডিশন মাথায় রেখে ব্যাটিং করে টাইগাররা। পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বলে ১৯ রান করে আয়ুশ শুকলার শিকার। তানজিদ হাসান তামিমও সেট হতে পারেননি। ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। ৪৭ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় জুটি গড়েন। ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি তাদের। জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে আউট হন লিটন। ৬টি চার ও একটি ছয় মেরে ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। ১৫১.২৮ স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন। সে তুলনায় তাওহীদ হৃদয় ছিলেন মন্থর। ৯৭.২২ স্ট্রাইকরেটে ৩৬ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত তিনি। ১৭.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

টসে জিতে লিটন বোলিং নিলে তাসকিনরা ভালো শুরু দেন। ডানহাতি এ পেসার ওপেনিং জুটি ভাঙার পর মনে হচ্ছিল হংকংকে কম রানে বেঁধে ফেলা সম্ভব হবে। সেই বিশ্বাস দৃঢ় করেন তানজিম হাসান সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভারে বাবর হায়াতকে বোল্ড আউট করে। কিন্তু হংকং ছোট ছোট জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় দলীয় সংগ্রহ শোভন স্কোরে পৌঁছায়। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে তারা। বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে ওই রান করতে পারা হংকংয়ের জন্য জয়ের সমান।

আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে টি২০ এশিয়া কাপের পর্দা ওঠে। উদ্বোধনী ম্যাচে হংকং সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভালোভাবেই লড়াই জমায়। ৩০ রানে দুই উইকেট হারালে পরের ব্যাটাররা গুছিয়ে নেন। ফলে ১০ ওভার শেষে ৬৪ রানে ছিল হংকং। পেসার তানজিম সাকিব সেট জুটি ভাঙেন দ্বাদশ ওভারে। ওপেনার জিশান আলীকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৪১ ও ৪৬ রানের দুটি জুটি লড়াই করার মতো পুঁজি দেয় হংকংকে। নিজাকাত খান ৪২ ও ইয়াসিম মুর্তজা ২৮ রান করেন।

পাঁচ নিয়মিত বোলারকে দিয়ে বোলিং করেন লিটন কুমার দাস। বোলিং দেখে মনে হতে পারে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়েছিল বাংলাদেশ। উইকেট নেওয়ার পেছনে না ছুটে রান চেক দেওয়া ছিল গেম প্ল্যান। সেখানেও ভালোভাবে সফল হতে পারেনি টাইগার বাহিনী। অভিজ্ঞ বোলার তাসকিন ছিলেন খরুচে। চার ওভারে ৩৮ রানে দুই উইকেট শিকার তার। তাসকিনের বোলিং ইকোনমি সাড়ে ৯। অফস্পিনার শেখ মেহেদী ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন মিতব্যয়ী ছিলেন না। মেহেদী চার ওভারের কোটা শেষ করেন ২৮ রানে। রিশাদ ৩১ রান দিলেও দুটি উইকেট নিয়ে পুষিয়ে দেন। পাঁচ বোলারের মধ্যে সেরা তানজিম সাকিব। ২১ রানে শিকার করেন দুটি উইকেট। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজের বোলিং ইকোনমিও ছিল ভালো।

এ বিভাগের আরো খবর